নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেক দেখেছি, হয়নি কিছু- এবার তোমাদের হাতে দিলাম ছেড়ে দেশ!

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭


(আমার এই পোস্টটার পরপরই 'ব্লগার তানভির জুমারে'র এই সংক্রান্ত একটা পোস্ট এসেছে, সেজন্য পোস্টটা ড্রাফটে নিয়েছিলাম। তার মতামতকে শ্রদ্ধা ও এই আন্দোলনে উঁনাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেই করেই বলছি, 'মাস্টারমাইন্ড' বিষয়টা সম্ভবত উনি ঠিকঠাক উপলব্ধি করতে পারেন নি- তাকে অনুরোধ করব এই লেখাটা পড়ার জন্য।)
র কথায় একটা নিজ মাটির ভাষার স্পষ্ট টান আছে। আগে বিষয়টা খুব বিরক্তিকর মনে হত। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমাপ করতাম তার চোস্ত বা শুদ্ধ বাংলা বলার দক্ষতা ও ইংরেজী জ্ঞানের উপর। কিন্তু এখন সে ভাবনা পাল্টে গেছে; এখন বড় ভাল লাগে এই টানটা; মানুষকে মনে হয় সৎ ও সলিড। কথায় মাটির ভাষার টান মোহনীয় অনেক বেশী মিষ্টি মনে হয়।


~ মাহফুজ আলম ২১ আগষ্ট ২০২৪ (*মঞ্চে উপবিষ্ট আছেন আমাদের 'মামো' )

ওর বক্তৃতার কিছু সার সংক্ষেপঃ
ক) ৭১রে মুক্তিযুদ্ধের গনচেতনা নিয়েই কি সামনের দিনের রাজনীতি টেনে নিতে পারবেন- এখনো কি সেই চেতনা নিয়েই পড়ে থাকতে হবে নাকি সেই চেতনাগুলো পুনঃসংস্কার করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে?
খ) সভ্যতাগত রূপান্তরঃ
গ) বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ অন্যদিকে ইসলাম ও ইসলাম ফোবিয়ার লড়াই এবং এই লড়াইগুলোর সামনের ভবিষ্যতগুলোর কি হবে?
ঘ) রাস্ট্র মানেই রাস্ট্রের আরেকটা শত্রু থাকবে- রাস্ট্রের কোন বন্ধু নেই। বন্ধু রাস্ট্র নামে অদ্ভুত একটা আইডিয়া আবিস্কার করা হয়েছে। প্রতিটা রাস্ট্র তার নিজের স্বার্থে সবকিছু করবে- এখানে বন্ধু রাস্ট্রের ধারনাটাই ভুল।
ঙ) দুইপাশে দুই সভ্য রাস্ট্র রেখে বাঙ্গালী জাতীয়তবাদ ভুলে বাংলাদেশ নামে এক রাষ্ট্র গড়ে আমরা আসল সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি কি না? যদি পেরে থাকি তবে স্বৈরাতন্ত্র কিভাবে সৃষ্টি হল?
চ) আমরা এই রাস্ট্রটাকে কি সেক্যুলার করব নাকি সেক্যুলারিস্ট করব?

সেক্যুলার ল্যাঙ্গুয়েজ কি আমাদের মহাজ্ঞানী গুরুরা এদের কাছ থেকে শিখুন। দেখুন আপনাদের ভাবনায় কত ভুল ছিল। এরা বলেছে এদের ডাকে কেন গ্রামের হুজুরটাও নির্দ্বীধায় আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কি ছিল সেই ব্যতিক্রম ভাবনা?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুল আন্দোলন যদি শুধু কোটা সংস্কার বলে ভেবে থাকি তবে আমরা বোকার স্বর্গে বাস করছি।


*** এবার আসুন নীচের লেখাটা পড়ি***

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নাহিদ, আসিফ, সার্জিস, হাসনাত সহ অনেকেই বর্তমানে বাংলাদেশের ন্যাশনাল হিরো, প্রায় সবাই উনাদের চিনি। তবে আজকে কথা বলতে চাই পর্দার পেছনের অন্যতম একজনকে নিয়ে, যার সম্পর্কে সম্ভবত অনেকেই জানেন না।

ছবির এই ছেলেটা মাহফুজ আলম (মাহফুজ আবদুল্লাহ নামেও পরিচিত), ছাত্র বিপ্লবের অন্যতম প্রধান মাস্টার মাইন্ড। বিশ্ব রাজনীতি, সমাজ গঠন, ব্রিটিশ ঔপনিবেশ আন্দোলন, ব্রিটিশ ভারতের বিভাজনের পর থেকে হওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক চুক্তি, সমঝোতা ও রাজনৈতিক মুভমেন্টগুলো সম্পর্কে সম্যক জ্ঞ্যান রাখেন। ধারনা রাখেন দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের মানসিক গঠন সম্পর্কেও, রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর এনসাইক্লোপেডিক জ্ঞান যেমন তার রয়েছে, কেন সেগুলো সফল বা ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলোও তার অজানা নয়।

মাহফুজকে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চেনা শফিকুল আলম বলেছেন কথাগুলো। লক্ষীপুরের রামগঞ্জের ছেলে মাহফুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াকালীন করেছেন সাংবাদিকতাও, লিখেছেন "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও সমকালীন জনমত, ১৯১১-১৯২১" নামক গবেষনাধর্মী বই, জড়িত ছিলেন আরও কিছু প্রকাশনার সাথেও।

২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন মাহফুজ, তবে কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন না। আক্তার ও নাহিদ যখন "গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি" (GCS) গঠন করে তখন মাহফুজ আগ্রহী হয়ে উঠে এবং তথাকতিত রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলকে বাইরে রেখে একটি আন্দোলনের রূপরেখা দিতে চান।

যখন উচ্চ আদালত কোটা পুনর্বহাল করেছিলো, মাহফুজ, আখতার, নাহিদ, আসিফ এবং বাকের মজুমদার আন্দোলন নিয়ে আশাবাদী হয়েছিলো। ব্যক্তিগত কারণে আখতার ও তার আইনি পেশার জন্য পেছনে সরে আসেন আর মাহফুজ তখন প্রধান কৌশলবিদ । নাহিদ ও আসিফ আন্দোলনের ফ্রন্টিয়ার, বাকের প্রধান সংগঠক। মাহফুজ এবং এই তিনজন সিদ্ধান্ত নেয় GCS এর মাধ্যমে আন্দোলন পরিচালনা না করে নতুন নামে শুরু করার। জন্ম নেয় "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" (SAD) এর। মাহফুজ ছিলেন লিয়াজো কমিটির সমন্বয়ক।

পুরো আন্দোলন জুড়েই খুব আশবাদী ছিলো মাহফুজ, চেয়েছিলেন যথাসম্ভব নারীদের অংশগ্রহণ। পুরো আন্দোলন জুড়েই আমরা তা দেখেছি, দেশের প্রতিটি কোণায় নারীদের অংশগ্রহণ ছিলো অবাধ ও চোখে পড়ার মতন। শাহবাগের এক সমাবেশে মাহফুজ বলেছিলেন "আজকে আমরা শাহবাগে এসেছি, আগামী মাসে আমরা থাকবো গণভবন"। তিনি তার কথা রেখেছিলেন, ৫ই আগস্ট (৩৬শে জুলাই) গণভবন দখল নেয় ছাত্র-জনতা। পতন ঘটে আওয়ামী সাম্রাজ্যের, পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

এই আন্দোলনের বিভিন্ন নামকরণ, আন্দোলনের ভাষা, কর্মসূচী খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো সর্বস্তরের মানুষকে এক করতে। সহজবোধ্য এবং মিনিংফুল এই নামগুলো; যেমন বাংলা ব্লকেড, মার্চ ফর জাস্টিস, কমপ্লিট শাটডাউন, রিমেম্বারিং দ্যা হিরোজ, মার্চ টু ঢাকা, এগুলোর পেছনেও অন্যতম কারিগর ছিলেন মাহফুজ।

আন্দোলনের বিভিন্ন গ্রুপকেও একত্রিত করতে কাজ করেছেন তিনি, সাহায্য করেছেন ৫৫ জন সমন্বয়ককে নির্বাচনেও। নাহিদ, আসিফ, সার্জিস বা হাসনাতরা যদি গ্রেপ্তার হন, তাহলে আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত লোক থাকবে এই পরিকল্পনা থেকেই এতোজনের সমন্বয়ক দল করা। ১০জন আটক হলে আরও ১০জন দাড়ায়ে যাবে, তারা আটকালেও সামনে আসবে আরও ১০জন।

এই সমন্বয়ক দলে রাখা হয়নাই কোন রাজনৈতিক দলের কাউকে। উদ্দেশ্য ছিলো আন্দোলন এবং সমন্বয়করা যেনো গ্রহণযোগ্য হয়, কোনভাবেই যেনো আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং সরকার যেনো আন্দোলন নস্যাৎ করতে না পারে।

যদিও আন্দোলনের শেষভাগে এসে ভিন্ন ভিন্ন ছাত্র সংঘঠন যোগ দেয় তবে তারও অনেক আগে যোগ দেয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরা, স্কুল, কলেজের ছেলে মেয়ে এবং সর্বস্তরের জনগণ।

পর্দার অন্তরালে থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নাই, আগস্টের ১/২ তারিখে বিগত সরকারের গোয়েন্দাদের একাধিক তালিকায় নাম আসে মাহফুজ আলমের। আত্মগোপণে থাকতে হতো তার, প্রায় প্রতিদিন করেছেন বাসা পরিবর্তন। তবে ধরা পড়লেও আন্দোলনের খবর এবং প্রতিটি কর্মপরিকল্পনা যেনো ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মিডিয়া এবং স্থানীয় মিডিয়ায় সেই ব্যবস্থা তারা করে রেখেছিলেন। একদম মানি হাইস্ট এর প্রফেসরের মতোন!

হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন মাহফুজ। অন্যদের সাথে আলোচনায় ছিলেন সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। আলোচনা চালিয়েছেন সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যেনো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা যায়।

আমি আশাবাদী মাহফুজ আলমকে নিয়ে, আশাবাদী এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সর্বোপরি নতুন জেনারেশন কে নিয়ে।
দিন কয়েক আগে অবাক হয়ে উনার এক আলোচনা শুনি। শেষ কবে কাউকে বাংলাদেশ, সমাজ নিয়ে এইভাবে বলতে শুনেছি মনে পড়ে না। কি সাধারণ ভাষায় কি অসাধারণ সব কথা।

*মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি জনাব শফিকুল আলম এর একটি ইংরেজি পোস্ট এবং বিভিন্ন সোর্সের সাহায্য নিয়ে তার সম্পর্কে লেখার দুঃসাহস টা করলাম। ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।

লেখার মাঝের এই অংশটুকু- Fuad Ahasan Chowdhury

* হাসিনার পালিয়ে যাবার ভিডিওটা যিনি করেছিলেন তিনিও তাহলে 'মাস্টারমাইন্ড'। এই একটাই মাত্র অথেনটিক ভিডিও সারাবিশ্বব্যাপী প্রচার হয়েছে। এই ভিডিওটা না থাকলে এখনো আমরা সন্দিহান থাকতাম- আসলেই হাসিনা পালিয়েছে নাকি দেশেই আছে!
ওয়ামীলীগের চোখে এই আন্দোলন ছিল কিছু উচ্ছন্নে যাওয়া উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র, জঙ্গী, বিদেশী অপশক্তি, রাজাকার ও তাদের দোসর ও বিরোধী দলের কারসাজী।
আর বি এন পি কোন না কোনভাবে এই আন্দোলনে যে পুরোপুরি তাদের কৃতিত্ব ছিল-তারা না থাকলে যে কোনভাবেই এই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখত না এবং আন্দোলন সফল হবার জন্য পুরো প্রিভিলেজটা তাদের পাওয়া উচিৎ এই নিয়ে ন্যাক্কারজনকভাবে গলাবাজী করছে।
এজন্যই আমি চাই ১৯৭২ সাল থকে ২০২৪ পর্যন্ত সব দুর্নীতি, দুরাচার, স্বৈরাতন্ত্র ও হত্যার বিচার হউক।
দিকে জমায়াত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সাপ লুডুর গেইম খেলছে।
সলামিক সংগঠনগুলোর দাবি, মাদ্রাসার ছাত্ররা ছাড়া এই আন্দোলন হালে পানিই পাইত না।

সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে সাধারন ছাত্র-জনতা শুধু দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে।

অথচ এই মাহফুজ আলম সব রাজনৈতিক দলের সকলের সামনে দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলেছেন; এই আন্দোলনের শুরুতে যে, দুইশ'র উপরে মানুষ মারা গিয়েছিল তাদের ৮৫ জন ছিল খেটে খাওয়া দিনমুজুর শ্রেনীর!!!!

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ইলিশের তেল অর্থাৎ আন্দোলনের ফলাফল বেড়িয়ে গেছে এখন সবাই সেই তেলে ভাত মাখাতে চাইবে ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: জব্বর কথা কইছেন ব্রাদার।
তা ভিডিও খান কি দেখছেন? দেখে থাকলে একটু মতামত দিয়েন...

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই আন্দোলনের কেউ যদি সত্যিকারের মাস্টারমাইন্ড হয়, সে হলো পতিতা হাসিনা। ঘটনাক্রমগুলো দেখেন...........

১. সে যদি ২০১৬তে এসে ১৯৭২ এর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন না করতো, তাহলে এই আন্দোলনের সূত্রপাতই হতো না।
২. সে যদি ২০১৮তে মাইন্ড খেয়ে পুরা কোটা সিস্টেমই বাতিল না করতো, তাহলে কি হতো?
৩. ২০২৪ এ এসে সে যদি আদালতকে ম্যানিপুলেট না করতো, তাহলে?
৪. আর সব শেষে সেই যুগান্তকারী বক্তব্য, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা মেধাবী না..........তার মুখ দিয়েই তো বের হয়েছিল!!!! তাহলে মাস্টারমাইন্ড কে?

আর একটা কথা.......এইসব পোলাপানরে জ্ঞানী বইলা আপনে এমন একজনের গেয়ানকে ইগনোর করতেছেন, যার বডিতে কোন গোশত নাই, পুরাটাই মগজ!!! এই মগজ-মানবই হাসিনাকে ইনসিস্ট করছিলো এই সব কাজে। কাজেই, লুকানো আসল মাস্টারমাইন্ড এখন খুইজা বাইর করা আপনের দায়িত্ব!!!!! =p~

সত্য জানুন! সঠিক ইতিহাস শিখুন!! ইতিহাসকে বিকৃত করবেন না!!! :-B

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আরে এই বিষয়টা এখনো ভাবি নাই- কথা তো একদম ঠিক।
এই যেমন ধরেন আমরা যদি দেশ ভেঙে পাকিস্তানের সাথে না যাইতাম তাহলে বঙ্গবন্ধুরে কেমনে পাইতাম। সে তো গোপালগঞ্জে গুলি ডাঙ্গুলি খেলে আর আতিপাতি নেতা হয়ে জিন্দেগি পার করে দিতে :)
অনেক চেষ্টা করতেছি সঠিক ইতিহাস জানার জন্য - ঠিকঠাক গুরু খুঁজে পাচ্ছি না।
তা গুরু হিসেবে আপনার ওই পুরো দেহে মগজওয়ালা লোকগুলো তো ঠিক আছে নাকি?

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মজা করলাম। এইবার কিছু সিরিয়াস কথা বলি।

মাস্টারমাইন্ড মানে পরিকল্পনাকারী, তাই তো!!! কোন পরিকল্পনা করে কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান হয় না। এর জন্য দরকার দীর্ঘদিনের পুন্জিভূত ক্ষোভ আর একটা ট্রিগার, যেটা একটা স্পার্ক তৈরী করবে। সেখান থেকেই বিস্ফোরণটা ঘটে। এই পুরা প্রক্রিয়ায় কোন একক ব্যক্তি থাকে না। থাকে একটা কালেকটিভ এফোর্ট। সময়ের দাবীতেই কিছু মানুষ এখানে নেতৃত্বে চলে আসে।

মনে আছে, ''নিরাপদ সড়ক চাই'' আন্দোলনের কথা? সেটাও কিন্তু গণ-আন্দোলন হতে পারতো। যদি না................!!!!
সেখানে যদি গণহত্যার সূ্ত্রপাত হতো, তাহলে সেবারই হয়তো হাসিনার পতন হতো। এই কোটা আন্দোলন আর সেই আন্দোলনের সিকোয়েন্স চিন্তা করেন!!! এই আন্দোলনে কিছু শহীদদের কথা চিন্তা করেন। সবকিছু মিলাতে পারবেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কোন আন্দোলনের সাথে বিরোধীপক্ষের নৃশংসতা একটা ফ্যাক্টর থাকে যেটা অনস্বীকার্য!
বিপরীত পক্ষ থেকে ভয়ংকর প্রতিরোধ না হলে সেই রকম প্রতিবাদ জমে উঠে না।
এরকম প্রতিটা আন্দোলনের সফলতার জন্য কিছু অতি সাধারণ নিরপরাধ প্রাণ ঝরে যায়।

আমি কিন্তু মাহফুজ আলম কে মাস্টারমাইন্ড বলি নাই। তাকে থিংকট্যাঙ্ক বা আন্দোলনের মূল রূপকারের একজন বলা যেতে পারে।

আমি ওর চিন্তা-ভাবনা চেতনায় চমকিত হয়েছি আমরা যা কখনো ভাবি নি বা ভবিষ্যতে ভাববো কিনা কে জানে তাই নিয়ে ওরা এখন থেকেই ভেবে বসে আছে। ওর কিছু কথা কিছু ভাবনা আমারও বোধের বাইরে- অথচ এদেরকে কত হেলাফেলাই না করেন আমাদের তথাকথিত গুরুজনেরা বিজ্ঞজনেরা।
এই প্রজন্মের হাতে দেশ দিয়ে আমি নির্ভার হতে চাই।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

জটিল ভাই বলেছেন:
সবই ভূয়া। এই আন্দোলন সফল হয়েছে কতিপয় ব্লগারের জন্য!

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: কথা একদম ঠিক ।
তবুও আপনি যদি তারপরে দুই চার জনের নাম বলতেন তাহলে তাদের বীর বিক্রম,বীর উত্তম,বীর প্রতীক এসব খেতাব দেয়া যেতে পারে :)

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




আমার তো মনে হয়, এই আন্দোলনের মাষ্টারমাইন্ড বা বলা ভালো "মূলচালিকা শক্তি" হলো বিগত একযুগের বেশি সময়ধরে ছাত্র-জনতার বুকের মাঝে ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা ক্ষোভ, ঘৃনা, প্রতিশোধের তুষের আগুন। সেই আগুনের আঁচ ছাত্র-জনতাকে একত্র করার শক্তি যুগিয়েছে। স্বৈরাচারী আমলের অন্যায় লুটপাট, জনগনের ট্যাক্সের টাকা পুকুর ডাকাতি, প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, সমগ্র দেশব্যাপী প্রতিটি পাড়া-মহল্লার প্রতি ইঞ্চি জায়গা জুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মুখ খুললেই জনতার মুখ চেপে ধরা-ঘর থেকে তুলে নিয়ে হাপিশ করে দেয়া ইত্যাকার হাযারো অবিচার, অত্যাচার, অন্যায় ছাত্র-জনতার অন্তরে যে বিষবাষ্পের জন্ম দিয়েছে তা-ই বিষ্ফোরিত হয়েছে একযোগে। বিশেষ কেউ কেউ ছাত্র-জনতার এই বিষবাষ্পের আগুনকে প্রজ্জলিত করে বৃহৎ অগ্নিযজ্ঞের আয়োজন করেছেন সত্য কিন্তু এখানে আমি-তুমি-আমরা সবাই একেক ভাবে, একেক রকমের মাষ্টার মাইন্ড।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: ফের মন্তব্যে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য বরাবরই বিশেষ কিছু - মাঝে মাঝে মনে হয় এমন গণআন্দোলনের জন্য এমন একটা আবহের দরকার ছিল।
দেশের মানুষের পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দেয়ালে- সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় ছিল না।
আপনি অনেক সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন- আমার আর কিছু এর বাইরে বলার নেই, সহমত জানাচ্ছি।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ভুয়া মফিজ ভাই বলেছেন: কোন পরিকল্পনা করে কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান হয় না। এর জন্য দরকার দীর্ঘদিনের পুন্জিভূত ক্ষোভ আর একটা ট্রিগার, যেটা একটা স্পার্ক তৈরী করবে। সেখান থেকেই বিস্ফোরণটা ঘটে। এই পুরা প্রক্রিয়ায় কোন একক ব্যক্তি থাকে না। থাকে একটা কালেকটিভ এফোর্ট। সময়ের দাবীতেই কিছু মানুষ এখানে নেতৃত্বে চলে আসে।

-তার কথার সাথে সহমত পোষন করছি এবং সাথে যোগ করছি - আর সেই অবাক করা নেতৃত্বের হাত ধরেই কখনো কখনো একটি দেশ, জাতি বা ভূখন্ড অর্জন করে তাদের বহুল কাঙ্খিত বিজয় এবং মুক্তি। যেমনটা অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশে ৫ আগস্ট ২০২৪।

ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: -তার কথার সাথে সহমত পোষন করছি এবং সাথে যোগ করছি - আর সেই অবাক করা নেতৃত্বের হাত ধরেই কখনো কখনো একটি দেশ, জাতি বা ভূখন্ড অর্জন করে তাদের বহুল কাঙ্খিত বিজয় এবং মুক্তি। যেমনটা অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশে ৫ আগস্ট ২০২৪।
দারুন কথা বলেছেন। কারো কারো অবদানকে বাড়িয়ে বলে কাউকে খাটো করার দরকার নেই।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূল কথাটা মফিজ ভুইয়াই বলে দিয়েছেন। এই আন্দোলনে কোনো মাস্টার মাইন্ড ছিল না, কোনো একক পরিকল্পনাকারী ছিল না, কোনো বহির্দেশের ইন্ধনও ছিল না। ছিল ছাত্রজনতার ১৫ বছরের পূঞ্জীভূত ক্ষোভ আর বেদনা, আর এতে ট্রিগার চেপে স্পার্ক তৈরি করেছে ৩ ও ৪ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ।

ঘটনা ঘটাইয়া ফালাইছে ছাত্ররা। এখন ওখানে অনেক বুদ্ধিজীবী গবেষণা করবেন, মাস্টারমাইন্ড বের করবেন, র, সি আই এ বা আই-এস-এর ইনভল্ভমেন্ট খুঁজে বের করবেন। আমার মতে, ওগুলো সবই হবে ভুয়া :)

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমিওতো আপনার মতই ভাবি। কিন্তু মানুষের কাছে যে কত গুপোন তথ্য আছে তা কি জানেন?
এ দেশের প্রত্যেকটা মানুষ প্রতিদিন এইরকম (সি আই এ,মোসাদ) ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি পয়দা করে।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভিডিও করেছে সেনাবাহিনীর লোকজন। সুতরাং তাদের ক্রেডিট তো দিতে হবে।
ছাত্র-জনতা-সেনা অভ্যুত্থানের মূল খেলোয়াড় কারা সেটা বের হতে ৫/১০ বছর তো লাগবে।

নতুন করে সংবিধান লেখার কথা উঠতেছে। তবে এটা হালে পানি পাবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে হোটেলের লবিতে এগুলো নিয়ে সেমিনার করা মানে এনজিওর টাকা হালাল করা।

ডঃ ইউনুসকে পশ্চিমা শক্তি যতই সাপোর্ট করুক না কেন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আপোষ না করলে তিনি বেশিদিন থাকতে পারবেন না।

দেখেন আপনাদের কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ওরা কতদিন সময় পায়।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ব্যাপক আশাবাদী। সাথে আপনাদেরও চাই।
দেশের ভাল কিছু হোক সেটাতো আপনারাও চান না কি? তাহলে আশাবাদী হতে দোষ কি?

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩

নতুন বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূল কথাটা মফিজ ভুইয়াই বলে দিয়েছেন। এই আন্দোলনে কোনো মাস্টার মাইন্ড ছিল না, কোনো একক পরিকল্পনাকারী ছিল না, কোনো বহির্দেশের ইন্ধনও ছিল না। ছিল ছাত্রজনতার ১৫ বছরের পূঞ্জীভূত ক্ষোভ আর বেদনা, আর এতে ট্রিগার চেপে স্পার্ক তৈরি করেছে ৩ ও ৪ আগস্টের ঘটনাপ্রবাহ।

ঘটনা ঘটাইয়া ফালাইছে ছাত্ররা। এখন ওখানে অনেক বুদ্ধিজীবী গবেষণা করবেন, মাস্টারমাইন্ড বের করবেন, র, সি আই এ বা আই-এস-এর ইনভল্ভমেন্ট খুঁজে বের করবেন। আমার মতে, ওগুলো সবই হবে ভুয়া :)

সহমত। সুধু একটা জিনিস ভালো মনে হচ্ছে সেটা হইলো পোলাপাইন গুলি পড়াশুনা করা, এদের ঠিক মতন চালাইতে পারলে দেশের অবস্থা ভালো হবে আশা করি।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: সহমত। সুধু একটা জিনিস ভালো মনে হচ্ছে সেটা হইলো পোলাপাইন গুলি পড়াশুনা করা, এদের ঠিক মতন চালাইতে পারলে দেশের অবস্থা ভালো হবে আশা করি।
একদম ঠিক- তবে একটু সময় তো দিতে হবে ভাই। করোনায় কত সময় খাইল। যাক না হয় দু'য়েক মাস। পাঠ্যসূচীতে যদি ব্যাপক পরিবর্তন আসে, শিক্ষাঙ্গনে যদি সত্যিকারে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হয় তবে এসব পুষিয়ে যাবে।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে পুরোপুরি একমত।বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার হচ্ছে পতিত আওয়ামিলীগ সরকার। শুধু বাংলাদেের ইতিহাস নয় পাক আমলও যদি বিবেচনা করি , তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাক সরকারের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল বিগত আওয়ামিলীগ সরকার। পাকিস্তান গঠনের পর থেকেই ভারত সক্রিয় ছিল পাকিস্তানে ভাঙ্গন ধরাতে। পুর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সেই সময়ে বরাবরই পশ্চিম পাকিস্তানীদের পাশেই ছিল।তাই ১৯৭১ ছিল ভারতের জন্য একটা সুবর্ন সুযোগ।

ভারতের সরাসরি সমর্থনে বছরের পর বছর অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখা আওয়ামিলীগকে হটানো অনেকটাই অকল্পনীয় বিষয় ছিল । ভুয়া মফিজ ভাই যতই পুন্জিভূত ক্ষোভ আর একটা ট্রিগারের কথা বলুক না কেন এই ক্ষোভ , ট্রিগারের কোণ কমতি আগেও ছিল না। কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে যে, পুর্বের ছাত্র আন্দোলন ( কোটা ও নিরাপদ সড়ক চাই) বা বিএনপি/জামাতের কোন আন্দোলনই সিকিমাত্র সফলতার মুখ দেখে নাই। এর কারন হচ্ছে আওয়ামিলীগের হাতে বিনা বিচারে গুম, খুন এর লাইসেন্স ছিল। প্রকাশ্যে হেলমেট পড়ে যখন তখন নির্বিচারে মানুষ খুন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পুলিশ ও ছাত্রলীগকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সাদা পোষাকে ডিবি ও ডিজিএফআইকে মানুষ গুম করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। এই ক্ষমতার উৎস কারা ছিল তা জনসম্মুখে বলাটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগের সকল ক্ষমতার উৎস হিসেবে অনলাইনে ভারতের নাম নিয়ে সরাসরি বিরুদ্ধচারনের জন্য অনলাইন এক্টিভিস্ট বিশেষ করে পিনাকি ভট্টাচার্য অবস্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য । কিন্ত অফলাইনে আমাদের অবস্থা অনেকটাই হয়ে দাড়িয়েছিল ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর মতই। অর্থাৎ মানবাধিকার সংগঠনগুলো যতই উহু আহা করুক , আমাদের পাশে এসে দাড়ানোর মত কেউই ছিল না।

জেন- জি বৈষম্যিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশব্যপী ছাত্র জনতার মাঝে যে সমন্বয় সাধন করেছে তা এক কথায় এই বিশ্বের ইতিহাসে অভিনব। এদের অভিনব স্ট্র্যটেজি মানুষের মাঝ থেকে মৃত্যূ্ভয় দূর করে দিয়েছিল। বুক পেতে গুলি খাওয়ার যে প্রবনতা তৈ্রী হয়েছিল সবার মাঝে , সেটা সৃষ্টি করা সহজ কোন বিষয় নয়।যুদ্ধ ছাড়া মানুষের মাঝে জাতীয়তাবোধ ও ঐক্য তৈরী করা কি এতই সহজ ? তাও আবার ঢাকা শহড়ে যেখানে আওয়ামিলীগের লোক গিজগিজ করছে সর্বত্র । রাইফেল হাতে মানুষ মারতে নামা সৈ্নিকদের চাকুরি ও মৃত্যূ্ভয় দূর করে ছাত্রদের জড়িয়ে ধরতে উদ্বুদ্ধ করা সহজ কোন বিষয় ছিল না।এই আন্দলোন নিয়ে ভবিষ্যতে অনেক গবেষনা হবে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্গত হবে।

আজকে যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছেলেটা যে দীর্ঘকাল মানুষের চিন্তাধারা সম্পর্কে ব্যপক লেখাপড়া ও গবেষনার মাধ্যমে ইউনিক এক আন্দোলনের পটভুমি তৈরী করেছে, তাকে ও তার সহযোগীদের ভুমিকা অস্বীকার করছে তারা নিজেরাই একদিন অনুতপ্ত হবে এদের সক্ষমতাকে খাটো করে দেখার চেষ্টার কারনে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন বলেছেন তো ব্রাদার। আমি অভিভুত হলাম আপনার শেষ কথাগুলো পড়ে;
আজকে যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছেলেটা যে দীর্ঘকাল মানুষের চিন্তাধারা সম্পর্কে ব্যপক লেখাপড়া ও গবেষনার মাধ্যমে ইউনিক এক আন্দোলনের পটভুমি তৈরী করেছে, তাকে ও তার সহযোগীদের ভুমিকা অস্বীকার করছে তারা নিজেরাই একদিন অনুতপ্ত হবে এদের সক্ষমতাকে খাটো করে দেখার চেষ্টার কারনে।
~এটা কারো স্বীকার করতে কেন যেন দ্বীধা কিংবা সংকোচ কিংবা ভয় কাজ করে ...

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: সরি টাইপো ঃ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত সেই সময়ে বরাবরই পুর্ব পাকিস্তানীদের ( বাংলাদেশ) পাশেই ছিল।

অট ঃ পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই যতই পুন্জিভূত ক্ষোভ আর একটা ট্রিগারের কথা বলুক না কেন এই ক্ষোভ , ট্রিগারের কোণ কমতি আগেও ছিল না। কিন্ত বাস্তবতা হচ্ছে যে, পুর্বের ছাত্র আন্দোলন ( কোটা ও নিরাপদ সড়ক চাই) বা বিএনপি/জামাতের কোন আন্দোলনই সিকিমাত্র সফলতার মুখ দেখে নাই। এর কারন হচ্ছে আওয়ামিলীগের হাতে বিনা বিচারে গুম, খুন এর লাইসেন্স ছিল। প্রকাশ্যে হেলমেট পড়ে যখন তখন নির্বিচারে মানুষ খুন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পুলিশ ও ছাত্রলীগকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সাদা পোষাকে ডিবি ও ডিজিএফআইকে মানুষ গুম করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। আপনে কি বুইঝা কথা কন, নাকি না বুইঝা; সেইটাই তো বুঝলাম না। B:-)

আপনের কথা অনুযায়ী, ক্ষোভ, ট্রিগারের কোণ কমতি আগেও ছিল না। কিন্তু আগের আন্দোলন সফল হয় নাই কারন হচ্ছে, আওয়ামিলীগের হাতে বিনা বিচারে গুম, খুন এর লাইসেন্স ছিল। তো প্রশ্ন হইলো.......... বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে এই লাইসেন্স কি বাজেয়াপ্ত করা হইছিলো? সেইজন্যই আন্দোলন সফল হইলো!!! তাইলে হাজারের উপ্রে ছাত্র-জনতা মারলো কারা? হলি কাউ!!!!! :P

লেখক বলেছেন: দারুন বলেছেন তো ব্রাদার। আপনের চিন্তাধারাও তো দেখি আউলায়ে গেছে। ব্লগার ঢাবিয়ানের এই লম্বা মন্তব্য পইড়া এই অবস্থা? আপনেদের দুইজনের অবস্থা দেইখা এখন আমার মাথাও কিন্তু আউলায়া গেলো!!!!! B:-)

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি শান্ত হোন - আর মাথা আউলায়েন না। তার কথাটুকু আমার মনে ধরেছে এটা আমি খোলামেলাভাবে বলেছি।
* শোনেন ভাই শুধু ছাত্র জনতার আন্দোলনে যে হাসিনার মত ভয়ংকর স্বৈরাচার কে উৎখাত করা সম্ভব হতো না এটা আমি ভালো করে জানি। এর আড়ালের গল্পটা আমার কম বেশী জানা আছে - বিপ্লবের আড়ালের যে কাহিনী কখনো সেভাবে বলা হবে না বলা যাবেনা সেটা আড়ালেই থাকে, পুরো ক্রেডিটটা ওদের দিলে সমস্যা কি?

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: ভুয়া মফিজের তিন নম্বর মন্তব্য এবং আহমেদ জিএস এর ৫ নম্বরের মন্তব্যে সম্পূর্ণ একমত।

তার সাথে আরেকটু যোগ করি, লেখা শেষ অংশটুকু যার লেখক বলেছেন Fuad Hasan Choudhury, তিনি আবু সাঈদ এর ভিডিও কারী আর হাসিনার পালানোর দৃশ্যের ভিডিও কারীকে এক কাতারে দাঁড় করিয়েছেন!!!!

আবু সাঈদের গুলি লাগার দৃশ্য যিনি ভিডিও করছিলেন, তাকে যদি পুলিশ দেখতে পেতো, তাহলে তাকেও মেরে ফেলত। আর হাসিনার ভিডিও যিনি করেছেন তিনি সকলের সামনে কোন মৃত্যু ঝুঁকি ছাড়াই ভিডিও করেছেন।

আবু সাঈদের এই ভিডিও দেশে দেশে যখন ছড়িয়ে গেছে, এর যা প্রতিক্রিয়া হয়েছে তার সাথে কোন কিছুই তুলনা আমি করতে পারি না। আমার ছেলে মেয়েরা বলেছে তাদের ইউনিভার্সিটিতে সমাবেশ হয়েছে সব জায়গাতে আবু সাঈদের এই ছবিটা নিয়ে সেটা জুলাইয়ের ২০/২১ তারিখের দিকে। যারা প্যালেস্টাইনের পক্ষে আন্দোলন করছিল তারা পর্যন্ত আবু সাইদের এই ভিডিও দেখে তাদের আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্রদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে। বাংলাদেশী ছাত্ররা বিদেশিদের বোঝার সুবিধার জন্য আন্দোলন সম্পর্কে জানাতে ইংরেজিতে লিফলেট বিলি করেছে, যার মধ্যে আবু সাঈদের এই ছবি দেয়া ছিল।

হাসিনার পালানোর দৃশ্য না দেখলেও আমরা সন্দেহান থাকতাম না। বিপুল জনতা হাসিনার বাড়ির এক বিন্দুও না দেখে রাখেনি, কারো মনে কোন সন্দেহ ছিল না হাসিনা পালিয়েছে। সেটা হেলিকপ্টারে করে হোক অথবা প্লেনে করে হোক, ভারতে হোক কিংবা আমেরিকায় হোক তাতে কারো কিছু আসে যায় না। মূল কথা হচ্ছে গণভবন ফেলে হাসিনা পালিয়েছে। এই ভিডিও থাকলেই কি আর না থাকলেই কি!!

চৌধুরী সাহেব আরেকটি কথা বলেছেন:
সবার কথা শুনে মনে হচ্ছে সাধারণ ছাত্র জনতা শুধু দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে

তামাশা দেখার কথা উঠলো কেন! কারো কথা শুনে আমার কখনোই মনে হয়নি ছাত্রদের জনতা দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে!! আমরা জেনেছি কয়েকশো মানুষ নির্মমভাবে মারা গেছে। হাসপাতালে এদের চিকিৎসা করতে নিষেধ করার হয়েছিল। কয়েক হাজার মানুষ চোখে ছররা লেগে আহত হয়েছে। চৌধুরী সাহেব একজনকে মহিমান্বিত করার জন্য এদেশের জনগণকে নিয়ে তামাশা করেছেন।

বাই দ্যা ওয়ে, এই চৌধুরী সাহেব টা কে? উনিও কি একজন মাস্টারমাইন্ড?

অথচ এই মাহফুজ আলম সব রাজনৈতিক দলের সকলের সামনে ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন এই আন্দোলনের শুরুতে যে ২০০ এর উপর মানুষ মারা গিয়েছিল তাদের ৮৫ জন ছিল খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর।

সব রাজনৈতিক দলের সামনে দাঁড়িয়ে উনি কখন এই কথা বললেন? শুনিনি তো!! আমি তো আমি তো আরো অনেককেই এই কথা বলতে শুনেছি!!

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২০

শেরজা তপন বলেছেন: এখানে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে আপু। শেষের ওই কথাগুলো আমার - মাঝের লেখাটুকু ফুয়াদ সাহেবের।
আমি তানভীর জুমারের পোস্টের রেফারেন্স টেনে হাসিনার পালানোর ভিডিওর কথা বলেছি।
* লক্ষ্য করবেন ওটাও কিন্তু লুকিয়ে করা আর এই ভিডিওর একটা মাত্র ক্লিপ আছে।

সব রাজনৈতিক দলের সামনে দাঁড়িয়ে উনি কখন এই কথা বললেন? শুনিনি তো!! আমি তো আমি তো আরো অনেককেই এই কথা বলতে শুনেছি!! ~ আমার লিংকে দেয়া ভিডিও দেখলে বিষয়টা ক্লিয়ার হবে।

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বক্তার বয়স কম হলেও প্রজ্ঞা আছে বলে মনে হল। মাথা গরম টাইপের না এবং চিন্তাশীল। জেনারেশন জি এর মধ্যে এই ধরণের নেতা সৃষ্টি হওয়া একটা আশার কথা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমার কথাও সেটাই- আমদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এমন নেতাই দরকার। যদি না রব, ইনু এদের মত পথভ্রান্ত না হয়।

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ ভুয়া মফিজ বলেছেন , বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে এই লাইসেন্স কি বাজেয়াপ্ত করা হইছিলো?

বাজেয়াপ্ত হয় নাই দেইখাইতো একটা strategic আন্দোলনের দরকার হয়ে পড়েছিল। শুধু গনঅভ্যূত্থান দিয়ে এই সরকারকে হটানো অসম্ভব ছিল। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে্র ছাত্রদের মাঝে সমন্বয় সাধনের বিষয়টা কি আমরা দেখি নাই ? সারা দেশব্যপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট দেড়শর মত সমন্বয়ক তৈরী করে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একই সাথে দুর্বার গতিতে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয় হয়েছিল।একই সাথে বিএনপি / জামাত কর্মীদের আন্দোলনে যোগদানের জন্য একটা পথ তৈরী করে দিয়েছিল । বিএনপি/ জামাতের নেতারা নিজেরাই বলেছে যে, তাদের কর্মীদের টি শার্ট / প্যন্ট পড়ে ছাত্রদের সাথে মিশে যাবার নির্দেশ দিয়েছিল।

মাহফুজ আলম মুলত এই এই বৈষম্যবিরোধীছাত্র আন্দোলনের রুপকার। সে বা ছাত্ররা এ কথা একবারো বলে নাই যে, এই আন্দোলনের সকল সাফল্যের দাবীদার তারা। তাদের ক্রেডিট দিচ্ছে সাধারন জনগন। বরং রাজনৈতিক দলের ডাকাতগুলো এই বিজয় ছিনতাই করার তালে আছে। বিগত ১৫ বছরে তারা কি পদের আন্দোলন করেছে তা আমরা সবাই খুব ভাল করেই দেখেছি!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: এর পরেও পেছনে কিছু রাজনৈতিক দলের বিশেষ সহযোগীতা আর আন্তর্জাতিক কলকাঠি নাড়াচাড়ার সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। ধারনা করা যায় অনেকদিন ধরেই এমন একটা আন্দোলনের জন্য অপেক্ষায় ছিল কিছু গোষ্ঠী ও শক্তি।
তবে এসব বলে ছাত্র-জনতার অবদানকে কোন মতেই খাটো করে দেখার উপায় নেই।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:





মাহফুজের আঠারো মিনিটের বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হয়েছি।



০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: বহুদিন বাদে আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে পেয়ে দারুন প্রীত হলাম। খুব ব্যস্ত নাকি??
ওর বক্তব্যে আমিও দারুন মুগ্ধ - কিছু আইডিয়াতো মার মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে।

তবে লীগের লোকজন এদের প্রতিভাকে অবমুল্যায়ন করার জন্য শুধু শিবির- জামায়াত বলে সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছে। যে যতই প্রতিভাবান হউক শিবিরের ট্যাগ খাইলেই সে জঙ্গী দেশ বিরোধীর তকমা পেয়ে গেল। যাহা করে ওরা ১৬ বছর মানুষের মাথা খেয়েছে- সেটা এখনো চালু রেখেছে ওদের পন্থায়! শুধু মানুষ 'রাজাকার' টা খাচ্ছে না আগের মত।

১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:২১

কামাল১৮ বলেছেন: রাষ্ট্র গনতান্ত্রিক হলে আর কোন কিছুরই দরকার নাই।গনতন্ত্রের ভিতরেই সব কিছু আছে।কথায় আছে না,দশচক্রে ভববান ভূত।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: হুম -মাঝে মধ্যে বেশ জ্ঞানের কথা বলেন। দেখা যাক কি হয়- আমি তো পুরোপুরি আশাবাদী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.