নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ছেলেটা ঘুমের মধ্যে বদ্ধ ঘরে একাকি মরে পড়ে রইল! কেউ বলে স্ট্রোকে মৃত্যু, কেউ বলে, আত্মহত্যা, কেউ বলে পরিকল্পিত খুন।
সে ছিল একজন ট্রাভেলার, দুর্দান্ত ফটোগ্রাফার আর কবি।
মাত্র সাতদিন আগে লেখা তাঁর একটা কবিতা সাড়া জাগিয়েছিল ভীষন!
তাঁর লেখার শুরুটা ছিল এমন;
"আমি আসলে চেয়েছিলাম
মেট্রো স্টেশন হতে
যার ধ্বংসে কান্না ধরে রাখা যায় না!
(কিংবা টোল প্লাজা, ডাটা সেন্টার, সিটি কর্পোরেশনের ওয়েস্ট ডাম্পিং ট্রাক .. ব্লা ব্লা ব্লা)
“কিন্তু আমাকে ছাত্র করে পাঠালেন,
যে মরলে কান্না আসে না ,
যার রক্তে কোটি টাকার লোকসান হয় না ,
যে মরলে কেউ দেখতে আসেনা ,
রাষ্ট্রীয় ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় আসেনা আমার নাম,
যার লাশ মর্গে নিছক একটা সংখ্যা....
অথচ 'আমি কতো কি হতে চেয়েছিলাম.!” *সংক্ষিপ্ত
- written by Rishi Kabbo, ২৫.০৭.২০২৪
মাত্র ৪ দিন আগে সে তাঁর ওয়ালে শেয়ার করল আরেকখানা অগ্নিঝড়া কবিতা;
এই শহরে পাখিদের ঘুম ভাঙ্গে গুলির শব্দে
এই শহরে ছাত্র পড়ে থাকে মগজ ভর্তি বারুদের গন্ধে
মস্তিষ্ক ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে শকুন এর গুলি
রক্তের দাবানলে ভেসে যাচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা
ফ্যাসিষ্ট কারা? স্বৈরাচার কে?
শকুন এর ভয়ে থাকে ঘরে কে ?
মায়ের বুকের আর্তনাদ-
হামার বেটাকে মারলু কেনো?
তৃষ্ণার্ত কালো র্যাব,
পানি লাগবে আর কারো? * সংক্ষিপ্ত
এর মাঝে তাঁর ফেসবুকওয়াল জুড়ে কোমল পেলব নারীদের শরীরের ফাঁক গলে আর বাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিয়ে ভরে উঠল কোটা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উত্তাল মাতাল করা রক্তভেজা ছবি। যার প্রতিটা ছবি ঠাই নিবে নিশ্চিত ভবিষ্যত ইতিহাসের পাতায়।
এর পর থেকেই নাকি ভীষন মানসিক যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল সে। যে রাতে তাঁর শেষ প্রয়ানের ক্ষণ ঠিক হয়েছিল- সন্ধ্যেয় বাবাকে ফোন করে বলল, পকেটে টাকা নেই- ডাব খেতে ইচ্ছে করছে টাকা পাঠাও। বাবা তাঁর আদরের ছেলেকে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে দিল। সে যত ব্যস্তই থাকুক বাবা মায়ের ফোন রিসিভ করবেই। এর পর আর সে ফোন ধরে নি। সম্ভবত রুমের দরজা ভেঙ্গে তাঁর লাশ উদ্ধারের পরে, স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে বাবা তড়িঘড়ি করে গ্রামে নিয়ে কাব্যের লাশ দাফন করে দেয়।
ঋষি কাব্য এটা তাঁর নিজের দেয়া নাম। "এক লেখককে বলেছিল, ঘুরাঘুরি নিয়ে তাঁর অনেক গল্প আছে, পুরো বাংলাদেশ কোন টাকা পয়সা খরচ ছাড়া ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা আছে। মানুষের বিচিত্র সব ভালবাসার আখ্যান আছে। তিনি যেন সেই গল্পটা লিখেন"।
কিন্তু সে নিজে যে কত বড় মাপের গল্পকার-লেখক সে তাঁর ছোট্ট এই আত্ম কথনেই বোঝা যায়।
সময় থাকলে পড়ে দেখুন;
শুভ সকাল ফেনী....
আমার বয়স যখন ৪, তখন থেকে ২০১৭ অবধি আমি পুরোটা সময় ফেনী ছিলাম ।
আমি খুব ভুলে না করে থাকলে শুধু একবার ফ্যামিলির সাথে কক্স বাজার গেসিলাম ৪ রাত আর বড় মামার শশুর বাড়ি বগুড়ায় সপ্তাহ খানেক ছিলাম । এই ছাড়া আমি একটা রাত ও শহরের ঘরের বাহিরে ছিলাম না ।
তখন অবধি আমি কোনোদিন আমার পাশের শহর নোয়াখালি, কুমিল্লা,চিটাগাং ও যাই নাই ।
আর গত আট বছরে আমি দেশের ৬৪ জেলা চইষা বেড়াইসি । ইন্ডিয়ার ১৩ টা স্টেটের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরসি থাকসি....
একটা চা হাতে নিয়ে বিড়ি ধরানোর দূরত্ব থেকেও নেপাল,মালদ্বীপ,থাইল্যান্ড কিংবা ইন্দোনেশিয়া কাছে ।
আট বছরে আমি ৮০ দিন ও ফেনী ছিলাম না ।
আট বছর আগে আমি কোনোদিন চায়ের দোকানে পর্যন্ত আড্ডা দেই নাই ।
আর গত আট বছর এমন কোনো ভালো আড্ডা , বাজে আড্ডা বাদ নেই যেটা আমি রিচ করতে পারসি কিন্তু দেই নাই । যখন যা পারসি যা ইচ্ছে করসে, যা ভাল্লাগছে, যা করতে পারসি করে ফেলসি ।
আমার আট বছর আগের পৃথিবী আর গত আট বছরের পৃথিবী খুব প্যারালাল , খুব কনফ্লিক্টেড ।
ফেনী শহরে যারা আমার আশেপাশে ছিলো, কাছের ছিলো তারাও এখন আমাকে দেখে চিনতেই পারে না, নয়তো চিনলেও আগের ক্যারেকটারের সাথে ম্যাচ করতে পারেনা ।
কিছুদিন আগে একবার পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক বছর পর আমার খুব কাছের একটা বোনের সাথে দেখা হইসে । আমি তাকে কি কি বললাম সে প্যারা খেয়ে গেলো এই ছেলে এইইভাবে কথা বলে ক্যানো?
পাশে বসে ছিলাম । ২০ মিনিট পর সে হটাৎ চিনতে পারসে আমাকে । তারপর বলে "ওমা কিয়ারে কিয়া তুই নে , এ অবসতা কা তোর? " ( এমা কিরে তুই ? এই অবস্থা ক্যানো তোর?)
আট বছরে আগে একটা স্কুল ছিলো আমাদের "পথের পাঠশালা" নামে ওখানে বাচ্চাদের পড়াইতাম, পরাইতাম,খাওয়াইতাম ।
সারাদিন রক্ত নিয়ে দৌড়াইতাম ।
ঐ যে লোকটা যিনি রাত তিনটায় সদর হসপিটাল এর বারেন্দায় বসে আমাকে বলতেসিলো " বাবা ত্যুই ন থাইকলে আর মাইয়াগারে আইজ্জা আর বাঁচাইতাম হাইত্তামনা,আর কাছে কিচ্ছু নাই তোয়ারে দিবেরলাই " (বাবা তুমি না থাকলে আমার মেয়েটাকে আজকে বাঁচাইতে পারতাম না, আমার কাছে তো কিছু নাই তোমাকে দেওয়ার )
কিংবা ঐ লোক গুলা যারা ঝড় আসলেই আমাদের টিমের অপেক্ষায় বসে থাকতো ?
দিন রাত তখন কাটতো হসপিটালে, রেল স্টেশনে, রেড ক্রিসেন্টে নয়তো কোনো অজপাড়া উপকূল গ্রামে....
আর গত আট বছর?
সারাদিন রাস্তায় রাস্তায়, পাহাড়ে , জঙ্গলে, গ্রামে,হাওড়ে, সমুদ্রে কিংবা ঝর্ণায় ঘুরে কাটে । সারাদিন ছবি তুলে কাটে ।কিংবা মানুষ এর হাসিমুখ খুঁজে খুঁজে সময় যায় ।
সারাদিন ছবি রেডি করতে করতে সময় যায় । খাইতে বসেও ছবি রেডি করি কিংবা বিচ্ছিরি ভাবে কান্না পাইলেও ছবি রেডি করতে বসি । তাও মানুষ বকা দেয় ছবি দেই না ক্যানো?
আমার জীবনে কোনো কিছু নিয়েই রিগ্রেশন নাই । না আগের লাইফ নিয়ে না এখনকার লাইফ নিয়ে ।
শুধু মাঝে মাঝে একটু কান্না পায় যদি একটা প্রেমিকা থাকতো? কোলে মাথা রেখে ঘুমাইতাম?
যদি কটা বন্ধু থাকতো ? বইসা তাদের কাছে কান্না করতাম কিংবা হেসেখেলে সময় পার করে দিতাম?
কিংবা কয়টা কাছের সুন্দর মানুষ যাদের সাথে হেটে বেড়াইতাম ঘুরে বেড়াইতাম ?
দিন শেষে একটু শান্তি ই তো চাই? পৃথিবীর সব মানুষ এর এই একটা কমন ব্যাপার যে সবাই শান্তি চায়।
ক্রিমিনাল, ভালো মানুষ, খারাপ মানুষ, গরিব মানুষ, ধনী মানুষ সব্বাই শান্তি চায় । ভালো কাজ করে হোক কিংবা খারাপ কাজ করে ।
ঐ যে অঞ্জন এর গানের লাইন টা " সেই পৃথিবীতে বাঁচবো বলে যুদ্ধ করি রোজ, একটু খানি বাঁচার আশায় হাজার আপোশ "
কিংবা মৌসুমী দি যখন বলে, কোথায় গেলে শান্তি পাবো, বলো কোথায় গেলে?
অথচ শান্তি ডুবে যায় বন্যায়, পুড়ে যায় কিছু দিন পর পর এই শহরে জ্বলে উঠা আগুনের শিখায়, পিছনে পড়ে যায় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভবিক দৌড়ের সাথে, পিষে যায় বাসের চাকার নিচে পড়ে , তলিয়ে যায় ধর্মীয় দাঙ্গায়
কিংবা প্রেমিকার চোখে ডুবে যায়, প্রেমিকের এলো চুলে উড়ে যায় ,পরিবারের সিদ্ধান্তের নিচে পড়ে যায় , কখনো সমাজের ক্রুশে ঝুলে থাকে ।।।
কিংবা হ্যাপি প্রিটেন্ড করতে করতে হারায় যায় মহাকলে ।
আর কেউ সুদিন ফিরবেই এই অপেক্ষায় থেকে শান্তির দেখা পায় না আর।
তাও আমরা হটাৎ বলেই উঠি কাউকে " Be my Peace !"
লিখতে লাগছিলাম শুধু শুভ সকাল ফেনী, কি কি জানি লিখে ফেলসি...
Country Roads Take me to the Hell,the mountain, the Ocean, the GreenLand, the Iceland, the Desert ,the good places, the bad places,the Heaven.....
সুন্দর থাকেন, আশেপাশের সবটা সুন্দর রাখেন ।
ঋষি কব্যের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া বর্তমান ছাত্র আন্দোলনের কিছু ছবি শেয়ার করলাম;
*****
~ আকাশ ব্যানার্জীর নতুন ভিডিও শেয়ার করলাম এইসাথে।
*** তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার এই শ্লোগান নিয়ে যাদের বিশেষ চুলকানি আছে তারাও এই গানটা শুনবেন দয়া করে।
তুমি কে আমি কে (হার্ড রক -বেনামী গায়ক)
***
*সুপ্রিয় ব্লগারঃ আমি আমার পক্ষ থেকে প্রতিবাদ এটুকুই করতে পারি- হয়তো এর থেকে বেশী নয় , সেটা একান্ত আমার অক্ষমতা বা ব্যর্থতা।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ওর বিশ্লেষণ ও যৌক্তিক আলোচনায় বেশ অবাক হচ্ছি।
এই ব্লগে কিছু মানুষ ট্যাগ নিয়ে বসে থাকে সারাক্ষণ দান ধ্যান করার আশায়
ভাল থাকুন নিরন্তর।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
- কোটা খাবো, আমাকে কোটা এনে দাও
- আচ্ছা, ঠিক আছে ৭ তারিখে বেতন পাওয়ার পর কিনে দেবো
- না, আমার এখনই খেতে ইচ্ছে করছে, এখনি দিতে হবে।
- এই কয়টা দিন অপেক্ষা করলে কী হয়
- না। আমার এখনি খেতে ইচ্ছে করছে..!
অবশেষে ২১ তারিখে অফিস থেকে এডভান্স নিয়ে কোটা কিনে দেয়া হল।
এখন গো ধরে বসে আছে। বলছে, কোটা খাবো না, এপিটাইজারে ৯ পদ এনে দিতে হবে। শুধু সেগুলোই খাব।
অবশেষে এপিটাইজারের ৯ পদ আনা হল।
এখন আমরা কিছু খাব না। আসলে আমরা খিচুরি খাইতে চাইছিলাম।
- তাইলে এতদিন কোটা কোটা করে আমাকে এত কষ্ট দিয়ে কেন? কান্না করলা কেন
- আসলে আমরা খিচুরি খাইতে চাই। ‘খিচুড়ি’ রান্না করতেও চাই। চাই। (সংগ্রহিত)
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০১
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে আপনার মত কিছু লোক থাকার দরকার আছে- তাহলে হিটলারের মত মানুষদের মনস্তাত্বিক বিষয়টা অনুভব করা সহজতর হয়!
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা নয়, বারুদ।
সবকিছুরই একটা শেষ আছে, শেষ হতে হয়, যেমন একসময় শেষ হয় স্বৈরাচারের মেয়াদও।
প্রবল প্রতাপশালী স্বৈরাচার এরশাদের মেয়াদ ছিল ৯ বছর। সেটাও শেষ হয়েছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মেয়াদ ২০১৩-২০২৪, আজ ১৩ বছর। এটা কি অনন্তকাল চলবে? চলা কি সম্ভব?
এরশাদ খেয়েছিল নূর হোসেন, ডাঃ মিলনসহ মাত্র কয়েকজনের প্রাণ।
শেখ হাসিনা নিয়েছে ২৫০-এরও বেশি। স্বাধীন বাংলায় ভয়ংকর জুলাই-২০২৪-এর মতো নির্মম নৃশংসতা আর কোনোদিনই আসে নি।
শেখ হাসিনার নৃশংসতা সকল নির্মমতাকে ম্লান করে দিয়েছে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: একদম খাঁটি কথা বলেছেন। কিন্তু অনেকই চোখে মরিচডলা দিয়ে আছেন - তারা যেন কোনভাবেই দেখছেন না কিছু।
কি আজব সব মানুষ রে ভাই।
কাল এক স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা বললেন; লীগ এত শক্ত দল এই ছোটখাট পাতি আন্দোলনে লীগরে সরানো যাবে না। এইসন আন্দোলন লীগ পোছে না!!! বোঝেন ব্যাপারটা- কি দম্ভ!!
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২০১৩-২০২৪, আজ ১১ বছর
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ২০০৮ এর নির্বাচন ঠিক ঠাক হয়েছিল -সেজন্য ধরেন নি?
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রত্যেকটি ছবি একটি দ্রোহের কবিতা।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ- ছেলেটার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কেউ বলছে না - অনেক হয়েছে আর রক্তপাত চাই না,
শিক্ষকরা শুশীল বিজ্ঞজনরাও বলছেন না।
কিসের আন্দোলন?
যে আন্দোলনে কোন সুনির্দিষ্ট দাবি নেই। মূল দাবি আগেই মিটে গেছে।
আন্দোলনের আফটার এফেক্ট ড্যামেজ কোন মুল দাবী হতে পারে না।
ড্যামেজের দায় সবার। সরকার ও আন্দোলন কারি সবাই দায়ী।
এক লাখ সিম নিয়ে বহিরাগত যুবক ঢুকলো কারা। একই সাইজের লাঠি কারা সরবরাহ করল?
কিসের দাবিতে কেয়ামত নাযিল করে দিল? কারা?
তুচ্ছ কোটা জন্য শত শত মানুষের প্রান হারালো, এরপরও আরো রক্ত চাই?
নেতাহীন এ ইসু হীন আন্দোলন রক্তপাত কতদিন চালাবেন?
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: এত্তো এত্তো কিছু হইল আর আপনার রাষ্ট্রের সব চৌকস গোয়েন্দারা কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাইতে ছিল??
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গতকাল রাতেই আকাশ ব্যানার্জির ভিডিওটি দেখলাম।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: অন্য অনেকের চেয়ে ওর বাচনভঙ্গি ও তথ্যগুলো অনেক বেশি ভালো ও অথেনটিক মনে হয়।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪২
শাহিন-৯৯ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছে--
- কোটা খাবো, আমাকে কোটা এনে দাও
- আচ্ছা, ঠিক আছে ৭ তারিখে বেতন পাওয়ার পর কিনে দেবো
- না, আমার এখনই খেতে ইচ্ছে করছে, এখনি দিতে হবে।
- এই কয়টা দিন অপেক্ষা করলে কী হয়
- না। আমার এখনি খেতে ইচ্ছে করছে..!
অবশেষে ২১ তারিখে অফিস থেকে এডভান্স নিয়ে কোটা কিনে দেয়া হল।
এখন গো ধরে বসে আছে। বলছে, কোটা খাবো না, এপিটাইজারে ৯ পদ এনে দিতে হবে। শুধু সেগুলোই খাব।
অবশেষে এপিটাইজারের ৯ পদ আনা হল।
এখন আমরা কিছু খাব না। আসলে আমরা খিচুরি খাইতে চাইছিলাম।
- তাইলে এতদিন কোটা কোটা করে আমাকে এত কষ্ট দিয়ে কেন? কান্না করলা কেন
- আসলে আমরা খিচুরি খাইতে চাই। ‘খিচুড়ি’ রান্না করতেও চাই। চাই। (সংগ্রহিত)
দাবি ছিল স্বাভাবিক, কিন্তু ২০০+ লাশ আর হাজার হাজার জখমের বিনিময়ে তো কোটা চাইনি? রাজাকারের নাতি-পুতি বলে গালি দিলে কেন? তাও যোগ্য লোক দিলে চলে যে মহিলা নুরু রাজাকারের পোলারে বেয়াই বানাতে পারে সে আবার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মায়া কান্না করে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: ওনারে বুঝায় লাভ নেই। উনি ডাবল ডোজ মরফিন নিয়ে চেতনাহীন হয়ে আছেন।
কালবৈশাখী ভাইয়ের এই ঘোর যে কবে কাটবে বোঝা মুশকিল!!
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬
জটিল ভাই বলেছেন:
আমি সাজিদ বলেছেন: ব্লগে হত্যার বিচার চেয়ে ক্ষোভ দেখালে উগ্রবাদী ট্যাগ খাওয়া লাগে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগের শুরু থেকেই ট্যাগিং কালচার চলে আসছে।
এটা আর এমন কি চলতে থাকুক... টেনশন নিয়েন না
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: পুরোটাই পড়েছি। ছবিগুলো বাদ দিয়েছি। এতো রক্ত!!!
ভিডিওটা দেখেছি। ধন্যবাদ দেবার জন্য।
শেষ বাক্যটায় আমারও মনের কথা বলেছেন। আমিও আমার সাধ্যমত প্রতিবাদে সামিল হচ্ছি, লেখার মাধ্যমে। গুলির সামনে গিয়ে বুক পেতে না দিতে পারলেই যে আমি ভীরু বা সুবিধাভোগী, এমন কখনোই মনে করিনা।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: এত বড় লেখা ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমি ভিতরে যা ভন্ডামি না করে বাইরে তা প্রকাশ করার চেষ্টা করছি- এতে কেউ খোশ কিংবা নাখোশ হলে করার কিছু নেই।
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।
১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
শেয়ার করার জন্য শেরজাকে থ্যাংকস।
ঋষির লেখা কবিতা দুটো পড়লাম, খুবই ভালো লিখেছে।
আহা জীবন!!!
পোস্টমর্টেম না করে দাফন করলো কেনো?
এমন লেখার পরে খুনও হতে পারে।
কোন কিছুই এখন অসম্ভব না।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: আজ আপনার কথা ভাবছিলাম। অনেকদিন আমার ব্লগ বাড়িতে দেখি না আপনাকে। ভাবছিলাম যে আপনার কথা দু-চার লাইন লিখি, সৌভাগ্যক্রমে দেখি আপনি এসে গেছেন, ভালো লাগলো দেখে।
ওর পোস্ট মর্টেম হয়েছে কিনা ঠিকঠাক আমার জানা নেই হলেও হতে পারে- এমন খবর কোথাও পাইনি।
দেশে আছি আমাদের জন্য দোয়া রাইখেন জানিনা সামনে কি আছে।
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:৩৯
সোহানী বলেছেন: হায় আমার দেশ, হায় আমার সন্তানরা। কেন এমন করে ওদের চলে যেতে হচ্ছে। যাদের যাদুর বলে জেগে উঠবে দেশ আজ তারা বেনামী লাশ।............
খুব খুব কষ্ট হচ্ছে এ বাচ্চাগুলোর জন্য।
ভালো থাকুক দেশ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল থাকুন দেশ ভাল থাকুক বিশ্ব!
নিজের দেশ থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের ক্ষমতাসীন ও স্বৈরাচারদের বোধদয় হউক!
১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ওর মৃত্যুর খবড়টা কষ্ট দিল। প্রতিবাদ এর ভাষা ভিন্ন ভিন্ন হয় মানুষ ভেদে তাই যতটুকু পারছেন ততটুকুর জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মাইদুল ভাই। ভাল থাকুন -সুস্থ থাকুন। সব ঠিকঠাক হয়ে একদিন নতুন বাংলাদেশ পাবই আমরা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪২
আমি সাজিদ বলেছেন: আকাশ ব্যানার্জির বিশ্লেষণ ভালো লাগে।
ব্লগে হত্যার বিচার চেয়ে ক্ষোভ দেখালে উগ্রবাদী ট্যাগ খাওয়া লাগে।
ফুল লতা পাতা সেতু লেবু নিয়ে লেখার মতো সহনশীলতা দরকার!
প্রথম মন্তব্যটি মুছে দেন ভাই।