নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া কিছু মিডিয়া আর ভয়ঙ্কর কিছু মানুষদের থেকে সাবধান!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৯


ওঁ দিব্যান্‌ লোকান্‌ স গচ্ছুতু
তিনি দিব্যলোকে গমন করুন।


মাদের আড্ডায় এক দাদা আসেন। ষাটের উপরে বয়স, বেশ ধনবান মানুষ- দামী সিগারেট টানেন-তার অসুস্থ গিন্নীকে নিয়েও মাঝে মধ্যে এ রাস্তায় নিরিবিলিতে ঘুরে বেড়ান কথাও বসে গল্প করেন। কট্টর আওয়ামী সাপোর্টার সাথে গোঁড়া ধার্মিক। বাড়ি একসময় বিক্রমপুরে ছিল, ভাঙ্গনের পরে চলে গেছেন ভারতের বর্ডারের কাছে। তাদের বাড়ি ঘেঁষে নদী। সেই নদীর ভাঙ্গনে নিজেদের জমি কখনো ভারতের সীমানায় পড়ে কখনো বাংলাদেশের সীমানায় আসে। আগে কম আসতেন আড্ডায়-ইদানিং ঘন ঘন আসেন, তবে অল্পক্ষন বসেন।

দেশে যে ভয়ানক ইসলামী মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আর হিন্দুদের কচুকাটা করে এদেশ ছাড়া করছে এরসব গা হিম করা আজগুবী গজব বর্ণনা দেন। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করে না। তবে দু'য়েকজন ফোড়ন কাটে।
~দাদার তো ওদেশের পাসপোর্ট আধার কার্ড আছে না কি?
দাদা এসব কথায় মাইন্ড খায় না। হেসে বলে, 'আরে না কি যে বলেন না আপনারা দাদা!'
'এই সরকার কিভাবে ভারতবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে আর হিন্দুদের উপরে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে এই নিয়ে তাই নিতে তার রোমহর্ষক বর্ণনা শুনে শুনে সবার গায়ের লোম পড়ে যাবার যোগাড়! এখন নাকি হিন্দু ৭% থেকে কমে ৩% মানে মাত্র দেড় কোটিতে এসে নেমেছে।'
আমি মিনমিনিয়ে বললাম তার মানে, 'বাংলাদেশের লোকসংখ্যা, এর মধ্য ৫০ কোটি হয়ে গেছে দাদা!!'
দাদা একটু লজ্জা পেয়ে বলল, 'না দেড় কোটি ভুল বলেছি পঞ্চাশ লাখ হবে বোধ করি।'
কাল রাতে এসে তিনি এহলান করলেন,'ইউনুস সরকারের আয়ু আর দুই মাস। তার পর সব বেড়াছেড়া হয়ে যাবে। গ্যারান্টি!'

~ গতকাল এক হিন্দু সমন্বয়ক মারা যাওয়ায় আমি 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন' পড়েছি। বলেই হেসে ফেললেন।
পাশ থেকে আড্ডার জুনিয়র এক সভ্য বেশ মন খারাপের কন্ঠে বলল, ~'ভাল করেছেন। আহারে ছেলেটা মারা গেল -আর আপনি হিন্দু হয়ে ইন্না লিল্লাহ পড়েছেন...'
দাদা তার মুখের কথা কেড়ে নিয়েই বললেন,~ সালমানরে ( সালমান এফ। রহমান) যেই শালা্র এডভোকেট ডিম মারছিল, জুতা ছুড়ছিল সেও পরের দিন এক্সিডেন্টে মারা যাবার পরে আমি 'ইন্নালিল্লাহ' বলেছিলাম- সেই চুদির ভাইও হিন্দু ছিল। আমি' ওঁ দিব্যান্‌ লোকান্‌ স গচ্ছুতু' বলি নাই।

আড্ডার সবাই 'থ' হয়ে গেল! 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন' ( আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি, নিশ্চয়ই তার কাছে ফিরে যেতে হবে)~ এটা কত ঘৃনিত একটা বাক্য তাদের কাছে। একটা মুসুলিম প্রধান দেশে মুসলিম বেষ্ঠিত আড্ডায় বসে একমাত্র হিন্দু একজন ব্যক্তি কি দম্ভ সহকারে ধর্ম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে অথচ তা নিয়ে কারো মধ্যেই কোন উষ্মা নেই রাগ নেই বিরূপতা নেই। ভাবা যায়?
(*ভারতে কোথায় বসে কোন মুসলমান কি বললে কি হইত এই নিয়ে আমার আলোচনা করার কোন খায়েস নেই। যার যার দেশের ব্যাপার তারা বুঝবে।)
এই আমাদের বাংলাদেশ। যারা ধর্মের নামে আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করে, আমাদের মধ্যে বিষবাষ্প ছড়ায়- হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধিয়ে যারা ব্যাক্তি, দল বা দেশ বিশেষের স্বার্থ হাসিলের পায়তারা করে তাদের প্রতি অসীম ঘৃণা।

***
ভারতের মিডিয়া কিভাবে মিথ্যে রটনা ছড়িয়ে আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে ও সারা বিশ্বের কাছে কিভাবে আমাদের ভাবমুর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে সেটা এই ভারতীয়র মুখেই না হয় শুনুন;

REAL OR FAKE - Viral Clips Of Hindus Being Wiped Out In Bangladesh?
****
বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জান মালের নিরাপত্তা ও বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গী ও মৌলবাদীদের উত্থান নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন ভারতীয় পেইড মিডিয়ার কিছু কাল্পনিক উস্কানিমূলক ছবি শেয়ার করছি যার সাথে আমাদের ওপার বাংলার কিছু ব্লগারও যুক্ত আছেন। এদের সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে আরো কিছু ঘাপটি মেরে থাকা ব্লগার, এদের চিনে রাখুন। ব্লগের মডারেটরেরও এদের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করছি।


***

***

***

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: ++++++++++

প্রথমে মনে হচ্ছিল মুজতবা আলীর আড্ডার গল্প পড়ছি! চাচার জায়গায় দাদা, দাদার চরিত্র চিত্রণ চমৎকার!

বাকি কথা পরে। শুক্রবারে সকালে সময়ের টানাটানি!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে আমি ফিদা হয়ে গেলাম :)
সময় টানাটানির জন্য আমার উত্তর দিতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল বেশ। ফিরে আসেন ফের -কথা হবে জমিয়ে :)

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

প্রহররাজা বলেছেন: নিজের মতের সাথে না গেলে সবই উস্কানীমূলক লাগে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে আপনার কথা ফেলে দেবার মত নয় তারপরও সবার ব্যাপারে এরকম হয় না ভাই। সবাইকে এক পাল্লায় তুলনা করবেন না

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪

রবিন_২০২০ বলেছেন: সবাই নয়, কিন্তু হিন্দুদের একটা বিশাল অংশ বাংলাদেশ কে আপন দেশ ভাবতে পারে না। আমরা প্রবাসীরা যেমন বিদেশে উপার্জিত অর্থ নিজ দেশে বিনিয়োগ করি (হতে পারে সেটা বাড়ি কিংবা জমিকেনা), প্রবাসী হিন্দুরা সম্পত্তি কেনে কলকাতায়। বিয়ে করে পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র শেকড় গাড়ার জন্য।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ হিন্দু আছে যাদের পাসপোর্ট আধার কার্ড সম্পত্তি কোটি কোটি টাকা দিলেও ওপারে যাবে না। যারা নিজেদেরকে বাঙালি নয় বাংলাদেশী ভাবতেই পছন্দ করে।
আবার আমাদের এমন বন্ধুরাও আছে যারা সারাদিন একসাথে আড্ডা দিয়ে চা বিড়ি খেয়ে দিন শেষে শুধুমাত্র বেছে বেছে হিন্দুদের দোকান থেকেই বাজার করে। এরা উপরে উপরে দেশের জন্য জান দিয়ে দেয় কিন্তু তলে তলে সব সম্পত্তি ভারতে পাচার করে।
ওপারে গিয়ে মোদির দালাল হয়ে বাংলাদেশের নামে কুৎসা রটায়- নিজেদের আখের গোছানোর জন্য বলে এখানে নাকি হিন্দুদের বেজায় নির্যাতন হয়, তাই বাধ্য হয়ে তারা হিজরত করেছে।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগলো।
ভারত যদি বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায় তাহলে সেটা যেকোনো ভাবেই পারবে।
আমেরিকা যেমন শেখ হাসিনাকে সরানোর জন্য যত ধরনের মেকানিজম করেছে ঠিক সেভাবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ধারণা ভারত এবার খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। এটা আমার প্রেডিকশন দেখি কি হয়? কারণ এবার ভারত বিরোধী তবে ভারতের সাধারণ জনগণ বিরোধী নয় ভারতের শাসকগোষ্ঠী বিরোধী সেন্টিমেন্ট সাংঘাতিক বেশি।
তারপরেও এত বড় দেশ এত বেশি ক্ষমতা- ওদের পেটের মধ্যে থেকে খুব বেশি লাফালাফি করার উপায় আমাদের নেই।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

জটিল ভাই বলেছেন:
শুনলাম দাদারা নাকি এবার ইলিশ পাবেনা। তবে আরো আগে শুনেছি যে, দাদাদের পুকুরে নাকি ইলিশ চাষ হচ্ছে। তাই দাদাদের চরিত্র ঠিক বুঝেও বুঝতে পারি না :P

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: একটা ফেসবুক পোস্টে দেখলাম; আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাকি এখন ওদের গুলসা টেংরা দিয়ে সরিষা ইলিশ রান্না শিখাচ্ছেন :)

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

কাছের-মানুষ বলেছেন: ওপার বাংলার লোকজন উঠে পড়ে লেগেছে, তাদের ওখানে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের বিচার নিয়ে পরিস্থিতি উত্তাল। এরা এসে বাংলাদেশ নিয়ে উওহ আহ করছে, দুঃখজনক! সাথে আমাদের এখানকার কিছু আওয়ামী সমর্থকের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ দেখে হতবাক হতে হয়!

বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ওপার বাংলার কিছু সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি।

যেমন, ভারতের ৮% হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ১৯৫০ সাল থেকে ২০১৫ সালে এসে। সেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কেন কমছে? এর সহজ কারণ হলো মুসলিমদের উচ্চ ফার্টিলিটি রেট। যেমন, ১৯৫১ সালে ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯.৮%, যা এখন (২০১১ সাল অনুসারে) বেড়ে ১৪.২% হয়েছে। যেহেতু মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, তাই মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুদের শতাংশ কমছে। তবে জনসংখ্যার সংখ্যাগত হিসাব করলে দেখা যাবে, ৮% হিন্দু কমলেও সংখ্যায় হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে। এটা লিনিয়ারলি (আসলে এটা এক্সপনেনশিয়ালি বাড়বে) চললেও আগামী ১০০ বাঁ ১৫০ বছর পর ভারত হবে হিন্দু মুসলিম প্রায় সমান বাঁ মুসলিম বেশী, সহজ অংক! তাই এই ধরনের সম্পাদায়িক বিষ ছড়ানো এড়িয়ে কিভাবে কো-এক্সিস করতে হয় সেটা আমাদের বাঁ তাদের পশ্চিমাদের থেকে এখনই শিখতে হবে!

যাইহোক ঠিক একইভাবে, প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩.৫% (১ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার), আর সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এটি কমে ৮.৫% (১ কোটি ২৭ লাখের মতো) হয়েছে। এটা দেখে মনে হতে পারে যে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, কিন্তু আসলে সংখ্যায় তারা ২৩.১৫% বেড়েছে। শতাংশ কমার কারণও একই—মুসলিমদের উচ্চ ফার্টিলিটি রেট এবং হিন্দুদের ফার্টিলিটি কম হওয়া। এছাড়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে পাশের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যাওয়ার প্রবণতা এবং সহজ ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাও একটি কারণ। তবে ধর্মীয় উগ্রবাদ আমাদের উপমহাদেশের আদিসমস্যা, যা ভারতে যেমন আছে, এখানেও আছে। এর জন্যও কিছু হিন্দু সেখানে গেছে। তবুও ওপার বাংলার উগ্রবাদীরা নিজেদের সমস্যা না দেখে আমাদের দিকে নজর দিচ্ছে!

এই সমস্যার সমাধানের একমাত্র উপায় সঠিক গণতন্ত্র, যেখানে সবার কণ্ঠস্বর থাকবে—একজন হিন্দুর যেমন অধিকার থাকবে, তেমনই একজন মুসলিমেরও। গণতন্ত্রই একমাত্র ঔষধ যা দুর্নীতি, উগ্রবাদ, এবং বিশৃঙ্খলা কমানোর জন্য কাজ করে। এর কোনো বিকল্প শাসনব্যবস্থা পৃথিবীতে এখনো তৈরি হয়নি। তাদের আর আমাদের আওমী পন্থিদের দেশ আফগানিস্তান হবে নিয়ে অযথা কান্নাকাটি বিরক্তিকর। গণতন্ত্র মানে সবাই ভোটে আসবে, এবং সিংহভাগ মানুষ যাকে গ্রহণ করবে, সে হবে আমাদের প্রতিনিধি। এখানে একজন চা-ওয়ালা যেমন দাঁড়াতে পারবে, ঠিক তেমনি একজন ধর্মীয় নেতাও দাঁড়াতে পারবে। বাংলাদেশের জনগণের উপর আস্থা রাখুন, ট্রাষ্ট দ্যা পিপলস অব বাংলাদেশ।

এই গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ পুরোপুরি ধ্বংস করেছে, এবং লক্ষ করবেন, যারা আওয়ামী লীগের ডাইহার্ড সমর্থক, তারা কেউই প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু দলের স্বার্থে গণতন্ত্রের কথা বলে এখন কারন তারা জানে গণতন্ত্র থাকলে এক সময় না এক সময় তারা ক্ষমতায় আসবে, তবে তারা মানুষ বিশ্বাষ হারিয়েছে, এর প্রায়শ্চিত্ত করে আসতে হবে।

এখন আমাদের একটাই কামনা—দেশ সঠিক মানুষের হাতে থাকুক। আমাদের ছাত্ররা অসাধ্য সাধন করেছে, গণতন্ত্রের পথে দেশকে ফিরিয়ে আনার কাজ তারা করেছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আওয়ামীলীগরা ইদানিং ইসলাম বিরোধী হয়ে গেছে এটা বড় আজব ব্যাপার এবং মজার ব্যাপার বটে!
অথচ হেফাজতের হেফাজত এরাই সবচেয়ে করেছে বেশি :)
আপনার চমৎকার পরিসংখ্যানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখানে অনেক কিছুই দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেছে! এরপরেও অনেকেই অনেক কিছু বলবে যদিও সবার বলার অধিকার আছে। চাইলে কেউ তাদের মত পরিসংখ্যান দিতে পারে আমরা মিলিয়ে দেখব; ভুলভাল থাকতে পারে সব খানেই।
আমাদের একটাই এবং একমাত্র পরিচয় হবে আমরা সবাই বাংলাদেশী। দল মত ধর্ম মতবাদ জাতি নির্বিশেষে আমরা সবাই শুধুমাত্র শুধুই বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করব এর বাইরে আর কিছুই নয়।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'হিন্দু লাইভস ম্যাটার' চ্যানেলটা একটা উগ্র হিন্দুবাদী সাইট। এরা হিন্দু মুসলমানের সুসম্পর্ক চায় না। এরা চায় উস্কানি মুলক খবর প্রচার ক'রে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করতে।

বাংলাদেশেও সামান্য কিছু উগ্র হিন্দু আছে। এরা ইসলাম বিদ্বেষী। ভারতের বিজেপি সরকার চরম উগ্রবাদী হিন্দু মন মানসিকতা সম্পন্ন। যেটার প্রভাব ভারতের মিডিয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের উপরে পড়ছে। বহু বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে সমাজে হিন্দু উগ্রবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবিক গুণ সম্পন্ন বহু হিন্দু ভারতেও আছে। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তাদের কথা কেউ শুনছে না। প্রভাবশালী দলের প্রভাব সমাজের উপরেও পড়ে। যেমন আমাদের দেশে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশের কিছু শিল্পী, সাহিত্যিক, অভিনেতা, শিক্ষকও ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। ভারতেও সেটা ঘটছে। সমাজের প্রভাবশালীদের মধ্যেও উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রবেশ করছে। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর হিন্দুও মনে করছে ভারত তাদের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে বিপদে আপদে বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান জনগণই হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে। বিজেপি বা মোদীকে তখন খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোদী এসব করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য। আমাদের দেশের কিছু উগ্র হিন্দু সেটা বোঝে না। এরাই বাংলাদেশে হিন্দু মুসলমান ঐক্যে ফাটল তৈরির চেষ্টা করছে।

খুলনার হিন্দু ছেলেটাকে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা উচিত ছিল। আইন হাতে নেয়া যাবে না। হাসিনার পতনের পড়ে ১ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন আইন হাতে না নিয়ে অপরাধীকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: হিন্দু লাইভস ম্যাটার' চ্যানেলটা একটা উগ্র হিন্দুবাদী সাইট। এরা হিন্দু মুসলমানের সুসম্পর্ক চায় না। এরা চায় উস্কানি মুলক খবর প্রচার ক'রে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করতে' কথা ঠিক - আমিও এমনটাই শুনেছি।
চিপায় পড়লে কেউ কারো দায় নেয় না। এদেশ টাকে নিজের দেশ ভাবতে হবে। সব সমস্যার সমাধান এখানে থেকেই করতে হবে। জাত পাত ধর্মের বিভক্তি করলেই বাইরে থেকে একদল কাউয়া নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য কা কা শুরু করবে।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

নতুন বলেছেন: আপসোসলীগ চাইবে যত ভাবে পারা যায় তত ভাবেই সরকারকে অস্থির করে রাখা।

কিন্তু সমাজের মানুষকে ওয়াজবাজ হুজুদের দল অন্ধবিশ্বাসী বানিয়ে যাচ্ছে সেটা ক্ষতিকর।

হিন্দু ছেলের গায়ে হাত দেওয়া অন্যায়, কিন্তু ধমান্ধরা মানুষকে পিটিয়ে ধর্ম উদ্ধার করছে?

গুজব বাড়ছে কারন মানুষ এমন গুজবের ভিডিও দেখে বেশি তাই কিছু ইউটিউবার এমন মিথ্যা প্রচারনা করে তাদের ভিউ বাড়ায়।

আফসোসলীগে যোগ দিয়েছে দূনিতিবাজেরাও, কারন তাদের পেটেও সরকার লাথি মারছে...

সব মিলিয়ে দেশের ভালো চাওয়া মানুষের সংখ্যাই কম মনে হচ্ছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০০

শেরজা তপন বলেছেন: এখানে হিন্দু মুসলিম আলাদা ট্যাগ দিলেই সমস্যা। একজন কিশোরের লঘু অপরাধের জন্য একদল হিংস্র মানুষ তার উপর ঝাপিয়ে পড়েছে এটা নিশ্চিতভাবে অন্যায় মহা অন্যায়!
তবুও ধর্মের জন্যই মানুষের এত বিভক্তি হয় একদল ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ধর্ম দেখে আরেক দল এহেন উন্মত্ততায় খুশি হয় আরেক দল অযথাই কোন কারণ ছাড়াই কষ্ট পায়, অন্য ধর্মের হাজার মানুষ মরে গেল তাদের আফসোস হয় না কিন্তু নিজ ধর্মের একজন লোক মারা গেলে তাদের বুক ফাটা চিৎকারে আসমান জমিন ফাঁক হয়ে যায়। আমাদের প্রায় সবাই ক্ষেত্রবিশেষ এমনই এই গণ্ডি থেকে বের হতে পারছি না।
মানুষকে যে মানুষ হিসেবে ভাবতে পারবো বাংলাদেশের মানুষকে যেদিন শুধু বাংলাদেশী হিসেবে ভাবতে পারবো সেদিন এমনটা আর থাকবে না।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া এখন গুজব লীগের দখলে। এই ব্লগে অন্তত দশটা আইডি থেকে রেগুলার গুজব এবং উস্কানীমূলক পোস্ট দিচ্ছে, যাদের মধ্যে বাউন্ডুলে নামক আই প্রধান।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ইদানিং বেশ খুশ মেজাজ দেখে ভালো লাগছে।
হ্যাঁ কথায় বলে না 'মাথার ঘায়ে ... পাগল' ওদের এখন তেমনই অবস্থা! কি আর করবেন পাগলামি দেখি একটু...

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত।

আমরা দেশের সবকিছু ঠিক করতে পারবো না। কিন্তু প্রত্যেকেই তার নিজস্ব গন্ডির মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি। ব্লগে বাক-স্বাধীনতার নামে দেশের, আন্দোলনের অর্জনকে নষ্ট করার জন্য যেসব প্রোপাগান্ডার মেশিন চালু আছে, সেগুলোকে থামানো দরকার। এটা নিয়ে অন্ততঃ প্রতিবাদ আমরা করতে পারি। সমস্যা হলো, আমাদের মডু প্যানেল খুব অলসভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। বাক-স্বাধীনতার নামে, সুশীলীয় চরিত্র প্রতিষ্ঠার নামে এনারা চরম দেশ-বিরোধী শক্তির অন্ততঃ ব্লগ-ভিত্তিক উত্থানকে সফলভাবে নিরুৎসাহিত করতে পারছে না। এটা লজ্জাজনক।

সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক। ভারতীয় অসভ্যতা আর এদেশীয় আওয়ামী রাজাকারদের অপতৎপরতার অবসান হোক।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: নিচের মন্তব্য গুলোতে দেখলাম প্রায় সবাই আপনার সাথে সহমত পোষণ করেছে নিশ্চিতভাবে দারুন একটা মন্তব্য করেছেন। এটা শুধু আমার কথা নয় বাকি জ্ঞানী গুণী ব্লগারদের কথা। তাই আর বেশি কিছু বললাম না -অনেক ধন্যবাদ চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য! :)

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনার ব্লগেতো মিথ্যা আর সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া- কিছু নেই। =p~
এক চোখে দেখলে- দেশ স্থিতিশীল, এবং ধর্ম নিরপেক্ষ বাদীদের বিনা বাধায় নিধন করতে নরপিশাচ সমন্বয়ক ও জামাতীরা সাফল্য অর্জন করেছে।
দু চোখ দিয়ে দেখলে কে বা কাহাদের বিনা বাধায় নিধন করতে নরপিশাচ সমন্বয়ক ও জামাতীরা সাফল্য অর্জন করেছে।
তিন চোখে দেখলে- দেশ অস্থিতিশীল এবং গনহত্যা চালাচ্ছে নরপিশাচ সমন্বয়ক ও জামাতীরা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি নিশ্চিত ৮খানা চোখ দিয়ে দেখছেন। :)
এ মুহূর্তে আপনার সাথে আমি কোন তর্কে যাব না, কেননা তর্ক মত করার মত মানসিক অবস্থা এখন আপনার নেই।
আপনার মাথা পুরা আওলা ঝাউলা হয়ে গেছে -মানসিকভাবে সুস্থির হন তারপরে কথা হবে!

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি নিশ্চিত ৮খানা চোখ দিয়ে দেখছেন।
এ মুহূর্তে আপনার সাথে আমি কোন তর্কে যাব না, কেননা তর্ক মত করার মত মানসিক অবস্থা এখন আপনার নেই।
আপনার মাথা পুরা আওলা ঝাউলা হয়ে গেছে -মানসিকভাবে সুস্থির হন তারপরে কথা হবে!


আপনি অনেক আগে থেকেই সাইকো । ভুলে যাওয়ার জন্য দুঃখিত। ছাতা ঠিকমতো শক্তভাবে ধরেন। =p~ =p~ =p~

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: যাক ভেতরের কথাটা প্রকাশ করে ফেলেছেন বলে ধন্যবাদ। আপনার সততাকে সাধুবাদ জানাই। ভালো হলো এখন আমি খোলামেলা ভাবে বলতে পারব আপনার মস্তিষ্ক বিকৃতির কথা। ভালো থাকবেন - আশা করব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি সত্যি এরা স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। ভয়ংকর সব পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে গুজবের ফ্যাক্টরি খুলে বসেছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগ বাড়িতে দেখে প্রীত হলাম। এখন তো সাংঘাতিক ব্যস্ত থাকার কথা :) ব্লগে এসে যে সময় দিতে পারছেন সেটা অনেক বড় পাওনা আমাদের।
এভাবে সাথে থাকবেন এতিম করে যাইয়েন না...

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৭

জুন বলেছেন: আমরা দেশের সবকিছু ঠিক করতে পারবো না। কিন্তু প্রত্যেকেই তার নিজস্ব গন্ডির মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনতে পারি। ব্লগে বাক-স্বাধীনতার নামে দেশের, আন্দোলনের অর্জনকে নষ্ট করার জন্য যেসব প্রোপাগান্ডার মেশিন চালু আছে, সেগুলোকে থামানো দরকার। এটা নিয়ে অন্ততঃ প্রতিবাদ আমরা করতে পারি। সমস্যা হলো, আমাদের মডু প্যানেল খুব অলসভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। বাক-স্বাধীনতার নামে, সুশীলীয় চরিত্র প্রতিষ্ঠার নামে এনারা চরম দেশ-বিরোধী শক্তির অন্ততঃ ব্লগ-ভিত্তিক উত্থানকে সফলভাবে নিরুৎসাহিত করতে পারছে না। এটা লজ্জাজনক। একমত ভুয়ার সাথে তপন ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু সহমতের জন্য।
ভালো থাকবেন সুন্দর থাকবেন।
কাগুর দেশের ভ্রমণ কাহিনী কিন্তু পুরোটাই বাকি মনে রাইখেন...

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পোস্টে ++++++++++ । ভুয়া মফিজ ভাইয়ের সাথে একমত। এই ব্লগে এখনও কিভাবে সোনাগাজী, বাউন্ডুলের মত প্রপাগান্ডাবাজরা ব্লগিং করে ভেবে পাই না। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন যে, ব্লগের আলোচিত বেশিরভাগ পোস্টই গনহত্যা সমর্থনকারী ব্লগারদের পোস্ট । এরা গ্যাং বেধে ব্লগ দখলে নেমেছে। এই ব্লগ জামাত/শিবির তোষন করে না , তাহলে কেন গনহত্যা সমর্থনকারী আওয়ামিলীগের ব্লগারদের তোষন করা হবে ?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১০

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।
ভিন্নমত মেনে নেয়া যায়- অবশ্যই ভিন্নমত প্রয়োজন আছে, যার যার ধর্মকে মহান হিসেবে সে প্রতিষ্ঠিত করবে কিন্তু অন্য ধর্মকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নয়। যার যার দেশকে সে উচ্চ আসনে বসাবে কিন্তু অন্য দেশকে হেয় করে নয়। নিজেকে জ্ঞানী বলে জাহির করতে পারে কিন্তু বাকিদের মহমুর্খ বলে নয়। বাক স্বাধীনতার মধ্যেও কিছু টার্মস থাকে - এগুলো মানুষ মানতে চায় না।
কোনভাবেই কোন হত্যাকে কেউ সাপোর্ট করলে সে যতবড় জ্ঞানীই হোক তার সেই স্পিচ পরিত্যাজ্য। আর এরকম গণহত্যার ব্যাপারে তো কথাই নেই। আওয়ামিলীগের সব সমর্থকগুলো এখন শুধু সেই গনহত্যা সাপোর্ট-ি করছে না তারা চাইছে প্রয়োজনে ভারত এসে ভয়ঙ্কর হলোকাস্ট করে হাসিনাকে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দিক! এরা এখন সবাই ইসলাম ধর্মবিরোধী হয়ে গেছে রাতারাতি :)

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০

করুণাধারা বলেছেন: "যার শিল তার নোড়া, তারই ভাঙি দাঁতের গোড়া।" আপনার দাদা এই দেশে বসে ক্রমাগত এই দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন! কী ভীষণ নির্বিঘ্নে তিনি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে চলেছেন!!

ভারতীয় মিডিয়া আমাদের দেশের সম্পর্ক মিথ্যা ছড়িয়ে চলেছে। এর কারণ বোধগম্য, তারা চাইছে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে, যেন দেশে একটা ভারসাম্যহীন অবস্থা সৃষ্টি হয় আর তাদেরকে দাসখত লিখে দেয়া আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে। মিডিয়ার মতোই, কিছু ভারতীয় হনুমান এবং অন্য জানোয়ার সদৃশ ব্লগার এই সামুতে মিথ্যাচার করছে, মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। উৎসবকে নিয়ে মেতে উঠেছে, অথচ ভারতীয় রক্ষীরা বাংলাদেশের কিশোরীকে গুলি করে মেরে ফেলল যখন, তখন তারা চুপ। মাত্র চার মাস আগে মন্দিরে আগুন দিয়েছে বলে ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে মেরেছে হিন্দুরা, পরে দেখা গেছে এই দুই ভাই নির্দোষ ছিল! তখন সামুর আদর্শবান, মহান এইসব ব্লগার একটা পোস্ট লিখেছেন?

আজ তারা উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন যাতে দেশে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়, আপনার এই পোস্ট পড়ে বলছেন, ব্লগে ইনিয়ে বিনিয়ে হিন্দু বিরোধী প্রচারণা চলছে!! প্রমাণহীন এইসব প্রোপাগান্ডামূলক মিথ্যায় ভরা পোস্ট দিয়ে ব্লগারদের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করছেন। দেশীয় এবং ভারতীয় এইসব বিষাক্ত ব্লগারদের চিনে রাখা দরকার। আপনার সাথে আমিও বলি, ব্লগের মডারেটরেরও এদের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২২

শেরজা তপন বলেছেন: মডারেটরকে চিনে রাখতে বললে ওরা বলবে 'দ্যাখ নালিশ দেয় -ছিঁচ কাদুনে'! আপনি যাবেন কই!!
এই দাদা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে অভি নিরুদের ব্যাচ মেট ছিল, ওদের সাথে রাজনীতি করেছে, এরপরেও সে বাংলাদেশী ভারতীয় হয়ে আছে। দুঃখ কোথায় রাখি।
ওপার থেকে খুব বেশী মাত্রায় উস্কানি আসছে- ভারতের ভয় ওদের অতিগোপন কুকর্ম ফাঁস হয়ে গেলে আম ছালা দুটোই হারাবে। তাই যে কোন উপায়ে এদেশে ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতায় আনতে হবে সেটা হোক আওয়ামিলীগ কিংবা বি এন পি। রাজনীতিবীদদের সহজেই কেনা যায়- সবাইতো এক সুতোয় বাঁধা।

১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: প্রসঙ্গ : বাংলাদেশের প্রথম রাজাকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত

1) 1905 সালে বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে যে লোকটা ধূতি পরে রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁর নাম ছিল শ্রী শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।বঙ্গভঙ্গের ফলে রাজধানী হিসেবে কলকাতা তার কর্তৃত্ব হারায় আর ঢাকাকে করা হয় পূর্ব বঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশ এবং আসামের রাজধানী।আর এতেই মাথা খারাপ হয়ে যায় রবি ঠাকুরসহ অন্যান্য ভারতীয় জমিদার ও ব্যবসায়ীদের।কোমড়ে গামছা বেঁধে তাঁরা পূর্ব বঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশের বিরোধীতায় নেমে পড়ে এবং এতে তারা সফলও হয়।তাঁদের বিরোধীতার ফলে 1911 সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করে পুনরায় পূর্ব বঙ্গ তথা বাংলাদেশকে ভারতের সাথে জুড়ে দেয়া হয় এবং পূর্ববঙ্গ তার স্বাধীনতা হারায়।

2)তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার চরম দূর্দশার কথা চিন্তা করে 1921 ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।অথচ এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও বিরোধীতা করেছিলেন ভারতীয় কবি শ্রী শ্রী রবী ঠাকুর!

১৯১২ সালের ১৮ই মার্চ কলিকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুসলিমদের গালি দিয়ে বলেছিলো,

“চাষার ছেলেরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তবে ক্ষেতে খামারে কাজ করবে কারা?”

Source : goo.gl/H9HnoL

পূর্ববঙ্গে ঠাকুর পরিবারের জমিদারী ছিল বিরাট। এই পূর্ববঙ্গে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা হলো ১৯১২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারিতে, তখন হিন্দুরা এর তীব্র বিরোধিতা শুরু করলেন। আর রবীন্দ্রনাথও এদের দলে যোগ দিলেন। তিনি একবারও ভেবে দেখলেন না যে তার মুসলিম প্রজাবর্গ শিক্ষার সুযোগ পাক।

১৯১২ সালের ১৮ই মার্চ কলিকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে হিন্দুরা যে সভা করল, সেই সভায় সভাপতিত্ব করলেন স্বয়ং কবি রবীন্দ্রনাথ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সেদিন নেমেছিল হিন্দু সংবাদপত্রগুলো, হিন্দু বুদ্ধিজীবী ও নেতারা। গিরিশচন্দ্র ব্যানার্জী, রাসবিহারী ঘোষ এমনকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার আশুতোষ মুখার্জির নেতৃত্বে বাংলার এলিটরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ১৮ বার স্মারকলিপি দেন লর্ড হার্ডিঞ্জকে এবং বড়লাটের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বাধা দান করতে।

( তথ্যসূত্র :- ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি কমিশন রিপোর্ট, খ- ৪, পৃ. ১৩০)

এতসব করার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলো। তবু বিরোধিতা ও ঘৃণা অব্যাহত রইল। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘মক্কা’ বিদ্যালয় বলে বিদ্রুপ করা হতে থাকে।

রাজাকার কারে বলে দেখেন!!

অথচ বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে লেখা ভারতীয় এই কবির রচিত গানই আমাদের জাতীয় সংগীত!!

এই লজ্জা রাখি কোথায়?

Courtesy:- রাসেল ইউসুফী

Source :-
1. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন----https://bn.m.wikipedia.org/wiki/বঙ্গভঙ্গ_আন্দোলন

2. Click This Link

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মনে করবেন না - রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে আপনার ভাবনা চিন্তার সাথে মার ব্যাপক ফারাক আছে, এই নিয়ে আমি কোন তর্কে জড়াতে চাই না।
'এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি' এই গানটা ছোট বেলা থেকেই আমার হৃদয়ে আলোড়ন তুলত। আমি সবসময় মনে-প্রাণে চেয়েছিলাম জাতীয়সঙ্গীতটা এটা হলে ভাল হত - তবে আমার শুধু ব্যক্তিগত চাওয়া ছিল এটা। যদিও শুনি; বঙ্গবন্ধু এটাকে জাতীয় গীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি্লেন।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ইন্ডিয়ান মিডিয়া সব সময়েই এরকম। আমাদের দেশের হিন্দুদের এই দুরবস্থার জন্য তাঁদের মানসিকতাই দায়ী। হিন্দু হইলেই আওয়ামীলীগের দালালি করতে হবে? (সব হিন্দু এক না), হিন্দু হইলেই ইন্ডিয়াতে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থাকতে হবে? সম্ভব হলে এক টুকরো জমিও। কেন ভাই এটা কি আমাদের সবার দেশ না।?

তবে এটা মনে রাখা উচিত যত গর্জে তত বর্ষে না।

ইন্ডিয়ান মিডিয়া ৫২ বছর ধরে আমাদের চুষতেছে। আর যাই হোক চুইষা কিছু ছিঁড়া যায় না। এক মাসে যা দেখলাম, ইন্ডিয়া ইন্ডিয়াই। চা থেকে কাপ বেশী গরম।
So don't worry Bangladesh, let's go ahead.

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

শেরজা তপন বলেছেন: ভারতীয় মিডিয়াকে পেইড গেইম খেলাচ্ছে ওদের গোয়েন্দা সংস্থা!
ওদের দেশের জনগনের বড় একটা আমাদেরকে ভালবাসে তাদের সাথে একটা আত্মিক ও হৃদিক সম্পর্ক আছে। কিন্তু কিছু মিডিয়া ও পশ্চিম্বঙ্গের কিছু কুলাঙ্গার ও সাথে মৌল্বাদী জঙ্গী কিছু হিন্দুগোষ্ঠী এই সম্পর্ককে দিন দিন নষ্ট করে দিচ্ছে।

ইন্ডিয়ান মিডিয়া ৫২ বছর ধরে আমাদের চুষতেছে। আর যাই হোক চুইষা কিছু ছিঁড়া যায় না। এক মাসে যা দেখলাম, ইন্ডিয়া ইন্ডিয়াই। চা থেকে কাপ বেশী গরম।
So don't worry Bangladesh, let's go ahead.
~ সহমত। কথা ঠিক

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

জুন বলেছেন: কাগুর দেশের ভ্রমণ কাহিনী কিন্তু পুরোটাই বাকি মনে রাইখেন... কিন্ত প্লেনের গপ্প কইলেই যে কাগু লাক করে /:) আম্রিকা তো প্লেন ছাড়া যাওয়া যায় না। আমরাতো আর মানুষের মত সাম্পান চৈরা সমুদ্র পারি দিয়া যাইতে পারি নাই :-/

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ সে না কইলে আম্রা তো জানতেই পারতাম না যে আম্রিকায় যাইতে হৈলে পেলেন লাগে!! কি তাজ্জব
তবে কাগুর কাছ থিক্যা সাম্পানে যাওনের রুটটা নেওয়া যায়?

২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫

মিথমেকার বলেছেন: খুবই সুন্দর লিখেছেন।

৫ আগস্ট রাত থেকেই খুনি স্বৈরাচারী শক্তি এবং এর দোসরেরা একের পর এক গুজব ছড়িয়েই যাচ্ছে। বর্তমান সরকারকে অস্থিথিশীল পরিস্থিতির ভেতর ফেলার জন্য মাইনোরিটি, বন্যা, আনসার, রিক্সা, শ্রমিক, হসপিটালকে আক্রমণ, মাইনোরিটি এটাক, একের পর এক ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। আর এসব ষড়যন্ত্রে ফুয়েল জোগাচ্ছে ওপরের বিজেপি আর ওদের কিছু সাইবার সেল। এবং ভারতের কিছু গদি মিডিয়া। ওরা ওদের পরাজয় কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

বাংলাদেশের মানুষ প্রচণ্ড সহ্য ক্ষমতা রাখে। ১৬ বছরের স্বৈরশাসনে সেটা প্রমাণ ও হয়েছে। পাকিস্তান, ভারতের মানুষের কাছে ধর্ম অনেক বড় ইস্যু। এই দুই দেশের মেইনস্ট্রেম পলিটিক্স ও চলে খললাম খোললা ধর্ম বাব্যসাহীদের দিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মেজরিটি মানুষ কখনোই ধর্মান্ধ না। এরা নিজেরা নিজেদের মতো ধর্ম পালনে অভ্যস্ত।

বাংলাদেশে ইসলামী এক্সরমিজম আছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই এক্সট্রিমিজম হিন্দু এক্সট্রিমিজম এর তুলনায় কম নাকি বেশি এটাই মূল কথা! দুই ধরনের এক্সট্রিমিজমই পরিতাজ্য।

সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে একটা ব্যপার পরিষ্কার হবে; সেটা হলো ১৬ বছরে বিজেপি বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের একটি বড় অংশকে ব্রেনওয়াশ করে করে ফেলে এক্সট্রিমিস্ট বানিয়ে ফেলেছে। তাদের স্লোগান ও বিজেপি এর স্লোগানে বদল হচ্ছে। তাদের কথায় বিবৃতিতে বিজেপির প্রোপাগান্ডা বেরিয়ে আসছে।

৪৭, ৭১ এর পর ও যে হিন্দু জনগোষ্ঠী এ দেশে টিকে আছে এদের মনোবল পাহাড় সমান! কিন্তু, এদের ভেতর মাস প্যানিক-ফিয়ার ঢুকিয়ে বাংলাদেশের সাম্য সম্প্রীতির সমাজে এদেরকেই পলিটিকাল পণ হিসাবে ব্যবহার করছে আওয়ামীলীগ এবং বিজেপি।

উৎসব মণ্ডল বাংলাদেশ আর্মি এর অধীনে সুরক্ষিত এবং চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি এখন শঙ্কা মুক্ত। বাংলাদেশ আর্মি থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। দেখতে ক্লিক করুন।


০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের সাহস সহ্য আর ধৈর্য্যই হচ্ছে সামনে এগিয়ে যাবার প্রধান হাতিয়ার। প্রথমেই ক্যাচালে জড়ালে, লেজে গোবড়ে পাকিয়ে যাবে। অপেক্ষা করি আর নিজেদের গড়ে তুলি। যোগ্যতাই আমাদের সম্মানিত করবে। ওদের সাথে গলাবাজিতে, মিডিয়া ক্যাচালে কিংবা শক্তিতে তো আর পেরে উঠব না, তাই নিজেদের প্রমান করতে হবে অন্যবাভে। আন্তর্জাতিক কুটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের পক্ষে আর ওদের ভয়ঙ্কর কৃর্তির অনেক নথি ও সাক্ষ্য আছে।
সময়ের এক ঘা-ই যথেষ্ঠ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.