নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
~মানবিক পশু হত্যা শিক্ষা ইন্সটিটিউট॥
******'হত্যা সবসময়ই ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতম কর্ম তা সেটা যে উপায়েই সংগঠিত হোক না কেন'******
পৃথিবীতে একটা ক্ষুদ্রতম প্রানীরও যেমন বেঁচে থাকার অধিকার আছে ঠিক তেমনই এই গ্রহের সর্ববৃহৎ প্রাণী নীল তিমিরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে সমানভাবে।
কিন্তু প্রকৃতি তাঁর প্রাণ ও প্রাণীর ফুড চেইন সার্কেলকে এমনভাবে তৈরি করেছে যে, প্রকৃতিতে টিকে থাকতে হলে কিছু প্রানীকে কিছু প্রানীর হত্যা করতেই হবে। তবে সেটা নিশ্চিতভাবে শুধু সার্ভাইভালের জন্য- এবং সেটা ব্যাপক আকারের নিধন নয়।
এদিক দিয়ে মানুষ ব্যতিক্রম! তারা অপ্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় প্রাণী হত্যা করছে - তাদের সভ্যতার শুরু থেকেই পৃথিবীকে প্রাণহীন অন্য প্রাণীর বসবাসের অযোগ্য করে করে সাফ সুতোর করে ফেলতে চাইছে।
মানুষ এমন একটি প্রাণী যাদের পরিপাকতন্ত্র বেশ জটিল। এদের পরিপাকতন্ত্র পৃথিবীর প্রায় সব ধরণের খাবার হজমের সহায়ক। যেহেতু আমাদের পরিপাকতন্ত্র সরাসরি যে কোন প্রকৃতিজাত প্রোটিন হজম করতে পারে সেহেতু কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়া নিশ্চিত ভাবে ধরে নেয়া যায় যে আমাদের আমিষ জাতীয় প্রোটিনের চাহিদা আছে।
মানুষ চাইলে অবশ্য শুধু নিরামিষ খেয়ে জীবন কাটাতে পারে- তবে কোন কোন পরিবেশে কোনভাবে পারে সেই নিয়ে আমার স্বচ্ছ ধারনা নেই।
কিন্তু শুধুমাত্র আমিষ খেয়ে মানুষ পৃথিবীর যে কোন রুক্ষ বন্ধুর পরিবেশে টিকে থাকতে পারে তাঁর বিশেষ উদাহরণ 'ইনুইত'(এস্কিমো) ও আরবীয় বেদুইন।
আমিষ ভোজীদের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারও নিরামিষ না খেলেও চলে কিন্তু নিরামিষ ভোজীদের তাদের মেটাবোলিজমের জন্য কোন না কোন ভাবে বিকল্প উপায়ে প্রোটিন সংগ্রহ করতেই হবে।
পৃথিবীতে টিকে থাকা আমাদের নিকটতম প্রাইমেট( ধারনা করা হয়) পিগমী শিম্পাঞ্জি বা বোনোবোস যদিও বেশিরভাগ সময় ফলজাতীয় জিনিস খেয়ে জীবনধারা করে কিন্তু তাদের শারিরিক সক্ষমতার জন্য মাঝে মধ্যে প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে। তখন তারা দলবদ্ধভাবে এমবুশের মাধ্যমে বানর জাতীয় প্রাণী শিকার করে তার মাংস খায়।
মানুষের পরিপাকতন্ত্র অন্য প্রাইমেটদের তুলনায় বেজায় জটিল- শুধু অন্য প্রাইমেটই অন্য যে কোন দুগ্ধপোষ্য প্রাণীর থেকে জটিল। ফলমুল নয়, লতা পাতা ঘাস জাতীয় খাবারের পাশাপাশি সরাসরি আমিষজাতীয় খাবার অন্য কোন প্রানী হজম করতে পারে না।
শুধু তাই নয় আমরা যে এত বুদ্ধিমান, এই বুদ্ধিমত্বার ধারাবাহিকতা রক্ষায় এই বিশেষ মগজ পরিচালনার জন্য অন্য প্রাইমেটদের তুলনায় বেশী পরিমান লবন, শর্করা ও প্রোটিনের প্রয়োজন।
লবন ও শর্করার অতিরিক্ত ঘাটতি আমাদের চেতনাকে বিভ্রান্ত করে ও দ্রুত মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়।
হ্যাঁ আপনি কিছু বিকল্প প্রোটিন উদ্ভিজ বা শস্য থেকে পেতে পারেন সেটা সত্য কিন্তু পুরো ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখেন মস্তিষ্কের সবচাইতে প্রয়োজনীয় উপাদান 'ওমেগা ফ্যাট থ্রি' যার মুল ও সবচাইতে উৎকৃষ্ট সোর্স মাছের তেল ( অবশ্য বিভিন্ন প্রকার বাদামেও এই ফ্যাট পাওয়া যায় তবে মানুষের মগজের জন্য মাছের তেল থেকে পাওয়া 'ওমেগা ফ্যাট থ্রি' সবচেয়ে কার্যকর বলে স্বীকৃত) । মাছের তেল খেতে হলে আপনাকে মাছ হত্যা করতেই হবে।
পৃথিবীর সব ধরনের পুষ্টিবিজ্ঞানী আপনাকে উদ্ভিদজাত তেল, মার্জারিন, বাটার, খেতে নিষেধ করেন। প্রাণীজাত তেল চর্বি খেয়ে যত না আমাদের রোগ হচ্ছে তার থেকে বেশি রোগ হচ্ছে উদ্ভিদজাত তেল খেয়ে বা তেলের ভাজা পোড়া রান্না খেয়ে।
***
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না; একসময় তিব্বতীয় অঞ্চলের সবচাইতে দামী খাবার ছিল লবন। যে কোন পর্যটক ওই অঞ্চলে ভ্রমন করলে সেখানকার সবচাইতে সম্ভ্রান্ত মানুষও যে কোন রকম আতিথিয়েতার বিনিময়ে একটু লবন চাইত। লবনের সল্পতার জন্য তিব্বতের বেশীরভাগ মানুষ বিশেষ এক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।
***
তিব্বতিয়ানরা গোঁড়া বৌদ্ধ। তারা একসময় পশু হত্যা করত না। তবে কিছু তিব্বতিয়ানেরা মাংস খেত (খাঁটি ভুটানি্রাও মাংস খায় না)। সমস্যা হল পশু হত্যা না করলে পশু মাংস খাবে কোন উপায়ে?
বিখ্যাত লেখক ও পর্যটক শরৎচন্দ্র দাশ প্রায় দেড়শ বছর আগে তিব্বতের লাসায় ভ্রমনের সময়ে উল্লেখ করেছেন যে, লাসায় লাসায় যে ইয়াক বা চামড়ি গাই কিংবা লামার মাংস বিক্রি হত তাঁর কসাই ছিল মূলত মুসলমান। সম্ভবত তারা ছিল চৈনিক উইঘুর প্রজাতি।
এখানে বিষয়টা বেশ ইন্টারেস্টিং; মাংস খাবেন আপনি কিন্তু হত্যার দায় চাপাবেন আরেকজনের কাঁধে- সে হল পাপী নিকৃষ্ট মানুষ। বাহ্
এখনো যেটা আমরা সমাজের কসাইদের ভেবে থাকি। 'কসাই' একটা প্রচলিত গালিই হয়ে গেছে!!!
***
আসুন আমরা এখন একটু গবাদি পশু হত্যায় অন্য দেশের পরিসংখ্যানের দিকে যাই (পরিসংখ্যান কখনোই নির্ভুল হয় না এখানে কিছু গরমিল থাকতেই পারে) যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন এক লক্ষ গবাদি পশু জবাই করা হয় বলে ধারণা করে। তার মানে বছরে তিন কোটি ৬০ লক্ষ গবাদি পশুর মাংস ওরা ভক্ষণ করে।
একটা পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে পৃথিবীতে প্রতিদিন ৯ লক্ষ গরু ভক্ষণের জন্য কতল করা হয়। একটা গরু যদি ২ মিটার লম্বা হয় তাহলে সোজাসুজি দাঁড়ালে এটা ১৮০০ কিলোমিটার লম্বা একটা লাইন হতো! এটা কিন্তু শুধুমাত্র গরু জবহের হিসাব বাদবাকি পশুর হিসাব করা হয়নি পৃথিবীতে প্রতিদিন ২০ কোটির অধিক মুরগি কতল করা হয়!! অনেকেই এই মুরগির ঠ্যাং আয়েশে চিবোতে চিবোতে কেঁদে কেটে কোরবানি নিয়ে মর্মস্পর্শী পোস্ট দেন।
২০২২ সালের Faunalytics দ্বারা সংকলিত সাম্প্রতিকতম বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালে মোট ২৯ কোটি ৩২ লক্ষ গবাদি পশু জবাই করা হয়েছিল।
পৃথিবীতে দেড়শ কোটি লোক মাংস খায় না তার অর্থ এই নয় যে তারা নিরামিষভোজী তাদের ৯৫ ভাগ মানুষ মাংস পায় না দেখে মাংস খায় না। পৃথিবীতে বেশিরভাগ নিরামিষভোজীরাই হল অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত কারণে। তবে এখন কিছুটা দিন পাল্টেছে অনেকে মানবিক কারণে আমিষভোজী থেকে নিরামিষভোজী হচ্ছেন।
***
হত্যা একটা নিষ্ঠুরতম কাজ তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কোন ধর্মের মোড়কেই সেটাকে মানবিক বানানোর উপায় নেই।
সারা বিশ্বের গবাদি পশু লালন পালন করা হয় তিনটে কারনে।
প্রথমতঃ কৃষিকাজ যানবাহন বা যন্ত্রের বিকল্প হিসেবে; যার প্রয়োজন এখন প্রায় ফুরিয়ে গেছে বললেই চলে।
দ্বিতীয়তঃ দুগ্ধ, জ্বালানি,পশম।
আর সর্বশেষঃ মাংস চামড়া আর সহ বিভিন্ন উপজাত এর অর্থনৈতিক কাজে চূড়ান্ত ব্যবহার।
এখানে ভেবে দেখার বিষয় যে, একজন খামারি বা কৃষক গবাদি পশু লালন পালন করে যদি সে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান না হতে পারে তাহলে কেন সে গবাদিপশু লালন পালন করবে? পৃথিবীর সব খামারি ও কৃষক সে যতই মানবিক হোক না কেন তার অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য অবশেষে শেষ পথটাই বেছে নেয়।
আমাদের মত গরিব দেশের এই অর্থনৈতিক সুরক্ষটা একটা বিরাট ফ্যাক্টর!
আমরা শুধু মাংস খাওয়া আর বিলানোর কথা চিন্তা না করে এই দেশের জিডিপিতে এর অবদানের কথা একটু আলোচনা করি; কৃষকদের গরু লালন পালন। কোরবানি নিয়ে তাদের একটা সপ্ন- বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ নারী এইসব গরুর পরিচর্যা ও লালন পালনের সাথে জড়িত। আপনি যেসব উন্নত দেশের সাথে কোরবানির তুলনা দেন যে তারা এভাবে বর্বরের মত পথ ঘাটে পশু জবেহ করে না- বলুন দেখি তারা কি এভাবে আমাদের মত ঘরে ঘরে গরু ছাগল লালন পালন করে? এ বিষয়টাকেও পুরো পশ্চিমা বিশ্ব নন-হাইজেনিক বলবে।
কিন্তু কোনটা মানবিক, গৃহস্থের দ্বারা খোলা মেলা প্রাকৃতিকভাবে পশু লালন পালন নাকি খামারে একেবারে আঁটোসাটো বন্দী অবস্থায় পশু লালন পালন? ( তবে বিশ্বের সবখানেই যে খামারে বদ্ধভাবে পশুলালন পালন হয় তা কিন্তু মোটেই নয়।)
এরপরে আসে সৌখিন ও বানিজ্যিক ভাবে পরিচালিত পশু খামার -এর সাথে শত শত খামারি হাজারো কর্মী, পশুখাদ্য ও ঔষধ ব্যবসায়ী ডাক্তার সহ বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠান জড়িত। আজকে প্রান্তিক কৃষক বা খামারীরা যে ভালো দাম পাচ্ছে এবং আধুনিক কেতায় পশু লালোন-পালোনের জন্য এদের অবদান অপরিসীম।
পশু বিক্রির জন্য অনলাইন সংস্থা সহ স্থায়ী অস্থায়ী বিশাল সব হাট বাজার এবং এসব ঘিরে যারা থেকে শুরু করে শত শত কর্মী সহ দালাল ফড়িয়া ইজারাদারদের বড় আয়ের সংস্থান! এর উপরে ট্রাক ও পিক আপ ব্যবসায়ীদের চমৎকার একটা আয়ের সুযোগ আসে এই সময়।
বাংলাদেশে কামার শিল্পীদের একটা বড় অংশ সারা বছর শুধু কুরবানীর দিকে চেয়ে থাকে এই সময়ে তারা মূলত বটি ছুরি চাপাতি বিক্রি করে সারা বছরের সংস্থান করে। হোগলা পাটি শিল্পটাও আমার ধারণা টিকে আছে এই কুরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে। যদি বড় তেতুল গাছ কাটার মহোৎসব শুরু হয় এই কুরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে; কেননা মাংস কাটার জন্য তেঁতুল গাছের গুড়ি সবচাইতে উত্তম। পরিবেশের বড় একটা সর্বনাশ এই সময় হয়।
খড় ভুসি বিচালি সহ অন্য গো-খাদ্য বিক্রি করে অনেকে অতিরিক্ত দু'পয়সা ইনকাম করলেও টাকাটা কারো না কারো উপকারে লাগে। এটাও একটা বিশাল ব্যবসা দেশ জুড়ে হয়।
এরপরে গরু যারা জবহ করেন তারা অনেকের দৃষ্টিতে রক্তের হোলি উৎসব করলেও এর বিনিময়ে কিছু পয়সা আয় করেন। গরু কাটার জন্য সারা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ জাত কসাই আধা কসাই অদক্ষ কসাই কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে নেয় অনেকেই দু-চার ছয় মাসের সংসারের খরচ একদিনে আয় করে নেয়। এইসব কসাইদের পাশাপাশি দেখবেন কাজের-বুয়া ছুটা-বুয়া আশেপাশের গরিব-মহিলারা দারোয়ান কেয়ারটেকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন গরিব মানুষেরা পশুর রক্ত ভুড়ি সহ অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে সহযোগিতা করে এছাড়া মাংস কাটা বিলি বন্টনেও এরা বেশি ভালো রকমের সাহায্য করে। এর বিনিময়ে এদের কিছু আয় হয়।
কয়েক বছর যাবৎ হঠাৎ করে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় মানুষ হতাশ হয়ে এখনো চামড়া বিক্রি করে না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাদ্রাসায় বা মসজিদে চামড়া দিয়ে দেয়। চামড়ার দাম কমে গেলেও কেউ না কেউ চামড়া থেকে উপকৃত হচ্ছে। এর পেছনে হাজার হাজার ফরিয়া, দালাল, মজুতদার ট্যানারি মালিক, ফ্যাক্টরি মালিক লক্ষ লক্ষ কর্মী সারা বছর কাজ করে তাদের আয় রোজগারের একটা বড় নিয়ামত হচ্ছে এই কোরবানি।
বাংলাদেশে সারা বছরের যত চামড়া সংগ্রহ হয়ে থাকে তার অর্ধেকের বেশি চামড়া আসে কোরবানি থেকে এবং এই কোরবানির চামড়া হচ্ছে সবচাইতে উৎকৃষ্ট মানের চামড়া। যদিও আমাদের দেশীয় চামড়া ও চামড়ার তৈরি পণ্য রপ্তানি একদম পড়ে গেছে তবুও দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে আমাদের দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্য সারা বছরে আমরা কিনে থাকি তা মূলত এই দেশীয় চামড়া থেকে আসে। কুরবানি দেওয়ার জন্য মানুষ দেখে শুনে খুঁত বিহীন সবচাইতে সেরা গরুটা কেনে- এবং সবই প্রায় দেশীয় যুবক ষাঁড় গরুর ঝকঝকে চামড়া। অতএব এর থেকে ভালো চামড়া কোনভাবেই আর সারা বছর মেলা সম্ভব না।
যদিও অদক্ষ কসাইয়েরা চামড়া ছিলতে গিয়ে চামড়া নষ্ট করে। চামড়া কিভাবে সংরক্ষন করতে হবে সেটা না জেনে আমরা চামড়া নষ্ট করি। সেজন্য প্রতি বছর শত কোটি টাকার চামড়া একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। গরু জবাই থেকে শুরু করে শেষটা সবকিছুই প্রফেশনালরা করলে অবশ্যই ভালো হতো সেটা নিশ্চিত। তবে সেই পর্যায়ে আমরা এখনো যেতে পারিনি -সেই পর্যন্ত যেতে আমাদের বহু পথ বাকি।
কৃষকের হাতে লালিত-পালিত দেশি গরু হাটে গিয়ে দরদাম করে কিনে টেনে হিচরে হই হই রই রই করে, কত দাম? কত দাম?- এর আলোচনা এমনিতে ঘেমে নেয়ে বাসায় এনে একদিন লালন পালন করে পরদিন হুজুর ডেকে যবেহ করে নিজের সামনে কেটে ছিলে বাসায় নিয়ে ভালো করে কষিয়ে রান্না করে না খেলে আমাদের আসলে কোরবানি মজাটাই পাই না। আমরা এমন একটা কালচারে অভ্যস্ত হয়ে গেছি অনেকের কাছে নৃশংস ভয়াবহ মনে হয়।
আমারও কষ্ট লাগে যখন দেখি কেউ রসনা বিলাসের তরে ছোট ছোট জ্যান্ত অক্টোপাস গুলো কাঠির মাথায় পেছিয়ে সস দিয়ে মুখে পুরে দেয়।যখন দেখি হাজার হাজার তাজা ঝিনুকের ভিতরে একটু লেবুর রস আর লবণ দিয়ে টপটপ করে মুখের পুড়ে দেয়। গভীর সমুদ্র থেকে ধরে নিয়ে সুতো দিয়ে বেঁধে রাখা সবচেয়ে বিরল প্রজাতির লবস্টার আর কাঁকড়া জীবন্ত গরম পানি বা ফুটন্ত তেলে ছেড়ে দেয়। মানুষের লোভ যখন বিশাল নীল তিমির মা আর দুধের সন্তানকে এফোড় ওফোড় করে ফেলে।
আমি যে কথাগুলো বললাম এগুলো কোন ট্রাইবাল এরিয়ান বর্বর মূর্খ মানুষের কাজ নয় এগুলো পৃথিবীর সবচাইতে মানবিক ও শিক্ষিত মানুষেরা করে থাকেন। ফিনল্যান্ডের মত মহা মানবিক দেশে প্রতি বছর সদ্য যৌবন প্রাপ্ত পুরুষেরা তাদের পৌরুষত্ব দেখানোর জন্য শত শত শত তিমিকে অযথাই হত্যা করে তখন মানবতা কোথায় ঘাপটি মেরে থাকে? পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী তিমি হত্যাকারি দেশের তালিকায় প্রথম দিকেই নাম আছে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড আর জাপান।অথচ এদের প্রায় সবগুলো দেশ মানবতার ধারক-বাহক।
আমাদের মত গরিব দেশে এক কোটি ষাঁড় পাঠা খাসির বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ার খাওয়া দেওয়ার সামর্থ্য নেই। এখন শুধু দুধ আর কৃষিকাজের জন্য কিছু গবাদিপশু প্রয়োজন। এদের বাকি প্রয়োজনগুলো ফুরিয়ে গেছে। তাহলে অপ্রয়োজনীয় পুরুষ গবাদিপশুগুলো নিশ্চয়ই আমাদের জন্মের পরে কার্ল করতে হবে?
~একজন মানবিক কসাই। বাচ্চা কোলে নিয়ে এইসব হত্যাকাণ্ড দেখার সমস্যা নাই।
(শেরপুর নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা, কানাডা, কোরিয়া, চীন, জাপান ও হংকংসহ বেশ কয়েকটি দেশে গরুর পিজলের (পিনাস) চাহিদা বেশ। তাই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিও হচ্ছে। গরুর এই বিশেষ অঙ্গ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা। ওই সব দেশে এক টন শুকনো পিজলের দাম ২০ হাজার ডলার। পিজল ছাড়াও নাড়ি-ভুড়ি রপ্তানি হচ্ছে। মূলত এগুলো দিয়ে তৈরি হয় উন্নত মানের স্যুপ ও সালাদ। যা সেখানে বেশ জনপ্রিয়। এবার পিজল বা পেনিস সংগ্রহ হবে ১০০ টন। গরুর পিজল মানভেদে ৬০-১০০ টাকায়এবার আশা করছি ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। বিদেশে এগুলোর খুব চাহিদা। কানাডা-আমেরিকায় পিজলের চাহিদা রয়েছে। সারাদেশে ১০ হাজার পরিবার এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।)
***
গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য। তথ্যগত ভুলত্রুটি থাকলে কোন দ্বিধা না করে ধরিয়ে দেবার অনুরোধ রইল। 'স্পিচ টু রাইটে' সেলফোনে লেখার জন্য বহুশত ভুল ছিল। তাঁর কিছু এডিট করে দিলাম সাধ্যমত। এ ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা জানাই ব্লগার করুণাধারা ও ব্লগার ভুয়ামফিজকে।
~পশু হত্যা মাংস কাটা এগুলো উন্মুক্ত স্থানে সবার সামনে করা ঠিক নয়। বিষয়টা এভাবে একাকী উপভোগ্য!
~মানবিক মাংস বিক্রয়। বিষয়টা খুব নান্দনিকতা শৈল্পকতার সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই মাংস কেনা কাটা খাওয়া দাওয়ার মধ্যে কোন অনুশুচোনা বোধ আসার প্রশ্নই আসে না।যে হত্যা ম্যাসিভও নির্মম হলেও আড়ালে হয় সেটাকে আমরা হত্যা বলে গন্য করি না।
~কাঁচের ওপারে মাংসগুলো কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে সাইজ ও প্রোডাক্ট ডিজাইন অনুযায়ী হয়ে যায়। এটা হত্যাকাণ্ডহীন দুর্দান্ত একটা আমিষের সোর্স।
২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:০১
শেরজা তপন বলেছেন: এটা কেমন হলো!! না পড়ে লাইক করে মন্তব্য করে চলে গেলেন সবাই তো বলবে আপনি সহ ব্লগার হিসেবে আমার প্রতি বিশেষ সহমর্মিতা বা ভালোবাসা দেখাচ্ছেন।
যাইহোক আর মন্তব্য না করলেও পরে এসে পড়ে যেয়েন।
২| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭
নাজনীন১ বলেছেন: আমরা কয়দিন পরে স্মার্ট কোরবানী দিব ইনশাল্লাহ্!
২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:০২
শেরজা তপন বলেছেন: স্মার্ট কোরবানির ধরনটা কেমন হবে তা যদি আমাকে একটু বলতেন তবে বড় উপকৃত হতাম আপু
তবে আপনার দলে আমিও সামিল হবার চেষ্টা করতাম।
৩| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০
নাজনীন১ বলেছেন: আপনি গাছ হত্যাকে হত্যা ভাবলেন না! কি অমানবিক!
বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু বলেছেন, গাছেরও প্রাণ আছে! ভুলে গেছেন!
শাক সবজি, ফল মূল খেলেও সেগুলোকে হত্যা করা হয়, তাদেরও রস আছে, রক্ত না থাকলেও!
২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: নিজের বিনাসের মাধ্যমেই সব হত্যা শেষ -তাছাড়া কোন ক্রমেই মানুষের দ্বারা হত্যা বন্ধ করা সম্ভব নয়!
৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪
বিষাদ সময় বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট ৮০% ব্লগার এ পোষ্টে লাইক দিবেন এবং পক্ষে বলবেন। এখানে অনেক বিষয়ের সাথেই ভিন্ন মত পোষণ করার সুযোগ আছে । কিছু বিষয় মনে হয় আপনার মনের মতো করে উপস্থাপন করার জন্যই manipulate করেছেন । আপনি বিচক্ষণ ব্যাক্তি। আপনি যে যুক্তিগুলো দিয়েছেন তার পাল্টা যুক্তিগুলো আপনি জানেন না তা তো হতে পারেনা।
২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ আপনি বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান ব্লগার যা বলেছেন কথা ১০০ ভাগ ঠিক হবার সম্ভাবনাই বেশি
৫| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রায় করুণাধারা আপার মতো করেই লাইক দিলাম। প্রায় এই জন্য যে, অর্ধেক পড়লাম। তবে যতোটুকু পড়লাম তাতে তথ্যগত অনেক সমস্যা আছে। 'ভুল' কইলে আপনে আবার চেইতা যান, সেইজন্য 'সমস্যা' কইলাম।
দুইটা উদাহরন দেই............
মস্তিষ্কের সবচাইতে প্রয়োজনীয় উপাদান ওমেগা ফ্যাট থ্রি যার মুল ও সবচাইতে উৎকৃষ্ট সোর্স মাছের তেল। আখরোট বা ওয়ালনাটে মাছের থেকে বেশী ওমেগা থ্রি পাওয়া যায়।
আমিষ ভোজীদের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারও নিরামিষ না খেলেও চলে কিন্তু নিরামিষ ভোজীদের তাদের মেটাবোলিজমের জন্য কোন না কোন ভাবে বিকল্প উপায়ে প্রোটিন সংগ্রহ করতেই হবে। খালি কইলাম.....এই তথ্যে বিরাট সমস্যা আছে। আপনেরে পুরাটা বলতে গেলে অনেক কিছু কইতে হবে। লম্বা আলোচনা, কিন্তু টাইম কম!!!
২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি পড়েন নাই দেখে আসলে একটা লাইন আপনার নজরে আসে নাই দেখেন বোল্ড করে লিখে দিয়েছি;
গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য। তথ্যগত ভুল ত্রুটি থাকলে কোন দ্বিধা না করে ধরিয়ে দিবেন।
এইসব জায়গায় এসে আমার ভুল ত্রুটি হবে এবং আপনার মত জ্ঞানী জ্ঞানী লোক এসে ভুল ধরিয়ে দেবে এটা আমি ভালো করে জানতাম তাই আমি বড় বেশি মাতবারি করি নাই আমি জানি যে এ বিষয়ে আমার জ্ঞান অতিমাত্রায় সীমিত।
আপনি যে বাদাম গুলোর কথা বলেছেন সেগুলোতে অভিজ্ঞ ফ্যাক্টরি পাওয়া যায় সেগুলো আমিও জানি কিন্তু আপনি যে কোন সোর্স খুঁজে দেখেন সবার আগে ওমেগা ফ্যাট থ্রি জন্য সবচাইতে উৎকৃষ্ট সোর্স হিসেবে মাছের তেলের কথাই বলা হয়েছে।
পরেরটা নিয়ে আমিও কিছু জানি আমি খুব বেশি ডিটেলে যাই নাই ওখানে আমাকে অনেক কথা বলতে হবে আপনি বলবেন আমি বলব। আপনি সব সময় খুঁত ধরে সময় নাই বলে হারিয়ে যান এইটা ঠিক না। আপনার ও কলাবাগানের এই পুষ্টি ও ফুড ভ্যালু সম্বন্ধে অনেক ভালো ধারণা আমি অজ্ঞ মানুষ থেকে থেকে শিখছি জানার চেষ্টা করছি আপনারা কিছু জানালে তিনি খুশি হব ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই শুধরে নেব এখানে রাগ করার কিছু নাই।
সময় থাকলে আবার আসবেন ছোট্ট করে ভুলগুলো শুধরে দিবেন শুধরে নেব সম
২৩ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি পুরোটা পড়েন নাই দেখে আসলে একটা লাইন আপনার নজরে আসে নাই দেখেন বোল্ড করে লিখে দিয়েছি;
গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য। তথ্যগত ভুল ত্রুটি থাকলে কোন দ্বিধা না করে ধরিয়ে দিবেন।
এইসব জায়গায় এসে আমার ভুল ত্রুটি হবে এবং আপনার মত জ্ঞানী জ্ঞানী লোক এসে ভুল ধরিয়ে দেবে এটা আমি ভালো করে জানতাম তাই আমি বড় বেশি মাতবারি করি নাই আমি জানি যে এ বিষয়ে আমার জ্ঞান অতিমাত্রায় সীমিত।
আপনি যে বাদাম গুলোর কথা বলেছেন সেগুলোতে ওমেগা ফ্যাট থ্রি পাওয়া যায় সেগুলো আমিও জানি কিন্তু আপনি যে কোন সোর্স খুঁজে দেখেন সবার আগে ওমেগা ফ্যাট থ্রি জন্য সবচাইতে উৎকৃষ্ট সোর্স হিসেবে মাছের তেলের কথাই বলা হয়েছে।
পরেরটা নিয়ে আমিও কিছু জানি আমি খুব বেশি ডিটেইলে যাই নাই ওখানে আমাকে অনেক কথা বলতে হবে।
আপনি বলবেন আমি বলব - এইভাবে চলবে। আপনি সব সময় খুঁত ধরে সময় নাই বলে হারিয়ে যান এইটা ঠিক না। আপনার ও ব্লগার কলাবাগান এই পুষ্টি ও ফুড ভ্যালু সম্বন্ধে অনেক ভালো ধারণা রাখেন। আমি অজ্ঞ মানুষ বিভিন্ন সুত্র থেকে শিখছি জানার চেষ্টা করছি। আপনারা কিছু জানালে তিনি খুশি হব ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই শুধরে নেব এখানে রাগ করার কিছু নাই।
সময় থাকলে আবার আসবেন ছোট্ট করে ভুলগুলো শুধরে দিবেন শুধরে নেব সময় মত। ( এডিটেড)
৬| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি যে বাদাম গুলোর কথা বলেছেন সেগুলোতে অভিজ্ঞ ফ্যাক্টরি পাওয়া যায় সেগুলো আমিও জানি কিন্তু আপনি যে কোন সোর্স খুঁজে দেখেন সবার আগে ওমেগা ফ্যাট থ্রি জন্য সবচাইতে উৎকৃষ্ট সোর্স হিসেবে মাছের তেলের কথাই বলা হয়েছে।
Walnuts contain a higher density of omega-3 fatty acids than fish..........The New York Times.
লিঙ্কঃ https://shorturl.at/pVAHC
এই আর্টিক্যালটা পড়লে বুঝবেন বিষয়টা এতো সহজ না; বেশ কমপ্লিকেটেড। সেইজন্যই আলোচনা করতে চাই না। পড়েন। বটমলাইন হলো, study published recently in The American Journal of Clinical Nutrition, found that the omega-3 fats in walnuts significantly lowered total and LDL (bad) cholesterol more than the omega-3 fats in fatty fish, whereas fish lowered triglyceride levels more than walnuts. Interestingly, walnuts had no impact on triglyceride levels, compared with the control (no walnuts or fish) diet, while fatty fish raised HDL (good) and LDL cholesterol.
লিঙ্কঃ https://shorturl.at/Y1Jqr
২৩ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: স্পিচ টু রাইট এর স্পেশাল তদারকির জন্য ওমেগা ফ্যাট থ্রি স্পেশাল ফ্যাক্টরি হয়ে গেছে!!! মন্তব্য সহ পুরো লেখাতেই এজন্য আরও অনেক ভুলভ্রান্ত হয়ে গেছে।আমি পুরো লেখাতেই কিবোর্ড চালাইনি।
আমি আপনার দেয়া লিংক গুলো পড়ে বাকি মন্তব্যের উত্তর পরে দেব।
৭| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''পেনিস'' না, উচ্চারণটা হবে ''পিনাস''.......সে গরুরই হোক কিংবা মানুষের!!!!
২৩ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: ওদের লেখা থেকে কিছু অংশ কপি টু পেস্ট করেছি 'পেনিস' আমি লিখিনি ওরাই লিখেছে এজন্য পুরো দায় বর্তাবে পত্রিকার রিপোর্টারের !
এত 'বেরেন' নিয়ে আপনি ঘুমান কেমনে মিয়া??
৮| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪
নতুন বলেছেন: সম্ভবত গড মাস্ট বি ক্রেজি মুভিতে আফ্রিান সান ট্রাইবের মানুষরা তাদের খাবারের জন্য প্রানী হত্যার পরে তাদের ক্ষমা চায় এবং তারা কখনো আনন্দের জন্য প্রানী হত্যা করেনা।
আমাদের দেশের মানুষ কুরবানী করে মুলতো ভালো মানের মাংস খেতে এবং সমাজে নাম দেখাতে। দরিদ্ররা কোরবানি করতে পারেনা তাই সচ্ছলেরা কুরবানী করে। আর বেশি টাকা পয়শা হলেতো সেটা আরো বেশি দেখাতে হয়। যে কয়টা গরু কুরবানি দিয়েছে, কতটাকার গরু কুরবানী দিয়েছে।
ইসলামের ফরজের বিধান হিসেবে ৫ ওয়াক্ত নামাজের স্থান ঈমানের পরেই। বর্তমানের কত % মুসলমান ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে? কত % মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে?
কুরবানি ওয়াজিব নিয়ে দেশে যে উতসব দেখা যায় তার ১% ও নামাজ আদায়ে দেখা যায় না।
কারন কুরবানী মানেই মাংস খাবার উতসব
কুরবানী মানেই গরু বিক্রির লাভ
কুরবানী মানেই বাবসায়ীদের লাভ...
মানুষ যদি মনের পুশুকে কুরবানি দিতে পারতো তবে সমাজে কিছুটা উপকার হইতো... কিন্তু দেশের মানুষের মনের কোন পরিবর্তন হচ্চে বলে মনে হয় না।
২৩ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথার দ্বিমত করার কোনো কারন নেই।
তবে আমি মনে হয় একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মত দেশের অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা মনে হয় খারাপ নয়।
পুরোটা পড়েছেন কিনা জানি না তবে পারলে ধর্মকে একপাশে রেখে কিছু মানুষের মানবিকতার এই নাকিকান্না আর অর্থনৈতিক বিষয়টা নিয়ে একটু আলোচনা করবেন।
৯| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯
আরাফআহনাফ বলেছেন: অনেক তথ্যমূলক পোস্ট - অনেক কিছু জানলাম।
২৩ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: * মাঝে মধ্যে একেবারে হারিয়ে যান কেন?
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা- পোস্ট পাঠ ও মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।
১০| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
নতুন বলেছেন: দেশের খামারের উন্নতির কারন ভারতীয় গরুর আমদানী বন্ধ হওয়া।
সেই হিসেবে আমাদের দেশের জন্য কুরবানীর এই উপলক্ষে ধনীদের কাছ থেকে টাকা খামারীদের কাছে যায়, এটা অর্থনিতির জন্য ভালোই।
মাংস খাবার জন্য এটা ভালো, কুরবানীর গরুতে যদি কম ওষুধ খাওয়ানো হয় বা কম এন্টিবাওটিক দেওয়া হয় তবে মানুষএ ভালো মাংস খাইলো।
কিছু মানুষ স্টেক খাইয়া কুরবানীর পশুর জন্য কান্না করে এটা ঠিক।
এরাও যেমন ভন্ড তেমনি নামাজ কালামের ঠিক নাই দুনিতি কইরা টাকা দিয়ে গরু কিনা কুরবানীর সোঅফ ও ভন্ডামী।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০২
শেরজা তপন বলেছেন: এইতো লাইনে আসছেন। এই কথাগুলোই বলা উচিৎ
আমি ব্যাবসায়ী মানুষ (এরপরে চামড়াজাত পণ্যের ব্যাবসায়ী ) - অর্থনীতির বিষয়টা আগে দেখি আমি। সৌদি যেমন ধর্মের মধ্যে ব্যাবসা খোঁজে আমরা একটু খুঁজলে দোষ কি? এই মজা আনন্দ লোক দেখাদেখি, মাংস খাওয়ার উৎসব না থাকলে, এতো এতো দামে এতো লক্ষ গরু ছাগল বিক্রি হইত বলেন?
১১| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সামু কেন যে একধিক লাইক দেওয়ার ব্যবস্থা রাখে নাই! মাঝে মাঝে আপনার লেখায় ডাবল লাইক দিবার মন চায়, এইটা তেমনই একটা লিখা।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: কয়টা লাইক দিতে চান বলেন? সে কয়টা মনে মনে নিয়ে নিলাম
*নিজের পোস্টে নিজেরা আনলিমিটেড লাইক দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে মনে হয় আরো বেশি ভালো হইতো - কি বলেন সুপ্রিয় গাঁও গেরামের ভুত ভাই?
১২| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৯
নতুন বলেছেন: আমি ব্যাবসায়ী মানুষ (এরপরে চামড়াজাত পণ্যের ব্যাবসায়)
ভাই তাইলে তো আপনি সরাসরি বেনিফেসিয়ারী।
আমারে তো ডাক্তার গরু খাওয়া কমাইতে কইছে, তাই গরু কম খাইতে ভাবতে হয়। তবে কম খাওয়া হয় না।
গতকাল সরিষার তেল দিয়ে তেহারী আর মেজবান মসলা দিয়ে গরুর মাংস রান্না করছিলাম শারমিন আর আমি
তবে কিছু মানুষ গরু খাওয়ার উতসবকে মহান উতসব হিসেবে দেখায়।
যদি বলেন দেশের খামারীরা দেশের উতপাদিত মাংস বিদেশে রপ্তানীর মতন শক্তিশালী হিসেবে দাড়াক সেই ভাবনা ঠিক আছে।
কিন্তু ধর্মের নামে ভন্ডামী করলে কেমন লাগে বলেন?
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার রান্না তো লা জওয়াব- বিশেষ করে তেহারি আর দম বিরিয়ানি।
সরিষার তেল শুক্রবারের আগে খাওয়া যাবে না এই কয়দিন ভাই আধা উপোস পেটে থাকতে হবে কি একটা ঝামেলা বাঁধিয়ে দিলেন।
খাঁটি সরিষার তেলের কেজি কত ওইখানে? আমি ৫ ভাগ রাই সহযোগে খাঁটি সরিষার ঘানিতে ভাঙ্গিয়ে এনেছি ১২৫ টাকা কেজি পড়েছে! এক সপ্তাহ করার রোদে রেখে ছেঁকে পাঁচ ভাগ মেশানো খৈল ফেলে দিতে হবে তারপরে সেটা চরম একটা জিনিস হবে! এই মাল দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করলে আশেপাশের পাঁচ দশ বাড়ি থেকে কেস খাবেন
১৩| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৪
প্রামানিক বলেছেন: গরু, খাসি, শুকর বা যে কোন পশু হত্যা করে নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পেলেও অনেকের রুটি রুজি এই পশু থেকেই আসে। হিন্দু ছাড়া প্রায় সব ধর্মের লোক গরু খায় অথচ নাম হয় মুসলমানের।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো। অনেকের কাছে পশু শুধু গরুই বাকি সব কলা গাছ।
১৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কুরবানি উপলক্ষে কিছু জনগোষ্ঠী এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, কথা ঠিক। কিন্তু এর মূল উদ্দেশ্য কুরবানিই, বা পশু জবাই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরেই কুরবানিতে ব্যাপক পশুহত্যা হয় মর্মে এর বিপক্ষে একটা জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। ঘন বসতিপূর্ণ অল্প কয়েকটা মুসলিম দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটা, যেখানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা বেশি। কিন্তু, এই কুরবানির সময়টা বাদে পৃথিবীতে যে পরিমাণ পশু জবাই হয়, বাংলাদেশে নিশ্চয়ই ঐ পরিমাণ পশু জবাই হওয়া সম্ভব না। আমার কথার পেছনে চ্যাটজিপিটি থেকে প্রাপ্ত নীচের তথ্যগুলো শেয়ার করলাম।
ক। ২০২৩ সালে ধারণা করা হচ্ছে যে:
মুসলিম দেশগুলোতে প্রায় ৯০ মিলিয়ন (৯ কোটি) গরু জবাই করা হয়েছে।
নন-মুসলিম দেশগুলোতে প্রায় ২১০ মিলিয়ন (২১ কোটি) গরু জবাই করা হয়েছে।
খ। মুসলিম দেশগুলোতে প্রায় ২০২.৫ মিলিয়ন (২০ কোটি ২৫ লাখ) ছাগল-খাঁসি জবাই করা হয়েছে।
নন-মুসলিম দেশগুলোতে প্রায় ২৪৭.৫ মিলিয়ন (২৪ কোটি ৭৫ লাখ) ছাগল-খাঁসি জবাই করা হয়েছে।
গ। মুসলিম দেশগুলোতে প্রায় ২৪.৫ বিলিয়ন (২,৪৫০ কোটি) হাঁস-মুরগি জবাই করা হয়েছে।
নন-মুসলিম দেশগুলোতে প্রায় ৪৫.৫ বিলিয়ন (৪,৫৫০ কোটি) হাঁস-মুরগি জবাই করা হয়েছে।
এটি একটি আনুমানিক হিসাব এবং প্রকৃত সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে। নির্দিষ্ট ও সঠিক তথ্যের জন্য FAO বা সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন দেখা যেতে পারে।
জবাই করা যদি নির্মমতা হয়, তাহলে এই নির্মম কাজগুলো আরো বেশি করছে নন-মুসলিম দেশগুলো। আমাদের সভ্য সমাজের কারা কারা সেই উন্নত দেশগুলোর দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলছেন, আপনারা পশু জবাই করে নির্মম কাজ করছেন?
যারা এই পশু জবাইকে নির্মম বলছেন, তারা নিজেরা কি কখনো এসব পশুর মাংস ভক্ষণ করেন না?
পশু জবাই যদি নির্মমতা হয়, হাঁস-মুরগি, মাছ খাওয়া নির্মমতা হবে না কেন? নাজনীন আপুর কথাটা আমিও বলতে চাইছিলাম, জড় বস্তু ছাড়া শাকসবজি, লতাপাতা ইত্যাদি সবই প্রাণী। এগুলোর প্রাণ নষ্ট করা নির্মমতা হবে না কেন?
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার কিছু তথ্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই। বরাবরই আমার পোস্টটা আপনি অনেক সুদীর্ঘ ও বেশ খেটেখুঁটে তথ্যবহুল মন্তব্য করেন। আমিও বড় ভাইয়ের মত একটা ছোট্ট ধন্যবাদ ও মাঝে মাঝে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা দিয়ে আমার কর্মটুকু সারি। এর থেকেও আসলে অনেক বেশী মূল্যায়ন পাবার যোগ্য আপনি।
আমরা প্রতিমুহূর্তে নিজের অজান্তে কত লক্ষ কোটি প্রাণ হত্যা করে চলছে প্রতি মুহূর্তে তার কোন খবর রাখি না। তেলাপোকা মাছি মশার স্যোশাল লাইফের কতটি খবর আমরা রাখি? হাতের কাছে পেলেই তো টপাটপ মেরে ফেলি!
১৫| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০৭
জুন বলেছেন: এত বড় লেখা কি আমি পইড়া শ্যাষ করতে পারমু তিনভাগের এক ভাগ পড়তে পড়তেই তো আম্রিকার সব উইকেটের পতন। বাকিটা পড়তে শুরু করলে ইংল্যান্ডের ইনিংসও শেষ হবে শেরজা কাইল আসুমনে
+
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার চেহারা দর্শন করেই আমার বিরাট শান্তি!
আপনি এসেছেন এতেই 'মোগাম্বু খুশ হুয়া'!
কিছু লোক আমাকে ভালোবেসে বলে আমি ফায়দা লুটে তাদের উপর ব্যাফক অত্যাচার করি। এত বড় বড় লেখা চাপিয়ে দেই তারা না পারে গিলতে না উগড়াতে।
এইতো এমন কোন সিরিয়াস বিষয় না বাকিটা না পড়লে চলবে। আপনি খেলা দেখেন মন দিয়ে ওইটা অনেক সিরিয়াস ব্যাপার-জীবনে কাজে লাগবে 'বড় যদি হতে চান খেলা দেখেন আগে'
১৬| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:১৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশে গনহারে যেভাবে রাস্তাঘাটে বাসা বাড়িতে পশু কোরবানি হয় তা কোন অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য নয়। আমি কুরবানির ঈদে কখনও দেশে যাই না। যাবার ইচ্ছাই হয় না। উন্নত দেশগুলোর কথা বাদ দিলাম, মুসলিম দেশগুলোতেও কুরবানির এই বিভৎস চিত্র দেখা যায় না। সব দেশেই কুরবানিকে সিস্টেমেটিক করা হয়েছে। কুরবানির দ্বায়িত্ব মসজিদ ও খামারভিত্তিক হওয়া উচিৎ। অন্য সব দেশেই এটা হয়। এতে শুধু দালাল, ফরিয়া, ইজারাদার , চাঁদাবাজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে , কিন্তু বাদবাকি মানুষ উপকৃত হবে। তাছাড়া এই বছর আরেকটা খবর পত্রিকায় এসেছে যে , ঈদের দুইদিন আগে ভারত ও মিয়ানমার থেকে প্রচুর গরু সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকেছে। এ কারনে দেশীয় খামারী ও কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক লাখ গবাদি পশু বিক্রি হয়নি। কুরাবনি যদি খামার ভিত্তিক ও মসজিদ ভিত্তিক হয় তবে দেশীয় খামারী ও কৃষকেরা উপকৃত হবে।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরে কথা বেশী বলতে- হবে কালকে উত্তর দেবো ভাই মনে কিছু নিয়েন না।
১৭| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৬
জটিল ভাই বলেছেন:
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় বড় ভাই। তা কেমন আছেন? মামনি ভালো আছেতো?
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না; একসময় ********* অঞ্চলে সবচাইতে দামী খাবার ছিল লবন।
উপরের লাইনটা মনে হয় কারেকসন লাগবে।
প্রবন্ধ বরাবরের মতোই জটিল। তাছাড়া অন্য অনেকের মতোই আপনিও আমার অনুপস্থিতে জটিল জপ অব্যহত রেখেছেন। যেমন এই পোস্টেই ৩ বার জপ করেছেন
তাই কামরূপকামাক্ষা হতে নেমে এসে হাজিরা দিতে বাধ্য হলাম
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগের এই জটিলতম সময়ে জটিল এলাকায় জটিল ভাইকে স্বাগতম!
আপনি তো মিয়া জটিল একটা ভুল ধরেছেন- আমি যে কম্পিউটারে বসে লেখাটা একবার রিভিউ করব সেই সময় পাচ্ছি না। মোবাইলে লেখা আওগাইতে পিছাইতে ঝাপসা লেগে যায়!!
বহুদিন বাদে আপনাকে ব্লগে পেয়ে এই গরমে জটিল শান্তি অনুভব করছি। শুধু ফেসবুকে না থেকে ব্লগে এসে মাঝেমধ্যে এভাবে উঁকি দিয়ে যাবেন।
১৮| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটা আমি আদ্যোপান্ত পড়েছি। সহমত আপনার সাথে। এখানে খুব কম ব্লগারই আপনার এই লেখাটা পুরো পড়েছে।
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাথে আমিও সহমত আমিও নিশ্চিত এলাকার পুরোপুরি প্রায় অনেকেই পড়েননি।
এত কষ্ট করে ধৈর্য ধরে পুরো লেখা আদ্যোপান্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আশা করি সে মন্তব্যে আসবেন তথ্য বিশ্লেষণমূলক আপনার স্বভাবসুলভ মন্তব্যে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেবেন।
১৯| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের ব্লগের সব থেকে বড় গরুবাদি কামাল সাহেবকে দেখছি না ! এখানে তো তার একটা মন্তব্য আশা করেছিলাম !
গরুবাদিরা নিজেরা গরু ছাগল খাবে অথচ ধর্মীয় কারণে কুরবানী দেখলেই তাদের গরুবাদিতা জেগে উঠবে ! মুল সমস্যা এখানে পশু হত্যা নয় বরং ধর্ম ! আরো ভাল করে বললে ইসলাম ধর্ম !
যদি কোন ভেজিটেরিয়ানের ভেতরে এই গরুবাদিতা জেগে ওঠে তাহলেও সেটা মেনে নেওয়া যায় । তবে যে অন্য সময় গরু ছাগল মাছ মাংস খায় এবং কুরবানীর সময় এলেই গরুবাদিতা জেগে ওঠে, সে সোজা বাংলায় ভন্ড ! আর কিছু না ! এদের সাথে বেহুদা তর্ক বিতর্ক করার কোন মানে নেই।
তিমি শিকারের ঐ ভিডিও আমি দেখেছি কয়েকটা । এখন এদের মুখ যদি গরুবাদিতার শোনা যায় তাহলে কী কেমন লাগে বলেন তো !
২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: কামাল ভাই মনে হয় একটু টেনশনে পড়ে গেছেন উনি আসবেন আমার ধারণা। আমার পোস্টে উনি মন্তব্য না করে থাকতে পারেন না- আমাকে স্নেহ করেন বলে বেশি আজেবাজে কথা বলতে পারেন না তাই কি কথা বলবেন সেটা সম্ভবত গোছাচ্ছেন।
২০| ২৪ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: মানুষের খাদ্যাভাস আর দেবতার উদ্দেশ্যে পশুবলি দুটি ভিন্ন বিষয় বলে মনে করি। আপনি বলিকৃত পশুর মাংস ভক্ষণের শারীরিক এবং অর্থনৈতিক বিবেচনার পাশাপাশি যদি পশুবলির আধ্যাত্মিক দিকটি নিয়ে আলোচনা করতেন তাহলে লেখাটি একেবারে সর্বসুন্দর হতো। এ বিষয়ে আপনাকে কিছু সাহায্য করতে পারি!
পশুবলি অর্থনৈতিক বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবে যুক্তির খাতিরে বলা যায় যে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে কাজের মেয়ে পাঠানোর ভিতর দিয়েও অনেক অর্থনৈতিক লাভের বিষয় আছে। এখন এটা আমাদের বিবেচনা, আমরা এই লাভ নিতে চাই নাকি আমাদের মেয়েদের মধ্যপ্রাচ্যে দাসীর মতো অবমাননাকর পেশা না গ্রহণ করে, তাদের জীবনকে আর্থিকভাবে তুলনামূলক কঠোর করে তুলতে চাই।
এখন দ্বিতীয় প্রসঙ্গ—খাদ্যাভাস। আমি সহসা আমার মাংসাশী খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে পারবো না এটা সত্য, কিন্তু খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের আগে দেবতার উদ্দেশ্যে পশুবলি দেবার অতিশয় প্রাচীন একটি প্রথা উঠে যাবে এমনটা ব্যক্তিগতভাবে আশা করতে পারি, নয় কি?
আর মানুষের খাদ্যাভাসও আসলে পরিবর্তিত হচ্ছে। আমার নিজের দুই সন্তানের মাংসবিহীন খাদ্যাভাস দেখে আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, বিয়ন্ড মিট এবং ইম্পসিবল ফুডসের মাংসবিহীন খাবার ভবিষ্যতের পৃথিবীর নাগরিকদের খাবার হবে। পরিবেশের বিষয়গুলো আমাদের মাথায় সেভাবে ক্রিয়াশীল নয়। গরুর খামারগুলো যে ভয়ানক পরিমাণে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ করে এটা নিয়ে আপনি কিছু অনুসন্ধান করতে পারেন।
পরিশেষে, পশুবলির আধ্যাত্মিক অংশ, যেখানে আপনাকে কিছু সাহায্য করবো বলেছিলাম। ইসরাইল যখন লেবানন আক্রমণের পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে, তখন আরবি ভাষী লেবানিজ কবি খলিল জিব্রানের "প্রফেট" গ্রন্থ থেকে। আপনি নিশ্চয়ই তার কিছু লেখা পড়ে থাকবেন:
But since you must kill to eat, and rob the newly born of its mother’s milk to quench your thirst, let it then be an act of worship.
And let your board stand an altar on which the pure and the innocent of forest and plain are sacrificed for that which is purer and still more innocent in man.
When you kill a beast say to him in your heart,
“By the same power that slays you, I too am slain; and I too shall be consumed.
For the law that delivered you into my hand shall deliver me into a mightier hand.
Your blood and my blood is naught but the sap that feeds the tree of heaven.”
বাংলা অনুবাদ যেটা নেটে পেলাম এবং কিছু খটোমটো মনে হল, সেটাও দিলাম:
কিন্তু যবে থেকে খাবারের প্রয়োজনে তোমাকেও প্রাণিহত্যা করতেই হয় এবং নিজের তৃষ্ণা মেটাতে যখন সদ্যোজাত শাবকটির জন্য উৎসারিত ওই মা গাভীর দুধ লুঠ করে নিতে হয়, তখন এ দুটি কাজকেই পুজো হিসেবেই দেখ।
তোমার খাবার টেবিলটি হোক সেই বেদি, যেখানে পবিত্র ও নিষ্পাপ বনরাজি এবং সমতলের বলিদান চলছে, শুধুমাত্র মানুষের খাবারের চাহিদা মেটাতে যা সর্বতোভাবেই পবিত্রতর এবং নিষ্পাপ।
পশুটিকে হত্যা করবার আগে, নিজের হৃদয়েও তার সঙ্গে একবার কথা বলে নাও:
“যে শক্তিতে তোমাকে হত্যা করছি, সেইভাবেই আমি নিজেও নিহত হব; এবং আমিও তো ভোজ্য হব।
যে বিধিতে আজ তুমি আমার হাতে খাদ্য হিসেবে প্রেরিত, সেই একই বিধিতে আমিও প্রেরিত হব আরও শক্তিমানের হাতে।
ব্যাপারটা তোমার বা আমার রক্ত নয়, আসল হল সেই প্রাণরস যা পুষ্টি দিচ্ছে স্বর্গের গাছগুলিকে।”
২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এমন সুদীর্ঘ ও চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য।
প্রথমত; আমি সবসময়ই ধর্মের গভীর ও আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো লেখালেখির সময় একটু এড়িয়ে চলি এই বিষয়ে আমার জ্ঞানের চরম ঘাটতির জন্য।
আমি নিজেও পশুহত্যা একেবারেই পছন্দ করি না- বরাবরই আমিও নিরামিষভোজ পছন্দ করি। মাংসের মধ্যে ওই গরুর মাংসটাই যা একটু খাই, মুরগী,খাসি কিছুই পছন্দ নয় আমার। মাছ মাংস বহুবার ছেড়ে দিতে চেয়েছি, পারিবারিরিক পারিপার্শ্বিক কারনে তা হয়ে ওঠেনি।
মধ্যপ্রাচ্যে কাজের মেয়ে পাঠানো নিয়ে যেটা বলেছেন সেই উদাহরণটা মানুষ নিয়ে না দিয়ে পশু দিয়ে দিলে ভাল হত।
গরুর মিথেন গ্যাস নিঃসরন নিয়ে আমি আমার একটা অনুবাদগ্রন্থের ধারাবাহিকে লিখেছিলাম- নীচে তাঁর লিঙ্ক দিলাম;
আমরা পৃথিবীর প্রকৃতি পাল্টে দিচ্ছি!(Humans are Not from Earth)~৮
আর মানুষের খাদ্যাভাসও আসলে পরিবর্তিত হচ্ছে। আমার নিজের দুই সন্তানের মাংসবিহীন খাদ্যাভাস দেখে আমার দৃঢ় প্রত্যয় এই যে, বিয়ন্ড মিট এবং ইম্পসিবল ফুডসের মাংসবিহীন খাবার ভবিষ্যতের পৃথিবীর নাগরিকদের খাবার হবে। ~ ওদের জন্য শুভকামনা। কিছু মানুষ অবশ্যই পাল্টে যাচ্ছে। পৃথিবীটা এমন থাকবে না চিরদিন। ভবিষ্যত প্রজন্ম পাল্টে দেবে আমাদের চিরচেনা ভয়ঙ্কর নিশ্বংস হত্যা রক্তপাত খুন জখমের পৃথিবীকে।
কবি খলিল জিব্রানের 'প্রফেট পড়া হয়নি। আপনার দেয়া উদ্ধৃতিটুকু দারুণ লাগল। ধন্যবাদ ফের -ভাল থাকুন।
২১| ২৪ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গরুর পেনিস যে রপ্তানি হয় সেটা আজ জানলাম, এখন থেকে তো দেখি গরুরর সবই কাজে লাগে কোন কিছু ফালানি যায়না। প্রতিদিন এত গরু ও মুরগী জবেহ/কতল হয় আর মুসলমানরা কোরবানী করলেই দোষ(মায়া চাগিয়ে উঠে কত গরু, ছাগল, মহিষ মেরে ফেলল)।+++
২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: এটা 'পিনাস' হবে ( ভুয়া মফিজ শুধরে দিয়েছেন)। গরুর মুত্র থলিও চায়নাতে এক্সপোর্ট হয়। এতগুলো গরু যদি একদিনে ফিলিপাইন, চীন, জাপান, কোরিয়া বা থাইল্যান্ডে জবেহ হইত তাহলে তারা আমাদের থেকে অর্থনৈতিকভাবে ৪গুন বেশী লাভবান হইত।
২২| ২৪ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১৩
করুণাধারা বলেছেন: কোরবানির অর্থনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার অনেক কিছুই জানা ছিল না, জানা হলো। সন্দেহ নেই, ইদানিং কালের কোরবানির আনুষ্ঠানিকতার ফলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়, কিন্তু এর ফলে কোরবানির মূল উদ্দেশ্য যে sacrifice সেটা হারিয়ে গেছে। এখন অধিকাংশ কোরবানি হয় শো অফ করার জন্য, কোরবানির পশু নিয়ে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য। গরিবকে খাওয়ানো যদি উদ্দেশ্য হয়, তবে এককোটি টাকা দিয়ে একটা গরু না কিনে দুলাখ টাকা দামের পঞ্চাশটা গরু কোরবানি দিলে ঢের বেশি মানুষকে খাওয়ানো যায়, তবু এককোটি দামের গরু কেনা হয়...
পোস্টে কোন তথ্যগত ভুল পাইনি তাই সে ব্যাপারে আলোচনায় যাচ্ছি না। কিন্তু একটা অন্য কথা বলি। আমি পুরো পোস্ট ভালভাবে পড়েছি, বলতে হয় বোঝার জন্য কিছু জায়গা দু-তিন বার করে পড়তে হয়েছে। আপনি আগেও বলেছেন, আপনি স্পিচ টু রাইট দিয়ে লিখেন এবং তারপর লেখাটা পড়া পাঠকের ইচ্ছা; ভুলভ্রান্তি বুঝে নিয়ে পাঠক পড়তে পারেন বা এড়িয়ে যেতে পারেন। আমি বলতে চাচ্ছি, পড়ার ইচ্ছা থাকলেও বুঝতে অসুবিধা হয়। আপনার জন্য তিনটা নমুনা দিলাম যা বুঝতে সমস্যা হয়েছে। মানুষের কাঁটা= মাংশ কাটা, মানুষ চামড়া= মানের চামড়া...
আজকে প্রান্তিক কৃষক বা খামারিরা যে ভালো দাম পাচ্ছে এবং আধুনিক কেতায় পশু বৃক্ষের জন্য এদের অবদান অপরিসীম।
কেয়ারটেকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন গরিব মানুষেরা অংশগ্রহণকারী পরিচালক রক্তচাপসহ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার বিভিন্ন কাজে মানুষের কাঁটা বিলিবন্টনেও এরা বেশি ভাল রকমের সাহায্য করে।
লক্ষ লক্ষ কর্মী সারা বছর কাজ করে তাদের আয়রোজগারের একটা বড় নিয়ামত হচ্ছে এই কোরবানির নিচে আমরা বাংলাদেশের সারা বছরের যত চামড়া হয়ে থাকে তার অর্ধেকের বেশি চামড়া আসে কোরবানি থেকে এবং এই কোরবানির চামড়া হচ্ছে সবচাইতে উৎকৃষ্ট মানুষ চামড়া।
২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সহযোগীতা ও আশির্বাদে এতক্ষনে সময় করে কিছু কিছু ঠিক করেছি। নিজের লেখা দেখে নিজেরই বিরক্ত লাগছে। এত ভুল লেখা কি করে ব্লগে দিলাম!!!
প্রথমে কিছুটা ঠিক থাকলেও মাঝের ভুলগুলো ক্ষমার অযোগ্য। মেজাজ খারাপ হচ্ছে। আসলে মোবাইল থেকে এভাবে পোস্ট করা ঠিক হয়নি।
ফের এসে সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
২৩| ২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
পৃথিবীতে যে জীব-বৈচিত্র তাদের বেঁচে থাকার জন্যে " ফুড চেইন" বলে একটা প্রক্রিয়া আছে। এতে বেঁচে থাকার জন্যে এক প্রজাতি অপর প্রজাতিকে ভক্ষন করে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখে। কিন্তু সবই প্রয়োজন। উৎসব নয়।
আমাদের বেলায় কোরবানী আর ত্যাগ নয় বরং মাংশ খাওয়ার উৎসব। গবাদী পশুকে জবাই করা অমানবিক নয় কিন্তু কোরবানীর সময় পশু জবেহকারীরা কোমরে কাপড় পেঁচিয়ে, রক্ত ঝরছে এমন সব ধারালো উলংগ অস্ত্র হাতে নিয়ে বীরদর্পে এবাড়ী থেকে ওবাড়ী দৌড়াদৌড়ি করে আর কোরবানী দেয়া লোকজন যেভাবে পথে-ঘাটে রক্তের স্রোত বইয়ে দেন সেটাই বরং বেশী আতঙ্কের আর অমানবিক এবং দৃষ্টিকটু। অবুঝ লোকেরাই "কোরবানী অমানবিক" বলতে এসব দেখেই হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: কোরবানিটা যে যেই দৃষ্টিতে দেখে। আমার এক বন্ধু বলল, তাদের খাসিটা যখন জবেহ দিচ্ছিল সে আর তাঁর মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বহু দুরে চলে গিয়েছিল- তবুও ছাগলের আর্তচিৎকার তাদের কানে বাজছিল।
পাশাপাশি আরেক বন্ধু বলল কোরবানিটা তাঁর কাছেও ভয়ঙ্কর মনে হলেও সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরোটা দেখে, আর ভাবে একজন মানুষকে হত্যা করলে সেও এভাবে কষ্ট পাবে। এভাবে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটে যাবে, এভাবে সর্বশক্তি দিয়ে গোঙ্গাবে আর ছটফট করবে। শরিরের প্রতিটা পেশী ভয়ঙ্করভাবে কুঁচকে যাবে, কাঁপতে থাকবে।
ঈশ্বরের নামে পশুহত্যা মানুষকে শুধু আনন্দ দেয় তা কিন্তু নয়। একেকজনকে একেক ধরণের উপলব্ধিবোধ দেয়। কিন্তু আফসোস পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের ধ্যান থেকে শুধু সোয়াব কামানো আর কিংবা গোশত খাওয়ার দিকে।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সৃষ্টির শুরু থেকেই খাদ্যশৃঙ্খলের নিয়ম মেনে প্রাণের নিধন হয়ে আসছে। সময়ের সাথে সাথে তার স্বরূপ বদলেছে। প্রতিদিন লাখের উপরে পুরুষ পোল্ট্রি মুরগির মাত্র জন্মানো ছানা নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে সারা বিশ্বে। অনেক তথাকতিথ উন্নত বিশ্বে প্রায়ই কোন প্রাণীর অতিরিক্ত প্রজননে সৃষ্ট বিশাল সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে তাদের গণহত্যা করা হয়। এরকম আরও অসংখ্য প্রাণী হত্যার উদাহরণ রয়েছে যেখানে হত্যাকৃত প্রাণী কোন খাদ্য বা অন্য উপজাত হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে হয় না। অপরদিকে কুরবানির পশুর মাংস হতে শুরু করে বেশীরভাগ বাই প্রোডাক্টই কোন না কোন কাজে ব্যবহৃত হয়। একযুগ আগে, কোন এক গ্রুপ ট্যুরে একজন পেলাম উনি গরুর মাংস খেতে পারেন না, কিন্তু মুরগীর মাংস খান। কারণ, শৈশবে তার গরু কুরবানি নিয়ে কোন ভয়াবহ স্মৃতি আছে। তাই বলে উনি অন্যের গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখান নাই। আমাদের সমস্যা, আমরা আমাদের কাছে যেটা ভালো, সুশ্রী, গ্রহণযোগ্য, সমাদৃত; অন্য সবার কাছেও একই রকম আশা করি। সমস্যাটা এখানে। আমাদের সমাজে পোশাক দিয়ে নিজেকে আবৃত করা যেমন অতি আবশ্যকীয়, রুচিকর; সেটা অনেক ট্রাইবাল কমিউনিটিতে ঠিক উলটো চিত্র। নিজের মানসিক অবস্থা অন্যের মাঝে দেখতে চাওয়াটা আমার কাছে অনেক বড় মানসিক সমস্যা বলে মনে হয়। আমার পরিচিত একজন আছে, তার স্বভাব হলো এরকম মন্তব্য করা, "উঁহু, তুমি এই মাছ খাও, ইয়াক", "ইসস, এই রঙের জামা কেম্নে পড়লা", "উঁহু এ ধরনের গাড়ীতে করে যেতে পারে কেম্নে মানুষ".... একদিন মহা বিরক্ত হয়ে তাকে বলেছিলাম, "তুমি এগুলো খাও না, পরো না, করো না; এটা তোমার কোন সুপরিয়রিটি কোয়ালিটি না, তোমার উইকনেস"। তেমনি, এই পশুহত্যা, ভেজিটেরিয়ান-নন ভেজিটেরিয়ান এসব ইস্যুগুলোর পেছনেও আমি একই কারণ দেখি। আমার কাছে, আমার যুক্তিতে, আমার আদর্শে, বিশ্বাসে যা ভালো তা অন্য অনেকের কাছেই ভালো নাও হতে পারে। আবার ঠিক বিপরীত ব্যাপারটার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা প্রযোজ্য। চুরি করা আমাদের কাছে ঘৃণ্য; কিন্তু একজন চোর এর কাছে নয়। আমাদের ইথিকস বলে, "চুরি করা মহাপাপ" আর চোরের ইথিকস বলে, "চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পরে ধরা"।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩
করুণাধারা বলেছেন: না পড়েই লাইক দিয়ে গেলাম। ভালো থাকলে পরে পড়বো আশাকরি।