নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
প্রতিদিন চারিদিকে কতকিছু ঘটে- কতকিছুই না লিখতে ইচ্ছে করে, কিন্তু আমার খানিকটা ফুসরতের অভাব আর ব্লগাররা নিত্যদিন ভ্যাজর ভ্যাজর শুনে বিরক্ত হবেন বিধায় আর লেখা হয় না।
এই যে পরশুদিন সময় টিভির স্ক্রলে একটা খবর দেখে চোখ আটকে গেল; আমাদের এত বেশী উত্তেজক খবরের পেছনে সেটা চাপা পড়ে গেছে, কিন্তু বিষয়টা ভাববার মতঃ
''ফের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার সময়ে মিয়ানমায়ারের ড্রোন হামলায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত''
কেন হঠাত করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ব্যাপারে এত কঠোর হল?
***
এর আগেও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের তৎপরতা নিয়ে আমি লিখেছি। এখনো মিরপুরের প্রায় সব অপকর্ম ও নাশকতার মুলে থাকে ক্যাম্পের বিহারীরা (এটা আমি নিশ্চিত হয়েই বলছি)। ওদের মত রোহিঙ্গারাও আমাদের বিষফোঁড়া- আমার কেন যেন মনে হয় দশ বছর পরে চট্রগ্রামের বৃহৎ একটা অংশ ওরা দখলে নিতে বা দাবি করে বসতেও পারে। আমি এতটুকু নিশ্চিত যে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের গলায় আটকে দিয়ে ভারত-চীন বড় একটা গেইম খেলছে।
রোহিঙ্গা~ ভয়ঙ্কর বিষফোঁড়া!!! (সংবাদ বিশ্লেষন)
আমি একটা প্রস্তাব করছি; ধরুন আমরা ১৪ লক্ষ( কম-বেশী) রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিনিময়ে সেন্টমার্টিনে আমেরিকার ঘাটি স্থাপনের সুযোগ দিলে কেমন হয়? (আমি কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক নই, এটা শুধু আমার ভাবনা- ভুল ভ্রান্তি থাকলে ধরিয়ে দিবেন)
* ২০ বছর আগে ও ইদানিং যারা সেন্টমার্টিন ভ্রমনে গিয়েছেন তারা জানেন; এই প্রবাল দ্বীপটা এমনিতেই আমরা ধ্বংস করে দিচ্ছি।
আসুন আমরা একটু আলোচনা করি; ধরুন সেন্টমার্টিনে আমেরিকান ঘাটি স্থাপন করতে দিলাম আর বঙ্গোপসাগর জুড়ে( আমাদের অধিকারভুক্ত এলাকা) তাদের নৌবাহিনীকে মহড়া ও টহল দেবার সুযোগ দিলাম তাহলে ভবিষ্যতে আমরা কি কি সুবিধা ও অসুবিধায় পড়তে পারি? ওরা এখানে থাকলে কি আমরা চীন ও প্রতিবেশীর সাথে সু-সম্পর্ক রাখতে পারব না?
মনে রাখবেন ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সু-সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের জনগনের সাথে নয়, এখানে দেয়ার পাল্লা অনেক বেশী ভারি ছিল।
আর চীনের কথা কি বলব; ওরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। জাতিগতভাবে ওরা কেমন তা নিয়ে আলোচনার দরকার নেই তবে ওদের পররাষ্ট্রনীতি সম্ভবত ভয়ঙ্কর( এটা তাদের শত্রু রাষ্ট্র থেকে বন্ধু রাষ্ট্রর জন্য আরো বেশী প্রযোজ্য বলে আমার মনে হয়, তবে চীনের আমাদের প্রয়োজন।)
আর একটা ব্যাপার; ধরুন আমেরিকা ফের আমাদের পোশাক শিল্পে জিএসপি দিয়ে চীনের গার্মেন্টস পণ্যের উপর ট্যাক্স বাড়িয়ে দিল,তাহলে কেমন হয়?
আক্রমানত্মক মনোভাব নিয়ে নয় আসুন এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করি ....
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: মানবিকতার কথা বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থে আপনার কি মনে হয় রোহিঙ্গাদের এভাবে আশ্রয় দেয়া ঠিক হয়েছে?
এখন এইটার সমাধান কি? আমরা অধিকাংশ বাংগালী পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছি, আত্মাকে বিক্রি করে ফেলেছি। এরপরেও কিছু ভালো মানুষ তো আছে না কি! নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে ওই তিন দেশকেই আমাদের সহযোগি হিসেবে দরকার। কুটনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে কিভাবে এগুলো ভালো হবে বলে আপনার মনে হয়?
২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: যদি পুরো ভারত অকুপাই করে আমাদেরকে দিয়েও দেয়, তারপরেও আমরা সেন্ট মার্টিন কেন - ছেঁড়া দ্বীপেও আমারিকাকে বাস করতে দেবোনা। এইদেশের প্রতি ইঞ্চি জমির উপর কেবল বাংলাদেশীদেরই বিচরণ থাকবে।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: ভারত কেন আমরা আরাকানের দিকে নজর দিতে পারি
কোন দখল নয় কোন ছাড় নয় তবে কিভাবে ভারত ও চীনের সাথে দরকষাকষি ও রোহিঙ্গাদের
প্রত্যাবর্তনের সমস্যার সমাধান করতে পারি? আবার এটাও ঠিক আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশকে আমরা গালি দিয়ে তাদের সাথে শত্রুরা সৃষ্টি করে ভালো থাকতে পারবো না। কি বলেন?
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য চীনের সাথে বোঝাপড়া জরুরি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেকে দেশের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
ভারত তো ১৯৭২ সালে সৈন্য রাখতে চেয়েও পারে নি। বঙ্গবন্ধুর এককথায় লজ্জায় পড়ে ইন্দিরা গান্ধী সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ডঃ ইউনুস রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিশেষ কিছু করতে পারবেন না।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য চীনের সাথে বোঝাপড়া জরুরি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেকে দেশের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ~ কথার সাথে একমত।
ডঃ ইউনুস রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিশেষ কিছু করতে পারবেন না। ~উনাকে এ ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন করছেন না কিংবা করলেও এ নিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের উপরে মিয়ানমারের ড্রোন হামলা একটা সিগনিফিকেন্ট সাইন দিচ্ছে।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১২
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার ভাবনাশক্তি খুবই সীমিত; কি হচ্ছে সেটা বুঝেন না, কি হতে পারে উহা বলা আপনার পক্ষে সম্ভব হবেনা।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার সীমিত ভাবনা সত্যি নিয়েই আমাকে থাকতে দিন।
আপনার অসীম ভাবনা শক্তি আমার সাথে শেয়ার না করলে আমি খুশি হব।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭
রবিন_২০২০ বলেছেন: আমেরিকা কি সেন্ট মার্টিন চেয়েছে বা কোনো ধরণের আগ্রহ দেখিয়েছে? সেন্ট মার্টিন কি মার্কিন বেস বানানোর জন্য উপযুক্ত? এক মাত্র বাচাল হাসিনা ছাড়া আর কোথাও কেউ এই রকম দাবি তো করছে না। যদি সত্যিই আমেরিকা আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে তাহলে দিয়ে দেওয়াই ভাল। হয়তো বিনিময়ে আরো ভালো কিছু পাওয়া যাবে।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: এটা তো একটা দারুন প্রশ্ন বটে। তবে অনেক জ্ঞানী গুণী ভু-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনটা ধারণা করেন।
ভারত নিজেদের স্বার্থে অনেক জুজুর ভয় দিয়ে দেখেছে আমাদের এটাও একটা ব্যাপার!
আমেরিকা ঘাঁটি করার জন্য যদি আমাদের অঞ্চল বেছে নেয় তাহলে আমি এটাতে সমস্যা বেশি কিছু দেখি না। দেশের যা বাঁশ দিয়েছেন আমাদের মহান নেতা-নেত্রীরা এর থেকে আর বেশি খারাপ কি হবে।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইহার ভালোমন্দ দুই দিকই আছে। আমেরিকার যেখানে যেখানে ঘাটি আছে সবাই ওদের সাহায্য সহযোগীতায় অনেক উন্নতী করেছে । তাদের রাজনীতিকরা দেশের স্বার্থে চুক্তি করেছে আমাদেরা নিজের স্বার্থে চুক্তি করবে। সমস্যা এটাই তাছাড়া চীন ও ভারত নাখোশ হবে যুদ্ধ লাগলে আমার হবো খেলার মাঠ।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা হল আমরা নিজেদেরকে খুব হেডাম ভাবি। ভাবটা এমন যে, বিশ্বের সব সুপার পাওয়ারগুলো আমাদের কেনার জন্য কামড়াকামড়ি করছে। কেন কি কি জন্য সেটা ভাবতে নারাজ।
ইহার ভালোমন্দ দুই দিকই আছে। আমেরিকার যেখানে যেখানে ঘাটি আছে সবাই ওদের সাহায্য সহযোগীতায় অনেক উন্নতী করেছে । তাদের রাজনীতিকরা দেশের স্বার্থে চুক্তি করেছে আমাদেরা নিজের স্বার্থে চুক্তি করবে। ~ আপনার এই আলোচনা অযৌক্তিক নয়। ধন্যবাদ
৭| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:০৫
রবিন_২০২০ বলেছেন: মার্কিনিদের বেস এ এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং সাবমেরিন ভেরার সুযোগ থাকতে হয়। মনে হয়না সেইন্ট মার্টিন এর আশে পাশে পানি যথেষ্ট গভীর।
১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ওসব ডিপ সি-তে করার সুযোগ তো আছে নাকি?
৮| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬
রাসেল বলেছেন: আমরা অবশ্যই মানবিকতার কথা বিবেচনা করব। পাশাপাশি দেশের স্বার্থ, ভবিষ্যৎ পরিণতি বিবেচনা করতে হবে। দেশের পররাষ্ট্র নীতি কি তা(দেশের স্বার্থ, ভবিষ্যৎ পরিণতি) বিবেচনা করেছে?
আপনার মতো আমিও বলতে চাই, আত্মার সংশোধন দরকার। যার জন্য বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থার সংশোধন প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র নীতিতে আমরা শক্তিশালী দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবো দেশের স্বার্থে। এর অন্যথার লক্ষ্য আপনার আমার সকলের জানা।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের মত ছোট দেশের সর্বপ্রথম স্বদেশের মানুষের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। যে কোন শরনার্থীকে দেশে ঢুকতে দেবার আগে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ন সাহায্য সংস্থাকে সম্পৃক্ত করা উচিৎ - অবশ্যই বিশ্ব মোড়লদের সাথে চুক্তি ছাড়া সামান্যতম দায় দায়িত্ব এই ব্যাপারে না নেয়া দরকার ছিল।
এর আগের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেইনি। মুসলিম বলে আদর করে সহানুভুতি মানবিকতা দেখিয়ে বিহারিদের সমাদর দেখিয়ে ঘরে তুলেছিলাম, কিন্তু কেউ ওদের দায় নেয়নি। এখনো আমরা ওদের বোঝা টানছি। পৃথিবীর কোন দেশই এই নিয়ে ভারতের দিকে আর আঙ্গুল তোলে না। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার নাটক করে ওরা এদের উগড়ে দিয়ে বেঁচে গেছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৯| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশ অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের উপরে মিয়ানমারের ড্রোন হামলা একটা সিগনিফিকেন্ট সাইন দিচ্ছে।
এটার তো অন্য মিনিং থাকতে পারে। যা হয়তো আমরা বুঝতে পারতেছি না।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১২
শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে অন্য কিছু- কিংবা এটা মিয়ানমার সামরিক জান্তার হামলা না-ও হতে পারে। সময় সব বলে দিবে।
১০| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: রেহিঙ্গাদেরকে হাসিনা আশ্রয় দিয়েছিল শুধুমাত্র নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার আশায়। তাদের নিয়ে সরকারের কোন পরিকল্পনাই ছিল না। এখন যে ড্রোন হামলা হয়েছে, এটা কারা করলো? সরকার নাকি আরাকান আর্মী? এটা নিশ্চিত না হলে কিছু বলা মুশকিল।
আর সেন্ট মার্টিন নিয়ে পতিতা হাসিনার কথাবার্তা হলো স্ট্যানবাজি আর মিথ্যাচার। আসলে, বাংলাদেশের সামরিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক বিশ্লেষকেরা ১৯৮০-এর দশক থেকেই বলে আসছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের আকার, আকৃতি, অবস্থান ও গঠন এই দ্বীপে কোনো ধরনের ঘাঁটি বানানোর উপযোগী নয় (কমোডর কাজী ইমদাদুল হক, কন্ট্রোভার্সি সারাউন্ডিং দ্য এলেজড লিজ অব সেন্ট মার্টিনস আইল্যান্ড, দ্য সিকিউরিটি, ৬ আগস্ট ২০২৩)।
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: রেহিঙ্গাদেরকে হাসিনা আশ্রয় দিয়েছিল শুধুমাত্র নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার আশায়। তাদের নিয়ে সরকারের কোন পরিকল্পনাই ছিল না ~এছাড়াও কিছু দল ও গোষ্ঠীর চাপ ছিল। আমার মনে হয় ভারত ও চীনের চাপও ছিল।
ড্রোন হামলা করেছে কারা সেটা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমও কিছুটা দ্বিধান্বিত।
সেন্টমার্টিন নিয়ে আমিও কিছুটা জানতাম তবে আপনাদের কাছ থেকে আরো তথ্য জেনে নিশ্চিত হচ্ছি। ধন্যবাদ তথ্যের জন্য।
*একটা প্রশ্নঃ আচ্ছা বলুনতো বাংলাদেশে ফেরার আগে তারেক জিয়ার কি কি আইনি সমস্যার মোকাবিলা করতে হতে পারে? দেশে ফেরাটা তার জন্য কি সহজ হবে?
১১| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০৫
জটিল ভাই বলেছেন:
বড় ভাই, আপনার পোস্ট পড়ে আমার মাথায়ও একটা প্রস্তাব আসলো। আমরা যে অলস তাতে ইনকাম করা খুব কঠিন। তাই দেশটা ভারতের কাছে ইজারা দিলে কেমন হয়? দেশ নিয়ে এতো ভাবতে হবেনা। বরং ইজারার টাকায় সবাই বসে-বসে খাবো। মন্দ হবে কি?
১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই প্রস্তাবটা মাথায় থাকল। প্রধান উপদেষ্টার সাথে কখনো দেখা হলে পেশ করব
১২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিহারীরা যেমন বর্তমানে গুরুত্বহীন একই ভাবে রোহিঙ্গারাও তেমন বড় কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ওদেরকে ক্যাম্পে না রেখে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন অংশে ভাগ করে দিতে হবে। যেমনটা আমরা করেছি বিহারীদের সাথে। এক জায়গায় রাখলে সমস্যা তৈরি করবে। চিন এবং ভারত দুই দেশই রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের সাথে মজা করছে। এটা ঠেকাতে হলে বাংলাদেশে অ্যামেরিকার প্রভাব বৃদ্ধি করতে হবে। হাসিনা চীন এবং ভারত উভয়ের বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও ওরা কোন সাহায্য করেনি এই ব্যাপারে। করবেও না। বাংলাদেশের উপর চিন বা ভারতের প্রভাব কমাতে হলে অ্যামেরিকার সাথে দোস্তি করতে হবে। রাশিয়ার সাথে দোস্তি করেও কোন লাভ হবে না।
আপনার লেখার পরের অংশ পড়ার আগেই আমি উপরের কথাগুলি লিখেছি। পরের অংশ পড়ার পরে দেখি আপনি অনেকটা সেই কথাই বলেছেন যা আমি বলতে চেয়েছি।
চিনের সাথে অর্থনীতিতে অ্যামেরিকা পারবে না ভবিষ্যতে। সেই লক্ষণ এখন সুস্পষ্ট। গার্মেন্টস চিনের মূল ব্যবসা না। ওদের হাজারো আন্তর্জাতিক ব্যবসা আছে। তাই অ্যামেরিকা কখনও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনের সাথে পারবে না। আর সামরিক শক্তি প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে না। কারণ চিন নিজেই পরাশক্তি।
১৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩১
করুণাধারা বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছেন দেখতে আসলাম। অবশ্যই আমার একটা মত আছে, কিন্তু আরো কিছু মন্তব্য পড়ার পর আমার মত জানাবো।
১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:০২
এইচ তালুকদার বলেছেন: #আমার সারা জীবনে কখনোই মনে হয় নি যে আমেরিকা আমাদের সেইন্ট মার্টিন নিয়ে বিশেষ কোন মাথাব্যাথা আছে। আর আমেরিকার কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা তো একসময় পাকিস্থান ও অনেক পেয়েছে এখন পাচ্ছে নিয়মিত ড্রোন হামলা।
# ভারত বৃহৎ প্রতিবেশী,তাই ভারতের সাথে ভালো সম্পর্ক না থাকলে বাংলাদেশ এর টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে যাবে। তবে এই ভালো সম্পর্কের দাম কখনোই দেশের সার্থ বিরোধী কোন চুক্তি(সমুদ্র বন্দর,ট্রানজিট বা নিম্ন মানের পন্য) হতে পারে না
# চীন এর উদ্যেশ্য নিয়ে আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত। সীমিত সামর্থ নিয়েই চীন যেভাবে প্রতিবেশী দেশ গুলর উপর হম্বিতম্বি করে সেটিকে আমাদের একটি দুরবর্তী আশনি সংকেত হিসেবে দেখা উচিত।
# আগামী তিন থেকে পাচ বছরের ভেতর গার্মেন্টস শিল্প এর উপর আমাদের নির্ভরতা না কমাতে পারলে দেশের সামগ্রিক অর্থনিতিই হুমকির মুখে পড়বে।
# রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনেকেই শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করতে চান, যদিও শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের এদেশে আসতে দেয়া তার সিদ্ধান্তেই হয়েছে তবে রোহিঙ্গাদের এদেশে ডুকতে দেয়া নিয়ে আল জাজিরার হাহাকার,সাক্ষাতকার এই বিষয়ে অনিচ্ছুক হাসিনাকে আক্রমন। এদেশের বিশেষ একটি সম্প্রদায় এর দুটো করে বিয়ে করে রোহিঙ্গা মেয়েদের একটা হিল্লে করে হলেও এদেশে থাকতে দেবার আকুতি তো নিজের চোখেই দেখেছি, এমনকি উপজাতিদের মিয়ান্মার এ পাঠিয়ে সেই জায়গায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন তো একসময় প্রায় জাতিয়(ফেসবুক নেশন) দাবীতে পরিনত হয়েছিলো।
# চীন আর আমেরিকার সার্থ যে কতভাবে একসাথে জড়িত সেটি আমাদের পক্ষে স্পষ্ট ভাবে বোঝা সম্ভব নয়। তাই আমেরিকা এমন কিছুই করবে না যা চীনের সাথে তার সম্পর্ক খারাপ করবে।
# আমাদের দেশের নিরাপত্তা (ভেজাল খাদ্য থেকে শুরু করে পাসপোর্ট, জাল টাকা থেকে মাদক পর্যন্ত) সংশ্লিষ্ট সবগুলো সেক্টর এর দুর্নিতি অনিয়ম এর সাথে বিহা* রা সরাসরি জড়িত।
১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মেহবুবা বলেছেন: আন্তর্জাতিক কুট কাচালি আর চক্রান্ত কি যে ভয়ংকর সেটা দৃশ্যমান গাজায়।
পৃথিবীতে শান্তি বলে একটা বিষয় ছিল; কেবল মনে নয়, ঘরে,দেশে এবং বিশ্বে। এখন সেটা কেবল আভিধানিক।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১২
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ -আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত।
ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬
রাসেল বলেছেন: আমাদের নিজেদের মধ্যেই গলদ। আমরা নিজেরাই চোর, বাটপার, লুইচ্চা, হারামজাদা, বদমাশ, এক কোথায় সকল খারাপ গুণের অধিকারী। অন্য দেশকে (আমেরিকা, ইন্ডিয়া, রোহিঙ্গা) দোষ দিয়ে নিজের দোষ আড়াল করি। আমাদের দেশের সরকার ইচ্ছা করেই দেশের বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা ইত্যাদি খারাপ করে রেখেছে, যাতে প্রভুদের (আমেরিকা, ইন্ডিয়া, চীন, রাশিয়া) সুনজর নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারে, আখের গুছাতে পারে। "কুকুরের বাচ্চা" গালি হিসাবে ব্যবহার না করে, নতুন কিছু ব্যবহার করা উচিত।
১ম প্যারার শেষ বাক্যে অন্য কোন উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার না করার জন্য খুবই দুঃখিত।