নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
(সুপ্রিয় ব্লগার ডঃ এম আলী ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৪২ শেষবার মন্তব্য করেছিলেন। তারপর আর উঁনাকে ব্লগে দেখা যাচ্ছে না- আশা করি উঁনি সুস্থ ও ভাল আছেন।)
বুভুক্ষুদের খাদ্য তালিকায় বাঙালির সংযোজন
অবাঙালি বন্ধুরা মজা করে বলেন- "তোমাদের বাঙলা ভাষা খুব মজার"।
"কেন" ?
"তোমরা বল পানি খাচ্ছি। আরে, পানি কী খাওয়া যায় "?
একটু হেসে বলি, ঠিকই , তবে আমরা আর কী কী খাই সেটা যদি জানতে পারো, তবে জীবনে কখনোই ক্ষুধার্ত থাকবে না ।
"সে কিভাবে" ?
এই যে আমরা বাঙালিরা 'জল কিংবা পানি খাই'। শুধু খাই না, আমরা কেউ কেউ 'ডুবে ডুবে জল খাই' তবে এ জল খাওয়া সে জল খাওয়া নয়। আর, শুধু জল কেন, বাঙালি দুধ খায়, চা খায়, কফি খায়, শরবত খায়। হ্যাঁ,হ্যাঁ, যেটা ভাবছেন, সেই শরাবের সাথে বোতলও খায়।
কেবল তরল পদার্থ ? বাঙালি সিগারেট খায়, বিড়ি খায়, চুরুট খায়, গাজা,হাশীশ, কোকেন সব খায়। দুর্বল পেটরোগা মানুষ, কোন কিছু খেলে হজম হয় না, সেও কিন্তু ' গ্যাসের সিরাপ খায়'। খাওয়ার কি শেষ আছে ? কর্তাব্যক্তিরা সুযোগ পেলে অধস্তনের 'চাকরি খায়'। বিপদে পড়ে 'খাবি খায়'।
সর্বভূক বলা যাবে কিনা জানিনা, তবে বাঙালি নিশ্চিতভাবেই বহুভূক, বিচিত্র ভূক। বাঙালির দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া- খাওয়ির বিচিত্র ফিরিস্তি।
জানেন কি, বাঙালির গাড়ি 'তেল' খায় ? বিশ্বাস না হলে ড্রাইভারদের জিজ্ঞেস করুন। তাঁরা বলে দেবেন কোন মডেল তেল বেশি খায়। আকাশে ঘুঁড়ি 'গোত্তা খায়', মাটিতে লাট্টু বনবন করে 'পাক খায়'।
আর খাবে নাই বা কেন ? আর কোন্ ভাষায় কোন্ কবি খাওয়া নিয়ে সাড়ম্বরে কবিতা লিখেছেন ?
"খাই খাই কর কেন, এস বস আহারে,
খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে"।
যাঁরা বিশ্বসাহিত্যের ভুরিভোজের খোঁজ খবর রাখেন, তাঁরা বলতে পারবেন , এরকম 'খাই খাই' কবিতা অন্য কোনো ভাষায় আছে কিনা।
বাঙলার শ্রেষ্ঠ কবি তো কাব্য জীবন শুরু করেছিলেন খাওয়ার কবিতা দিয়ে।
"আমসত্ত্ব দুধে ফেলি, তাহাতে কদলী দলি,
সন্দেশ মাখিয়া দিয়া তাতে,
হাপুস হুপুস শব্দ
চারিদিক নিস্তব্ধ
পিঁপিড়া কাঁদিয়া যায় পাতে।"
সুতরাং এই বাঙালি পরের মুখে 'ঝাড়ি খাবে', বন্ধুদের কাছে 'সিল খাবে', ভয়ে 'থতমত খাবে', এতে আর আশ্চর্য কি ?
এই বাঙালি এর সাথে ভুল করলে 'বকা খাবে' না, আর ভালোবেসে 'চুমু খাবে' না তা কি হয়? ছেঁড়া চটি পরে 'হোঁচট খাবে' না ?
পায়েস মিষ্ঠান্নে ভোজ সেরে বাঙালি যদি আয়েস খায় আর মাঠে গিয়ে 'হাওয়া খায়', কাজ করতে 'হিমশিম খায় ', আর পা পিছলে 'আছাড় খায়', এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু আছে ?
বাংলাতেই জন্মেছেন শ্রেষ্ঠ ভোজনরসিক কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, যাঁর রসবোধ আর রসনা দুটোই খুব সরস ছিল। তাঁর একটি কবিতার শিরোণাম 'হেমন্তে বিবিধ খাদ্য'। সরস পদ্য রচনা করেছেন বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে। আম, আনারস, তপসে মাছ- কী নেই তালিকায় ! তোপসে মাছ এর দুটি লাইন,
কুড়ি দরে কিনে নেই দেখে তাজা তাজা,
টপাটপ খেয়ে ফেলি ছাঁকা তেলে ভাজা।
কবিতাগুলো পড়লে পেটরোগা দুর্বল লোক 'ভির্মি খাবে'। পেটুক বাঙালি অবসরে 'দোল খায়', বৌএর কাছে 'মুখ খায় ', জুতো, গুঁতো সবই খায়।
ভক্তিরসের গানের জন্য যিনি অধিক পরিচিত, সেই কান্তকবি রজনীকান্ত সেন লিখে ফেললেন-
"যদি কুমড়োর মতো চালে ধরত,
পান্তোয়া শত শত,
আর সরষের মত হত মিহিদানা,
বুঁদিয়া বুটের মতো"
ভেবে দেখুন, যে ভাষায় কাব্যরসের সঙ্গে রসনার এত রসালো মাখামাখি, সে ভাষায় যদি কেউ 'তাড়া খায়' , 'মার খায়' 'ঘুঁষি খায়' কিংবা 'আদর খায় ', সে খাওয়া কি খুব অস্বাভাবিক?
মাস্টারের 'বেতের বাড়ি খায়' আবার মায়ের হাতে 'কানমলা' খায়।
তবে সব খাওয়া ছাড়িয়ে কিছু বাঙালি মহা উদ্যোমে 'ঘুষ খায়'। খেতে খেতে পেট মোটা হয়, ব্যঙ্কে টাকার পাহাড় হয়, বিশ্ব জুড়ে বাড়ি হয় তবুও তারা বুভুক্ষের মত ঘুষ খায়। এই বাঙালি আবার মাঝে মধ্যে অদৃশ্য 'বাঁশ খায়'।
সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ নির্দ্বিধায় বলেছিলেন, " যে ভালো রাঁধতে পারে না, সে ভালো সাধু হতে পারে না। মন শুদ্ধ না হলে ভালো সুস্বাদু রান্না হয় না "।
বাংলা ভাষায় তাই ভাবের প্রকাশে খাওয়ার কোনো অভাব নেই। খাপে খাপে 'খাপ খাওয়া', তেলে জলে 'মিশ খাওয়া', 'মাল খেয়ে' 'টাল খাওয়া', বোকা বনে 'ধোঁকা খাওয়া , খাওয়া নিয়ে একেবারে 'ঘোল খাওয়া'র ব্যবস্থা !
~ দশ ইচ্ছার কম নয় ২০টি হলে ভাল হয়।
অনেক দিন আগে এক বিদেশিনী মহিলার একটা লেখা পড়েছিলাম। তিনি মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বই লেখার জন্যে বিভিন্ন দেশে ঘুরেছিলেন। আমাদের দেশেও বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করার সময়ে কলকাতায় এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে বাঙালি জাতি নাকি ব্রেকফাস্ট খাওয়ার সময়ে লাঞ্চের কথা ভাবে, আর লাঞ্চ খেতে খেতে চিন্তা করে ডিনারে কী খাবে। তাই তো বাঙালি 'দুধও খায়' আবার 'তামাকও খায়'। কেউ কেউ চুপিচুপি 'টাকা খায়' , পকেটমার ধরা পড়ে 'মার খায়', কারা যেন 'ঘুষ খায়' ! ভীড়ের মধ্যে 'ধাক্কা খায়' । ফুটবল মাঠে 'গোল খায় '।
সুকুমার রায় ঐজন্য রায় দিয়ে দিয়েছেন,
এত খেয়ে তবু যদি নাহি ওঠে মনটা
খাও তবে কাঁচকলা, খাও তবে ঘন্টা।
তাহলে বলুন তো, বাঙালিরা 'পানি কিংবা জল খাবে', এতে অন্যায় কী আছে ?
এই ব্যাপারে আপনার কী রায় ?
(লেখক কতৃক সম্পাদনা ও সংযোজন করা হয়েছে)
মূল লেখায় কৃতজ্ঞতা মনিকা আচার্য
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ট্রেনে চেপে যখন কলেজে যেতাম তখন পাচুরিয়া স্টেশনে প্রতিদিন এক বৃদ্ধ ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইতো! তার ভিক্ষা চাওয়ার ধরনটা ছিলে এমন;
'বাজান রে খাবার কি কষ্ট আর ব্যাটার( পুত্র হারানোর )কি শোক তোমরা বুঝবে না রে বাজান!'
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: রম্য উপস্থাপনায় বাস্তবতা তুলে ধারে চমৎকার লিখেছেন!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: জনৈক ব্লগার খালি ব্যান খায়
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: এবার কি কারনে ব্যান খাইলেন ঠিক বুঝলাম না,আপনি জানেন কিছু?
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
আমি সাজিদ বলেছেন: পোস্ট পড়ে খাওয়ার সাগরে খাবি খাচ্ছি৷
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় কন কি এ দেখি আরো খাওয়া দাওয়া বাকি রয়ে গেছে...
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
আলী ভাইয়ের জন্য শুভকামনা।
যেখানেই আছে যেনো ভালো থাকে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমারও শুভ কামনা রইল। একটু দুঃশ্চিন্তায় আছি উঁনাকে নিয়ে।
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
খাওয়া নিয়ে পোষ্টের মাঝখানে যে ভূতের জোকস, ওটা খুবই মজা লাগলো, আগে শুনিনি
আমিও একটা শেয়ার করি, যদিও অনেক কমন।
কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল বল্টু। ভয়ে তার বুক ঢিপঢিপ করছে। এমন সময় দেখে, তার পাশে আরও একজন লোক হাঁটছে। বল্টু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলল
বল্টু : ওহ, ভাই, আপনাকে দেখে কিছুটা সাহস পেলাম।
কী যে ভয় করছিল।
লোকটা : কেন? ভয় কিসের?
বল্টু : কিসের আবার? ভূতের! শুনেছি, এখানে খুব ভূতের উপদ্রব!
লোকটা : আরে, নাহ! কে বলেছে? আমার মৃত্যুর পর প্রায় ৩০ বছর ধরে এখানে আছি। কই, একটাকেও তো দেখলাম না!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: ওই কৌতুকটা কিন্তু একান্ত আপনার জন্য । নিচে নোট দিতে গিয়ে দিইনি- অনেকে ভাবেন মন্তব্য পাবার আশায়...
আপনার কতটা শুনলাম মজা পেলাম!
শেষের পাঞ্চটা ভালো ছিল
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমিতো চাঁদের আলোও খাই, পূর্ণিমা রাতে ওটাই ডিনার।
Main dish is moonlight, appetizer is music, and dessert is someone I love
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: ওয়াও এসব ও তো তালিকায় আসার কথা। আপনি জোৎস্না খেকো মানুষ তাহলে!
and dessert is someone I love
হাঃ লইজ্জা পেলাম
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
জটিল ভাই বলেছেন:
জাতীয় খাবার "ক্রাশ" খাওয়ার কথা কিছু কইলেন না?
আর কানেকানে একটা কথা কই। এই ব্লগের অনেকে কিন্তু আবার এটেনসনও খায়!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: এটা জেন জি'দের খাবার।
হ্যাঁ একজনই তো এটেনশন খাইতে খাইতে তারপরে একদম ব্যান খাইয়া যাইতেছে বারবার
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪০
অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: রম্য রস সব মিলিয়ে ভালো হয়েছে। দাদা খুব ভয়ে আছি কিনা কখন আবার আমি জয় বাংলা হয়ে
যাই । আপনাদের এখানে আসছিলাম একটু টুকটাক লেখাজুখা শেখার জন্য।আর আপনেরা সিনিয়র ব্লগাররা
যা শুরু করছেন কেউ কেউ বিপদে থাকলে তাদের নিয়ে রম্য ..........
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি থাকলে এবং দেশ ও জাতির অকল্যাণ না হলে অবশ্যই বলতে দেয়া উচিৎ।
আপনার মন্তব্য পড়ে তেমন কিছু মনে হয়নি। টেনশন নিয়েন না।
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: ঘুষ আমাদের জাতিয় খাদ্য।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: এর থেকে মজার আর কোন খাবার বাঙালির আছে নাকি- সরকারি চাকরিতে এটা খাওয়া বাধ্যতামূলক
১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ লেখা পড়ে টাশকি খাইলাম।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: এত খেয়ে তবু যদি নাহি ভরে মনটা
খেতে পারো টাশকিও কিম্বা হাসু আপার কাঁঠালের ঘন্টা
১২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০
করুণাধারা বলেছেন: [s] বাঙালিরা "পানি কিংবা জল খাবে", এতে অন্যায় কী আছে?
কোনো অন্যায় নেই। পানি কিংবা জল দুটোই খেতে পারে, কড়মড় করে ভালো মতো চিবিয়ে খাওয়া উচিত। শুধু আগে ফ্রিজারে রেখে জমিয়ে নিতে হবে।
রম্য ভালো হয়েছে। আমসত্ব দুধে ফেলি... পড়ে মনে হলো আমিও খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একটা পোস্ট লিখে রেখেছিলাম, সেখানে এই কবিতাটা ছিল!
সবচেয়ে ভালো লেগেছে শেষ কার্টুনটা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: ওইটার একটা ট্যাগ লাইন দিতে চেয়েছিলাম;
জ্বিন হইলেন আমাদের মডারেটর
আর দশ ইচ্ছার কম নয়, যে ব্যানারটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন উনি হইলেন আমাদের গোফরান সাহেব।
প্রানের ড্রিঙ্কো নাকি চিবিয়েও খাওয়া যায়!!
১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে খেতে হলেই যে চাবাতে হবে এমন তো কোন কথা নাই। সাধারণভাবে খাওয়া মানে খাদ্য দ্রব্য গলাধঃকরণ করা। তাই বাঙ্গালীরা যখন পানি না চিবিয়ে গলাধঃকরণ করে সেটাকে খাওয়া বলা মোটেই ভুল না। আমরা তো ওষুধও খেয়ে থাকি, সিগারেটও খেয়ে থাকি। মানে গলা দিয়ে কিছু গেলেই সেটা খাওয়া। তবে পান শব্দটাও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় বটে। তবে খাওয়া মানে শুধু গলা দিয়ে খাওয়া না। আপনি বেশ কিছু চমৎকার উদাহরণ দিয়েছেন। বাংলা ভাষায় একই শব্দের এতো বিচিত্র ব্যবহার অন্য কোন ভাষায় আছে কি না জানি না। এটাও বাংলা ভাষার একটা বিশেষত্ব মনে হয়। একই শব্দের বিভিন্ন অর্থ বুঝতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না। এটা কি বাঙ্গালীর গুণ না বাংলা ভাষার গুণ এটা নিয়ে দ্বন্দ্ব হতে পারে।
আমার ধারণা রসনা বিলাস বাঙ্গালী জাতির আয়ু এবং কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। স্কুলে একটা প্রবন্ধ ছিল 'রসনা বিলাস'। উহাতে বাঙ্গালীর মাত্রাতিরিক্ত ভোজন প্রীতির সমালোচনা ছিল। যদিও শেখ হাসিনা সরকার এতো খাওয়া খাউয়ির পরেও আমাদের গড় আয়ু বাড়িয়ে দিয়ে গেছেন। দেখা যাক ডঃ ইউনুসের সরকার গড় আয়ু বাড়ায় না কমায়। দুইজনের তো সাপে নেউলে সম্পর্ক ছিল।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তরটা দিতে একটু দেরি হয়ে গেল।
আসলে এটা এটা ভাষার একটা সৌন্দর্য, কাঠিন্যতা ও দৈন্যতাও বলা যায়। যেমন 'আছাড় খাওয়া' এটা সম্ভবত শুদ্ধ বাংলা এটা
কোন খাওয়ার পর্যায়েই ফেলা যায় না।
খাওয়ার মত বাংলায় আরেকখানা শব্দ আছে 'পড়া' -এটাও মোটামুটি উদ্ভট কিছু শব্দের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে, অথচ এক চাঁদের
কত বিকল্প নাম!! এঁকে বিচিত্র ব্যবহার না বলে আমি ভাষার দৈন্যতা বলব।
এই গড় আয়ু শুধু গল্পে আছে বাস্তবে নেই!
১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশ মজা পেলাম।
এত এত খাওয়া খায়ির কথা শুনে ক্ষিদা লেগে গেছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই- অনেকদিন বাদে আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।
যাক আপনার রুচিতে যে সমস্যা ছিল সেটা আপাতত কেটে গেল মনে হয়
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: খাবো খাব সব খাব,খাবো খাব দুনিয়া খাব।
বউয়ের আদর খাব, সাথে সাথে তাহার প্যাদানীও খাব।
বাপের জুতার বাড়ি খাব,মায়ের ঝাড়ুর বাড়ী খাব।
পাশের বাড়ীর ভাবীর ইশক খাব,সাথে সাথে তাহার সংসার খাব।
ঘুষ খাব,সুদ খাব,
ব্যাংক খাব,বীমা খাব।
সাথে সাথে দেশ খাব।
আর কিছু না পাইলে ঘাসের সাথে চিবিয়ে চিবিয়ে নিমপাতার রস খাব।
তারপরও আর কিছু না পাইলে কাঠালের পাতা খাব
( তাই বলে আমাকে ছাগল ভাবার কোন কারন নাই। কারন যদিও কথায় আছে ছাগলে সব খায় । তবে আমি ছাগল না ,ছাগলের বড় ভাই , চেতনার পাগল । আর তাই ছাগল যা খায় তার থেকে আমি বেশী খাই) ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১২
শেরজা তপন বলেছেন: পাশের বাড়ীর ভাবীর ইশক খাব, সাথে সাথে তাদের সংসার খাব ~ বাহ্ ভাই বাহ্ এভাবে চুপি চুপি গাছের ফল খাচ্ছেন আবার শেকড় ও কাটছেন!! আজ থেকে কামরুজ্জামান নামের কোন ভাড়াটিয়া আমার মহল্লায় প্রবেশ নিষিদ্ধ কিংবা এমন নামের বাড়ির মালিকের কাছ থেকে কোন সোমত্থ সুন্দরী গিন্নী নিয়ে ঘর ভাড়া নেবার আগে দু'বার ভাবতে হবে।
১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:১২
আজব লিংকন বলেছেন: তপন ভাই লেখাটা খুব মজা নিয়ে পড়লাম। আমরা বাঙালিরা ভোজন রসিক, কত কিছু খাই। খাদ্য কি অখাদ্য আমাদের বাদ-বিচার নাই। বাঁশ মাখা, ঘাস মাখা এমনকি হাওয়া-বাতাস খাই। হামি, খাবি, ফেসবুকে ক্রাশ। খাওয়ার যে শেষ নাই। চলতি পথে হঠাৎ দেখা। আরে কি অবস্থা ভাই? কথা আছে চিপায় চলেন বিড়ি-সিগারেট খাই।
আমিও একটু ছন্দ মারার চেষ্টা করলাম।
ভালোবাসা নেবেন ভাই।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে খুব বেশী সময় দিতে পারছি না। খুব তাড়াহুড়ো করে কিছু একটা পোস্ট লিখে দেই- কিছু পড়ে মন্তব্য করি কিংবা উত্তর দিই, এজন্যই অনেক মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়ে যায়।
দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।
হ্যাঁ সারাদিনই যায় আমাদের খাদ্য-অখাদ্য-কিংবা কুখাদ্য খেয়ে। এ জারির মনে হয় খাবার জন্যই সৃষ্টি
নাঃ ছন্দ ভালই মেরেছেন। আপনার এলোমেলো চুলের সাথে মিলে গেছে!!
১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:১৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার এ তো দেখছি বিশাল খাদ্য আইটেম বেশি খেতে নেই বেশি খেলে ভদ হজম হয় । কিন্তু এতো খাওয়ার পাগল
একবার শুরু করলে নাক পর্যন্ত না হওয়া পর্যন্ত থামি না। পরে যা হওয়ার তাই হয় হযম হয় না হয় ভদ হজম গড় গড় করে সব ছেড়ে দিতে হয় ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ রে ভাই এই খেয়ে খেয়েই এ জাতির পেটে যত গণ্ডগোল। এতো গ্যাস আর পেটের রোগের ঔষধ মনে হয় অন্য কোন দেশে বিক্রি হয় না। এ জাতির কোন খাওয়ার টাইম নাই- বাছ বিচার নাই, মসল্লার লিমিট নাই, ভেজ নন ভেজের বাছাই না। ভাজা পোড়া ভুনা ভর্তা চচ্চড়ি ঝোল কষা মাখা মাখা সেদ্ধ থেকে শুরু করে কত রকমের রান্না যে পড়ে আমাদের পাতে তার কি ইয়ত্তা আছে
১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৩৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেকদিন পর ব্লগে এসে লেখতে পারছি ।
আমাকে স্মরণে রাখার জন্য ধন্যবাদ।
ডান হাতে খুবই ব্যথা , কিছুতেই সারছেনা
লিখতে খুবই কষ্ট হয় বলে সামুতে
বিচরণ কমে গেছে ।
সুস্থাতা ফিল করলে নিয়মিত হব ।
দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার অসুখের কথা শুনে ভীষন মন খারাপ হলেও আপনাকে দেখে খুব ভাল লাগল।
বহু বছর যাবত আপনি এই হাতের ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছেন-মনে হয় অনেক মেডিকেশন আর ব্যায়ামেও কোন লাভ হয়নি। আপনাকে আর কি পরামর্শ দিব- দোয়া ছাড়া গতি কি।
একমাত্র সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থতা কাম্য করছি। ভাল থাকুন আবার ফিরে আসুন স্বমহিমায় আমাদের মাঝে।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২১
আলামিন১০৪ বলেছেন: ডঃ এম আলীর লিখা আমিও খুব মিস করি, আল্লাহ তাকে ভালো রাখুন। তাকে কি কেউ ব্যক্তিগতভাবে চিনেন?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ উনি মন্তব্য করেছেন দেখে ভাল লাগল। ধারনা করছি- ব্লগিং নিয়মিত না করলেও ব্লগের দিকে নজর রাখেন। উনার আশু সুস্থতা কামনা করছি।
আপনি ভাল থাকুন।
২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩১
আলামিন১০৪ বলেছেন: ওহ, তিনি মন্তব্য করেছেন দেখলাম এক পোস্টে, আলহামদুল্লিাহ, Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া খাওয়া ছাড়া আর কাজ কাম নাই। আর সবকিছুই নাকি মানুষ খায়...... এই খাওয়া নিয়ে একটা কথা মনে পড়ে গেলো!!!! সেই বিদিকিচ্ছিরী খাওয়া দেখে আমিও সিমরী মানে সামুতে ভীমরি খাওয়ার নতুন ভাষা খেয়েছিলাম। আজকাল নাকি মানুষ ফেসবুকও খায়...... কেড়ে খায়, দাওয়াৎ খায়, একটু ঘুরিয়ে বললাম আর কি.....