![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
✦ইতিহাসের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে থাকা কিছু বাস্তবতা কখনও কখনও এতটাই কঠিন, যার মুখোমুখি হওয়া কেবল একটি গবেষণা নয়, এক ধরণের নৈতিক দায়িত্ব।
এটি শুধু ইতিহাস নয়, বরং আত্মসমালোচনার এক কঠিন আয়না। কে ছিল 'অপরাধী' আর কে ছিল 'দর্শক'—এই রেখা যখন ঘোলাটে হয়, তখন সমাজ হিসেবে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত: সহিংসতার বীজ কবে রোপিত হয়েছিল, এবং আমরা সবাই কি তার কোন না কোন অংশে দায়ী ছিলাম না? মানুষ কি অপরাধ করে মাফ করে দেয়ার জন্য ক্ষমা চায় নাকি মাফ করার পরে ক্ষমা চায়?
[তবে;অপরাধীরা তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতেই পারে( গিল্টি ফীলনেস)]
✦১৯৭২ সালে দালাল আইন জারীর পর ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সাধারন ক্ষমা ঘোষণা পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল ১ লাখ লোককে এবং ৩৭৪৭১ জন দালালকে অভিযুক্ত করা হয়।
✦তাদের বিচারের জন্যে ৭৩টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই ৭৩টি ট্রাইব্যুনালে ২২ মাসে ২৮৪৮টি মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। ✦এদের মধ্যে দণ্ডিত হয় মাত্র ৭৫২ জন, তাও প্রায় সবই ছোটখাট অপরাধের জন্যে। অবশিষ্ট ২০৯৬ জন খালাশ পেয়ে যান।
✦এই পটভূমিতেই ১৯৭৩ সালের ৩০শে নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষিত হয়। সাধারণ ক্ষমার অধীনে ১৯৭৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ছাড়া পেয়ে যায় ৩০ হাজার বন্দী। কিন্তু হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ-এই চার অপরাধের অভিযোগে বিচার, গ্রেফতার ও শাস্তি বিধানের আইনী বিধান বহাল রাখা হয়।
✦কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে দালাল আইন বাতিল হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ দুই বছর এক মাস সময়ে উক্ত চার অপরাধের অভিযোগে একটিও মামলা দায়ের হয়নি। (উল্লেখ্য যে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার পরেও প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী কারাগারে বন্দী ছিলেন।) ***এখন সব দোষ জিয়াউর রহমানের
✦✦এখন আসি সেই যে ১১ হাজার বন্দী ছিল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তাদের নাম ও তালিকা প্রকাশ পায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে।
আমরা ধরে নিই যেহেতু তারা সাধারন ক্ষমার আওতায় আসেননি সেহেতু তারা যুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ-এই চার অপরাধের অভিযুক্ত ছিল।
১৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ -রাজাকারের তালিকা: বিতর্ক তুঙ্গে
রাজাকারের তালিকা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে। মুক্তিযোদ্ধা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ বেশ কিছু নাম আসায় প্রকাশের দিন থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে চার দিকে। ক্ষুব্ধ, সংক্ষুব্ধ তালিকায় নাম আসা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন, সংগঠকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এই তালিকা নিয়ে। তীব্র সমালোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। রোববার প্রথম পর্বে মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০৭৮৯ জন রাজাকারের নাম প্রকাশ করে। তালিকায় মুুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় গতকাল মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অভিযোগের পরিমান বেশি হলে তালিকা প্রত্যাহার করে নেয়ার চিন্তা করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত রাজাকারদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা আগেই তৈরি করে রেখে গেছে। সেখানে কোনো ইল মোটিভ থাকতে পারে, উদ্দেশ্যমূলক হতে পারে। যেভাবে আছে, সেভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা এটা এডিট করি নাই, দাঁড়ি-কমা, সেমিকোলন চেঞ্জ করি নাই।
✦আপনি একে কি তামাশা বলবেন না??
***
✦এবার আসি ফের ওই সময়কার আলোচনায়;
এই বিষয়ে বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তারেক মুহাম্মদ তওফীকুর রহমান;
এই অবস্থার পটভূমিতেই ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে দালাল আইন বাতিল হয়ে যায়স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে উত্তেজনা প্রশমনে রক্তের বন্ধন, আত্মীয় সূত্রতা এবং সমাজ গোষ্ঠীর বন্ধনে অপরাধকৃত দালালদের আশ্রয় দেবার ব্যাপক প্রবণতা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দেখা গেছে। 'ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ' এই মহানুভবতার চিরন্তনী আবহে লালিত বাংলার মানস-গঠন শাস্তি বিধানের পরিবর্তে সামাজিক সালিশ ও সমঝোতার পথেই অগ্রসর হয়েছে।
✦মুক্তিযুদ্ধে একই পরিবারে পিতা শান্তি কমিটির সদস্য হয়েছে, অপরদিকে পুত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। পিতা ও পুত্রের এই বিপরীত অবস্থান দীর্ঘদিন আক্রোশী মনোভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধাপুত্র দালাল পিতাকে বাঁচানোর জন্য তদ্বির শুরু করতে কুণ্ঠিত হয়নি।
✦অনেক দালাল এমনও ছিলো যে, তারা গোপনে মুক্তিবাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে এবং প্রয়োজনমতো নিরাপত্তাও দিয়েছে। দালালির অভিযোগে অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তিটি পরবর্তীকালে ঐ সব মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রার্থনা করেছে এবং আশ্রয় পেয়েছে।
✦এখানে প্রকৃত অবস্থায় বা ভিন্নভাবে যাই হোক না কেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রায় দু'হাতে ধৃত ও অভিযুক্ত দালালদের ছেড়ে দেবার সুপারিশ করতে থাকে। যা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর দপ্তরকে পর্যন্ত আক্রান্ত করে তোলে।"
***
✦সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রথম আলোতে এ কথাই লিখেছেন এইভাবে, "কোনো যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দালালদের বিচার না হওয়ার মূল কারণ, অনেক মন্ত্রী, সাংসদ নেতা ও বীর উত্তম মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়্বজন, বন্ধু-বান্ধব মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের সহযোগী ছিল। তাদের বাঁচাতে গিয়ে সকলকেই বাঁচিয়ে দেয়া হয়। (প্রথম আলো, ১৩ নভেম্বর, ২০০৭)"।
✦শুধু বাঁচিয়ে দেয়া নয়, দীর্ঘ দুইবছর ১ মাস সময় পর্যন্ত দালাল আইন বহাল তবিয়তে থাকলেও খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ- এই চার অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের না হবার এটাও একটা কারণ। আরেকটা কারণ হলো মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল কিংবা পাকিস্তান বাহিনীর সহায়ক হিসাবে 'রাজাকার'-এর মত যে সব বাহিনী কাজ করছে, যুদ্ধাপরাধী বা অপরাধী শুধুমাত্র তাদের মধ্যেই ছিল না, অন্যান্য দল ও গ্রুপের মধ্যেও যুদ্ধাপরাধী বা অপরাধী ছিল।
✦এ বিষয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদ লিখেছেন, "এখনকার পত্রিকা পড়লে মনে হয়, শুধু মুসলিম লীগ, জামায়াত বা নেজামে ইসলামীর লোকেরাই পাকিস্তানীদের দালাল ছিল। বস্তুত সবশ্রেণী ও গোষ্ঠীর মধ্যেই পাকিস্তানীদের সহযোগী ছিল। আব্দুল হক তার কম্যুনিস্ট পার্টির নামের সাথে বাংলাদেশ হওয়ার পরও 'পূর্ব পাকিস্তান'ই রেখে দেন। অত্যন্ত 'প্রগতিশীল' বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করেছেন। (প্রথম আলো, ১৩ নবেম্বর ২০০৭)"। ( নোট করবেনঃ এটা কিন্তু প্রথম আলোর নিউজ)
✦দালাল আইনে বিচার করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু আরেকটি কঠিন বাস্তবতার সম্মূখীন হয়েছিলেন। তিনি দেখলেন, দালাল আইনে গ্রেফতারকৃতরা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এবং তাদের আত্মীয় স্বজন। এ ব্যাপারটি নিয়ে তিনি তৎকালীন পুলিশ প্রধন জনাব আবদুল খালেকের সাথেও আলোচনা করেছিলেন। পরে সবকিছু বিবেচনা করে সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত নেন।
✦এটাই ঘটনা, এটাই ইতিহাস। এখন অনেকে সে ইতিহাস ভূলে যেতে চান। কিন্তু কারও ভুলে যাওয়া ইতিহাস পাল্টায় না।
মুল সোর্সঃ বিডি নিউজ ২৪ (যুদ্ধাপরাধঃ পর্ব-৪ (বঙ্গবন্ধু কর্তৃক দালাল আইনে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষাপঠ ও ইতিহাস)
✦আসুন এখন দেখা যাক সাধারন ক্ষমার পরে তৎকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর অনুভুতির কথা শুনে আসি। আজ তাদের কি জাতি ক্ষমা করবে? আসলে ক্ষমা চাওয়ার কথা ওদের না এদের? আপনিই বিচার করুন;
✦বঙ্গবন্ধু সরকারের এ ঘোষণা সর্বমহল থেকে অভিনন্দিত হয়।
✦সরকারের প্রবল বিরোধী এবং বাম আন্দোলনের গুরু বলে পরিচিত ভাসানী ন্যাপের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি তার এবং দলের সম্পাদক মণ্ডলী তখনই এক বিবৃতিতে বলেন, "ন্যাপ বহু আগে থেকেই নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করে আসছে।" বিবৃতিতে বাংলাদেশ দালাল সংক্রান্ত আইনের ৮নং ও ৫০ নং ধারা বাতিল করার দাবি জানান। তিনি ১৫ ডিসেম্বর আরেক বিবৃতিতে বলেন, "ক্ষমা চাই, সমানাধিকার চাই। রাষ্ট্রপতি আদেশের ৫০ ও ৮ ধারা বাতিল চাই।"
✦বাংলাদেশ জাতীয় লীগের সভাপতি জনাব আতাউর রহমান খান তার বিবৃতিতে বলেন, "আরো আগেই দেশের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। এর ফলে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে এবং মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করে বিশ্বস্ততার প্রমাণ দেবেন।"
✦দেশের প্রবীণ রাজনীতিক ও চিন্তাবিদ জনাব আবুল হাশিম প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে অভিনন্দিত করে বলেন, "জনগণের ভাগ্যকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্যে সরকার সঠিক পন্থাই বেছে নিয়েছেন। গণতন্ত্রের এ উদ্যম বজায় থাকলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা রয়েছে।"
✦সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর আহমদ বলেন, "আমার ছোট্ট বিবেচনায় সরকার যখন একবার অনুকম্পার দরজা খুলিয়াছেন, ষোলো হাজারের মতো বন্দীকে ক্ষমা করিয়া দিয়েছেন, তখন বাকি সবার প্রতিও তেমনি উদারতা প্রদর্শন করুন। অন্যথায় দুই বছর পরে আজ যেমন চারশ লোককে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিতে হইল, বার বছর পর (৩৭ হাজার দালালদের বিচারে ১২ বছর লাগবে) মানে গ্রেফতারের সময় হইতে চৌদ্দ বছর পর আরো অনেক লোককে তেমনি মুক্তি দিতে হইতে পারে।" তদানীন্তন মুক্তিযোদ্ধা সংসদও বঙ্গবন্ধু সরকারের এই ঘোষণার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দিত করে বিবৃতি দেয়। * এইটা নোট রাখুন।
***
✦ স্বাধীনতার পরে কে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর কে বপক্ষের শক্তি এই নিয়ে সারাদেশে এ নিয়ে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে গেল। দেখা গেল ব্যক্তিগত শত্রুতার সুত্র ধরেও প্রতিশোধ আকাঙ্খায় একে অপরকে রাজাকার বানাচ্ছে, প্রতিশোধ নিচ্ছে, হত্যা করছে কিন্তু গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও দিচ্ছে না। ফলে সত্যিকারের অপরাধীরা গা-ঢাকা দিতে সমর্থ হয়। অনেক নিরীহ লোকও এর ফলে প্রাণ হারাতে থাকে।
✦রাজাকার-আলবদররা আশ্রয় পেতে থাকে মুক্তিযুদ্ধ-সমর্থক অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছেও। ব্যক্তিগত আত্মীয়তার সূত্র ধরে এ আশ্রয়লাভ ব্যাপক আকারে রাজাকার-আলবদরদের প্রাণে বাঁচিয়ে দেয়।
✦বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথিত 'মহান হৃদয়' রাজাকার-আলবদরদের বিচারে রাজনৈতিকক্ষেত্রে প্রধানভাবে বিঘ্ন ঘটায়। অধিক রক্তপাতের আশঙ্কা থেকে অথবা স্বাধীন দেশে তারা আর কিইবা করতে পারবে এই হালকা রাজনৈতিক চিন্তার কারণেও যুদ্ধ-অপরাধীরা বেঁচে যায়।
✦দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, খান এ সবুর, পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা-মুক্তিযুদ্ধে যিনি সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে এবং গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন, তিনি জেল থেকে বঙ্গবন্ধুকে এক চিঠিতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, ভবিষ্যতে তিনি আর বাংলাদেশে রাজনীতি করবেন না। এ-কথা বিশ্বাস করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব সবুর খানকে মাফ করে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেন।
***
সাফ কথাঃ
মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয়টি মাস প্রত্যক্ষ যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি এই যুদ্ধের ভয়াবহতা ও কঠিনতা সম্পর্কে তাঁর অনভিজ্ঞতাই এই হালকা
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রতিপন্ন করা যায়।
✦তবে যুদ্ধ-অপরাধীদের শাস্তি বা বিচার না-করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলগুলোও কম দায়ী নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তিশালী করার সুবিধাবাদী রাজনৈতিক মানস-চেতনা থেকেও বিরোধীদলগুলো স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত আশ্রয়দান অব্যাহত রেখেছিল।
✦এর পক্ষে উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মশিউর রহমান যাদু মিঞা যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাঁর দলকে পরিত্যাগ করে পালিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কাছে প্রকাশ্যে গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কার্যকলাপ প্রকাশ্যে চালু রেখেছিলেন, স্বাধীনতার পর ভাসানী-ন্যাপ প্রকাশ্যে তাঁর মুক্তি দাবি করতে থাকে। বিরোধীদলের রাজনৈতিক চাপে আওয়ামী লীগ অবশেষে যাদু মিঞাকে মুক্তি দিলে ঢাকায় ইসলামিক একাডেমী (বর্তমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন) মিলনায়তনে তাকে 'বীর' হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মওলানা ভাসানীর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় যাদু মিঞার এই সংবর্ধনা সভায় অন্যতম প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেযন মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাফর আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন। শুধু তাই নয়, জনার কাজী জাফর ও মেনন, যাদু মিঞাকে গলায় তাজা ফুলের মালাও পরিয়ে দেন। ( এদের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। এরা এবন তাদের অনুসারীরা এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান। জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে বলেন। সত্যিই সেলুকাস!!!!)
✦তৎকালীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এবং ন্যাপ (মোজাফফর)-এর থানা-জেলা পর্যায়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা আশ্রয় জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে আশ্রয় পায়। জাসদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে মওলানা মতিনের মতো লোকও স্থান লাভ করতে সমর্থ হয়। আল মাহমুদ, যিনি পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক আদর্শ গ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন জাসদের প্রধান মুখপত্র 'গণশক্তির প্রধান সম্পাদক। স্বয়ং জাসদ সভাপতি মেজর এমএ জলিল পরে মৌলবাদী রাজনীতিতেই যোগদান করেন।
✦জাসদের থানা ও জেলা পর্যায়ের অনেক তরুণ-কর্মী ও নেতা ছিল মূলত পলাতক রাজাকার অথবা আলবদরদের সন্তানরা। তাঁরা খুবই জঙ্গীকর্মী হিসেবে রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েছিল। একদিকে তারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছিল, অন্যদিকে সমাজতন্ত্রেরও সর্বনাশ করে দিচ্ছিল। জাসদে অবস্থানকারী সত্যিকারের সমাজতন্ত্রীরা তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে।
✦যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের যুগবৎ এই দোলাচল, দুর্বলতা, রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ও অসচেতনতা এবং কান্ডজ্ঞানহীনর পরও স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তার দৃষ্টান্তও সামান্য নয়।
✦কিন্তু এতসব দুর্বলতা সত্ত্বেও স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকার যুদ্ধ-আপরাধীদের বিচারকার্য দৃষ্টান্তমূলক ভাবেই শুরু করেছিল। এই বিষয়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৫ জন পাকসেনাকে যুদ্ধ-অপরাধের দায়ে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
৩১ আগস্ট: বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রাজাকার মুন্নার মৃত্যুদন্ড।
✦দেখা যাচ্ছিল এই ১৯৭৩ সালের প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয়ভাবে কিছু বিরোধীদলের চাপে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও পাকিস্তানী দালাল, গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এরই সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটে ১৬ মে ১৯৭৩ সালে। এদিন সরকার দালাল আইনে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত কয়েক শ্রেণীর লোকের প্রতি ক্ষমাপ্রদর্শন করেছে।
✦এই ঘোষণার ৫ মাস পরেই সরকার দালাল আইনের ব্যাপারে তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে মৌলিক পরিবর্তন ঘটায়। ৩০ নভেম্বর (১৯৭৩) সরকার দালাল আইনে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামীর প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করে। এদিন ক্ষমা ঘোষণার সাথে ইসলামের ইতিহাসের মক্কা বিজয়ের পরের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এটা হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা।
মুক্তিযুদ্ধের হিন্দু-বৌদ্ধ-চাকমা রাজাকাররা
১০ এপ্রিল (১৯৭৪) ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধ-অপরাধীকেও ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী ক্ষমা করা হয়।
✦বস্তুত দালাল ও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত খুনীদের ক্ষমা করার বিষয়টি ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের জন্যে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক বিপর্যয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরবর্তীকালে এই ক্ষমা ঘোষণা অত্যন্ত বিস্ময়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যাতে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশটির অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি পড়ে যায়। ১৯৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো দালালদের ঘটা করে রাষ্ট্রীয় জীবনে 'সুপ্রতিষ্ঠিত করে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম নির্লজ্জতার পরিচয় দেয়।
✦তবে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দালালদের বিচারের ইতি টানলেও দেখা যাচ্ছিল, পরবর্তী সময়েও বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ-অপরাধী ও খুনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত ছিল। ১৯ জুলাই (১৯৭৪) দালালীর অভিযোগে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট জনৈক হাফিজ শাহ মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। ১১ আগস্ট (১৯৭৫) দালালীর অভিযোগে আরো ৬ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।
✦ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। দুর্বলতা সত্ত্বেও এই প্রক্রিয়া দেশের আদর্শিক অবস্থানকে সংহত করছিল।
Ref: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর সময়কাল - ড. মোয়াম্মাদ হাননান
✦লিঙ্কটাতে ক্লিক করুনঃ দারুণ একটা রাজাকারের তালিকা ও তাদের কর্মকাণ্ডের বর্ণনা পাবেন।
!!রাজাকারের তালিকায় শীর্ষে আওয়ামী লীগ!! শীর্ষ ৪৬ জন রাজাকারের তালিকায় আঃলীগ নেতা।
✦✦✦ ব্লগার সমীপে✦✦✦
রাজাকার ইস্যুটা বরাবরই স্বাধীন বাংলাদেশের একটা স্পর্শকাতর বিষয়! কেউ যদি সমালোচনা করতে চান তবে লেখা পড়ে যুক্তিযুক্ত ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করুন। আমার দর্শনতত্ত্ব (যুক্তি ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে অস্তিত্ব, জ্ঞান, যুক্তি, মন ও ভাষা সংক্রান্ত মৌলিক ও সাধারণ প্রশ্নগুলির অধ্যয়ন এবং এর পদ্ধতিগত অনুসন্ধান।) ও তথ্যে বিভ্রান্তি ও ভুল থাকতে পারে, সে কারনে একপাক্ষিকভাবে ট্যাগ দিবেন না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার বস্তাপচা মুল্যহীন মতামত ও মন্তব্যের জন্য।
সতর্কতামূলক প্রতি মন্তব্য করছি; পোস্ট ও এর বিষয়বস্তু নিয়ে যা খুশী বলুন ( এটা পায়খানা, জঞ্জাল কিংবা গার্বেজ অথবা গরুর রচনা ব্লা ব্লা) কিন্তু ব্যক্তি আক্রমন করবেন না, তাহলে রিপোর্ট তো খাবেনই আর আপনি তো জানেন; আমি আপনার বউ বাচ্চাকেও টেনে আনতে পারি
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
করুণাধারা বলেছেন: অল্প কিছুটা পড়া হলো। একটা উপদেশ দিতে এলাম। পোস্ট বহির্ভূত, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য দেখামাত্র মুছে দিতে পারেন। লাই দেবার কোনোও দরকার নেই।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: কোন সমস্যা নেই- এদের ক্যামনে হ্যান্ডেল করতে হয় তা আমার বিলক্ষন জানা আছে। এমন একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট দেবার আগে প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছি।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মুল্যবান পরামর্শের জন্য।
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@করুণাধারা ,
অপ্প কিছুটা পড়ে এই অবস্হা; পুরোটা পড়লে কি অবস্হা হবে?
এখন লেখকের উত্তর দেখছেন, লেখক কেমন শক্ত ব্লগার! আমার চেয়ে শক্ত আদমদেরও বিক্রয় করে দিয়েছেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আর একটু আগাইলেই মামু কিন্তু 'মন্তব্যে কট' খাইবেন। তখন কিন্তু কাঁইদেন না।
ক্ষমতা আর বিজ্ঞতা থাকে তো যুক্তি দিয়ে তর্কে আসুন। আর আমার যে কোন বিষয়ে আলোচনা আপনার অপছন্দ হইলে অফ যান।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনি যা যা পারেন, সবই করেন প্লীজ! আমার বউ বাচ্চাকেও টেনে আনেন।
আপনি আপনার গবেষণার সুনাম করছি মাত্র।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: সময় আসুক- আপনার বেহুদা আক্রমনের মাত্রা দেখে নির্ধারিত হবে।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার পোস্ট বড় হলেও পড়ে নিলাম। এই বিষয়ে আগেও অনেক যুক্তি তর্ক দেখেছি। আসলে তখন যারা দেশ নিয়ে ভাবতেন তারা দেশের মঙ্গল ও দেশের ভবিষৎ প্রজন্মের কথা ভেবেই হয়তো একটা যায়গায় এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে আর ঠিক থাকেনি। কেউ -কেউ বিষয়টা নিয়ে ঝগা হিচুড়ি বানিয়ে যে যার মতো ফায়দা লুটে নিয়েছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: দেশ নিয়ে অন্তত রাজনীতিবিদেরা কখনো ভাবিত হয় না। ভাবে সাধারন মানুষ, মরে সাধারন মানুষ। তাদের লাশ হয় ওদের ক্ষমতার সিড়ি।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২
নতুন বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর বলেছেন: আপনি যা যা পারেন, সবই করেন প্লীজ! আমার বউ বাচ্চাকেও টেনে আনেন।
আপনি আপনার গবেষণার সুনাম করছি মাত্র।
এটা বিষয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য ব্লগটা লিখেছেন আর আপনি শুরুটাই করেছেন আপনার গাবেজ দিয়ে?
যদি ভুল কিছু লিখে থাকে তবে ভুল ধরিয়ে দিন। আলোচনা করুন।
এমন ঝামেলা পাকানোর কি দরকার?
ব্যক্তি আক্রমন করে আপনি কি মজা পান? আপনার সমস্যাটা কি যে সবাইকেই অপ্রাসাঙ্গিক আজেবাজে মন্তব্য করতে হবে?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: তাকে এভাবে বলে কেউ কোন্দিন আজ পর্যন্ত লাইনে আনতে পেরেছে। তাঁর ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে সেই কবে ইঞ্জিন বিগড়ে গেছে!
নসিহত দিয়ে কোন লাভ নাই রে ভাই।
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৪
কোলড বলেছেন: A nice well researched article. I like it!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@নতুন,
আমি ব্যক্তিকে বড় করেছি, আক্রমণ করিনি; আপনার বোনের ছেলেকে আপনি শিবিরের গুলি থেকে সরায়ে নিয়েছেন, কিন্তু আপনি আমেরিকান ক্যু'এর পক্ষে ছিলেন।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@নতুন,
রাজাকারেরা রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা; স্বাধীনতার পক্ষে মানুষজন ছিলেন, বিপক্ষেও ছিলো; আজকে সেগুলোকে নতুন রূপ দিয়ে পরিবেশনের দরকার নেই।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই যখন মুক্তিযোদ্ধা আর লেজাকার নিয়ে লিখল তখন না কত ইনিয়ে বিনিয়ে মন্তব্য করলেন। এই ইথিক্স তখন কোথায় ছিল?
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন:
“ক্ষমা” ও “ক্ষমা চাওয়া” দুটি ভিন্ন বিষয়। শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে বা রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু বিষয়ে ক্ষমা করে দিয়ে থাকতে পারেন, সেটি তাঁর সময়ের বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু জাতির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নটি ভিন্ন জায়গায় দাঁড়ায়, কারণ এটি ইতিহাস, রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সঠিক বার্তা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। তাই বিষয়টি একেবারে সাদাকালো নয়- ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বকে আলাদা করে দেখাই যৌক্তিক।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: এ বিষয় নিয়েই তো আমি বিস্তারিত লিখেছি ভাই।যখন সুযোগ ছিল তাদের ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার বা বিচার করার তখন কেউ করেনি। ঘরের মধ্যেই সাপ ছিল। এখন আপনি না পাবেন অপরাধী আর না পাবেন সাক্ষী। কেউ প্রশ্ন তুললেই তাকে রাজাকারের ট্যাগ দেয়া হয়।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৪
নতুন বলেছেন: @নতুন,
আমি ব্যক্তিকে বড় করেছি, আক্রমণ করিনি; আপনার বোনের ছেলেকে আপনি শিবিরের গুলি থেকে সরায়ে নিয়েছেন, কিন্তু আপনি আমেরিকান ক্যু'এর পক্ষে ছিলেন।
আপনি কি করেছেন সেটা আপনিও জানেন এবং আশা করি ব্লগাররা যে বোঝে সেটা বোঝার মতন জ্ঞান আছে।
আপনি অন্ধ ভক্তের মতন শেখ হাসিনার অপকর্মের পক্ষে কথা বলছেন।
অবশ্য আপনার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করা ঠিক না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: শেখ হাসিনারে অপদার্থ মাথামোটা মুখরা সহ বহু অপবাদে ভুষিত করেছে একসময়। শেখ সাহেবের কূকর্ম নিয়ে হেব্বি সোচ্চার ছিল। হায় আজ বাতাসের সাথে পাল ও ঘুরে গেছে।
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন: "তিনি দেখলেন, দালাল আইনে গ্রেফতারকৃতরা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এবং তাদের আত্মীয় স্বজন।"
এক দালাল এটা লিখল আর আমরা সবাই মেনে নেব? কিসের ভিত্তিতে সে এই সংখ্যা নির্ধারন করেছিল? কোন প্রশ্ন করব না........এসব কথা তারাই বিশ্বাস করবে যারা অন্তর থেকে রাজাকারদের নির্দোষ বলে মনে ধারন করেন কিন্তু বলেন না
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: কার কথা আপনি আমলে নিবেন আর কার কথা নিবেন না সেটা ব্যক্তিগতভাবে নিতান্তই আপনার ব্যাপার।
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ওই খাঁচকাটা খাঁচকাটা ট্যাগ থেকে বেরিয়ে আসুন ভাই, আপনি ব্লগের কারো কারো দৃষ্টিতে ভীষণ বিজ্ঞ মানুষ শুনি।
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৩
বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগে আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি বলা যায়, তবে বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে গেলে এখনও আপনার কথা মনে পড়ে।
যাক এবার প্রসঙ্গে আসি- আপনার ভুমিকা বা বর্ণিত কারণ সমুহের সাথে নিচে দেয়া যবনিকার কোন সূত্র খুঁজে পেলাম না।
সাফ কথাঃ
মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয়টি মাস প্রত্যক্ষ যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি এই যুদ্ধের ভয়াবহতা ও কঠিনতা সম্পর্কে তাঁর অনভিজ্ঞতাই এই হালকা
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রতিপন্ন করা যায়।
একটা অপরাধের অনেক গুলো ইমপ্যাক্ট থাকে, সেগুলোর কোনটি ফৌজদারী, কোনটি সামাজিক, কোনটি নৈতিক। কোন সরকার শুধু ফৌজদারী অপরাধের দায়মুক্তি দিতে পারে বাকি গুলোর জন্য অনুশোচনার/ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন হয়।
আপনার দেয়া লিন্ক ঠিক মতো কাজ করছে না।
ধন্যবাদ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আইন আদালতের ব্যাপারে আমি কম বুঝি। অপরাধ হয়েছিল যখন তখন অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাড়াতেই হবে, নো মার্সি! যে তাঁর পরিবার হারিয়েছে যারা ধর্ষিত হয়েছে যারা ঘড় বাড়ি সহায় সম্বল সব হারিয়েছে সে বোঝে হারানোবর কি জ্বালা। মনে চাইল ক্ষমা করে দিলাম গনহারে আবার মনে চাইল কান ধরে মাফ চাইতে কইলাম! নিয়তির পরিহাস যে, শেখ হাসিনা সেই হারানোর যন্ত্রনাই ভোগ করছে সারাজীবন। এত বড় কলিজা আর আত্মা পারলে নিজের বাপের খুনীদের সাধারন ক্ষমতা ঘোষনা করত।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: ✦কেন যেন লিঙ্ক কাজ করছে না! লিঙ্কে ক্লিক করে;
১।
মুক্তিযুদ্ধের হিন্দু-বৌদ্ধ-চাকমা রাজাকাররা
~এটা কপি করে সার্চ দিন, পেয়ে যাবেন।
২।
!!রাজাকারের তালিকায় শীর্ষে আওয়ামী লীগ!! শীর্ষ ৪৬ জন রাজাকারের তালিকায় আঃলীগ নেতা।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৩
নতুন বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর বলেছেন: @নতুন, রাজাকারেরা রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা; স্বাধীনতার পক্ষে মানুষজন ছিলেন, বিপক্ষেও ছিলো; আজকে সেগুলোকে নতুন রূপ দিয়ে পরিবেশনের দরকার নেই।
আপনি যখন দেশপ্রেমীক হবেন তখন দেশের জন্য কাজ করবেন।
শেখ হাসিনা যেহেতু ভারতপ্রেমী তাই তিনি ভারতের সার্থে কাজ করেন।
জনগন যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সন্মান করে তাই সেই চেতনা বিক্রি করেছেন ।
কোন দেশপ্রেমিক নিজের দেশকে ভারতের বাজারে পরিনত কবেনা।
জামাতশিবির যারা তাদের পাকিচেতনা নিয়ে পড়ে আছে। তারা নর্দমার কীট। সেটা কখনোই আলোচনার বিয়ষ না।
বরং তাদের আলৌচনা এনে আয়ামীলীগ চেতনা বিক্রি করে দেশের সম্পদলূট করেছে। যারা বিরোধীতা করেছে জাসি ট্যাগ দিয়েছে।
এই আকামের জন্যই জনগন ক্ষিপ্ত ছিলো।
আপনিও বলেছেন শেখ হাসিনার সরে যাওয়া দরকার। আয়ামীলীগ কি পরিমান ক্ষতি করেছে সেটা আপনিও জানেন। তবুও হয়তো জামাতশিবিরের আস্ফালন দেখে হুদাই আয়ামীঅপকর্মকে সর্মর্থন করেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: এটা কাকে বোঝাচ্ছেন? উলুবনে মুক্তা ছুড়ে কি লাভ !!!
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২২
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আপনার এই লিখা শুধু অতীত বা বর্তমানের বাস্তবতার প্রমাণ নয়, ভবিষ্যত BAL-এর পুনর্বাসনের রোডম্যাপ। সত্যি বলতে সারাবিশ্বই এই তত্ত্বের উপর রাজ করছে। আমরা শুধু আশা নামক আঁটিটা চুষে চলেছি
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে তাদের পূনর্বাসন অলরেডি হয়ে গেছে! এটা দিয়ে আর কি বিশেষ উপকার করব তাদের?
কি যেন গান আছে একটা;
জগৎ ভরা নামের মানুষ কাজের মানুষ নাই,একটুখানি সুখের আশায় ভাড়া থাকি টিনের বাসায়|||
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন:
১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৭
কিরকুট বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন- তবে আপনার থেকে একটু বিদ্যা ধার দিন। আমিতো জানতে চাই শিখতে চাই- নিজের বিদ্যার ক্ষুদ্র একটু অংশ দিয়ে ব্লগারস্বার্থে সেই উপকারটুকু করবেন না ভাই?
১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে বর্তমানে রাজাকার আছে কিনা? তারা কারা?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: রাজাকার, আলবদর, আল শামস সহ তাদের ছানাপোনা অনেকেই আছে। কিন্তু 'গু খায় শুধু ঘাউড়া মাছ'!!
১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই যখন মুক্তিযোদ্ধা আর লেজাকার নিয়ে লিখল তখন না কত ইনিয়ে বিনিয়ে মন্তব্য করলেন। এই ইথিক্স তখন কোথায় ছিল?
-আপনি তো ঠাকুর মাহমুদ নন; আপনি গবেষণা করেন।
১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩৯
মাথা পাগলা বলেছেন: সোর্স লিংকগুলো কাজ করছে না। যদি এগুলো ঠিক করে দিতে পারতেন ভালো হতো। আর কিছু ক্ষেত্রে প্রথম আলোর সোর্স উল্লেখ আছে, সেগুলোর লিংক সংযুক্ত করতে পারলে আরও ভালো হতো। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের লেখা আরও প্রয়োজন।
যুক্তিনির্ভর গঠনমূলক আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক থাকুক, চলতে থাকুক।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: যুক্তিনির্ভর গঠনমূলক আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক থাকুক, চলতে থাকুক।
~অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক আলোচনা ও মন্তব্যের আহ্বান করে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
* সেল ফোন থেকে আছি বলে লিংক এর বিষয়টা দেখতে পারছি না আমি পরে ঠিকঠাক করে দেব আবার আসবেন দেখে যাবেন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: ✦কেন যেন লিঙ্ক কাজ করছে না! লিঙ্কে ক্লিক করে;
১।
মুক্তিযুদ্ধের হিন্দু-বৌদ্ধ-চাকমা রাজাকাররা
~এটা কপি করে সার্চ দিন, পেয়ে যাবেন।
২।
!!রাজাকারের তালিকায় শীর্ষে আওয়ামী লীগ!! শীর্ষ ৪৬ জন রাজাকারের তালিকায় আঃলীগ নেতা।
২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:১৩
কিরকুট বলেছেন: আরে বাহ, আপনার লেখাটা পড়তে গিয়ে তো মনে হলো ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা যেন রিলিফ ক্যাম্প চালাচ্ছিল, আর রাজাকার,আলবদররা বোধহয় রক্তদাতা ক্লাব খুলেছিল!
আপনি বলেন, অপরাধীও নেই, সাক্ষীও নেই। আচ্ছা ভাই, লাখো কবর, অগণিত বিধবা, নির্যাতিত মা,বোন, পোড়া গ্রাম এসব কি আপনার চোখে অদৃশ্য?
আরেকটা মজার কথা বললেন,কেউ প্রশ্ন তুললেই রাজাকার ট্যাগ দেয়া হয়। আসলেই তো তাই। কারণ প্রশ্ন যদি হয়
শহীদের সংখ্যা আসলেই কত ছিল?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেন হলো?
তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর তো কেবল রাজাকারের মুখ থেকেই বের হতে পারে।
সোজা কথা, সাপ যদি দুধ খায় তাতেও সে সাপই থাকে। এখন কেউ যদি সেই সাপকে গৃহপালিত প্রাণী প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগে, তাকে লেজাকার বলা কোনো অপবাদ নয় এটা জাতির দেওয়া এক যুক্তিযুক্ত সার্টিফিকেট।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার দুর্ভাগ্য যে আপনি পুরো লেখাটা না বুঝে অথবা না পড়ে মন্তব্য করেছেন। এটা আমার উক্তি নয় আমার কথা নয়। আমি এখানে নিজেই নিজে কোন আলোচনায় যাইনি বা বক্তব্য দিইনি। এটা তখনকার পরিস্থিতি। বাকি গুলোর ক্ষমা করে দিয়ে যে ১১ হাজার রাজাকার কে বন্দী রাখা হয়েছিল বিচারের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ সাক্ষী কিছুই আদালতে উপস্থাপিত হয়নি। এটা তখনকার রিয়েলিটি তখনকার সব সংবাদপত্রিকা পাবেন। এ নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি রে ভাই মনগড়া করার কোন কথা লিখিনি। ভালো করে পড়ুন বুঝুন তারপরে মন্তব্য করুন
২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
1. why you are worried about rajakar, why you are thinking for them?
2. why you are worried about rajakar, why you are thinking for them?
3. why you are worried about rajakar, why you are thinking for them?
sorry, i am out of city, i am not carring keyboard.
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার প্রশ্নের বড় একটা উত্তর দিয়েছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ইন্টারনেটের ত্রুটির জন্য হারিয়ে গেছে
২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
answer my mentioned different three question please.its should be three level field answer.
why?
why?
why?
২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
শ্রাবণধারা বলেছেন: রাজাকারদের পক্ষ নিয়ে এরকম তথ্যভিত্তিক আরও পোস্ট চাই, ভাই!
একটা প্রশ্ন বহুদিন ধরে আপনাকে করতে চাইছিলাম, কিন্তু সাহস করে উঠতে পারিনি। আজকে আপনার এই রাজাকারী মহাভারত-পোস্ট দেখে মনে হলো - প্রশ্নটা করা যেতে পারে। আপনি কি বিহারী?
(বিহারীদের প্রতি আমার কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যেও বিহারী আছেন। কেবল কৌতূহল থেকেই প্রশ্নটি করছি।)
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আমারতো মনে হচ্ছে আমি কারো পক্ষ নিয়ে লিখিনি, আপনার কেন মনে হচ্ছে আমি রাজাকারের পক্ষ হয়ে লিখেছি?
এমন প্রশণ করতেই পারেন- বিহারী পরিবারে জন্ম হওয়া কোন অপরাধ বা অভিশাপ নয়।
পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য বিহারী/ রোহিঙ্গা একটা গালি হয়ে গেছে!
পারিবারিক সুত্রে যতদুর জানি আমি বাঙ্গালী মুসলিম, 'তপন' নামে কোন বিহারী আছে বলে আমার জানা নেই। আমার বংশ পদবী শেখ তারপরে অরিজিন 'গোপালী শেখ'
এ নিয়ে আমার ব্লগে লেখাও আছে। আমার জন্মদাত্রী মা-ও আমাকে মাঝে মাঝে বলেন আমি নাকি রাজাকারদের মত কথা বলি
২৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০১
রাসেল বলেছেন: সম্ভবত আমার বিশ্বাস ভুল নয়। কিছু লোক ১্৯৭১ এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, পাকিস্তানিরা আমাদের দেশে চুরি বাটপারি কেন করবে, আমরা কম কি?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১
শেরজা তপন বলেছেন: উপমহাদেশের প্রায় সবারই রক্ত বীজ একই সূতোয় গাঁথা।
২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫
রাসেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: "দেশ নিয়ে অন্তত রাজনীতিবিদেরা কখনো ভাবিত হয় না। ভাবে সাধারন মানুষ, মরে সাধারন মানুষ। তাদের লাশ হয় ওদের ক্ষমতার সিড়ি"।
আপনার সাথে কোটি কোটি বার সহমত।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০২
শেরজা তপন বলেছেন: সহমত প্রকাশের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮
নতুন বলেছেন: পাকিরা এখনো রাস্টিয় ভাবে ক্ষমা চায়নাই এবং এক আলোচনায় সম্ভবত বলছে যে বিষয়টা আগেই মিমাংসা হইছে। তার অর্থ তারা ক্ষমা চাইবেনা।
তাই যারা পাকি আদর্শে এখনো তাদের পিয়ারে পাকিস্তানের জন্য ভাবে তাদের বর্জন করতে হবে।
রাজাকারদের বর্তমান সময়ে বিচার করে ফাসি দেওয়ার বিষয়টা পুরাই রাজনিতিক কারনে। চেতনা বিক্রির অংশ মাত্র।
যদি আয়ামীলীগ সত্যিই দেশপ্রমিক হইতো তবে দেশের অর্থনৈতিকে এমন ভাবে ধংষ করতো না।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যবসা-বাণিজ্য খাওয়া দাওয়া গান আর সিনেমায় পাকিস্তান কি ভারত কি আমার কোন সমস্যা নেই। স্বামী স্ত্রীর মত অতিরিক্ত আদর্
সোহাগ পেয়ার মোহাব্বত রাজনীতি আর দেশের বিরুদ্ধে যা যায় সেটাতেই সমস্যা সেটা যে কারো সাথেই হোক না কেন।
যখনই ওদের পাসপোর্ট আইডি দিয়েছেন ভোটার অধিকার দিয়েছেন এবং পাবলিক প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা ও সরকারি চাকরিসহ একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরিকের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তখনই তাদের কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার আর কোন মানে হয় না।
অবশ্যই এটা চেতনা ব্যবসা শুধু শুধু দেশটাকে বিভাজন করে রাখা।
২৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করে দিয়েছে সেটা ভিন্ন বিষয় কিন্তু পাকিস্তান এখনও রাস্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চায়নি। ওদের ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় ওদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন বন্ধ থাকুক।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: ধরেন যে আজকে ক্ষমা চাইল তাহলে কি লাভ হবে দেশের ? এটা শুধু মনের শান্তি রে ভাই আর কিছু না
২৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, শেরজা তপন ভাই, আপনাকে শুধু এটুকু বলতে চাই- চাঁদগাজী একজন খাঁটি মানুষ। ভালো মানুষ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: তা আপনার পেয়ারের গুরুকে বলেন না বহুৎ হয়েছে আর যেন এ্যারা ত্যারা মন্তব্য না করে।
পোষ্টের বিষয়বস্তুভিত্তিক মন্তব্য সেটা যদি গার্বেজ নামেও অভিহিত করে তাহলে আমার সমস্যা নেই।
আমি তো চাইনা তার সাথে আর কোন ঝামেলায় যেতে -সে তো নিজেই এসে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করে!
২৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ব্যরিস্টার ফুয়াদ রাজাকার বাহিনী সম্পর্কে যা বলেছে , তাতে আপনার পোস্টের পোস্টের সত্যতা মেলে। আমাদের মুরুব্বীদের মুখ থেকেও একই ধরনের কাহিনী শূনেছি।
যুদ্ধ , আন্তর্জাতিক রাজনীতি বড় জটিল বিষয়। শত্রু রাস্ট্র বা বন্ধু রাস্ট্র বলে কোন টার্ম বর্তমান বিশ্বে নাই। যেই জাপানে পারমানবিক বোমা ফেলেছিল আমেরিকা, সেই জাপান এখন আমেরিকার মিত্র। এরকম ভুড়ি ভুড়ি উদাহরন দেয়া যাবে। পাকিস্তানের কাছ থেকে যারা আজ ৫৪ বছর পরেও রাস্ট্রীয় ক্ষমা আশা করে তারা হয় মুর্খ নাহয় আওয়ামি ট্যবেলেট খাওয়া চেতনা ব্যবসায়ী। আমেরিকা কি জাপান, ভিয়েতনাম বা ইরাকের কাছে রাস্ট্রীয় ক্ষমা চেয়েছে? জার্মান কি তার দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধকালীন কর্মকান্ডের জন্য কারো কাছে ক্ষমা চেয়েছে ? নাকি বর্তমান রাশিয়া ইউক্রেনের কাছে ক্ষমা চাইবে ? পাকিস্তান ইস্যূতে ফালতু আবেগ বা ন্যরে্টিভ আওয়ামিলীগ তৈরী করেছিল এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে।
বর্তমান রাজনৈ্তিক দল জামাতে ১৯৭১ এ পাকিস্তানকে সমর্থন করা বা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়া কোন ব্যক্তি আর বেঁচে আছে বলে মনে হয় না। ছাত্র শিবিরের জন্মই হয়েছে দেশ স্বাধীনের পর। তবে ধর্মকে পুজি করে রাজনীতি করা জামাতের বর্তমান উত্থানের জন্য এককভাবে দায়ী আওয়ামিলীগ ও শেখ হাসিনা। অল ক্রেডিট মাস্ট গো টূ শেখ হাসিনা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১২
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ও বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভকামনা রইল।
জনাব ফুয়াদ-এর মত স্পষ্ট ও স্মার্ট বক্তা খুব কমই আছেন বর্তমান মুহুর্তে। আমি ইউটিউবে সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে তার আলোচনা শুনি।
৩০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০
প্রামানিক বলেছেন: শুধু আওয়ামীলীগের স্বেচ্ছা চারিতা আর ভারতের দাদাগিরির কারণেই বর্তমান প্রজন্মের কিছু মানুষ পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল আদর্শই ছিল মুক্তিযোদ্ধ আর চেতনা নিয়ে।
এখনো তারা ফের পায়ের নিচে মাটি পেতে চাচ্ছে এই আদর্শ নিয়েই। রাজাকারের ইস্যুটা ইচ্ছে করলে অনেক আগেই সমাধান করা যেত কিন্তু দেশ ও জাতিকে দ্বিধা- বিভক্ত রাখার জন্যই এই আলোচনাটা আজ পর্যন্ত জিইয়ে রাখা হয়েছে।
স্বাধীনতার পরেই যে যেটুকু পাপ করেছে তাকে সে পাপের শাস্তি দিলেই হয়ে যেত সমস্যার সমাধান। অপরাধ তো অপরাধই,এর লঘু গুরু বলে কিছু নেই লঘু অপরাধের লঘু শাস্তি হবে গুরু অপরাধের গুরু শাস্তি হবে।
৩১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩
আরইউ বলেছেন:
ঢাবিয়ান বলেছে "পাকিস্তানের কাছ থেকে যারা আজ ৫৪ বছর পরেও রাস্ট্রীয় ক্ষমা আশা করে তারা হয় মুর্খ নাহয় আওয়ামি ট্যবেলেট খাওয়া চেতনা ব্যবসায়ী।"
দেখুন, আমি ঢাবিয়ানকে রাজাকারের বাচ্চা বলছিনা; আমি বলছিনা ঢাবিয়ানের বাবা - দাদা কেউ '৭১-এ হানাদারদের সাথে মিলে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে বা হত্যায় সাহায্য করেছে; ঢাবিয়ানের বাবা - দাদা নারী ধর্ষণ করেছে বা ধর্ষণে সাহায্য করেছে। এমন কথা আমি বলছিনা, তবে, একটা রাজাকারের বাচ্চা ঠিক ঢাবিয়ানের মত করেই কথা বলবে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার ঢাবিয়ান এর উপরে তো ক্ষেপলেন কেন ভাই?? ব্লগে ফেসবুকের মত মূর্খ গূ মূর্খ লোকজন সাধারণত কম আসেন- যারা আছেন তাদের ন্যূনতম একটি স্ট্যান্ডার্ড বা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা ব্লগ ও ব্লগারদের উদার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেকেই এই মত প্রকাশের স্বাধীনতার চরম অপব্যবহার করেছেন। সামু ব্লগে ছাগু ও রাজাকার ট্যাগটা সবচেয়ে বহুল চর্চিত। মত প্রকাশে অপব্যবহারকারী বাদে আমাদের মত অতি সাধারণ ব্লগারদের যদি কথায় কথায় ট্যাগিং করা হয়, তাহলে আমরা হয়তো চুপ মেরে যাব, কথা বলতে ভয় পাব কিংবা ব্লগ ছেড়ে চলে যাব। এটা হয়তো কারো কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না-কিন্তু ব্লগে একমতের অনুসারীই রয়ে যাবে সেটা কিন্তু অনেক ভয়ঙ্কর।
আপনি আমাকে কিছুই বলেন নাই। আমি বলছি না আপনি ট্যাগিং করেছেন কিন্তু যদি কেউ করে থাকেন বা অনেকেই করে সেজন্যই বললাম।
৩২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩
আরইউ বলেছেন:
শেরজা,
রাস্তার একটা কুকর দেখিয়ে যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় ওটা কী। আপনি উত্তরে যদি বলেন ওটা একটা কুকুর, তাহলে কি কুকুরটাকে ট্যাগিং করা হলো। আমি জাস্ট বলেছি ঢাবিয়ান যেভাবে কথা বলে, বলেছে, তা একমাত্র রাজাকারের বাচ্চার পক্ষেই সম্ভব। আমি কিন্তু আবারো বলছি আমি ঢাবিয়ানকে রাজাকারের বাচ্চা বলছিনা; আমি বলছিনা ঢাবিয়ানের বাবা - দাদা কেউ '৭১-এ হানাদারদের সাথে মিলে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে বা হত্যায় সাহায্য করেছে; ঢাবিয়ানের বাবা - দাদা নারী ধর্ষণ করেছে বা ধর্ষণে সাহায্য করেছে। এমন কথা আমি বলছিনা, তবে, একটা রাজাকারের বাচ্চা ঠিক ঢাবিয়ানের মত করেই কথা বলবে।
ধন্যবাদ!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: ও ভাই রে, পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। কে কোন এঙ্গেলে কাকে কি বলে এইটা কি এখনো বোঝার বয়স হয় নাই!!!
৩৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: কুল ডাউন মক্ষীরানী আর ইউ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: যাক দুজনেরই মাথা ঠান্ডা হলে শান্তি পাই।
৩৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২
করুণাধারা বলেছেন: বৈজ্ঞানিক, সামরিক বা ঐতিহাসিক কোনো পোস্ট দেবার সময় বিষয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য না দিয়ে, তথ্যের সূত্র না দিয়ে, বিপুল আবেগে থরোথরো কম্পিত হয়ে পোস্ট দেয়াই যায়, কিন্তু সেই পোস্টের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকেনা। আপনার পোস্ট তথ্য সমৃদ্ধ, (আমি গুগল করে তথ্য সূত্র পেয়েছি, সময় পেলে পরে লিঙ্ক যোগ করে দেবো) যদিও পোস্টে তথ্যসূত্র দেননি। তবু আমি আপনার কথাগুলো সমর্থন করছি, প্রধান কারণ ব্লগে মিথ্যাবাদী ভন্ড বলে আপনার কোনো পরিচিতি নেই। যাঁরা আপনাকে আদম ব্যাপারী, চামার ইত্যাদি বলে, তারা আপনার যুক্তি খন্ডন করতে না পেরে এভাবে আক্রমনের পথ বেছে নেয়, কিন্তু যুক্তি খন্ডন করতে পারে না
কিন্তু সামু ব্লগে আমি একজন মুখোশধারী ব্লগারের পরিচয় পেয়েছি, এক নিকে যিনি ডক্টর জেকিল আরেক নিকে ডক্টর হাইড। মনে হয় সেসময় আপনি সামুতে আসতেন না।
কয়েকবছর আগে একজন নারী নিকধারী ব্লগার ছিলেন, তিনি তার সমস্ত পোস্টে নিজের এবং নিজের পরিবার সম্পর্কে অতি প্রশংসা করতেন, যেমন তিনি বিদেশে পিএইচডি করছেন, তার বাবা উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী, ঢাকায় তাদের নিজস্ব পাঁচতলা বাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি। আরেকজন নারী নিকধারী ব্লগারকে তিনি নিজের বোন বলে পরিচয় দিতেন, বোনও উচ্চ শিক্ষিত! যাইহোক, দাম্ভিকতা তিনি করতেই পারেন, তাতে অসুবিধা ছিল না যদি নিজের গন্ডিতে থেকে করতেন। কিন্তু যখন তিনি বিভিন্ন ব্লগারের পোস্টে গিয়ে ধমকা ধমকি করতে লাগলেন, আমার একজন প্রিয় ব্লগার তাকে আপা বলে সম্বোধন করায় ধমক দিয়ে 'ম্যাডাম' বলতে বললেন এবং তাতে আহত হয়ে আমার প্রিয় ব্লগার ব্লগকে বিদায় জানিয়ে পোস্ট দিলেন, তখন আমি সেই প্রিয় ব্লগারকে সমর্থন জানালাম এবং এই দাম্ভিক নারী ব্লগারের কথায় ব্লগ ছেড়ে না যেতে অনুরোধ করলাম। আমার পরে অনেকেই সেই পোস্টে মন্তব্য করতে লাগলেন, জানা গেল এই নারী ব্লগার ও তার বোন ব্লগের একজন সুপরিচিত জনপ্রিয় পুরুষ ব্লগারের মাল্টি নিক! মাল্টি নিক সংক্রান্ত এ তথ্য আমার জানা ছিল না, আমি কোনো মন্তব্যও করিনি এ নিয়ে।
কিন্তু দেখা গেল সেই নারী নিক একটা আবেগ জর্জরিত পোস্ট দিয়ে দিলেন, বক্তব্য হলো আমি তাকে অপমানিত করেছি এবং এজন্য তিনি দেশের প্রচলিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আমার বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন, ব্লগেও সমস্ত প্রমাণ দাখিল করেছেন যেন ব্লগীয় আইনেও আমাকে শাস্তি দেয়া হয়। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে আমার শাস্তি কী হয় তা দেখার অপেক্ষা করতে লাগলাম। শেষ অবধি অবশ্য আমার শাস্তি হয়নি। কারণ কিছু সময় পর ব্লগার আখেনাটেন সেই পোস্টে মন্তব্য করলেন, পোস্টকারী নারী নিককে 'ভাইজান' সম্বোধন করে। বললেন পোস্ট তুলে না নিলে এই নারী যে ভাইজানের নিক তা তিনি প্রমাণ করে দেবেন। নারী নিক কর্ণপাত করলেন না। তখন আখেনাটেন কিছু স্ক্রিনশট মন্তব্যে নিয়ে আসলেন, তার ভাইজানের এবং নারী নিকের লেখা বিভিন্ন পোস্টের স্ক্রিনশট। দেখা গেল দুজনের বাক্য গঠন রীতি একই রকম, বিভিন্ন শব্দের যে ভুল বানান করেন তা দুজনেই করেন হুবহু একই রকমভাবে! পিএইচডিওয়ালা ইংরেজি লিখতে যে ধরনের ভুল করেন, ভাইজানও একই ধরণের ভুল করেন, যেমন ইংরেজি বাক্য লেখার শুরুতে ক্যাপিটাল লেটার না দিয়ে দু'জনেই স্মল লেটার দিয়ে বাক্য শুরু করেন। যাই হোক, সেই অকাট্য প্রমাণ দেখে নারী নিক ওয়ালা ব্লগার আমার শাস্তি চাওয়া সেই পোস্ট মুছে দিলেন, তারপর তার আগের সমস্ত পোস্ট মুছে দিয়ে ব্লগ থেকে পালালেন। তার বোন নামধারী নিকও চিরতরে সামু থেকে গায়েব হলেন।
মূল সেই ব্লগার কিছুদিন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্লগ থেকে দূরে রইলেন, তারপর ফিরে এলেন...
কিন্তু তার ভন্ডামি ভুলে যাই কী করে!!
আপনার পোস্টে লাইক।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: সেই ভাইজান এখন আমাদের মামুজান?
বিশাল মন্তব্য যদিও তবুও ব্লগের এই ইতিহাসের কথা পড়তে ভাল লাগেছে কিন্তু পুরো বিষয়টায় কষ্ট পেয়েছি। কত শত জিনিয়াস ব্লগার ( কিন্তু সভ্য) শুধুমাত্র বিশেষ একজনের বা একটা সিন্ডিকেটের বিরাগভাজন হোয়ায় ব্লগ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
এই ব্লগের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে কত আক্ষেপ হতাশা বেদনা আর কষ্টের গল্প! মানুষ শুধু নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য নিজের মনোরঞ্জনের কিংবা মানসিক একটু তৃপ্তির জন্য বিষাক্তভাবে আক্রমন করেছে সু সাহিত্যিক , সুচিন্তক ঋদ্ধ ব্লগারদের। একটু মতের অমিল বা মানসিক দুরুত্ব মানুষকে কেমন পশু বানিয়ে দেয় এই ব্লগ তাঁর জীবন্ত প্রমাণ।
আখেনাটেন কে মিস করি।
৩৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনি ১৯৯৩ সালে মস্কো ও ইউক্রেনে যেই পেশায় ছিলেন, সেটা আপনাকে অনেকভাবে জ্ঞানী করে তুলেছে; ফলে, রাজাকারদের জন্য আপনার সহানুভুতি জেগে উঠেছে; জ্ঞানীরা সব সময় দয়ালু হয়।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার সন্মন্ধে আপনি ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন! আমি কোনদিন উক্রাইনে থাকিনি, কে বলেছে আপনাকে ওখানে আমি পড়াশুনা বা অন্য পেশায় ছিলাম ( আপনি সেই আদম ব্যাবসার ইঙ্গিত করছেন)। এর প্রমান দিতে পারবেন?
না পারলে আপনি 'গুজবরটনাকারী একজন জঘন্য মিথ্যাবাদী বুড়ো' হিসেবে ব্লগে থাকবেন।
৩৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@করুণাধারা,
আপনি, ঢাবিয়ান, মেঠোপথ, ভুয়া মফিজ, নকিব, রাসেল, ইত্যাদি উনাকে সাপোর্ট করবেন; কারণ, তিনি রাজাকারদের মহাত্ব নিয়ে গবেষনাপত্র প্রকাশ করেছেন। উনি ১৯৯৩ সালে মস্কো ও ইউক্রেনে গভীর জ্ঞান অর্জন করেছেন।
৩৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আমার কথা বাদ দেন, বাকীরা আপনার গবেষণাপত্রকে কমপক্ষে থিসিথ হিসেবে গ্রহন করেছেন।
মস্কো ও ইউ
৩৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ জেনারেশন একাত্তর এক কমেন্টে আপনি বলেছেন যে , আওয়ামিলীগ আমলে যে ভাতা পেতেন তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তা কি ভাতা পেতেন জানার খুব ইচ্ছা। কেনই বন্ধ হল সেই ভাতা , সেটাও জানতে চাই। ডক্টর ইউনুস কারো ভাতা কেড়ে নেবার মানুষতো নন।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি উনি এমনটা বলেছেন!!!
৩৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৮
আরইউ বলেছেন:
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ জেনারেশন একাত্তর এক কমেন্টে আপনি বলেছেন যে , আওয়ামিলীগ আমলে যে ভাতা পেতেন তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। তা কি ভাতা পেতেন জানার খুব ইচ্ছা। কেনই বন্ধ হল সেই ভাতা , সেটাও জানতে চাই। ডক্টর ইউনুস কারো ভাতা কেড়ে নেবার মানুষতো নন।
এটা ঢাবিয়ান ভালো বলেছে। ইউনুস মহাজন ভাগ বটোয়ারা করে খাওয়া মাল -- নিজের আখের গোছানো তার মূল কাজ। উনি নিজে খাচ্ছেন, নিজের কর মওকুফ করেছেন, গ্রামীনের নামে সম্ভবত পাবলিক টয়লেট ছাড়া আর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে নিচ্ছেন। তিনি খাচ্ছেন, শিশু উপদেষ্টা সহ তার সাথীদেরও খাবার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তিনিতো কারো কাছ থেকে কিছু কেড়ে নেবার মত মানুষ নন!
৪০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৫
আরইউ বলেছেন:
ঢাবিয়ান বলেছেন: কুল ডাউন মক্ষীরানী আর ইউ।
@ঢাবিয়ান, আপনি হতে পারেন রাজাকারের বাচ্চা, হতে পারে আপনার বাপ-দাদা মানুষ হত্যাকারী, ধর্ষক রাজাকার-আলবদর (নিচে নোট দেখুন), কিন্তু আমার মতে আপনি যা নন তা হচ্ছে ক্লাউন। তাই ক্লাউন হবার চেষ্টা না করাই ভালো হবে আপনার জন্য!
গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ আমি বলছিনা ঢাবিয়ানের বাবা - দাদা কেউ '৭১-এ হানাদারদের সাথে মিলে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে বা হত্যায় সাহায্য করেছে; ঢাবিয়ানের বাবা - দাদা নারী ধর্ষণ করেছে বা ধর্ষণে সাহায্য করেছে। এমন কথা আমি বলছিনা, তবে, একটা রাজাকারের বাচ্চা ঠিক ঢাবিয়ানের মত করেই কথা বলবে।
৪১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪
লুধুয়া বলেছেন: কিছু প্রাণীদের মধ্যে পাকি প্রেমী/রাজাকার প্রেমী দেখে মনে হয়,১৯৭১ সালে পাকি আর্মি রা কিছু বীজ বেশি ফেলে গেছে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: উপমহাদেশের অনেকেই বীজ এদেশে ফেলে গেছে- ইতিহাস সাক্ষী। তাইতো কেউ কেউ পাশের দেশের একনিষ্ঠ ভক্ত দালালও হয়।
৪২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩
কলাবাগান১ বলেছেন: মায়েরা নিজের পুত্র এর মাথা থেকে পায়ের নখের খবর রাখে আর কে রাজাকার বান্ধব সেটা বুঝবে না!!!!!!!!!!
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১১
শেরজা তপন বলেছেন: উত্তরটা একটা বিশেষ মাতৃভক্তের ফর্মুলায় পড়ে গেল!! এইসব সাহিত্যবাক্য- মানুষ নিজেকে নিজেই সবচেয়ে ভেল চেনে। আপনি দেখুন আপনার স্ত্রী এখন অন্য সবার চেয়ে আপনাকে ভাল চেনে।
* আপনি যে লেখাটা পড়েন নাই এটা নিশ্চিত হলাম
৪৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগের উচ্ছিষ্টভোগী ও ভারতের দালালরা বেশ ল্যাদাচ্ছে .....
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২
শেরজা তপন বলেছেন: এইতো সুযোগ আর সঠিক প্লটফর্ম ল্যাদানোর, ওদের জাত চেনাচ্ছে।
৪৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তা আপনার পেয়ারের গুরুকে বলেন না বহুৎ হয়েছে আর যেন এ্যারা ত্যারা মন্তব্য না করে।
পোষ্টের বিষয়বস্তুভিত্তিক মন্তব্য সেটা যদি গার্বেজ নামেও অভিহিত করে তাহলে আমার সমস্যা নেই।
আমি তো চাইনা তার সাথে আর কোন ঝামেলায় যেতে -সে তো নিজেই এসে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করে!
আপনি যখন কাউকে বুঝতে পারবেন না, তখন সব কিছুই এলোমেলো লাগবে।
একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। বুঝুন, দেখুন- উনি কি বলতে চাইছেন? কেন বলতে চাইছেন?
হুট করে উত্তেজিত হয়ে পড়বেন না। আমি আবারও বলছি- চারপাশে ভুলভাল হাজার লোকের ভিড়ে চাঁদগাজী একজন ভালো মানুষ। খাটি মানুষ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: একজন মানুষরে হুদাই এত বেশী বুঝাবুঝির দরকার আছে। ব্লগে সে যেমন ঠিক তেমনই আমার কাছে। ব্লগে ব্যক্তি মানুষ মুল্যহীন যদি সে ছদ্মনামে লেখে।
৪৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১২
বিজন রয় বলেছেন: যে অপরাধের জন্য মাফ করে দেওয়া হয়, সেই অপরাধ যদি সে বা তারা আবার করে তাহলে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটি আবার চলে আসে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আচ্ছা ভাই একটা প্রশ্ন; মুক্তিযোদ্ধারা কত পাকিস্তানি, বিহারী রাজাকার আলবদর আলশামস সহ অন্য পাকিস্তানপন্থীদের বিনা বিচারে হত্যা করেছিল, তাঁর কি সঠিক কোন হিসাব আছে?
আপনি কি ফের শুনতে চান কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসী কত বড় নিষ্ঠুরতা নিশ্বংসভাবে তাদের হত্যা করেছিল সেই কাহিণী।
এর পেছনে যেমন আপনি আমি যুক্তি দিব ঠিক ওরাও তেমন যুক্তি দিবে তাদের পক্ষে।
৪৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
আরইউ বলেছেন:
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগের উচ্ছিষ্টভোগী ও ভারতের দালালরা বেশ ল্যাদাচ্ছে .....
বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, '৭১ কি লীগের কেনা সম্পত্তি? এ নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারেনা!! মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, '৭১ এর পক্ষে কথা বললেই রাজাকারের বাচ্চাদের (নিচে নোট দেখুন) মনে হয় যারা বলছে তারা আম্লিগের উচ্ছিষ্টভোগী ও ভারতের দালাল।
গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ আমি বলছিনা সৈয়দ মশিউর রহমান-এর বাবা - দাদা কেউ '৭১-এ হানাদারদের সাথে মিলে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে বা হত্যায় সাহায্য করেছে; সৈয়দ মশিউর রহমান-এর বাবা - দাদা নারী ধর্ষণ করেছে বা ধর্ষণে সাহায্য করেছে। এমন কথা আমি বলছিনা, তবে, একটা রাজাকারের বাচ্চা ঠিক সৈয়দ মশিউর রহমান-এর মত করেই কথা বলবে।
৪৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
সাম্রাজ্যবাদী ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললেই কিছু লোক দলবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে—বিষয়টা সত্যিই ইন্টারেস্টিং। তারা পাইকারিভাবে যাকে-তাকে রাজাকার-মাজাকার ট্যাগ দিয়ে বসে এবং কাউকে পাকি প্রেমী বলে বগল বাজাতে থাকে।
কিন্তু পরিষ্কারভাবে বুঝা দরকার—ভারত কিংবা পাকিস্তান, কোনো দেশই দুধে ধোয়া তুলসী পাতা নয়। পাকিস্তান ১৯৭১ সালে অপরাধ করেছে—নিরীহ বাংলাদেশি জনগণের ওপর করেছে ভয়াবহ নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ। আর ভারতের অপরাধ এখনো চলমান—বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েমের মূল কারিগরই হলো ভারত।
অতএব, এ দুই দেশই বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। কারো দিকেই অন্ধ সমর্থন দেখানোর সুযোগ নেই। আমরা বাংলাদেশিরা শুধুমাত্র বাংলাদেশকেই সামনে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি ও সাহস খুঁজে বের করব—এটাই সঠিক পথ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদী ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললেই কিছু লোক দলবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে—বিষয়টা সত্যিই ইন্টারেস্টিং। তারা পাইকারিভাবে যাকে-তাকে রাজাকার-মাজাকার ট্যাগ দিয়ে বসে এবং কাউকে পাকি প্রেমী বলে বগল বাজাতে থাকে।
এটা যেমন সত্য আবার এর উল্টোটাও সত্য। তবে এরা দলে ভারি।
উঁহু ভারতের কথা বললে হবে না তারা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, দিয়েছে একটি স্বাধীন ও সার্বোভৌম দেশ ও একটা মানচিত্র। ওরা না হইলে তো আমরা আমাদের ভাষাই ভুলে যেতাম- ওরা এমনটাই বলবে, ওরা সত্য কথা শুনতে চায় না। টুক করে একটা দেশদ্রোহী ট্যাক দিয়ে দিবে। আর এটাই বাজারে চলছিল বেশী এতদিন, খেল খতম রে ভাই।
৪৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১০
আরইউ বলেছেন:
নতুন নকিব,
লেখা পড়েছেন, মন্তব্য পড়েছেন? নাকি জামাত-শিবির রাজাকারের বাচ্চাদের রাজাকারের বাচ্চা বলা হচ্ছে দেখে খুব আঘাত লেগেছে?
গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ আমি বলছিনা ঢাবিয়ান বা সৈয়দ মশিউর রহমান-এর বাবা - দাদা কেউ '৭১-এ হানাদারদের সাথে মিলে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে বা হত্যায় সাহায্য করেছে; ঢাবিয়ান বা সৈয়দ মশিউর রহমান-এর বাবা - দাদা নারী ধর্ষণ করেছে বা ধর্ষণে সাহায্য করেছে। এমন কথা আমি বলছিনা, তবে, একটা রাজাকারের বাচ্চা ঠিক ঢাবিয়ান বা সৈয়দ মশিউর রহমান-এর-এর মত করেই কথা বলবে।
৪৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: সেই ভাইজান এখন আমাদের মামুজান? বলতে পারছি না। মামুজানকে আমি জানিনা।
বিশাল মন্তব্য যদিও তবুও ব্লগের এই ইতিহাসের কথা পড়তে ভাল লাগেছে
এত কষ্ট করে, এত বড় মন্তব্য করলাম, ব্লগের ইতিহাস বর্ণনা করার জন্য!!!
না, মুখোস উন্মোচন করার জন্য। why you are not read between the lines? why?
৫০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ মক্ষীরানী আর ইউ , আহারে যাদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়ে বেড়াতেন ব্লগে, এখন তাদের আর কাউকেই দেখি না। মন মেজাজ মনে হয় সেই কারনেই অতি তপ্ত থাকে। এক কাজ করেন এক গেলাস ঠান্ডা জুস খান। শায়মা আপুকে অনুরোধ করছি দারুন একখান ঠান্ডা জুসের রেসিপি দিতে।
৫১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: @ ঢাবিয়ান, মাল্টি নিক চেনার স্কিল আপনার খুবই কম, আপনি ভুল করেছেন। অনেকেই করে, শায়মাও। শায়মা আমাকে আরেকজনের ব্লগারের মাল্টি মনে করে, কারণ সেই ব্লগারের বোন ডাক্তার আমার বোনও ডাক্তার। আপনি মনে হয় এক দেশে অবস্থান করে বলেই দুজনকে একে অপরের মাল্টি মনে করছেন। দুজনের লেখা নিয়ে গবেষণা করলে বুঝতে পারবেন এটা ভুল।
৫২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
আরইউ বলেছেন:
@ঢাবিয়ান,
আপনার মনে আছে আপনাকে বলেছিলাম আমি যে মাল্টি সেটা প্রমান করতে! সম্ভবত একটা চ্যালেন্জ দিয়েছিলাম যে প্রমান করতে না পারলে ব্লগে "আমি, ঢাবিয়ান, একটা রামপাঁঠা" এই, বা এমন একটা, ঘোষনা দিতে হবে। এখন আপনাকে ছাগল, পাঠাঁ (দেখনুনতো আপনার পদবীর বানান ঠিক আছে কিনা, চন্দ্রবিন্দু কোথায় হবে?), বোকা*দা এসব বললেতো আবার বলবেন আমি আপনাকে ব্যক্তি আক্রমন করছি। শু*রের মত ঘোৎ ঘোৎ করতে করতে গিয়ে আবার নালিশ দেবেন।
গুরুত্বপূর্ণ নোটঃ এই মন্তব্যে আমি ঢাবিয়ানকে রামপাঁঠা, ছাগল, শু*র, এসব বলিনি। এসব নিরীহ প্রানীকে ছোট করার কোন অধিকার আমার নেই।
৫৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: @করুনাধারা আপু, দৌড়ের উপ্রে আছি আছি। রাত্রে সময় সুযোগ পেলে ফের মন্তব্য পড়ে উত্তর দিব। কোথায় যে ভুল হলো ঠিক মাথায় ঢুকছেনা
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
১৯৯৩ সালে আপনি ইউক্রেনে পিএইচডি শেষ করেছিলেন?
আপনার মুল্যবান গবেষণাগুলো আমাদের জাতিকে ইউক্রেনের মতো উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে।