নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
মধ্যরাতে গিন্নী ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙাল। আমি ধড়মড়িয়ে উঠে বসতেই বলল, এলাকায় নাকি ডাকাত পড়েছে!
কাঁচা ঘুম ভাঙা চোখে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে ক্যাবলার মতো চেয়ে রইলাম তার দিকে।
বড় আপা ফোন করেছিল, মসজিদে নাকি মাইকিং করছে। এলাকার সব লোকজন বাইরে বেরিয়ে পড়েছে।
আমি দৌড়ে বারান্দায় গিয়ে দেখি, প্রায় সব বাসার সবগুলো আলো জ্বলছে। শুধু আমাদের এলাকায় নয়, আশেপাশের সব এলাকার মসজিদে ঘন ঘন আর্তচিতকারের মতো মাইকিং শোনা যাচ্ছে! তার মানে শুধু আমাদের এলাকায় নয়, বিশাল এলাকাজুড়ে আক্রমণ হয়েছে। রাস্তায় হৈ হুল্লোড়, বাইরে লাঠি হাতে শত শত মানুষ।
মিনিট দশেক পরে সাইরেন বাজিয়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি এসে উপস্থিত! তারা আগে থেকেই এলাকাভিত্তিক জরুরি প্রয়োজনের জন্য নম্বর দিয়ে রেখেছিল। সেটা এখন কাজে লাগল।
এমন একটা আশঙ্কাই করছিলাম। এর আগের রাতে মোহাম্মদপুরে এমন ডাকাতদের আক্রমণ হবার পর সারাদেশের লোক এলার্ট হয়ে গেছে। সবাই ছিল সতর্ক।
ভোর ৫:২৩ মিনিটে লাটু ভাইয়ের ম্যাসেজ পেলাম; দাদা, আমরা সারারাত ঘুমাইনি। বিরাট গ্যাঞ্জাম! এইমাত্র বাসায় যাই। রাতভর ডাকাত দাবড়াইছি। মোট আটজন ধরা পড়েছে, এরমধ্যে চারজন আমাদের মহল্লায়। সাবধানে থাকেন—ভাল থাকেন।
ভিডিওতে দেখলাম, এই ডাকাত দলের সর্দার নাকি নাহিদ নামের একজন। সে বিভিন্ন ছোট বড় অস্ত্র দিয়ে ঢাকা শহরে ৫০০ জন টোকাই, হিরোইনখোর, ছিনতাইকারী, পকেটমারসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িতদের ছিনতাই ও ডাকাতির জন্য নামিয়ে দিয়েছে! সত্যি হলে কী ভয়াবহ ব্যাপার! কত মানুষ কাল সর্বশান্ত হয়েছে, কে জানে!!
***
অথচ গতকাল সারাদিন রাস্তায় অভূতপূর্ব দৃশ্য ছিল! ছাত্র-ছাত্রীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে, বৃদ্ধ মানুষকে রাস্তা পার করিয়ে দিচ্ছে, অসুস্থ মানুষকে সেবা করছে, রাস্তা পরিষ্কার করছে। নোংরা দেয়াল লিখন মুছে ফেলে নতুন দিনের স্বপ্নের কথা লিখছে।
আর অন্যদিকে তাদের মায়ের মতো রমণীরা আর বাবার মতো পুরুষেরা এগিয়ে যাচ্ছে পানি, জুস, বিস্কুট, কেক হাতে। ফুটপাথ আর আইল্যান্ড স্তুপ হয়ে আছে পানির ক্রেট, জুস আর বিস্কুটের প্যাকেটে। কত মহিলাকে দেখেছি, নিজের বাচ্চার জন্য কেনা কোল্ড ড্রিংকসটা বাবুর হাত থেকে নিয়ে কড়া রোদে ট্রাফিকের কাজে দাঁড়িয়ে থাকা কচি কিশোর শিক্ষার্থীর হাতে দিয়ে গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করছেন। কত বেয়াড়া মোটরসাইকেল চালক অনুরোধে মাথায় হেলমেট গলিয়ে হাসি দিয়ে চলে যাচ্ছে। রিকশা চালকেরা উল্টো পথে এসেও নিজেই ভুল বুঝতে পেরে জিভে কামড় দিয়ে ফিরে যাচ্ছে। কখনো ঘর্মাক্ত ক্লান্ত বাস চালককে কিংবা ভ্যান চালককে ওরা নিজের হাতের পানি এগিয়ে দিচ্ছে। তখন তাদের সে স্বর্গীয় হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে নতুন এক বাংলাদেশের রূপ।
রাত দশটায় ওরা একে একে চলে গেল। আর অন্ধকারে হিংস্র শ্বাপদের দল নেমে এল চুপি চুপি…
যদিও আমি সব রকম হত্যা নির্যাতন খুন খারাপির বিপক্ষে তবুও এখন মনে হচ্ছে কার্ল মার্ক্স কথাটা খারাপ বলেন নি;
The Classes and the races too weak to master the new condition of life must give way.
They must perish in the revolutionary holocaust. -Karl Marx April 16 1858
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন- তাদের ধারনা নেই এ এক অন্য বাংলাদেশ!!
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আশা করি সব কিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।কিছু সুবিধাবাদী লোক সব সময় থাকে থাকবে।
তাদের ভুলের জন্য কোন অর্জন বৃথা যাবে না।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: এজন্যই তো ভয়ঙ্কর কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।
খবরে প্রকাশ; রাজশাহীর চিড়িয়াখানা লুট হয়েছে, কেউ একজন নাকি 'শকুন' টা পর্যন্ত নাকি নিয়ে গেছে। অবস্থা বুঝুন।
তাদের ভুলের জন্য কোন অর্জন বৃথা যাবে না। ~ সহমত। ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আক্ষরিক অর্থেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বসে পড়েছে, দেশে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। যে যাকে পড়ছে খুন করছে, লুটতরাজ, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি-চামারির মহা উৎসব চলছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হয় না আপনার কথা ঠিক। এটা একটা পরিবর্তনকালীন সময়- এখন এমন কিছু হবেই। সভ্য দেশেও এমনটা হয়। সুযোগ বুঝে চুরি ডাকাতি ছিনতাই করোনার সময়ে অনেক ইউরোপের দেশেও আমরা দেখেছি।
দেশ এখন অনেক শান্ত হয়ে এসেছে। মানুষ সজাগ আছে। এমন অঘটন খুব বেশী ঘটানোর সুযোগ হবে না আর।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আশা করি ডাকাতির এই সমস্যা আজ-কালের মধ্যে মিটে যাবে।
দিনের যে বর্ননা দিয়েছেন সেটা খুব আশা জাগানিয়া। এমন অভাবনীয় দৃশ্য গত ১৫ বছরে হয়ত কেউ কল্পনাও করেনি। ঢাকা শহরের রাস্তার মত সব অফিস আদালত, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, থানায় যদি এই ধরনের দৃশ্য দেখা যায় তাহলে আমাদের আর ভাবনা নেই। আমরা সেদিন দাড়িয়ে যাব।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও এমনটা আশা করছি। কাল সারাদিন বুক ভরে স্বাধীনতার নিঃশ্বাস নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। কি যে ভাল লেগেছিল আমাদের নতুন প্রজন্মের উচ্ছাস উদ্দীপনা দেখে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
দিনের যে বর্ননা দিয়েছেন সেটা খুব আশা জাগানিয়া। এমন অভাবনীয় দৃশ্য গত ১৫ বছরে হয়ত কেউ কল্পনাও করেনি। ঢাকা শহরের রাস্তার মত সব অফিস আদালত, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, থানায় যদি এই ধরনের দৃশ্য দেখা যায় তাহলে আমাদের আর ভাবনা নেই। আমরা সেদিন দাড়িয়ে যাব। ~ দারুন বলেছেন। হবেই, ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই।
আমার পরিবারের মেয়েরা কট্টর আওয়ামীপন্থী ( কেউ কেউ অনশন করে কান্নাকাটি করছে এমন অবস্থা!)- আর আমরা ছেলেরা(অধিকাংশ) আওয়ামীলীগের অপশাসনের বিরোধী। কাল কঠিন এক ডিবেট হল। পরিবারের বউরা ছিল আমাদের পক্ষে। চরম অবস্থা!! আমার এক বোন আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করেছে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে না। আমি বলেছি, বেঁচে থাকলে এক বছর পরে এই দিনে কথা হবে, যদি ইতিবাচক পরিবর্তন না হয় তবে আওয়ামীলীগের অপশাসনের বিরুদ্ধে আর আমি কোনদিন কথা বলব না।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: দিনে আন্দোলন রাতে ডাকাতি এমন কয়েক দিন চলবে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পরে কিছু বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ঙ্কর কিছু অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল বলে শুনেছি এবন যার পরিপ্রেক্ষিতে
রক্ষিবাহিনীর সৃষ্টি। এ ব্যাপারে আপনার মত অভিজ্ঞজনের কাছে কিছু শুনতে চাই।
যদিও এমন কোন অপকর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা করছে না বলে আমার বিশ্বাস।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫
বাউন্ডেলে বলেছেন: ২৪ এর ৫ই আগষ্ট, ৭১ এর ২৫ মার্চ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: বুঝি নাই
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫
রানার ব্লগ বলেছেন: চোর ডাকাইত গুলারে ঠ্যাংগানি দিয়ে গাছে ঝুলানো উচিৎ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: শুধু ঠ্যাঙ্গাইলে হবে না- এমন কঠিন কিছু শাস্তি দিতে হবে যাতে উদাহরণ হয়ে রয়- ভবিষ্যতে এমন কাজ করার আগে অপরাধীরা দশবার চিন্তা করে।
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
আরাফআহনাফ বলেছেন: সব কিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে,
এতো বড় অর্জনের পর কিছু ত্যাগতো অনিবার্য ছিলো - তবে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে এ অর্জন যেন লুন্ঠিত না হয় কোনক্রমেই।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: লুন্ঠনের চেষ্টা চলছে। বাড়া ভাতে ভাগ বসাতে আসছে অনেকজন- ক্ষমতার লোভ বড় লোভ রে ভাই, একদিনের অপেক্ষা সহ্য হয় না!
তারেকের মত মানুষ যদি জাতীয় বীর হয়ে বাংলাদেশে আসে তবে তার থেকে বেদনাদায়ক ব্যাপার আর জাতির জন্য কি হতে পারে।
কারো যদি আমার মন্তব্যে কষ্ট লাগে তবে; ব্লগের ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগের লেখাগুলো পড়ুন। এভাবে, বেঁচে থাকলে শেখ হাসিনাও একদিন মহান নেত্রী হয়ে দেশে ফিরবেন; বলে রাখলাম, তাকেও দেশনেত্রীর আসনে বসিয়ে পুজো করবে সবাই।
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: আমরা পুলিশকে যতই অপছন্দ করি না কেনন পুলিশ ছাড়া আমরা অসহায়। শেখ হাসিনা পুলিশকে এতোটা দলীয় করন করেছেন যে তার পতনের সাথে সবার আগে এই পুলিশী ব্যবস্থা ধসে পড়েছে । পুরো পুলিশ ফোর্স এখন কর্ম বিরতিতে । তারা যতদিন কর্মে না ফিরবেন এই অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: কর্মে ফিরলেও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক এক গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। যেসব উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা তাদের ফেলে চলে গেছে বা যাদের কমান্ডিং এ তারা গুলি চালাতে ও নির্যাতন করতে বাধ্য হয়েছে ও কিছু দল কানা বিশেষ এলাকার পুলিশ কর্মকর্তারা তোপের মুখে পড়বেন। পুরো ফোর্সের নিয়ম শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
তবু আশায় আছি ভাল কিছু হবে। অন্তত আগামী ২০ বছর পুলিশ কোন ছাত্রের বুকে গুলি করার আগে দশবার ভাববে।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: কেবল ছাত্র না, যে কারো বুকে গুলি চালানোর আগে তারা ভাববে ।
সব দলই পুলিশকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করে এটা সত্য । স্বাধীনতার পর থেকে চিত্র কিন্তু একই রকম । কিন্তু এইবার যেন আওয়ামীলীগ পুলিশকে ব্যবহার করেছে তেমননি ভাবে পুলিশও কিন্তু তাদের অতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে কাজ করেছে । হুকুম শুনে গুলি আর স্বইচ্ছেতে সরকার টেকানোর জন্য গুলি দুইটার ভেতরে পার্থক্য রয়েছে । পুলিশ নিজের আখের গোছাতে আওয়ামী সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে । তাদের কিছুটা তো ফেরৎ তারা পাবেই । কর্মফল বলে কথা !
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: অবশ্যই কিছু ভুলের জন্য খেসারত দিতে হয় না হলে শুদ্ধাচার হয় না।
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪
দি এমপেরর বলেছেন: স্বৈরাচার সরকারের দোসররা এসব টোকাই আর ছিঁচকে মাস্তানদের অরাজকতাকে হাইলাইট করে দেশের বদনাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এসব টোকাই মাস্তানদের এলাকাবাসী সবাই মিলে কড়া উত্তম-মধ্যম দিলে ডাকাতি করার খায়েশ চিরতরে মিটে যাবে। এলাকাবাসী সবাই সচেতন থাকলে এগুলো পালিয়ে কূল পাবে না।
আর আশা করি আজ থেকে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। সদ্য স্বৈরাচারমুক্ত দেশকে আরও একটু সময় দিতে হবে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হয় সঠিক গাইডলাইন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি পেলে এরাও পাল্টে যাবে।
১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রথমে বিসমিল্লাহ বলে স্বাধীনতা,
এর পরের মিনিটেই উদযাপন। বগল তলে দুই মুরগী নিয়ে লুটপাট শুরু।
তিনটা দিন খুন খারাপি মুর্তি ভাংগা লুটতরাজ, হিন্দু হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি-চামারির মহা উৎসব চলছে।
বার বার বলার পরও সেনাবাহিনী আসে না, কার্ফিউ দেয় না।
অতচ বিসমিল্লাহ শেষ হওয়ার পরই কারফিউ দেয়ার কথা, কিন্তু বার বার বিপদের কথা বলার পর শুধু দায়সারা কটা ফোন নং দিল।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর প্রধান বানালে আপনি কি করতেন?
১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোন সংঘঠিত রাজনৈতিক দল না।সরকার পতনের পর কি হবে এমন কোন ভিষণ তারা জনগনের মাঝে তৈরি করে নাই।অত্যাচার থেকে মুক্তি কিন্তু তার পর কি।
স্বাধীনতার পর ঠিক এমনটাই হয়ে ছিলো।।মুক্তিবাহিনী যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলো প্রতিদিন তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছিলো।তাই ছাত্র নেতারা দুই ভাগ হয়ে যায়।দেশ অরাজকতায় ভরে যায়।
এখানেও দিন যত অতিবাহিত হবে ছাত্রদের মাঝে অনৈক্য স্পষ্ট হতে থাকবে।এখনো পর্যন্ত শক্তিশালী গ্রুপ জামাত শিবির চক্র।আর্মিতেও তাই।আওয়ামী লীগ বিএনপি সহ অনেক দল আছে।তাদের সাথে ছাত্রদের দ্বন্দ্ব আছে।বিএনপির সাথে দ্বন্দ্ব প্রায় স্পষ্ট।আবার ছাত্রদের সাথে ইউনুসের অনেক বিষয়েই ঐক্য হবে না।সে চাইবে নতুন দল করে।
অন্তরজাতিক দ্বন্দ্ব এখানে প্রকাশ পাবে ধিরে ধিরে।তারা প্রত্যেকে চাইবে বাংলাদেশকে তাদের বলয়ে রাখতে।সেটার প্রকাশ অচিরেই ঘটবে।শেখ হাসিনা একটা ভারসাম্য রক্ষা করে চলছিলো।তেমন নেতা কে আছে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: আরেকটু আশাবাদী হতে দোষ কি- এত টেনশন নিলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ ওদের মত করে ওদের দেশ গড়তে দেন।
১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সব ছিচকা চোর, ডাকাত মুলত হিরইঞ্ছি বা টোকাই। এগুলি নিয়ে টেনশন করার কোন মানে হয় না।
দেশ একবারে ভালো হয়ে যাবে এমন আশা আমি করি না। ছাত্ররাই সব কিছু করে দেবে এমন আশাও করি না। তবে ছাত্রদের মনোভাব, একতা, উদ্যম এবং স্বদিচ্ছাকে আমি স্যালুট জানাই। ছাত্রদের কারণে মানুষের বিবেক জাগ্রত হয়েছে। কতদিন থাকবে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে ভুলে গেলে চলবে না যে এই ছাত্র সমাজের শক্তি অপরিসীম। হাসিনার মত হায়েনাকে তারা ধাওয়া দিয়ে ভারত পাঠিয়েছে। তাই বিএনপির দুষ্ট, রংবাজ আর ৪২০ রা ভয়ে থাকবে ছাত্রদের ব্যাপারে। বেশী বাড়াবাড়ি করলে আবারও হাসিনার মত অবস্থা হবে। যত যাই বলেন হাসিনার মত কূটবুদ্ধি, সাহস আর প্রতিহিংসার মনোভাব বাংলাদেশের আর কোন নেতার মধ্যে নাই। বিএনপি বা জামাত হাসিনার কাছে নস্যি ছিল। সেই হাসিনা যখন জামা কাপড় রেখে দিল্লী গিয়ে এখন থাকার স্থায়ী জায়গা পাচ্ছে না এই ঘটনা থেকে সকল রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসনের দুষ্টদের মনে কিছুটা হলেও ছাত্রদের সম্পর্কে ভয় সৃষ্টি হবে।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত।
দারুন কিছু পরিবর্তন আসবেই।
১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনার লেখাটা আগে পড়েছিলাম, আগে লগইন করা হয়নি...
সময়ের একটা ছবি হয়ে থাকবে লেখাটা। ভালো লাগলো, কারণ এই ছবি আমি দেখাব সুযোগ পাইনি! ছোট ছোট বাচ্চারা কিভাবে রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন সেটা যেমন দেখিনি তেমনি কোন ডাকাতি ও দেখিনি!
০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: ~ এই ছবিটা দেখুন; দুইজন সম্মানিত বয়স্ক মানুষ ওদের জন্য অনেক দুর থেকে এখানে গাড়ি নিয়ে এসে হাতে বয়ে খাবার দিতে যাচ্ছেন কি দারুন না দৃশ্যটা! দেশটা এভাবেই ধীরে ধীরে পাল্টে যাবে...
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই ভূখন্ডের ইতিহাস আশা ও আশাভঙ্গের ইতিহাস।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই- সেজন্য আমরা প্রায় সবাই চরম নৈরাশ্যবাদী। তবে আমি এখন বেশ আশাবাদি- কিছু ভুলচুক হবে তবে দারুন একটা পরিবর্তন আসবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
১৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান হবার পরে বাংলাদেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি।
যেহেতু বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর আছে সেই বিবেচনায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সম্মত নয়।
এখন কেউ যদি হাইকোর্টে রিট মামলা করে এবং হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক রায় দেয় তাহলে সরকার কি পদত্যাগ করবে?
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ফের একটিভ দেখে বেশ ভাল লাগছে। আগে বলুন শরীরটা কেমন যাচ্ছে??
আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া আমার সম্ভব নয়। একটা কিছু হচ্ছিল তবে ফের তেমন কিছু হবে না বলে আমার বিশ্বাস।
১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
জটিল ভাই বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপনাকে এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর প্রধান বানালে আপনি কি করতেন?
ভাই, যুদ্ধ কি শেষ? নাকি শুরু হবে?
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২২
শেরজা তপন বলেছেন: উঁনাদের কয়েকজনের জন্য শুরু।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৯
মনামী বলেছেন: ডাকাতরা বোধহয় জানে না Gen-Z রা রাতে ঘুমায় না