নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ঘটনা ১
নামকরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনায় যুক্ত আমার প্রবাসী বন্ধু ফোন দিয়েছিল। বদরুদ্দিন ঊমরের ভাবশিষ্য আর আনু মোহাম্মদের ছাত্র সে পাক্কা সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার পাশাপাশি ভীষন উদার চিন্তাধারার মানুষ সে, তার গিন্নীও ডক্টরেট শেষ করে অধ্যাপনায় যুক্ত- সেই মেয়েও আমাদের রোডে থাকত, তাকে ছোট বেলা থেকেই চিনতাম!
আমার বন্ধু ডঃ ইউনুসকে অপছন্দ করে। তার কথায় তিনি স্বার্থপর ও ধান্দাবাজ- বাংলাদেশের কোন দুুর্যোগেই সে দুই টাকা সাহায্য করে নাই। সে একজন পুরোদস্তুর ব্যাবসায়ী মানুষ, একজন ব্যবসায়ীর দ্বারা দেশের সেই লেভেলের ভাল কিছু আশা করা বোকামী হব
সে মূলত ক্ষিপ্ত আনু মোহাম্মদকে সঠিকভাবে না মুল্যায়ন করায়।
ওদের দুজনেরই একাডেমিক বন্ধুবান্ধবের অনেকেই ক্যাডার সার্ভইসে যুক্ত! তাদের কয়েকজনের সাথে দু'জনে কথা বলে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ হতাশ। ছাত্ররা রাস্তায় ট্রাফিকিং করছে, দেয়ালে গ্রাফিতি বা আলপনা আঁকছে, অল্প বয়সের পুলাপান রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার নিয়ে বেশী মাত্রায় নাক গলাচ্ছে- এর সবই বেশী বাড়াবাড়ি মনে হয়।
এর মধ্যে একজনের নাকি একদিনেই ছয়বার গাড়ি থামিয়ে তল্লাশী করেছে; সে তো মহা খাপ্পা!
আমার বন্ধু আবার প্রাক্তন সহকারী সচিব ছিলেন। এখনকার অনেক সচিব পর্যায়ের ব্যাক্তি আছেন যারা তার একাডেমিক মেট বা বন্ধু। ওর ধারনা এই বাচ্চা পুলাপানদের কথা প্রথম দুই-চারদিন সচিবরা মানবে কিন্তু একসময় ওরা এদের পাত্তা দিবে না।
এবার আমার বলার পালা; আমি গ্রাউন্ড থেকে বলছি, বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে আমার উচ্চ ধারনা ( আমি মাস ছয়েক আগে বর্তমান প্রজন্ম ও আমাদের প্রজন্ম ব্যাবধান নিয়ে একটা নিবন্ধ লিখেছিলাম কিন্তু সেটা ব্লগে প্রকাশ করা হয়নি।) বেশ খানিকটা বাদ প্রতিবাদ করে আমি জোর দিয়ে বললাম, দেশে পজিটিভ চেঞ্জ আসবেই।
কিন্তু সে আমাকে চ্যালেঞ্জ করল 'নো ওয়ে'!!
ঠিক আছে 'চ্যালেঞ্জ'!
( সামনের ১৬ই ডিসেম্বরে আমাদের সাথে ফের কথা হবে- বাজিটা বেশ বড়। সেটা হল বিরিয়ানি খাওয়া কিন্তু কথা হল; আমি হারলে তাকে বিমান ভাড়া দিয়ে এদেশে এনে বিরিয়ানি খাওয়াতে হবে আর সে হারলে আমাকে তার ওদেশে নিয়ে গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়াতে হবে।) ~ রিস্ক নিয়ে ফেললাম নাকি কি বলেন?
****
বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটা প্রাক্টিক্যাল জোকস শেয়ার করি সংক্ষেপে, যেটা ফেসবুকে বেশ সমাদৃত হয়েছে। ( মুল ভাব ঠিক রেখে পুনর্লিখিত)
~ দুই বন্ধু বের হয়েছে দেশের হাল হকিকত দেখতে। রাস্তা বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাচ্চারা রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করছে, ময়লা দেয়ালগুলো ধুয়ে মুছে রঙ করে চমৎকার সব গ্রাফিতি আঁকছে; দেখে তাদের চোখে জল এসে গেল! এ এক নতুন বাংলাদেশ- এমন দেশের ছবিই তো তারা কল্পনায় এঁকেছিল।
একটা ছেলে হেলমেট ছাড়া মটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। তাকে রাস্তায় থামিয়ে অভিনব এক শাস্তির ব্যবস্থা করল। ছেলে মেয়েরা বলল, ভাইয়া আপনার শাস্তি হল আমাদের সাথে দুইঘন্টা ট্রাফিক কন্ট্রোল করবেন।
~দেখেছিস দোস্ত কি ইনোভেটিভ এরা। এমন চমৎকার শাস্তির বিষয় আমাদের কখনো মাথায়ই আসেনি। ঘুষ দুর্নীতি দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। আহারে আমার সোনার বাংলা; এই প্রজন্মের হাত ধরেই গড়ে উঠবে সপ্নের দেশ।
~ চল ওপারে যাই গিয়ে দেখি বাচ্চা পুলাপান কি তেলেসমাতি দেখায়?
হেটে হেটে তারা দুজন রাস্তা পার হতেই, একজন স্টুডেন্ট তাদের সামনে এসে দাড়াল।
~ আঙ্কেল, ফুট ওভার ব্রিজ থাকতে আপনারা এখান দিয়ে পার হলেন কেন।
দুই বন্ধু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে তখন। একজন তড়িঘড়ি বলল, আমার কোমড়ে ব্যাথাতো তাই সিড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠতে পারি না।
ছেলেটা অমায়িক হেসে বলল~ তাই।
এরপর তার এক সহযোগীকে ডেকে দুটো ঝাড়ু দুজনের হাতে দিয়ে বলল, ওই ফুট ওভার ব্রিজের সিড়িগুলো ঝাড়ু দিয়ে আসেন জলদি- দেখবেন আপনার কোমড় ব্যাথা সেরে গেছে। প্রমিজ
খানিক বাদে ... দুই বন্ধুর কথপোকথন;
~দেখছিস পুলাপান গুলা কি পুংটা?
~হ আর কইছ না।
~পিচ্চি পিচ্চি পুলাপান - মুরুব্বীদের কোন সম্মানই করে না।
~একদম ঠিক দোস্ত
~এদের দিয়ে কি হবে- কচু দেশের উন্নতি হবে। দুইদিন লাফালাফি পারবে- রাস্তায় মানুষের ভোগান্তি বাড়বে তারপরে যেই লাউ সেই কদু।
~হ দোস্ত একদম খাটি কথা। আরে গাধাগো দিয়া কি হাল চাষ হয় নাকি?
~এইগুলা কোন আর্ট হইল? কাউয়ার ঠ্যাং বকের ঠ্যাং আকাইছে - দেশটারে পুরা জঙ্গল বানাইতেছে।
হ আমার তিন বছরের মাইয়াও এর থেকে ভাল আকে। বাংলাদেশের সব্বাই এখন আর্টিস্ট হয়ে গেছে।
*****
আমি আশুলিয়া বিরুলিয়া নবীনগর সাভার হয়ে এ কদিন ইচ্ছে করে ঘুরে ঘুরে আসা যাওয়া করেছি। সবখানেই সমান উদ্দীপনায় এরা রাস্তা সামলাচ্ছে, পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে- আর রোড ডিভাইডার ও রাস্তার পাশের যত খালি দেয়াল সবখানে কাঁচা -পাকা হাতে গ্রাফিতি আকছে। আমি নিশ্চিত পৃথিবীর কোথাও একযোগে এত লক্ষ এমেচার অঙ্কনশিল্পী পুরো দেশটাকে রঙ্গীন করে দেয়নি।
কত কিছু দেখি আর হৃদয় পটে সব ছবি এঁকে রাখি। ব্লগারদের সব কথা বলা হয় না।
করুনাধারা আপার মত আমার গিন্নীর মেট্রো নিয়ে ভীষন আবেগ। মেট্রোর পিলারে কেউ একটা পোস্টার লাগালে তার চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসে। মিরপুর জুড়ে মেট্রোর সব পিলারে গ্রাফিতি আঁকায় সে বেশ বিরক্ত।
আমি আমার মেয়ের আর্ট খাতাটা এনে পাতা উল্টে তার আঁকা একটা পেইন্ট দেখিয়ে বললাম;
কেমন এঁকেছে এটা?
সে বিগলিত হেসে বলল, ওর ন্যাচারাল টয়ালেন্ট আছে। আমি ভাবছি ওকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দিব।
আমি ফের জিজ্ঞেস করলাম, তোমার কাছে ওর এই আর্টটা কেমন লাগছে?
~ সেটা আর বলতে হয় নাকি- কি দারুন এঁকেছে দেখেছ!
~ তোমার কি মনে হয় গাছে পাতা আর নদীর পানি ঠিকঠাক আছে। গাছের পাতা এমন হয় আর কখনো এই টাইপের নদী দেখেছ?
~ আরে রাখতো বাচ্চা মেয়ে যা এঁকেছে তা-ই যথেষ্ঠ।
এই তো লাইনে আসছ। ভেবে নাই ওরা আমাদেরই বাচ্চা-কাচ্চা। কি ভীষন আবেগ দিয়ে ওরা সব আঁকছে দেখেছ? যে বাচ্চাটা কোনদিন একা গেটের বাইরে পা রাখে নি, মা মুখে না তুলে দিলে খায় নি। যাদেরকে আমাদের নতুন পৃথিবী একান্ত স্বার্থপর বানিয়ে রেখেছিল- তারা আজ দেখ কাধে কাধ মিলিয়ে রোদ বৃস্টিতে কাদা আর ধুলোয় মাখামাখি হয়ে, ঘামে নেয়ে একাকার হয়ে, চাদা উঠিয়ে কিংবা বাপ মার কাছ থেকে আবদার করে টাকা নিয়ে জীবনের প্রথম বাজারে গিয়ে রঙ তুলি কিনে দেয়ালে দেয়ালে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্য্যে ছবি আঁকছে। তাদের এই আবেগকে কেন অবমুল্যায়ন কর তুমি।
এক মেয়েকে দেখলাম উঁচু হয়ে আর্ট করছে, আরেক বন্ধু কোমড়ের কাছে তার জিন্সের প্যান্ট তুলে ধরে রেখেছে যেন সেটা খুলে না পড়ে।
ইংলিশ মিডিয়ামের একদল ছেলে মেয়ে রাস্তার বহুদিনের পচা আবর্জনা পরিস্কার করছে দেখে কৌতুহলে কাছে এগিয়ে দেখি তারা বমি ঠেকানোর আপ্রান চেষ্টা করছে। ~আমি নিশ্চিত এদের অনেকেই তেলাপোকা দেখে হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে যায়।
নীচের মানচিত্রগুলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই কটুক্তি করেছে। এধরনের মানচিত্র কেন আঁকতে হবে এ নিয়ে অনেকে ধমকের সুরেও কথা বলেছেন। কিন্তু ওরা দমে যায়নি- এসব নিয়ে ওরা চমৎকারভাবে স্যাটায়ার করেছে;
~ এই ছবির শিরোনাম ছিল; এমন মানচিত্র আঁকবা যাতে পাশের দেশের বুকে কাঁপন ধরে যায়!!!
***
কাল সাভার হয়ে আসার পথে তিনবার গাড়ি ছাত্রদের চেকিং এর মুখে পড়েছিল। কেউ বলে বড় ভাই, কেউ আঙ্কেল আর কেউ স্যার, আমি বেশ মজা পেয়েছিলাম- ওরা বার বার স্যরি বলায় বেশ লজ্জাই পেয়ে গেলাম। তৃতিয়বার চেক করার পরে একজনের কাছে চেকিং এর টিকেট চাইলাম; সে আমাকে একটা আইডি কার্ড বের করে ছবি তুলে নিতে বলল; ( আইডিয়াটা মন্দ নয়।)
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ওদের জন্য শুভকামনা।
ভাবি নাই এই জনমে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি পাব- ধারাবাহিকতায় এরা সতেই থাকবে বলে ভেবেছিলাম। এখন অন্য কিছু ভাববার সময় এসেছে।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: বদরুদ্দীন উমর কোন কমিউনিষ্ট না।আমিও কোন কমিউনিষ্ট না।কমিউনিষ্ট মতবাদের সমর্থক।কয়েকদিন আগে তার একটা বক্তব্য শুনে মনে হয়েছিলো সে নাস্তিক।সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস করে না।
যে কমিউনিষ্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী বা সদস্য সেই কমিইনিষ্ট।একটা দেশে একটাই কমিউনিষ্ট পার্টি থাকে।বাংলাদেশে এই মুহুর্তে কোন কমিউনিষ্ট পার্টি নাই।পাটি গঠনের প্রক্রিয়ায় আছে অনেকেই।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় বিশ্বাসী লিখলাম- ওকে?
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
শায়মা বলেছেন: আমি এসব দেওয়াল চিত্র দেখে মুগ্ধ!!! সব আঁকাগুলোই সুন্দর লাগে আমার!!! আমি ভেবেই পাইনা এত ক্রিয়েটিভিটি চেপে রেখে ঘুরে বেড়ায় ওরা!
পুরাই সেই গান
মাগো ভাবনা কেনো
আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে,
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জান....
আমরা প্রতিবাদ করতে জানি.....
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১০
শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্ কি সুন্দর করে বললেন।
ওদের উদ্যম আর আবেগ উচ্ছাস দেখে মাঝে মধ্যে আমার চোখে পানি চলে আসে।
হ্যা আমরাও প্রতিবাদ করতে জানি
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: এই সব কাজ সাময়িক হলে ঠিক আছে।স্থায়ী করে দেখেন সব লেজে গোবরে করে ফেলবে।৬৫ যুদ্ধের সময় এমন অনেক কাজ আমরাও করেছি।আর্মিকে সহাযতা করেছি বিভিন্ন কাজ করে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১১
শেরজা তপন বলেছেন: মাঝে কেটে গেছে ৬০ বছর- সময়ের সাথে সাথে মানুষ ও পাল্টে যায়।
আপনি একবার আসেন দেশে আমার ধারনা আপনার দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে যাবে।
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: একটা মানচিত্র দেকেছি যেটা দেখে অনেক ভারতিয়দর বুকে আগুন ধরে গেছে।পশ্চিম বাংলা আসম উড়িষ্যা সহ বৃহত বাংলা।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: এদিকে ভারতীয় হাইকমিশনার এসেছে ফুল দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানাতে ওদিকে তারা একপাক্ষিকভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ রপ্তানীর বাতিলের আদেশ দিয়েছে। গত পরশুও বি এস এফ বাংলাদেশ সীমান্তে মানুষ হত্যা করেছে। আসলে সম্পর্কতো একতরফা হয় না। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে 'হাসিনার চোপা' বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে- ওদিকে বাংলাদেশী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী একজন ভারতীয় পুলিশকে বিজিবি আটক করেছে!
কিন্তু আমাদের এই ছাত্র আন্দোলনের সপক্ষে ভারতীয় বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ ছিল অবিস্মরণীয়! ভারতীয় বিখ্যাত ইউটিউবাররা এক কথায় দুর্দান্ত সব তথ্য উপাত্ত্ব দিয়ে প্রতিবেদন করে আমাদের সপক্ষে যেমন কথা বলেছে তেমন তাদের ক্ষমতাসীনদের একহাত দেখে নিয়েছে। এসব কখনোই ভুলবার নয়। আমাদের প্রতিবেশীর সাথে আমাদের নাড়ির টানতো আমরা উপেক্ষা করতে পারব না। কিন্তু আর কোন দাসত্ব নয়- এখন কথা বলব চোখে চোখ রেখে , যতটুকু দেব ঠিক ততটুকু পাওনা বুঝে নেব।
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: যে দেখবে তার দৃষ্টি ভঙ্গির উপর নির্ভর করে সে কেমন দেখবে।ব্লগের লেখা পড়েই বুঝতে পারছি সবই এক রকম দেখছে না।আপনি দেখছেন এক রকম ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন দেখছেন অন্য রকম।আমি বলছিনা কার দেখা ঠিক কিন্তু ভিন্নতা আছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: এই জন্য আর সবাই আপনার উপর গোস্যা করলেও আমি করি না। কেননা একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গী একেকরকম সমস্যা নেই - তবে সবাইকে মানবিক হতে হবে। দলকানা একগুঁয়ে হলে সম্পর্কের অবনতি হতে বাধ্য।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৪০
নতুন বলেছেন: পরিবর্তন রাতারাতি আসেনা।
একটা প্রজন্মকে দেশপ্রমিক হিসেবে গড়ে তুললেই না আমরা দেশপ্রমিক জাতী পাবো।
দেশে কলেজে ছাত্রদের রাজনিতির নামে হাতে অস্র তুলে দেয়। মটরসাইকেল দেয়, টেন্ডারবাজীর জন্য বাবহার করে।
এরাই বড় হয়ে নেতা হয়, রাজনিতি করে, নেতা হয়, এমপি, মন্ত্রী হয়।
বিদেশে স্টুডেন্ট কাউন্সিলযে ছাত্ররা যুক্ত হয়ে, বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকে, নেতৃত্ব শেখে। পরে রাজনিতিক দলে যুক্ত হয়।
দেশের ছেলে মেয়েরা এইযে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন, রাস্তা দেয়াল পরিস্কার, দূনিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।
যেই মুগ্ধ টিয়ার গ্যাসে পালিয়ে না গিয়ে সবাইকে পানি বিতরন করছে তাকে দুনিতি মুক্ত বাংলাদেশে দেশপ্রমিক হিসেবে গড়ে তোলা খুবই সহজ কাজ ছিলো মুরুব্বিদের জন্য।
আমরাই আমাদের ভবিষ্যত লিখি, এখনকার মুরুব্বিরা যেই পথ ছেলেমেয়েদের দেখাবে তারা সেই দিকেই যাবে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: এখানে অবশ্যই আমাদের অগ্রজদের অনেক দায়িত্ব আছে। বয়সে বিজ্ঞতা বাড়ে বলেই সে সব কিছু জেনে বুঝে ফেলে এমন কোন কথা নেই। ভবিষ্যত পৃথিবী এদের- এরাই বুঝে নেবে তাদের বিশ্ব। সেখানে কিছু ভুল-ভ্রান্তি তো হবেই। এই ভুল থেকে ঠেকে শিকে একদিন এরা ঠিকই সঠিক পথের দিশা খুঁজে পাবে।
আমরা ওদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামনে চলার পথ দেখিয়ে দেই।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: না না, মোটেও রিস্ক নেওয়া হয় নাই, আপনার বন্ধু আপনাকে আমেরিকায় নিয়ে গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়াবে বলে আমি মনে করি।
যারা বিদেশে থাকে তারা এই তরুণদের পালসটা ধরতে পারছেন না, অথবা এদের উপর এতটাই বিরক্ত যে আশা করছেন এদের এই বিপ্লব ব্যর্থ হবে!! কিন্তু আমি তোদের শক্তিতে বুদ্ধিতে মুগ্ধ, আমার ধারণা এরা সফল হবে।
এই ছেলেপেলেগুলো যদি রাস্তায় ট্রাফিক কন্ট্রোল না করতো তাহলে অবস্থা হযবরল হয়ে যেত। এরা তো কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়, সুতরাং যেটুকু অসুবিধা হচ্ছে, মেনে নিতেই হবে।
এখন মনে হচ্ছে উৎসব চলছে তারুণ্যের। আমার এক আত্মীয় আজকে ফোন করেছিল, তার দুই ছেলে গত কয়েক দিন ধরে রাস্তার পরিষ্কার করে আর ছবি একে এখন জ্বর আর সর্দি কাশিতে ভুগছে। কিন্তু মা ছেলে সকলেই উৎসাহ উদ্দীপনায় টগবগ করছে। দেখেশুনে খুব ভালো লাগছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: সে আমেরিকায় নাই -সে আছে উল্টো দিকে একদম কোনায় আমাদের শীতে ওদের গরম পড়ে। আপনার মুখে ফুল-চন্দন পড়ুক।
যারা বিদেশে থাকে তারা এই তরুণদের পালসটা ধরতে পারছেন না, অথবা এদের উপর এতটাই বিরক্ত যে আশা করছেন এদের এই বিপ্লব ব্যর্থ হবে!! কিন্তু আমি তোদের শক্তিতে বুদ্ধিতে মুগ্ধ, আমার ধারণা এরা সফল হবে। ~ একেবারে সহমত। গ্রাউন্ডে না থাকলে এদের বুকের আগুন উপলব্ধি করার উপায় নেই।
এরা এবার ট্রেনিং নিয়ে গেল। ভবিষ্যতে দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে এরা ফের ঝাঁপিয়ে পড়বে নব উদ্যোমে- তখন আরো বেশী সুশৃঙ্খল হবে।
শেষের কথায় আবেগতাড়িত হয়ে গেলাম!
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনার ধৈর্য আছে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: উত্তর দেবার ভাষা নেই ... ( আপনার শরির কেমন এখন?)
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
একটি মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন , "ওদের উদ্যম আর আবেগ উচ্ছাস দেখে মাঝে মধ্যে আমার চোখে পানি চলে আসে।" আর দেশ থেকে হাযার হাযার মাইল দূরে বসেও আপনার এই লেখা দেখে আমার চোখেও পানি এসে গেছে।
আমাকে বলুন তো, এই সব ছেলেমেয়েদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে কখনও কেউ কি আওয়ামী দুঃশাসনের কথা বলে তাদের মাথা খারাপ করে এসেছে???
বলেনি।
শিশু কিশোরদের বলতে হয়না, তারা তাদের বিশুদ্ধ মন দিয়েই সত্যটা বুঝে ফেলে। তাই প্রতিদিনের চালচিত্র দেখে দেখে, অনিয়ম আর লুটতরাজের কাহিনী শুনে শুনে এই সব ছেলেমেয়েরা নিজেরাই বুঝে নিয়েছে, এক অশুভ শক্তির হাতে তারা কি অসহায় ভাবে বন্দী ! এই অসহায়ত্বের ক্ষোভ তারা বুকের মাঝে গোপন করে রেখে এসেছে এতোদিন। আজ যখন তাদের অগ্রজদের প্রতিরোধের মুখে সেই অশুভ শক্তির পরাজয় হয়েছে তখন এই সব ছেলেমেয়েরা তাদের বন্দীত্ব থেকে মুক্ত হয়ে নিজেদের করণীয় ঠিক করে স্বেচ্ছায় মাঠে নেমে এসেছে। এবারও কেউ বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানায়নি। তারা এসেছে- স্বেচ্ছায়, দলে দলে।
এদের ঐসব কাজকে যারা দু'দিনের ফুর্তি বলে মনে মনে হাসছেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন, তারা নিজেরাই যে এতোদিন স্বৈরশাসকের যাতাকলে পিষ্ঠ হয়েও প্রতিবাদের ভাষা শেখার সৎ সাহসটুকুও করেননি, সেটাই বড্ড উলঙ্গ ভাবে দেখিয়ে দিলেন।
সহব্লগার নতুন বলেছেন, "পরিবর্তন রাতারাতি আসেনা। একটা প্রজন্মকে দেশপ্রমিক হিসেবে গড়ে তুললেই না আমরা দেশপ্রমিক জাতি পাবো।"
এইসব ছেলেমেয়েরা নিজে থেকেই এইভাবে দেশপ্রেমিক হওয়ার দীক্ষা নিচ্ছে । এদেরকে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করে দিতে হবে আমাদের সকল শ্রেনীর মানুষকেই। তবেই যদি কাঙ্খিত দেশটি দেখে যেতে পারি আমরা সবাই। সেই দেশের মানচিত্র এই সব ছেলেমেয়েরা এমন ভাবে আঁকবে যাতে পাশের দেষের বুকে কাঁপন ধরে যায়।
এমন মানচিত্র আঁকবা যাতে পাশের দেষের বুকে কাঁপন ধরে যায়।
কী বুদ্ধিদীপ্ত !!!!!! কী সাহসী প্রত্যয়!!!!!!!!!!!!
সকলের শুভ হোক...দেশ বাঁচুক নতুন নতুন আশা নিয়ে!!!!!!
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: আহা এই উত্তাল সময়ে আপনি যে আমাবশ্যার চাঁদ হয়ে গেলেন প্রিয় ভাই! দেখেন না সারা দেশের তরুনদের সাথে মরা ব্লগে কিভাবে বান ডেকেছে। আসুন সামিল হউন তারুণ্যের বিজয় উৎসবে ( গতকাল ছিল আমার ছোট ভাই তরুনের ১০ম মৃত্যু দিবস - বারবার ওর নাম চলে আসছে লেখায়। ও এমন উচ্ছল পাগল ছিল। ঘরে আটকে রাখা যেত না কখনো- সারাক্ষন উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটত।)
ওরা তো টেলিভিশন দেখে না পত্রিকা পড়ে না- ভেবেছিলাম ওরা দেশের হাল হকিকত কিছুই জানে না, একটু বড় হলেই বিদেশে পাড়ি জমাবে-স্বার্থপর হয়েই কাটিয়ে দেবে সারাজীবন। কিন্তু একি দেখছি!! ওদের ভাবনায় আর আমাদের ভাবনায় কত তফাৎ- তথ্যগতভাবে ওরা কত যোজন যোজন এগিয়ে আছে।
আমি ঘুরে ঘুরে ওদের কৃর্তি দেখি আর বুকের ভেতর দাবিয়ে রাখা সপ্নগুলোর বীজ ছড়িয়ে দিই। ওদের হয়ে আমি আঁকি, ওদের হয়ে আমি গান গাই, ওদের হয়ে প্রজাপ্রতির মত আকাশে উড়ে বেড়াই- আর শুধু বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হয়...
শুভকামনা রইল- ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, ফিরে আসুন প্রিয় আলয়ে।
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম বাজিতে আপনে জিতবেন, কিন্তু কথা হলো বাজিটা এতোই ওয়াইড স্প্রেডেড যে এটাতে কোন এক পক্ষকে নির্দিষ্ট করে বিজয়ী করা না মুমকিন!!! এটা নিয়ে বিতর্ক করা যাবে, আমি এখনই দেখতে পাচ্ছি। কাজেই কোন বিজয়ী পাওয়াে যাবে না।
এই বাচ্চারা প্রচন্ড রকমের ইনোভেটিভ। এদের ইনোভেটিভনেস লিখে বর্ণনা করা দুঃসাধ্য ব্যাপার।
অনেকে এদের অত্যাচারে অতীষ্ঠভাব ধরে। সেইসব নির্বোধদেরকে আমি বলবো, বেশীদূর যাওয়ার দরকার নাই, শুধু গত দেড়যুগের অত্যাচারের কথা স্মরণ করেন, তাইলেই হবে। আল্লাহ যেই মগজ দিয়েছে, সেইটাকে একটু খেলান। অবশ্য মাথায় গু থাকলে কিছু করার নাই। আমরা আপনাদের সমস্যা বুঝতে পারি!!!!
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আঃ আর বইলেন না। কানের কাছে কিছু মানুষের ঘ্যানর ঘ্যানর আর ভাল্লাগে না। যে যা করে 'আরে মিয়া রাখেন দুইদিন পরে সব আগের মত হয়ে যাবে' সেই এক বস্তাপচা ডায়লগ ঝাড়ে।
একজন কইল, বাজারে কাল সোনালী মুরগী ছিল ৩১০ টাকা কেজি- আজকে চার্ট টাঙ্গাইছে ২৬০ টাকা।
ফস কইর্যা একজন কয়, প্রথম প্রথম সবাই এইরকম দেখায় পরে দেখবেন যেই লাউ সেই কদু!!!
কেউ কইল, দেখ পুলাপানগুলা রোদের মধ্যে কি রকম খাটতেছে।
উত্তর আসল, গাড়ির থেইক্যা পুলাপান বেশী- ওরা এখন পিকনিক মুডে আছে। দুইদিন পরে ত্যাল ফুরায় যাবেনে।
কেউ একজন কয় প্যাকেট বিরিয়ানি দিয়ে গেল ওদের;
পাশের একজন মুখ ভেচকে বলল, ধান্দাবাজ ওদের লাইনে রাখতেছে।
**
এই ধারার বাঙ্গালীদের নিয়ে আর পারতেছি নারে ভাই!!! ক্লান্ত হয়ে গেছি।
জিততে তো হবেই -হারার কোন রাস্তা নাই।
১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: Emotion has great impact in internal politics but not minimum value in international politics.
ইংরেজি ভুল হলে শুদ্ধ করে দিয়েন।
বাংলাদেশের ভবিষ্যত ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়তেছে। ভূ-রাজনীতির খেলায় ভবিষ্যতে আমাদের দেশে কোন কোন দেশের সামরিক ঘাঁটি হতে পারে। কিংবা আমাদের মূল ভূ-খণ্ড থেকে কিছু অংশ আলাদা হয়ে হিন্দু-রোহিঙ্গা কিংবা পাহাড়িরা আলাদা দেশ গঠন করতে পারে। এদেশে ভবিষ্যতে হিন্দুরা হাতে অস্ত্র তুলে নিবে।
আমাদের ছাত্র-সমাজ কোন ফাঁদে পা দিয়েছে এখনো বুঝতে পারছে না।
অবশ্য আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুলও হতে পারে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আশা করি আপনার ধারনা ভুল হোক।
আমরা ছোট দেশ, অনেক কিছুই হতে পারে- ভাল আশা করতে দোষ কি।
১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:২০
কামাল১৮ বলেছেন: @ডার্ক ম্যান,আপনার ধারণা ভুল না।আমাদের ভুলেই আমরা সব হারাবো।উগ্র সাম্প্রদায়িক হলে ভারতের দুইদিন লাগবে বাংলাদেশের একটা অংশকে স্বাধীন একটা রাষ্ট্র করতে।আমেরিকার চেষ্টা আছে চীনকে ঠেকাতে তার ঘাটি দরকার।চীন ভারত দ্বন্দ্ব থালেও আমেরিকাকে ঠেকাতে তার ঐক্যবদ্ধ।শেখ হাসিনা সবদিক ম্যানেজ করে চলছিলো।এখন একটু ভুল হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: শেখ হাসিনা দেশের মানুষের স্বার্থ বাদে আর সবদিকে ঠিকঠাক ম্যানেজ করেছেন।
তিনি মানুষের হৃদস্পন্দন শুনেন নি। একেবারে ট্রিপিক্যাল গোপালগঞ্জী মহিলা( আমার পরিবারের কিছু মানুষ দেখে নিশ্চিত হয়ে বলছি)। নিজে যা বুঝেন তো বুঝেন- দুনিয়া উল্টায় গেলেও তার বুঝ সেরা বুঝ।
১৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৪৬
সোহানী বলেছেন: এ বাচ্চাগুলোর এতো উদ্দীপনা দেখে অসম্ভব ভালো লাগছে। নিজের সেই ইউনিভার্সিটি লাইফের কথা বার বার মনে হচ্ছে। আহ্ সে আনন্দময় উচ্ছল জীবন।
প্রতিটা বাচ্চাই কি প্রতিভাবান। এমন উচ্ছ্বল প্রানবন্ত বাচ্চাগুলোই পারবে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে।
সারা বিশ্বে ওরা উদাহরন তৈরী করেছে। আজ থেকে হাজার বছর পরও এ ইতিহাস সবাই পড়বে জানবে।
আমি অনেক অনেক আশাবাদী ওদেরকে নিয়ে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: আমি অনেক অনেক আশাবাদী ওদেরকে নিয়ে।
~ তা আপনার পোস্ট দেখেই বোঝা যায়।
সারা বিশ্বে ওরা উদাহরন তৈরী করেছে। আজ থেকে হাজার বছর পরও এ ইতিহাস সবাই পড়বে জানবে।
~ ভয়ে আছি। কিছু মানুষ দেশ ও গোষ্টী ওদের সফলতায় কালিমা লেপনের চেষ্টা করছে সারাক্ষণ।
আপনার কথায় সহমত না হয়ে উপায় কি
১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এমন মানচিত্র আঁকবা যাতে পাশের দেশের বুকে কাঁপন ধরে যায়। এমন কথায় মনের ভিতর আনন্দে উদ্দেলিত হয়ে ওঠে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: কোন কোন ভারতীয় মিডিয়া ( মোদী পক্ষের) বাংলাদেশের সৈন্যের সক্ষমতা আর অস্ত্রের হিসাব নেয়া শুরু করেছে।
১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
আরাফআহনাফ বলেছেন: গ্রাউন্ডে না থাকলে এদের বুকের আগুন উপলব্ধি করার উপায় নেই
এরা এবার ট্রেনিং নিয়ে গেল। ভবিষ্যতে দেশের যে কোন পরিস্থিতিতে এরা ফের ঝাঁপিয়ে পড়বে নব উদ্যোমে- তখন আরো বেশী সুশৃঙ্খল হবে।
এক্করে ১০০তে ১০০!!
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এভাবে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার জন্য। শুভকামনা রইল।
১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:১৭
আরাফআহনাফ বলেছেন: আমরা এক্স-জেনারেশন কত কিছুরই না স্বাক্ষী হয়ে গেলাম - এক জীবনে এত বৈচিত্রতার দেখার পর আর কী বাকি রইলো??
হয়তো আমরা পারিনি অনেক কিছু করতে, কিছুই পারিনি - কিন্তু যৌবনের শক্তি, পরিবর্তনের শক্তি, স্বাধীনতার শক্তি-স্বাধীনতাকে পাওয়ার শক্তিতো দেখলাম।
এ প্রজন্মকে স্যালুট জানাই।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আহা তাহা আর বলতে - এখন আমার সপ্নের দেশ দেখতে পেলে মরেও শান্তি পাব।
শত ঝড় ঝঞ্ঝা কষ্ট বেদনা সয়ে আমরা এই মাটি আকড়ে ধরেই বেঁচে থাকতে চেয়েছি- এবার একটু পরম আরাধ্য শান্তি চাই।
১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চট্টগ্রামেও বিভিন্ন দেয়াল ও ফ্লাইওভারের পিলারে দারুন সব ছবি একেছে ওরা। আমি অফিসে আসার ও যাওয়ার সময় ভাল ভাবে লক্ষ করেছি ছবিগুলো, নতুন নতুন সব আইডিয়া, দেশপ্রেম, স্বপ্ন, স্লোগানে মুখরিত ছবিগুলো কথা বলে আগামীর বাংলাদেশের। ধন্যবাদ ছাত্র ছাত্রীদের যারা নতুন দেশ গড়ায় এগিয়ে এসেছে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমি বারবার সেলফোন তুলে ছবি উঠাব বলে উঠাইনি- কত ছবি তুলব আর!! সব ছবি আর সৃতি মনে গেঁথে রেখেছি।
এবার সপ্ন সফল হবেই।
১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের সন্তানদের এসব কাজকর্ম দেখে আমি মুগ্ধ মাশাআল্লহ
না এরা মোবাইলের গেমে ডুবে যায়নি আলহামদুলিল্লাহ
দেশে ভালো কিছু হবে ইংশাআল্লহ
১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি এই জেনারেশন নিয়ে আগে থেকেই আশাবাদী ছিলাম আপু- শুধু এরা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল!
শুভ কামনা রইল- অবশ্যই ভাল কিছু হবে।
২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আপনার ছোট ভাই তরুন এর মৃত্যু সংবাদ জেনে মর্মাহত। সৃষ্টিকর্তা তাকে শান্তিতে রাখুন!
১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় ব্লগার ও বড় ভাই। ভাল থাকবেন।
২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রফেসর সাহেবের কোমলমতি লাঠিয়াল বাহিনীর কথা শুনলে কলিজায় আগুন ধরে যায়। কি যে জ্বালাময়ী ভাষণ!
১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ।
২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
আশা করি আপনি ভাল আছেন ভাই?
১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: আপাতত এই স্বাধীনতার পর ভাল আছি প্রিয় সহব্লগার। তবে শান্তিতে নেই এই ভেবে যে, স্বাধীনতা রক্ষা করা অতীব কঠিন কর্ম।
২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২১
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, এই ব্লগের মডারেসনের দায়িত্বটা জেন-জেড এর কাছে দিলে কেমন হয়?
১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের এইখানে তেমন কেউ আছে?
আমাদের মডারেটর সাহেব কিন্তু পুরো আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন তবে তিনি গোপালীদের প্রতি অতি মাত্রায় বিরূপ, ওদিকে আমার
বাপ-দাদার ভিটে বাড়ি গোপালগঞ্জে!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৩
নয়া পাঠক বলেছেন: এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। একটা প্রজন্মকে অনেক কিছু সহ্য করে বেঁচে থাকতে হয়েছে। অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান চাপ সইতে হচ্ছে, তাদের রক্ত পানি করা আয়ের টাকা স্বৈরাচারীরা উন্নয়নের নামে লুটে নিচ্ছে, কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারে নাই। প্রতিবাদ করতে চাইলেই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাণটাও ক্ষমতাশীলরা রাখে নাই। কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনেক অনেক আশাবাদী। এখন আমাদের লক্ষ রাখতে হবে যেন কোন সন্ত্রাসী-লুটেরার হাতে যেন এদেশ পুনরায় পতিত না হয়। অনেক ছোট ছোট স্বপ্নের অকাল মৃত্যুতে ফিরে পাওয়া এই নতুন স্বাধীনতা রক্ষায় আমাদের সদা সতর্ক থাকা উচিত।