নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈল্পিক চুরি

০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো করার প্রয়াস হিসেবে কেউ ভেবে বসেন সেই সঙ্কোচে।
***
ছোট বেলায় বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি নিজের অধিকার হিসেবে ভাবতাম- এটা কখনোই পাপকর্ম হিসেবে ভাবি নাই। বরংচ মার জমানো টাকা চুরি করে পাপবোধে ভুগতাম।
নেক অনেক বড় হবার পরে একটা জিনিস টের পেলাম নিজ ঘরে আরেকটা চোর বর্তমান। যে স্বামীর পকেট থকে টাকা চুরি একটা শৈল্পিক রীতি হিসেবে নিয়েছে। এখানে কোন পাপবোধ তো দুরের কথা এনারা এটাকে 'ফরজে কেফায়া' হিসেবে ভাবেন।
ইঁনারা নতুন বউ ঘরে আসলে তাঁকে সংসারের তালিম দেবার পাশাপাশি কিভাবে স্বামীর পকেট কাটতে হবে তাঁর সুক্ষ্ণ তালিমটাও দিয়ে দেন বেজায় হাস্য-রস করতে করতে। সেই সাথে কে কিভাবে তাদের পতিদেবদের বোকা বানিনে পকেট থকে সমুদয় টাকা পয়সা হাপিস করে দেন তাঁর সবিস্তারে বর্ননা করে এমন কৌতুকময় পরিবেশ সৃষ্টি করেন যে, নববধুর সে রাতেই ধ্যান জ্ঞান সপ্ন হয়ে ওঠে কেমন করে তাঁর বেহুড়া পতিকে আরো বেশী বেহদ্দ বোকা বানিয়ে সবাইকে চমকে দিবেন।
শুধু অগোচরে পকেট মেরে ক্ষান্ত দিলে কথা ছিল- কিছুদিন বাদে স্বামীর দুঃসময়ে তারা বিশ্বব্যাংক কিংবা আই এম এফ সেজে বসে, চমৎকার কিছু শর্ত সাপেক্ষে সেই টাকা থেকে লোন প্রদান করেন।
ফেসবুকে এই লোন নিয়ে অনেক ট্রল হয়। 'কেউ বলে বউ এর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা লোন নিয়েছিলাম, কতবার শোধ করলাম- এখনো নাকি সে পাঁচ হাজার টাকা পায়।'
আমাদের মত গরিব দেশের মত এই টাকা এক জিন্দেগীতে শোধ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। পুরুষ মানুষের কথায় কাজে মিল থাকে কম। বউ এর টাকার হিসাবে পাত্তা দেয় কম। ওদিকে আই এম এফ তাঁর হিসাব নিয়ে তক্কে তক্কে ঠিকই থাকে। পকেট কাটে দ্বিগুণ গতিতে। একটু বেতাল হইলেই হুমকি দেয়। দ্বিতিয়বার লোন চাইলে তো কথাই নাই; এইবার মামা কট!
(* তবে এটা না বললেই নয় বেশীরভাগ ছেলেরাই বেহিসেবি হয়। গৃহিনীরা তাদের এই জমানো টাকা অনেক দুঃসময় সামাল দেয়।
স্বামীরাও ঠিক ঠাক জানে, দেখেও না দেখার ভান করে। এটা যেন এক পারিবারিক খেলা যা দুই পক্ষের সম্মতিতেই হয়ে থাকে।)

ল্পটা করতে চেয়েছিলাম লাটু ভাইকে নিয়ে। এককালের কুস্তিগীর লাটু ভাই। ষাটের ঘরে বয়স হলেও এখনো দশাশই ফিগার। মায়ের অমতে নিজের কাজিনকে বিয়ে করে ঘরছাড়া হয়েছিলেন। পরে পারিবারিক সম্মতি মিললেও সেভাবে তাঁর গিন্নী শ্বশুরবাড়ির সাথে একাত্ব হতে পারেনি কখনো।
একমাত্র সন্তান তাঁর দেশের বাইরে পড়াশুনা করছে। এইবার করোনায় তাঁর স্ত্রীর সাথে যমে মানুষে টানাটানি করে দীর্ঘ একুশদিন বাদে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরিয়ে এনেছিলেন।এরপর থেকে ভাবিসাহেবের মাথায় একটু গোলমাল- চাকুরি ছেড়ে দিলেন, সারাক্ষন পশু পাখি নিয়ে থাকেন। তাদের খাওয়া দাওয়া আর চিকিৎসা বাবদ টাকা দিতে গিয়ে লাটু ভাইয়ের ধার দেনা করার অবস্থা!
টাকা পয়সার একটু হাত টান দেয়ায়,
সেই মহিলার মানিব্যাগ থেকে টাকা হাপিস করার অভ্যাসটা শুরু হল বাড়াবাড়ি রকমের। উপায়ান্তর না দেখে লাটু ভাই কখনো তোষকের নীচে কখনো ব্যাগে, কখনো আলমারিতে টাকা রাখা শুরু করলেন। ওমা যেখানে টাকা রাখেন সেখান থকেই টাকা হাওয়া হয়ে যায়। সেই মহিলা টাকার গন্ধ শুকে শুকে সেইখানে ঠিক পৌছে যায়।
এবার ড্রয়ারে টাকা রেখে তালা মেরে রাখলেন - আর চাবি রাখলেন নিজের মানি ব্যাগের গোপন অলিন্দে। কদেন বাদে দেখেন মানিব্যাগে চাবি নেই। ভাবলেন হারিয়ে ফেলেছেন কোথাও। বাইরে থেকে চাবিওয়াকে আনিয়ে ড্র্যার খুলে দেখেন টাকা-পয়সা হাওয়া।
এই নিইয়ে বউ এর সাথে মনো-মালিন্য। একটু রাগারাগি করে ঘুমোতে গেলেন।
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে ছায়ার মত কে যেন দেখেন দাঁড়িয়ে আছে। ভাল করে লক্ষ্য কর- ভয়ে দম বন্ধ হয়ে কাঁপতে লাগলেন; তাঁর বউ দাঁড়িয়ে আছে 'বটি হাতে'। মহিলা ভাগ্যিস দয়া করে কোপ দেননি।
এরপরে আর প্রানের ভয়ে আর চটান না। টুকটাক টাকা পয়সা তাঁর চাহিদা অনুযায়ী দিয়ে যান আর মানিব্যাগে কিছু রেখে দেন নিয়মিত চুরি করে খোশ মেজাজে থাকার জন্য।
এর মাঝে অতি গোপনে একটা মাটির ব্যংক নিয়ে এসে খাটের নীচে লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রতি রাতে পাঁচশ/ এক হাজার টাকা রাখেন তিনি। মনে মনে ভাবেন বউ যেদিন বাপের বাড়ি যাবে সেদিন এই ব্যাঙ্ক ভেঙ্গে বড় অঙ্কের একটা টাকা দিয়ে বন্ধু বান্ধব মিলে ঢাকার বাইরে গিয়ে মৌজ মাস্তি করবেন।
তাঁর হিসেবে ৭৪ হাজার টাকার মত জমা হয়েছিল। বউ এর শ্বশুরবাড়ি যাবার দিনক্ষন পাক্কা- তাঁরও বন্ধুদের সাথে মৌ-মাস্তির হিসাব কিতাব!
রাতে এসি বাসে বউকে উঠিয়ে দিয়ে এসে বাসায় ঢুকেই বড় করে এক স্বাধীনতার হুঙ্কার দিলেন। তারপর নিজের রুমে গিয়ে গোপনে রাখা সেই মাটির ব্যাঙ্কটা বের করে তুলে ধরে আছড়ে ফেললেন টাইলসের মেঝেতে। পোড়া মাটির ভাঙ্গা টুকরো গুলো ঝন ঝন করে ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে- আর তাঁর সাথে টুং টুং করে একটা মাত্র পাঁচ টাকার কয়েন। পুরো ৭৩৯৯৫ টাকা গায়েব!!!!

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: তারপর কি হলো?

০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: বিয়ে করেছেন? করলে এমন প্রশ্ন করার কথা ছিল না :`>

২| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

শায়মা বলেছেন: আহারে আমার কষ্ট লাগে যেই গৃহবঁধু রাত দিন খেটেও তার খাটুনীর কোনো মূল্য পায় না তার পকেট কাট করা ছাড়া আর উপায় কি থাকে?

এই কথাটা যদি তাদের হাসব্যন্ডরা বুঝতো .....

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: এখানে আহা উঁহু করে অযথা ইমোশন সৃষ্টি করার কোন ব্যাপার নাই- এই 'পকেট কাটা' একটা সখ আহ্লাদের মধ্যে পড়ে।
এইটাও সংসারের একটা মজার অংশ। বিষয়টা গোপনে সংগঠিত হলেও কারো অগোচরেই হয়না- এমনটা অনেক পরিবারে নিয়মিত আয় রোজগার করা গৃহিনীরাও করে থাকেন।

৩| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। আসলেই শৈল্পিক চুরি। এত নিখুঁত চুরি তো মনে হয় প্রফেশনাল চোররাও করতে পারবে না :)

আমার ছেলেদের বাঁদরামি, ভাতিজা, ভাই-শ্যালকদের বাঁদরামি দেখে আমি মাঝে মাঝেই উঁচু গলায় বলি, আমি সত্যিই ছোটোবেলায় অনেক ভালো ছেলে ছিলাম। এত ভালো যে, অ্যানালাইসিস করতে গেলে হয়ত আমার ভালোত্ব'র জন্য গিনেজ বুকে আমার নাম উঠে যাবে :)

ছোটোবেলায় বাবার পকেট থেকে আমি কোনোদিন টাকা চুরি করি নাই। মায়ের জমানো টাকা থেকেও না। বাবা অবশ্য টাকার বান্ডিল মায়ের কাছেই জমা রাখতো, তবে কী কী খরচ করতে হবে তা বাবার কাছ থেকেই জেনে নিত।

ছেলেরা, ভাইয়েরা বাঁদরামি করলেও ওরা আমার মানিব্যাগ থেকে কখনো টাকা নিয়েছে বলে নিশ্চিত হতে পারি নি; দু-একবার বড়ো ছেলেকে নিয়ে সন্দেহ করেছিলাম মাত্র। তবে, শ্বশুর বাড়িতে গেলে মাঝে মাঝেই পকেট থেকে টাকা উধাও হয়ে যেত, কখনো এমনও হতো, যাতায়াতের জন্য রেখে দেয়া খরচটা দেখতাম উধাও হয়ে গেছে। কে এই সুকর্ম করতো তা আমি ও স্ত্রী জানতাম। শ্যালক আবার সত্যবাদী ছিল। খরচপাতি করে এসে বলতো দুলাভাইয়ের পকেট থেকে টাকা নিছিলাম :)

আমার বাসায় মানিব্যাগ অবশ্য আন-অ্যাটেন্ডেড অবস্থায়ই রাখা হয়। যার যখন টাকার প্রয়োজন, বিশেষ করে স্ত্রী ঐ মানিব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে খরচ করে। টাকা শেষ হয়ে গেলে জানায়, টাকা উঠাও, টাকা শেষ :)

স্ত্রীর নামে অ্যাকাউন্ট আছে, যাতে যৎসামান্য সঞ্চয়ও আছে। তবে, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট আমাকেই করতে হয়। মাঝে মাঝে সে জানতে চায় তার অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে :)

আমি দেখেছি, স্ত্রী নিজের নামে টাকা জমানোর জন্য যত উদ্গ্রীবই হোক না কেন, তার মূল উদ্দেশ্য থাকে সংসারের জন্য সেই টাকা খরচ করা, বা সংসারের মঙ্গল কীভাবে করা যায়, তার গোপন পরিকল্পনা থাকে সেটাই। এজন্য, টাকা চুরি হোক বা ডাকাতি হোক, যতক্ষণ না সেই টাকা অন্য সংসারে চলে যায়, কিংবা পরকীয়া প্রেমিকের পেছনে খরচ হয়, ততক্ষণ এই চুরি নিয়ে মোটেও মাথা ঘামানো ঠিক না।

এক জায়গায় লিখেছেন, জমে মানুষে টানাটানি। আমাকে কয়েকবার এই বাক্যটা পড়তে হয়েছে। পরে বুঝলাম, এটা হবে যমে-মানুষে টানাটানি :) জমে শব্দটা পালটে দেয়া উচিত। থেকে শব্দটাও হয়ে আছে থকে :)

নিম্ন মধ্যবিত্ত, বা নিম্নবিত্তরা টাকাপয়সা রুজি করে এনে স্ত্রীর কাছেই গচ্ছিত রাখে, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি। টাকা পয়সা কোথায় কোন কাজে খরচ হবে, তার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন স্ত্রীই করে থাকে। স্বামীরা সচরাচর এ নিয়ে মাথা ঘামায় না, তার কাজ শুধু টাকা রুজি করা। এ স্বামীরা সংসারের কঠিন সময়ে নির্বিকার থাকে, কারণ, কঠিন সময়টা সামাল দেয় স্ত্রীরাই।

শিরোনামটা দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম, শিল্প-সাহিত্য জগতের কোনো চুরিধারামি-নকলামি নিয়ে হয়ত লিখেছেন :) শিরোনাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

জয় হোক শৈল্পিক চুরির :)

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: 'জমে ক্ষীর' কিংবা 'জমজম কুপে'র জম হয়ে গেছে -ঠিক করে দিয়েছি।
মানিব্যাগে টাকা নাই কেন - সেজন্য সে মনমতো টাকা হাপিস করতে পারেনি দেখে এই নিয়ে কয়েকবার ঝাড়ি পর্যন্ত খেতে হয়েছে। হাতে যত টাকাই দেই ওটাতে নাকি অন্য রকম একটা শান্তি আছে! :)
'নিম্ন মধ্যবিত্ত, বা নিম্নবিত্তরা টাকাপয়সা রুজি করে এনে স্ত্রীর কাছেই গচ্ছিত রাখে, আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি। টাকা পয়সা কোথায় কোন কাজে খরচ হবে, তার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন স্ত্রীই করে থাকে। স্বামীরা সচরাচর এ নিয়ে মাথা ঘামায় না, তার কাজ শুধু টাকা রুজি করা। এ স্বামীরা সংসারের কঠিন সময়ে নির্বিকার থাকে, কারণ, কঠিন সময়টা সামাল দেয় স্ত্রীরাই।
~এটা সহ বাকি কথা আপনি যা বলেছেন সেটা শতভাগের থেকেও ঠিক। এই চুরিকে অন্য চুরির সাথে গুলিয়ে ফেললে হবে না। আমিতো বেশ উপভোগ করি।
সুদীর্গ চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।

৪| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

শায়মা বলেছেন: সোনাবীজ ভাইয়ার সুখের সংসার সে ভাবীজির রান্না বান্না ঘর বাড়ি ভাইয়ার কমেন্টে আরও একবার প্রমানিত হলো।


সকল হাসব্যান্ডের উচিৎ গৃহকর্ত্রীর জন্য মাসিক আলাউন্সের ব্যবস্থা করা। আর হাসব্যান্ডের পকেট থেকে টাকা নিলে সেটাকে চুরি বলে কোথাও তাকে ছোট না করা। এতে হাসব্যান্ড নিজেই ছোট হয় কারণ সে বৌ কে টাকা পয়সা দেয় না তাই চুরি করে এমন একটা ব্যপার আরকি। ৯৯% স্ত্রী তাদের অধিকাংশ টাকা পয়সা সংসার ছেলেমেয়ের পিছেই খরচ করে। ১% হতে পারে শুধু নিজের সাজুগুজু শাড়ি গয়না খানা দানার পিছে। তবে বাংলাদেশের বলতে গেলে ঐ ৯৯% গৃহবঁধুরাই লক্ষীমন্ত বলেই মনে হয় আমার।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: এই চুরিকে আপনি ফের সেই চুরি বলে সংসারে গৃহিনী রমণীদের এতবড় অবদানকে চরমভাবে খাটো করছেন বলে আপনাকে শাস্তিদানের ব্যাবস্থা করা হবে :)
( ২-৪% যে অন্য আকাম কুকামে খরচ করেনা সেকথা হলফ করে বলা যায় না, তাদের ব্যাপারে চুরি কিনা সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে।)

৫| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিয়ে করেছেন? করলে এমন প্রশ্ন করার কথা ছিল না :`<

বিশ্বাস করুন এধরনের ঘটনা বোধ হয় আমার ঘরে কখনও ঘটেনি, এর যৌক্তিক কারণও রয়েছে।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: সেই যৌক্তিক কারন আমি ঠিকঠাক অনুমান করে ফেলেছি ভ্রাতা :)
আওয়াজ দিয়ে কন ঠিক কি না?

৬| ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২০

দীপ্ত একাত্তর বলেছেন: এখন তো অনেক স্ত্রী স্বাবলম্বী।
স্বামীর পকেট থেকে টাকা চুরি করা অনেক নারী বৈবাহিক অধিকার বলে মনে করে।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: স্বাবলম্বী মেয়েরাও করে - এইটা একটা মজার মোহ।
এই মোহ বাঙ্গালী নারীর রক্তে বহমান ... তবে কাজটার মধ্যে আমি অন্যায় কিছু দেখি না যদি, যদি তাঁকে একেবারে সপাটে লোপাট করে না দেয় :)

৭| ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মূল বিষয় হল বউয়ের সাথে একটা ভদ্রলোকের চুক্তি থাকতে হবে সংসারের খরচ এবং বউয়ের হাত খরচের ব্যাপারে। বউরা সাধারণত টাকা বাচাতেই চেষ্টা করে। ছেলেরা অপচয় করলেও মেয়েরা কম করে। আয়ের একটা অংশ স্ত্রীর হাতে তুলে দিতে হবে যেন সে স্বচ্ছন্দে নিজের খুশি মত ব্যয় করতে পারে। তবে এটা অবশ্যই স্বামীর আয়ের সামর্থ্যের উপরে নির্ভর করে। তাহলেই আর মানিব্যাগ থেকে টাকা সরানোর দরকার হয় না। আর বউয়েরাও অপরাধ বোধে ভোগে না। এখন তো আধুনিক যুগ লেনদেন হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। আমি প্রতি মাসে স্ত্রীর জন্য এবং ঘরের জন্য টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকি। তার নামে জমি, গাড়ি এবং ব্যাংকে বিনিয়োগ আছে। এছাড়া গহনা তো আছেই। তার আমার সম্পদের পার্থক্য খুব বেশী না। এছাড়া ক্রেডিট কার্ড দেয়া আছে। লিমিটের অর্ধেকও সে খরচ করে না। কিছু কিছু নিয়মিত খরচ অনলাইনে আমাকেই করতে হয়।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো মহা বউভক্ত মানুষ - ব্লগে আপনার বউভক্তি একটা 'মিশাল' হয়ে থাকবে।
বাচ্চা-কাচ্চা অবিবাহিত ব্লগারেরা শিখুক আপনার থেকে কিভাবে বউদের তাদের ন্যায্য অধিকার দিতে হয়। আপনি অবশ্য ন্যায্যর থেকেও একটু বাড়াবাড়ি রকমের বেশী দিয়ে ফেলেছেন। আল্লায় না করুক ভাবিসাব যদি ( নাউজুবিল্লাহ) তাইলে তো আপনি এক্কেবারে পথে বসে যাবেন( কুবুদ্ধি দিলাম) :)

৮| ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

শায়মা বলেছেন: আরেকটা গুড হাসব্যান্ড আর লক্ষীমন্ত ভাবীজীর কথা জানলাম সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ার মন্তব্যে।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: হ দিলেই খালি গুড হাসব্যান্ড হয়। একটা বউ এসে বলল না আমার কামাই রোজগারের সবকিছু জামাইয়ের নামে দিয়া দিছি :(

৯| ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই দিন দিয়া বিদেশ ভাল। সব টাকা ব্য্যংকে, পেমেন্ট সব কার্ডে। চুরিদারীর কোন সুযোগই নাই =p~

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের এইখানে এইসবের সব চল চালু হয়েছে তবুও পকেটে টাকা রাখতে হয়- নাইলে উপায় নাই। সব কথা খোলসা করে বলা যায় না ভ্রাতা।

১০| ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: হাহাহ...
পুরুষ মানুষ একমাত্র এখানেই ধরা...
এইখানে চালাকি চলে না...
খুব তৃপ্তি পেলাম পড়ে তপন দা...

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: বিয়ে করলে পুরুষ মানুষ সবখানেই ধরা- কোনখানেই চালাকি চলে না।
শুধু হালুম হুলুম সার হাঃ হাঃ

১১| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৪

করুণাধারা বলেছেন: অতি গোপনে খাটের নিচে মাটির ব্যাংক রাখলেন, তারপর ভাবলেন কেউ এটা খুঁজে পাবেনা!!! এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে, লাটু ভাই জানেন না যে প্রতিদিন খাটের নিচে ঝাড়ু দেয়া হয়, মোছা হয়। বোঝাই যাচ্ছে, সংসার কিভাবে চলে তিনি তার কোন খবরই রাখেন না!!

মাটির ব্যাংকে চুয়াত্তর হাজার টাকা জমালেন (সাড়ে চুয়াত্তর হলে ভালো হতো), উদ্দেশ্য বউ বাপের বাড়ি গেলে তিনি এই টাকা নিয়ে ইয়ার দোস্তদের সাথে মৌজ মস্তি করবেন। ভালো কথা!! এখন বলেন:

১) মস্তিটা ঠিক কী ধরণের যে এত টাকা লাগবে?

২) নাকি নিজের এই টাকায় বন্ধুদেরকেও মস্তি করাবেন?

বৈধ কোন মৌজ মস্তিতে একজনের চুয়াত্তর হাজার টাকা লাগে জানার ইচ্ছা হচ্ছে।‌ আর বন্ধুদের জন্য যদি লাটু ভাই চুয়াত্তর হাজার টাকা খরচ করতে পারেন তাহলে বউ কটা টাকা নিলে এত হিসাব করেন কেন? উনিতো সংসারের কিছুই জানেন না, বউ যে সারাদিন তার সংসারের জন্য প্রাণপাত করেন তার জন্য তিনি কোন পারিশ্রমিক পাবেন না??

এটাতো কোন প্রাচীনকালের গল্প নয়। করোনা পরবর্তী কালের গল্প, অর্থাৎ যে সময় অজস্র ব্যাংক এটিএম বুথ আছে, দিনরাত কার্ড দিয়ে টাকা তোলার ব্যবস্থা আছে। এই যুগে কেন লাটু ভাই খাটের নিচে, তোশকের নিচে টাকা জমান?

লাটু ভাইয়ের বয়স ষাটের বেশি, মানে আপনার বড় ভাই স্থানীয়! আপনি তার ইয়ার দোস্তদের মধ্যে পড়েন না! তাহলে এই টাকার গল্প জানলেন কি করে আপনি? উনি কি হাটে বাজারে ঘরের কথা বলে বেড়ান? আর আপনিও সেসব শুনে গল্প লিখে ফেললেন!!

মন্তব্যগুলো পড়লাম। লাটু ভাইকে বলেন ভালো হয়ে যেতে, বউকে কিভাবে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে হয় সেটা সোনাবীজ এবং সাড়ে চুয়াত্তরের থেকে শিখে নিতে!! আপনিও শিখে নিতে পারেন। ;)

০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপুরে আপনার এই প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিতে গেলে আজ আমার পুরো দিন শেষ হয়ে যাবে!
লাটু ভাই বরাবরই ভাদাইম্যা টাইপের মানুষ। পরিবারের সবার ছোট ও আদরের সে। ভাই-বোন অঢেল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় তাঁর হাত খরচের সমস্যা হয় না। সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে যেখানে যায় কেউ না কেউ হাতে গুজে টাকা দেয়। কারো অসুখ বিসুখে সে মুহুর্তে গিয়ে হাজির। বিদেশে যারা থাকে তাদের বাড়ি ভাড়া উসুল থেকে কোর্ট কাচারির মামলা পর্যন্ত সে সামলায়।- বাদাইম্যা হইলেও দিন রাত তাঁর কাম আকামের অভাব নাই। বহু বাঙলা সিনেমার প্রোডাকশন ম্যানেজার থেকে সহকারি পরিচালক ছিল সে। বাংলাদেশের এমন কোন টক্কা(বিশেষ গিরগিটি) থেকে শুরু করে ম্যাগনেট পিলারের ধান্দাবাজ ব্যাবসায়ী নাই যাদের সাথে তাঁর উঠ বস নাই, চরম আড্ডাবাজ আর গল্পবাজ লোক কিন্তু নিজে ধান্দাবাজী করে না, কোন অসৎ কাজে জড়ায় না।
তাঁর গল্পের শেষ নাই।
উনার বউ বাসার কোন কাজ করে না।
কাজের লোকের উনার রুমে যাওয়া নিষেধ।
মদ -মেয়ে মানুষ আর জুয়ার অভ্যাস নেই- আমি নিশ্চিত। তবে তাঁর সাথে যারা থাকে তাদের কিছু কিছু আছে।

আমি চল্লিশ থেকে সত্তুর বছরের মানুষদের সাথে আড্ডা দেই।

১২| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:




ছোট বেলায় বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি নিজের অধিকার হিসেবে ভাবতাম- এটা কখনোই পাপকর্ম হিসেবে ভাবি নাই। বরংচ মার জমানো টাকা চুরি করে পাপবোধে ভুগতাম।

I see!!!!
তাহলে এতোদিন চোর শেরজার সাথে ব্লগিং করেছি??? 8-|
কি বন্ধু, চুরিদারি এখনও করা হয়??? :)


০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: তাইলে ভাবেন,আমার সন্মন্ধে আপনার আরো কত কিছু জানার বাকি আছে!!
আরো কিছু এলেমদারির কথা শুনলে দাঁত কপাটি লাগবে।

১৩| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:





শুধু অগোচরে পকেট মেরে ক্ষান্ত দিলে কথা ছিল- কিছুদিন বাদে স্বামীর দুঃসময়ে তারা বিশ্বব্যাংক কিংবা আই এম এফ সেজে বসে, চমৎকার কিছু শর্ত সাপেক্ষে সেই টাকা থেকে লোন প্রদান করেন।

এটাকেই বলে কইয়ের তেলে কই ভাজা।
বাংলার মেয়েরাতো অনেক স্মার্ট!
তাদের পারফর্মেন্সে মুগ্ধ!!!!

তবে কথা হচ্ছে বউ যদি হাউজ ওয়াইফ হয়ে থাকে তাহলে হাজবেন্ডের ওয়ালেটই তার ওয়ালেট।
সেখান থেকে যখন খুশি নিবে প্রয়োজনে খরচ করবে এটাই স্বাভাবিক।
এটাকে চুরি বলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ :)


০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলায় চুরির বিকল্প অন্য কোন শব্দ পাই নাই- ওরাও এটাকে চুরিই বলে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ একে চমৎকার এক বিদ্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে গেছেন। আপনাকে শায়মা আপুকে সহ তাবত ব্লগারের আপুদের দেখলে কোন সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই যে বাঙ্গালী নারীরা সুপার স্মার্ট ঘিরিঙ্গীবাজ।

১৪| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪২

শায়মা বলেছেন: শেরজাভাইয়ু নারীবাদীদের ভয়ে এই পোস্ট অনেকদিন লেখোনি কিন্তু এখন থেকে নারীবাদীদের কথা স্মরণ করে ভাবিজীর হাতে সকল অর্থনৈতিক কার্য্যক্রম হস্তান্তর করো। তুমি উলটা ভাবীর আঁচল কেটো। :) শাড়ীর আঁচল কাটার অপরাধে আবার শাড়ী কিনতে হতে পারে এটাও মনে রেখো.....:)

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: এখন আমার জীবন চলছে তাঁর দেয়া চড়া সুদ ও শর্তের লোনে- ট্যাঁ ফ্যা করার উপায় নেই!
অর্থনৈতিক কার্যক্রম বহুদিন আগেই হস্তান্তর করা হয়ে গেছে- শুধু আমার পরিবারের মানুষের কাছে সেটা বিশেষ ইজ্জত রক্ষার্থে গোপন রাখা হয়েছে :(

১৫| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০১

মিরোরডডল বলেছেন:





করুণাধারা বলেছেন: লাটু ভাইয়ের বয়স ষাটের বেশি, মানে আপনার বড় ভাই স্থানীয়! আপনি তার ইয়ার দোস্তদের মধ্যে পড়েন না! তাহলে এই টাকার গল্প জানলেন কি করে আপনি? উনি কি হাটে বাজারে ঘরের কথা বলে বেড়ান? আর আপনিও সেসব শুনে গল্প লিখে ফেললেন!!

ধারাপু, এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে যে লাটু ভাইয়ের নাম করে শেরজা তার নিজের গল্প বলেছে :)

পোড়া মাটির ভাঙ্গা টুকরো গুলো ঝন ঝন করে ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে- আর তাঁর সাথে টুং টুং করে একটা মাত্র পাঁচ টাকার কয়েন। পুরো ৭৩৯৯৫ টাকা গায়েব!!!!

লুক, টাকার খুচরা পর্যন্ত মুখস্থ। এটা নিজের হলেই সম্ভব।

মনে মনে ভাবেন বউ যেদিন বাপের বাড়ি যাবে সেদিন এই ব্যাঙ্ক ভেঙ্গে বড় অঙ্কের একটা টাকা দিয়ে বন্ধু বান্ধব মিলে ঢাকার বাইরে গিয়ে মৌজ মাস্তি করবেন।

ব্লগের সবাই জানি শেরজার বউ বাবার বাড়ি গেলেই বন্ধুদের নিয়ে তাস খেলা হয়, খানাপিনা হয়।
কিছুদিন আগেই এই নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলো।
বেচারা!! নিজেই ভুলে গেছে।

এখন না জানলাম আমরা যে মাটির ব্যাংকের জমানো টাকায় আড্ডা হয়, যদি না তার আগে কই ভাজার জন্য অন্য কেউ নিয়ে না নেয় :)

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: এই মিয়া আমার বয়স কি ষাট হৈছে?? কি আবোল তাবোল কন, আমি কি কুস্তিগীর ছিলাম? আমার পুলাপান কি বৈদেশে পড়ে?
মাথার ডাক্তার দ্যাখান।
আমাদের আড্ডায় চল্লিশ থেকে সত্তুর অব্দি বয়সের সভ্যদের আনাগোনা। সবাই মিলে হৈ হুল্লোড় হট্টোগোল চলে। যারা মূড়ূব্বিচালে চলে তারা ফাঁকে থাকে।এর আগেও এদের নিয়ে লিখেছি। মাল্টু ভাইকে নিয়েও লিখেছি- এরা চির যুবা।
করুনা আপার উত্তর তিনপাতায় দিতে হবে তাই ফাঁকা রেখেছি। :)
লাটু ভাই-এর মৌজ মাস্তির গল্প আস্তে আস্তে বলব। আর টাকার উৎস আর -আর বাসায় টাকা রাখার কারনটাও জানাব।
আপাতত আমাকে এর থেকে মুক্তি দ্যান।

১৬| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে..........আমি আমার বউয়ের টাকা চুরি করি!!! তবে সব সময় না, যখন আমার সাথে ঝামেলা করে কেবল তখনই!!!! :-B

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: যাক আপনি হাজার হাজার বছর বাচেন। কিন্তু ব্লগের কুটনা মহিলাগন আজ থেকে আপনাকে শান্তিতে থাকতে দেবে না মনে হয়। আফসোস!!!

১৭| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: পাপবোধ হিসাবে ভাবলেতো সমস্যা নাই।পাপ মোচনের হাজার তরিকা আছে।অপরাধবোধ হিসাবে ভাবলে ঠিক আছে।

০৭ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: পাপমোচনের তরিকাগুলো যদি বাৎলায় দিতেন একটু বড় ভাই???

১৮| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: ফরজে কেফায়া কি?

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: কঠিন ফরজ :) যেই ফরজ মাফ নাই !!!

১৯| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:




বৈধ কোন মৌজ মস্তিতে একজনের চুয়াত্তর হাজার টাকা লাগে জানার ইচ্ছা হচ্ছে।‌

খানাপিনার পিনার পেছনে এই টাকাটা খরচ হয় :)

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০০

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলে- বাংলাদেশে ভাল মানের রেন্টুরেন্টের বুফেতে ৭/৮ জনের একবেলায় ৭০/৮০ হাজার টাকা ফুকে যায়। আপনি কোন গ্রহে আছেন?
এক বোতল বিদেশী মদ ২৫/৩০ হাজার। ৭০/৮০ হাজার টাকায় ফকিন্নি টাইপের মদের পার্টি হয়- মৌজ মাস্তি হয় না।

২০| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:




ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে..........আমি আমার বউয়ের টাকা চুরি করি!!! তবে সব সময় না, যখন আমার সাথে ঝামেলা করে কেবল তখনই!!!! :-B

আরেক চোরের আবির্ভাব!!!
ব্লগ তো দেখি চোরের মেলা :)



০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আগে ছিল পাগলের মেলা -এখন দেখি চোরের মেলা।
সব মহিলা তো আগে থেকেই চোর থুক্কু শৈল্পিক চোর (আপনারা কয়জন বাদে), এখন পুরুষ চোরের খোঁজ মিলছে :)

২১| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




এমনটা অনেক পরিবারে নিয়মিত আয় রোজগার করা গৃহিনীরাও করে থাকেন।

শায়মাপু এটা কিন্তু তোমাকে মিন করেছে। ঐযে তুমি বলেছো ..........

শায়মা বলেছেন: আহারে আমার কষ্ট লাগে যেই গৃহবঁধু রাত দিন খেটেও তার খাটুনীর কোনো মূল্য পায় না তার পকেট কাট করা ছাড়া আর উপায় কি থাকে?

এই কথাটা যদি তাদের হাসব্যন্ডরা বুঝতো .....


:)

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: শায়মাপুর নিয়ে আমার ব্যাপক সন্দেহ!!! উনি সম্ভবত চুরি ডাকাতি চিনতাই সব করেন :) :)

২২| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বিশ্বাস করুন এধরনের ঘটনা বোধ হয় আমার ঘরে কখনও ঘটেনি, এর যৌক্তিক কারণও রয়েছে।

শেরজা হয়তো বুঝেছে কিন্তু আমরা যারা বুঝিনি তাদের জন্য বলবে কি যৌক্তিক কারণ?
জানতে হবে তো :)

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: এটা 'আপাস কা মালা হ্যায়' :)

২৩| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:০৭

জুন বলেছেন: আমার পরিবারের সাথে সাড়ে চুয়াত্তর এর পরিবারের মিল আছে। যারা স্ত্রীকে হাত খরচের টাকা দেয় না তারা এই কাজ করতে বাধ্য হয় শেরজা। তবে চুয়াত্তর এর সাথে একটা অমিল তা হলো আমি আমার ক্রেডিট কার্ড এর খবরই রাখি না, ব্যবহার তো দুরুঅস্ত। এর জন্যও কথা শুনতে হয় :(
মজার পোস্টে বেরসিকের একটা ভালো লাগা :||
=p~

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১২

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন, হাত খরচের টাকা তো আমাদের উল্টো চাইতে হয়!!!
এদের আপনি যেই খরচের টাকা যেমনে যতটাই দেন না কেন - এমন লক্ষ লক্ষ মহিলারা ক্লিপ্টোম্যানিয়ায় আক্রান্ত! আপনি অবলা টাইপের মানুষ এই গোত্রভুক্ত নহেন।
এই লাইফে অন্য এক চার্ম আছে, আপনি আর ভাইসাহেব সেটা থেকে বঞ্চিত!!

২৪| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৭

শায়মা বলেছেন: যতই ধানাই পানাই করো তুমি আসলে কি করো সবাই বুঝেছি...... শাক দিয়ে মাছ ঢাকার একটা গল্প আছে এক সময় শুনাবোনে।

২৫| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:২২

শায়মা বলেছেন: মিররমনি আমাকে বলুক আর যাকেই বলুক আমাদের দরকার এখন ভাবিজীর নাম্বার। :)


ভাবিজীর কাছে জানতে হবে ভাইয়া রোজ রোজ শাক আর মাছ কিনে কিনা?? :P

২৬| ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৩৯

সোহানী বলেছেন: পড়তে পড়তে যা মনে আসছিল তা সব মন্তব্যে সব জ্ঞানী-গুনীজন বলে দিয়েছে। তাই আর কিছু কইলাম না....................

করোনার এফেক্ট ট্যাকা চুরি..... এইটা মনে হয় এ প্রত্থম শুনলাম।


০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: করোনার আরো ব্যাপক বাঙ্গালীয়ানা এফেক্ট আছে -ধীরে ধীরে আরো কিছু কমুনে। বাঙ্গালীর সবকিছুর এফেক্টই বিচিত্র না হলে হয়?
আগের জ্ঞানী গুনীরা যা-ই বলুক না কেন, আপনার থেকেও কিছু শুনতে চাচ্ছি?

২৭| ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শৈল্পিক চোরের নান্দনিক সঙ্গী দেখি এই লাটু ভাই।

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: লাটু ভাই, আইজ্যা ভাই, মাল্টু ভাই ( আড্ডার সব নাম) এদের একেক জনের বিচিত্র জীবনের গল্প- কত যে এদের বিচিত্র আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা! এসব গল্প শুরু করলে আর শেষ হবার নয়।

২৮| ০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




এতো এতো মন্তব্যের পরে আমি আর কি বলি!!!!!!
আমিও চুরি করিনা আর আমার বৌও চুরি করেনা। :P

তবে এসব শৈল্পিক চুরি নয়, এসব হলো সময়কালে সংসারের ঝুট-ঝামেলা মেটানোর আপতকালীন কৌশল.............. :D

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২১

শেরজা তপন বলেছেন: এতো এতো মন্তব্যের পরে আমি আর কি বলি!!!!!!
আমিও চুরি করিনা আর আমার বৌও চুরি করেনা।

এখন না হয় করেন না- হাসিটা তো ঠিক ভাল মনে হচ্ছে না। ফিচেল হাসি দিলেন। একসময় চলত মনে হয়, এ হাসির রহস্য তা-ই বলে। :)

তবে এসব শৈল্পিক চুরি নয়, এসব হলো সময়কালে সংসারের ঝুট-ঝামেলা মেটানোর আপতকালীন কৌশল..............
~ একদম খাঁটি কথা!

২৯| ০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




ওহ...হো.... কিছু বাকী রয়ে গেছে!
বলতে পারেন ঐসব হলো আপতকালীন কৌশল বা "সাসটেইনেবল ব্যাংকিং............." 8-|

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আগেরটাও ঠিক -এইটাও ঠিক। পৃথিবীর সেরা সেইফ ব্যাংক।

৩০| ০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: বিয়ের পরে স্বামী আর বউ তো একজান । তাদের আবার আলাদা করা যায় নাকি ! যা স্বামীর তাই বউয়ের । বউ নিজের নিয়ে গেছে । সমস্যা কী তাতে ! :D

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ক্যামনে বুঝলেন?
বিয়ে না করে এত্তো বড় বড় ডায়লগবাজী কইরেন না, কেইস খাইবেন।

৩১| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

করুণাধারা বলেছেন: দুঃখিত এত বড় মন্তব্য করে আপনাকে পেরেশানিতে ফেলে দেওয়ার জন্য, আর অনেক ধন্যবাদ এমন সবিস্তারে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য। :) আমারও কী কম কষ্ট হয়েছে এত বড় মন্তব্য লিখতে! যদি একটু কষ্ট করে দেখেন, তাহলে দেখবেন যে এত বড় দূরে থাক, আমি এখন মন্তব্যই অনেক কম করি।

আসলে অবলা নারীদের প্রতি আপনার এমন একচোখা, রেসিস্ট পোস্ট দেখে যেমন রাগ লাগার কথা আমার তেমনি রাগ হয়েছিল। ভবিষ্যতেও এমন একপক্ষীয় পোস্ট যদি লিখেন, আমার এভাবেই রাগ লাগবে, মন্তব্যও এমনই করবো...

এই মন্তব্যের কিন্তু উত্তর দিতে হবে না। :D

০৭ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমি পুরুষ দেখে পুরুষবাদী সেটা সত্য কেননা পুরুষ হবার যন্ত্রনা হাড়ে হাড়ে টের পাই তাই পুরুষদের কষ্টের কথা অকপটে বলি কিন্তু কখনোই একচোখা নই। কিছু কথা নারীদের বিরুদ্ধে গেলে সেটা রেসিস্ট হয় না। এভাবে বইলেন না; নারীদের আমি সর্বোচ্চ সম্মান করি।

৩২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সূচনা বক্তব্যটা চমৎকার হয়েছে।
ছোটবেলায় সংসারের বাজার করাটা আমার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বেশি বাজার হলে মা রিক্সা করে আসার অনুমোদন দিতেন, নইলে দিতেন না। যেসব দিনে দিতেন না, সেসব দিনেও মাঝে মাঝে বাজার নিয়ে রিক্সা করে ফিরতে ইচ্ছে হতো। তখন মাঝে মাঝে 'শৈল্পিক চুরি' এর মাধ্যমে সে ইচ্ছেটা পূরণ করতাম।

আমি ভেবেছিলাম, আপনার এই পোস্ট পড়ে আরও অনেক বেশি সংখ্যক ভুক্তভোগীরা তাদের প্রতিক্রিয়া কিংবা নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন। তা হয়নি দেখে মনে হচ্ছে পোড় খাওয়া পুরুষেরা অনেক সহনশীল হয়ে যান।

যাহোক, রম্য ঢঙে লেখা পোস্টটা ভালো লেগেছে। + +

০৭ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: * ভ্রমণের ফাঁকে ফাঁকে সময় করে ব্লগে লেখা দিচ্ছেন লেখা পড়ছেন মন্তব্য করে সবাইকে অনুপ্রাণিত করছেন সেজন্য াপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
আপনার শৈল্পিক চুরিক গ্লপ শুনে মজা পেলাম!
আমিও ভেবেছিলাম আমার সাথে অনেক ভুক্তোভুগী পুরুষেরা সুর মেলাবেন কিন্তু একি! এখনো বাঙ্গালী পুরুষেরা বউদের যে বেজায় ভয় পায় তাঁর প্রমান বার বার মেলে ফেসবুক বা ইন্সটায়- কিন্তু ব্লগ কিছুটা ব্যতিক্রম ভাবলেও তা কিন্তু নয়।
সেদিন একটা জাতীয় পত্রিকা রিপোর্ট করেছে এদেশের ৮১ ভাগ পুরুষ স্ত্রীদের দ্বারা মানসিক নির্যাতনের স্বীকার! ভাবেন একবার :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.