![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
✦ইতিহাসের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে থাকা কিছু বাস্তবতা কখনও কখনও এতটাই কঠিন, যার মুখোমুখি হওয়া কেবল একটি গবেষণা নয়, এক ধরণের নৈতিক দায়িত্ব।
এটি শুধু ইতিহাস নয়, বরং আত্মসমালোচনার এক কঠিন আয়না। কে ছিল 'অপরাধী' আর কে ছিল 'দর্শক'—এই রেখা যখন ঘোলাটে হয়, তখন সমাজ হিসেবে আমাদের প্রশ্ন করা উচিত: সহিংসতার বীজ কবে রোপিত হয়েছিল, এবং আমরা সবাই কি তার কোন না কোন অংশে দায়ী ছিলাম না? মানুষ কি অপরাধ করে মাফ করে দেয়ার জন্য ক্ষমা চায় নাকি মাফ করার পরে ক্ষমা চায়?
[তবে;অপরাধীরা তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতেই পারে( গিল্টি ফীলনেস)]
✦১৯৭২ সালে দালাল আইন জারীর পর ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সাধারন ক্ষমা ঘোষণা পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছিল ১ লাখ লোককে এবং ৩৭৪৭১ জন দালালকে অভিযুক্ত করা হয়।
✦তাদের বিচারের জন্যে ৭৩টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই ৭৩টি ট্রাইব্যুনালে ২২ মাসে ২৮৪৮টি মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। ✦এদের মধ্যে দণ্ডিত হয় মাত্র ৭৫২ জন, তাও প্রায় সবই ছোটখাট অপরাধের জন্যে। অবশিষ্ট ২০৯৬ জন খালাশ পেয়ে যান।
✦এই পটভূমিতেই ১৯৭৩ সালের ৩০শে নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষিত হয়। সাধারণ ক্ষমার অধীনে ১৯৭৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ছাড়া পেয়ে যায় ৩০ হাজার বন্দী। কিন্তু হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ-এই চার অপরাধের অভিযোগে বিচার, গ্রেফতার ও শাস্তি বিধানের আইনী বিধান বহাল রাখা হয়।
✦কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে দালাল আইন বাতিল হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘ দুই বছর এক মাস সময়ে উক্ত চার অপরাধের অভিযোগে একটিও মামলা দায়ের হয়নি। (উল্লেখ্য যে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার পরেও প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী কারাগারে বন্দী ছিলেন।) ***এখন সব দোষ জিয়াউর রহমানের
✦✦এখন আসি সেই যে ১১ হাজার বন্দী ছিল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তাদের নাম ও তালিকা প্রকাশ পায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে।
আমরা ধরে নিই যেহেতু তারা সাধারন ক্ষমার আওতায় আসেননি সেহেতু তারা যুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ-এই চার অপরাধের অভিযুক্ত ছিল।
১৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ -রাজাকারের তালিকা: বিতর্ক তুঙ্গে
রাজাকারের তালিকা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে। মুক্তিযোদ্ধা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ বেশ কিছু নাম আসায় প্রকাশের দিন থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে চার দিকে। ক্ষুব্ধ, সংক্ষুব্ধ তালিকায় নাম আসা মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন, সংগঠকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এই তালিকা নিয়ে। তীব্র সমালোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। রোববার প্রথম পর্বে মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০৭৮৯ জন রাজাকারের নাম প্রকাশ করে। তালিকায় মুুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় গতকাল মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অভিযোগের পরিমান বেশি হলে তালিকা প্রত্যাহার করে নেয়ার চিন্তা করা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, ১৯৭১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত রাজাকারদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা আগেই তৈরি করে রেখে গেছে। সেখানে কোনো ইল মোটিভ থাকতে পারে, উদ্দেশ্যমূলক হতে পারে। যেভাবে আছে, সেভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা এটা এডিট করি নাই, দাঁড়ি-কমা, সেমিকোলন চেঞ্জ করি নাই।
✦আপনি একে কি তামাশা বলবেন না??
***
✦এবার আসি ফের ওই সময়কার আলোচনায়;
এই বিষয়ে বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তারেক মুহাম্মদ তওফীকুর রহমান;
এই অবস্থার পটভূমিতেই ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে দালাল আইন বাতিল হয়ে যায়স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তীতে উত্তেজনা প্রশমনে রক্তের বন্ধন, আত্মীয় সূত্রতা এবং সমাজ গোষ্ঠীর বন্ধনে অপরাধকৃত দালালদের আশ্রয় দেবার ব্যাপক প্রবণতা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দেখা গেছে। 'ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ' এই মহানুভবতার চিরন্তনী আবহে লালিত বাংলার মানস-গঠন শাস্তি বিধানের পরিবর্তে সামাজিক সালিশ ও সমঝোতার পথেই অগ্রসর হয়েছে।
✦মুক্তিযুদ্ধে একই পরিবারে পিতা শান্তি কমিটির সদস্য হয়েছে, অপরদিকে পুত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। পিতা ও পুত্রের এই বিপরীত অবস্থান দীর্ঘদিন আক্রোশী মনোভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি। মুক্তিযোদ্ধাপুত্র দালাল পিতাকে বাঁচানোর জন্য তদ্বির শুরু করতে কুণ্ঠিত হয়নি।
✦অনেক দালাল এমনও ছিলো যে, তারা গোপনে মুক্তিবাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে এবং প্রয়োজনমতো নিরাপত্তাও দিয়েছে। দালালির অভিযোগে অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তিটি পরবর্তীকালে ঐ সব মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় প্রার্থনা করেছে এবং আশ্রয় পেয়েছে।
✦এখানে প্রকৃত অবস্থায় বা ভিন্নভাবে যাই হোক না কেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রায় দু'হাতে ধৃত ও অভিযুক্ত দালালদের ছেড়ে দেবার সুপারিশ করতে থাকে। যা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর দপ্তরকে পর্যন্ত আক্রান্ত করে তোলে।"
***
✦সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রথম আলোতে এ কথাই লিখেছেন এইভাবে, "কোনো যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দালালদের বিচার না হওয়ার মূল কারণ, অনেক মন্ত্রী, সাংসদ নেতা ও বীর উত্তম মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়্বজন, বন্ধু-বান্ধব মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের সহযোগী ছিল। তাদের বাঁচাতে গিয়ে সকলকেই বাঁচিয়ে দেয়া হয়। (প্রথম আলো, ১৩ নভেম্বর, ২০০৭)"।
✦শুধু বাঁচিয়ে দেয়া নয়, দীর্ঘ দুইবছর ১ মাস সময় পর্যন্ত দালাল আইন বহাল তবিয়তে থাকলেও খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ- এই চার অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের না হবার এটাও একটা কারণ। আরেকটা কারণ হলো মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল কিংবা পাকিস্তান বাহিনীর সহায়ক হিসাবে 'রাজাকার'-এর মত যে সব বাহিনী কাজ করছে, যুদ্ধাপরাধী বা অপরাধী শুধুমাত্র তাদের মধ্যেই ছিল না, অন্যান্য দল ও গ্রুপের মধ্যেও যুদ্ধাপরাধী বা অপরাধী ছিল।
✦এ বিষয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদ লিখেছেন, "এখনকার পত্রিকা পড়লে মনে হয়, শুধু মুসলিম লীগ, জামায়াত বা নেজামে ইসলামীর লোকেরাই পাকিস্তানীদের দালাল ছিল। বস্তুত সবশ্রেণী ও গোষ্ঠীর মধ্যেই পাকিস্তানীদের সহযোগী ছিল। আব্দুল হক তার কম্যুনিস্ট পার্টির নামের সাথে বাংলাদেশ হওয়ার পরও 'পূর্ব পাকিস্তান'ই রেখে দেন। অত্যন্ত 'প্রগতিশীল' বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করেছেন। (প্রথম আলো, ১৩ নবেম্বর ২০০৭)"। ( নোট করবেনঃ এটা কিন্তু প্রথম আলোর নিউজ)
✦দালাল আইনে বিচার করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু আরেকটি কঠিন বাস্তবতার সম্মূখীন হয়েছিলেন। তিনি দেখলেন, দালাল আইনে গ্রেফতারকৃতরা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এবং তাদের আত্মীয় স্বজন। এ ব্যাপারটি নিয়ে তিনি তৎকালীন পুলিশ প্রধন জনাব আবদুল খালেকের সাথেও আলোচনা করেছিলেন। পরে সবকিছু বিবেচনা করে সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত নেন।
✦এটাই ঘটনা, এটাই ইতিহাস। এখন অনেকে সে ইতিহাস ভূলে যেতে চান। কিন্তু কারও ভুলে যাওয়া ইতিহাস পাল্টায় না।
মুল সোর্সঃ বিডি নিউজ ২৪ (যুদ্ধাপরাধঃ পর্ব-৪ (বঙ্গবন্ধু কর্তৃক দালাল আইনে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষাপঠ ও ইতিহাস)
✦আসুন এখন দেখা যাক সাধারন ক্ষমার পরে তৎকালীন রাজনৈতিক দলগুলোর অনুভুতির কথা শুনে আসি। আজ তাদের কি জাতি ক্ষমা করবে? আসলে ক্ষমা চাওয়ার কথা ওদের না এদের? আপনিই বিচার করুন;
✦বঙ্গবন্ধু সরকারের এ ঘোষণা সর্বমহল থেকে অভিনন্দিত হয়।
✦সরকারের প্রবল বিরোধী এবং বাম আন্দোলনের গুরু বলে পরিচিত ভাসানী ন্যাপের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি তার এবং দলের সম্পাদক মণ্ডলী তখনই এক বিবৃতিতে বলেন, "ন্যাপ বহু আগে থেকেই নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করে আসছে।" বিবৃতিতে বাংলাদেশ দালাল সংক্রান্ত আইনের ৮নং ও ৫০ নং ধারা বাতিল করার দাবি জানান। তিনি ১৫ ডিসেম্বর আরেক বিবৃতিতে বলেন, "ক্ষমা চাই, সমানাধিকার চাই। রাষ্ট্রপতি আদেশের ৫০ ও ৮ ধারা বাতিল চাই।"
✦বাংলাদেশ জাতীয় লীগের সভাপতি জনাব আতাউর রহমান খান তার বিবৃতিতে বলেন, "আরো আগেই দেশের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত ছিল। এর ফলে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে এবং মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করে বিশ্বস্ততার প্রমাণ দেবেন।"
✦দেশের প্রবীণ রাজনীতিক ও চিন্তাবিদ জনাব আবুল হাশিম প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে অভিনন্দিত করে বলেন, "জনগণের ভাগ্যকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্যে সরকার সঠিক পন্থাই বেছে নিয়েছেন। গণতন্ত্রের এ উদ্যম বজায় থাকলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা রয়েছে।"
✦সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর আহমদ বলেন, "আমার ছোট্ট বিবেচনায় সরকার যখন একবার অনুকম্পার দরজা খুলিয়াছেন, ষোলো হাজারের মতো বন্দীকে ক্ষমা করিয়া দিয়েছেন, তখন বাকি সবার প্রতিও তেমনি উদারতা প্রদর্শন করুন। অন্যথায় দুই বছর পরে আজ যেমন চারশ লোককে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিতে হইল, বার বছর পর (৩৭ হাজার দালালদের বিচারে ১২ বছর লাগবে) মানে গ্রেফতারের সময় হইতে চৌদ্দ বছর পর আরো অনেক লোককে তেমনি মুক্তি দিতে হইতে পারে।" তদানীন্তন মুক্তিযোদ্ধা সংসদও বঙ্গবন্ধু সরকারের এই ঘোষণার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দিত করে বিবৃতি দেয়। * এইটা নোট রাখুন।
***
✦ স্বাধীনতার পরে কে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর কে বপক্ষের শক্তি এই নিয়ে সারাদেশে এ নিয়ে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে গেল। দেখা গেল ব্যক্তিগত শত্রুতার সুত্র ধরেও প্রতিশোধ আকাঙ্খায় একে অপরকে রাজাকার বানাচ্ছে, প্রতিশোধ নিচ্ছে, হত্যা করছে কিন্তু গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও দিচ্ছে না। ফলে সত্যিকারের অপরাধীরা গা-ঢাকা দিতে সমর্থ হয়। অনেক নিরীহ লোকও এর ফলে প্রাণ হারাতে থাকে।
✦রাজাকার-আলবদররা আশ্রয় পেতে থাকে মুক্তিযুদ্ধ-সমর্থক অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছেও। ব্যক্তিগত আত্মীয়তার সূত্র ধরে এ আশ্রয়লাভ ব্যাপক আকারে রাজাকার-আলবদরদের প্রাণে বাঁচিয়ে দেয়।
✦বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথিত 'মহান হৃদয়' রাজাকার-আলবদরদের বিচারে রাজনৈতিকক্ষেত্রে প্রধানভাবে বিঘ্ন ঘটায়। অধিক রক্তপাতের আশঙ্কা থেকে অথবা স্বাধীন দেশে তারা আর কিইবা করতে পারবে এই হালকা রাজনৈতিক চিন্তার কারণেও যুদ্ধ-অপরাধীরা বেঁচে যায়।
✦দৃষ্টান্ত হিসেবে বলা যায়, খান এ সবুর, পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা-মুক্তিযুদ্ধে যিনি সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে এবং গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন, তিনি জেল থেকে বঙ্গবন্ধুকে এক চিঠিতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, ভবিষ্যতে তিনি আর বাংলাদেশে রাজনীতি করবেন না। এ-কথা বিশ্বাস করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব সবুর খানকে মাফ করে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেন।
***
সাফ কথাঃ
মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয়টি মাস প্রত্যক্ষ যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি এই যুদ্ধের ভয়াবহতা ও কঠিনতা সম্পর্কে তাঁর অনভিজ্ঞতাই এই হালকা
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রতিপন্ন করা যায়।
✦তবে যুদ্ধ-অপরাধীদের শাস্তি বা বিচার না-করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলগুলোও কম দায়ী নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তিশালী করার সুবিধাবাদী রাজনৈতিক মানস-চেতনা থেকেও বিরোধীদলগুলো স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত আশ্রয়দান অব্যাহত রেখেছিল।
✦এর পক্ষে উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, মশিউর রহমান যাদু মিঞা যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাঁর দলকে পরিত্যাগ করে পালিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কাছে প্রকাশ্যে গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কার্যকলাপ প্রকাশ্যে চালু রেখেছিলেন, স্বাধীনতার পর ভাসানী-ন্যাপ প্রকাশ্যে তাঁর মুক্তি দাবি করতে থাকে। বিরোধীদলের রাজনৈতিক চাপে আওয়ামী লীগ অবশেষে যাদু মিঞাকে মুক্তি দিলে ঢাকায় ইসলামিক একাডেমী (বর্তমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন) মিলনায়তনে তাকে 'বীর' হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মওলানা ভাসানীর প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় যাদু মিঞার এই সংবর্ধনা সভায় অন্যতম প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেযন মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাফর আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন। শুধু তাই নয়, জনার কাজী জাফর ও মেনন, যাদু মিঞাকে গলায় তাজা ফুলের মালাও পরিয়ে দেন। ( এদের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। এরা এবন তাদের অনুসারীরা এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান। জাতির কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে বলেন। সত্যিই সেলুকাস!!!!)
✦তৎকালীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এবং ন্যাপ (মোজাফফর)-এর থানা-জেলা পর্যায়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা আশ্রয় জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে আশ্রয় পায়। জাসদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে মওলানা মতিনের মতো লোকও স্থান লাভ করতে সমর্থ হয়। আল মাহমুদ, যিনি পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক আদর্শ গ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন জাসদের প্রধান মুখপত্র 'গণশক্তির প্রধান সম্পাদক। স্বয়ং জাসদ সভাপতি মেজর এমএ জলিল পরে মৌলবাদী রাজনীতিতেই যোগদান করেন।
✦জাসদের থানা ও জেলা পর্যায়ের অনেক তরুণ-কর্মী ও নেতা ছিল মূলত পলাতক রাজাকার অথবা আলবদরদের সন্তানরা। তাঁরা খুবই জঙ্গীকর্মী হিসেবে রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েছিল। একদিকে তারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছিল, অন্যদিকে সমাজতন্ত্রেরও সর্বনাশ করে দিচ্ছিল। জাসদে অবস্থানকারী সত্যিকারের সমাজতন্ত্রীরা তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে।
✦যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের যুগবৎ এই দোলাচল, দুর্বলতা, রাজনৈতিক সুবিধাবাদ ও অসচেতনতা এবং কান্ডজ্ঞানহীনর পরও স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকার যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তার দৃষ্টান্তও সামান্য নয়।
✦কিন্তু এতসব দুর্বলতা সত্ত্বেও স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকার যুদ্ধ-আপরাধীদের বিচারকার্য দৃষ্টান্তমূলক ভাবেই শুরু করেছিল। এই বিষয়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৫ জন পাকসেনাকে যুদ্ধ-অপরাধের দায়ে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
৩১ আগস্ট: বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রাজাকার মুন্নার মৃত্যুদন্ড।
✦দেখা যাচ্ছিল এই ১৯৭৩ সালের প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয়ভাবে কিছু বিরোধীদলের চাপে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও পাকিস্তানী দালাল, গণহত্যার সাথে জড়িতদের বিচারের বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এরই সুস্পষ্ট প্রকাশ ঘটে ১৬ মে ১৯৭৩ সালে। এদিন সরকার দালাল আইনে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত কয়েক শ্রেণীর লোকের প্রতি ক্ষমাপ্রদর্শন করেছে।
✦এই ঘোষণার ৫ মাস পরেই সরকার দালাল আইনের ব্যাপারে তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে মৌলিক পরিবর্তন ঘটায়। ৩০ নভেম্বর (১৯৭৩) সরকার দালাল আইনে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামীর প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করে। এদিন ক্ষমা ঘোষণার সাথে ইসলামের ইতিহাসের মক্কা বিজয়ের পরের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এটা হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা।
তোমাদের কথা কেউ বলেনা- মুক্তিযুদ্ধের হিন্দু-বৌদ্ধ-চাকমা রাজাকাররা
১০ এপ্রিল (১৯৭৪) ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধ-অপরাধীকেও ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী ক্ষমা করা হয়।
✦বস্তুত দালাল ও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত খুনীদের ক্ষমা করার বিষয়টি ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের জন্যে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক বিপর্যয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরবর্তীকালে এই ক্ষমা ঘোষণা অত্যন্ত বিস্ময়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যাতে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশটির অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি পড়ে যায়। ১৯৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো দালালদের ঘটা করে রাষ্ট্রীয় জীবনে 'সুপ্রতিষ্ঠিত করে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম নির্লজ্জতার পরিচয় দেয়।
✦তবে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দালালদের বিচারের ইতি টানলেও দেখা যাচ্ছিল, পরবর্তী সময়েও বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ-অপরাধী ও খুনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত ছিল। ১৯ জুলাই (১৯৭৪) দালালীর অভিযোগে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট জনৈক হাফিজ শাহ মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। ১১ আগস্ট (১৯৭৫) দালালীর অভিযোগে আরো ৬ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।
✦ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধ-অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। দুর্বলতা সত্ত্বেও এই প্রক্রিয়া দেশের আদর্শিক অবস্থানকে সংহত করছিল।
Ref: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর সময়কাল - ড. মোয়াম্মাদ হাননান
✦লিঙ্কটাতে ক্লিক করুনঃ দারুণ একটা রাজাকারের তালিকা ও তাদের কর্মকাণ্ডের বর্ণনা পাবেন।
রাজাকারের তালিকায় শীর্ষে ...
✦✦✦ ব্লগার সমীপে✦✦✦
রাজাকার ইস্যুটা বরাবরই স্বাধীন বাংলাদেশের একটা স্পর্শকাতর বিষয়! কেউ যদি সমালোচনা করতে চান তবে লেখা পড়ে যুক্তিযুক্ত ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করুন। আমার দর্শনতত্ত্ব (যুক্তি ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে অস্তিত্ব, জ্ঞান, যুক্তি, মন ও ভাষা সংক্রান্ত মৌলিক ও সাধারণ প্রশ্নগুলির অধ্যয়ন এবং এর পদ্ধতিগত অনুসন্ধান।) ও তথ্যে বিভ্রান্তি ও ভুল থাকতে পারে, সে কারনে একপাক্ষিকভাবে ট্যাগ দিবেন না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার বস্তাপচা মুল্যহীন মতামত ও মন্তব্যের জন্য।
সতর্কতামূলক প্রতি মন্তব্য করছি; পোস্ট ও এর বিষয়বস্তু নিয়ে যা খুশী বলুন ( এটা পায়খানা, জঞ্জাল কিংবা গার্বেজ অথবা গরুর রচনা ব্লা ব্লা) কিন্তু ব্যক্তি আক্রমন করবেন না, তাহলে রিপোর্ট তো খাবেনই আর আপনি তো জানেন; আমি আপনার বউ বাচ্চাকেও টেনে আনতে পারি
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
করুণাধারা বলেছেন: অল্প কিছুটা পড়া হলো। একটা উপদেশ দিতে এলাম। পোস্ট বহির্ভূত, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য দেখামাত্র মুছে দিতে পারেন। লাই দেবার কোনোও দরকার নেই।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: কোন সমস্যা নেই- এদের ক্যামনে হ্যান্ডেল করতে হয় তা আমার বিলক্ষন জানা আছে। এমন একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট দেবার আগে প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছি।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মুল্যবান পরামর্শের জন্য।
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@করুণাধারা ,
অপ্প কিছুটা পড়ে এই অবস্হা; পুরোটা পড়লে কি অবস্হা হবে?
এখন লেখকের উত্তর দেখছেন, লেখক কেমন শক্ত ব্লগার! আমার চেয়ে শক্ত আদমদেরও বিক্রয় করে দিয়েছেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আর একটু আগাইলেই মামু কিন্তু 'মন্তব্যে কট' খাইবেন। তখন কিন্তু কাঁইদেন না।
ক্ষমতা আর বিজ্ঞতা থাকে তো যুক্তি দিয়ে তর্কে আসুন। আর আমার যে কোন বিষয়ে আলোচনা আপনার অপছন্দ হইলে অফ যান।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনি যা যা পারেন, সবই করেন প্লীজ! আমার বউ বাচ্চাকেও টেনে আনেন।
আপনি আপনার গবেষণার সুনাম করছি মাত্র।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার পোস্ট বড় হলেও পড়ে নিলাম। এই বিষয়ে আগেও অনেক যুক্তি তর্ক দেখেছি। আসলে তখন যারা দেশ নিয়ে ভাবতেন তারা দেশের মঙ্গল ও দেশের ভবিষৎ প্রজন্মের কথা ভেবেই হয়তো একটা যায়গায় এসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে আর ঠিক থাকেনি। কেউ -কেউ বিষয়টা নিয়ে ঝগা হিচুড়ি বানিয়ে যে যার মতো ফায়দা লুটে নিয়েছে।
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২
নতুন বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর বলেছেন: আপনি যা যা পারেন, সবই করেন প্লীজ! আমার বউ বাচ্চাকেও টেনে আনেন।
আপনি আপনার গবেষণার সুনাম করছি মাত্র।
এটা বিষয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য ব্লগটা লিখেছেন আর আপনি শুরুটাই করেছেন আপনার গাবেজ দিয়ে?
যদি ভুল কিছু লিখে থাকে তবে ভুল ধরিয়ে দিন। আলোচনা করুন।
এমন ঝামেলা পাকানোর কি দরকার?
ব্যক্তি আক্রমন করে আপনি কি মজা পান? আপনার সমস্যাটা কি যে সবাইকেই অপ্রাসাঙ্গিক আজেবাজে মন্তব্য করতে হবে?
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৪
কোলড বলেছেন: A nice well researched article. I like it!
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@নতুন,
আমি ব্যক্তিকে বড় করেছি, আক্রমণ করিনি; আপনার বোনের ছেলেকে আপনি শিবিরের গুলি থেকে সরায়ে নিয়েছেন, কিন্তু আপনি আমেরিকান ক্যু'এর পক্ষে ছিলেন।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
@নতুন,
রাজাকারেরা রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা; স্বাধীনতার পক্ষে মানুষজন ছিলেন, বিপক্ষেও ছিলো; আজকে সেগুলোকে নতুন রূপ দিয়ে পরিবেশনের দরকার নেই।
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন:
“ক্ষমা” ও “ক্ষমা চাওয়া” দুটি ভিন্ন বিষয়। শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে বা রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু বিষয়ে ক্ষমা করে দিয়ে থাকতে পারেন, সেটি তাঁর সময়ের বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু জাতির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নটি ভিন্ন জায়গায় দাঁড়ায়, কারণ এটি ইতিহাস, রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সঠিক বার্তা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। তাই বিষয়টি একেবারে সাদাকালো নয়- ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বকে আলাদা করে দেখাই যৌক্তিক।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৪
নতুন বলেছেন: @নতুন,
আমি ব্যক্তিকে বড় করেছি, আক্রমণ করিনি; আপনার বোনের ছেলেকে আপনি শিবিরের গুলি থেকে সরায়ে নিয়েছেন, কিন্তু আপনি আমেরিকান ক্যু'এর পক্ষে ছিলেন।
আপনি কি করেছেন সেটা আপনিও জানেন এবং আশা করি ব্লগাররা যে বোঝে সেটা বোঝার মতন জ্ঞান আছে।
আপনি অন্ধ ভক্তের মতন শেখ হাসিনার অপকর্মের পক্ষে কথা বলছেন।
অবশ্য আপনার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করা ঠিক না।
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
কলাবাগান১ বলেছেন: "তিনি দেখলেন, দালাল আইনে গ্রেফতারকৃতরা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এবং তাদের আত্মীয় স্বজন।"
এক দালাল এটা লিখল আর আমরা সবাই মেনে নেব? কিসের ভিত্তিতে সে এই সংখ্যা নির্ধারন করেছিল? কোন প্রশ্ন করব না........এসব কথা তারাই বিশ্বাস করবে যারা অন্তর থেকে রাজাকারদের নির্দোষ বলে মনে ধারন করেন কিন্তু বলেন না
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৩
বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগে আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছি বলা যায়, তবে বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে গেলে এখনও আপনার কথা মনে পড়ে।
যাক এবার প্রসঙ্গে আসি- আপনার ভুমিকা বা বর্ণিত কারণ সমুহের সাথে নিচে দেয়া যবনিকার কোন সূত্র খুঁজে পেলাম না।
সাফ কথাঃ
মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয়টি মাস প্রত্যক্ষ যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি এই যুদ্ধের ভয়াবহতা ও কঠিনতা সম্পর্কে তাঁর অনভিজ্ঞতাই এই হালকা
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ হিসেবে প্রতিপন্ন করা যায়।
একটা অপরাধের অনেক গুলো ইমপ্যাক্ট থাকে, সেগুলোর কোনটি ফৌজদারী, কোনটি সামাজিক, কোনটি নৈতিক। কোন সরকার শুধু ফৌজদারী অপরাধের দায়মুক্তি দিতে পারে বাকি গুলোর জন্য অনুশোচনার/ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন হয়।
আপনার দেয়া লিন্ক ঠিক মতো কাজ করছে না।
ধন্যবাদ।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৩
নতুন বলেছেন: জেনারেশন একাত্তর বলেছেন: @নতুন, রাজাকারেরা রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা; স্বাধীনতার পক্ষে মানুষজন ছিলেন, বিপক্ষেও ছিলো; আজকে সেগুলোকে নতুন রূপ দিয়ে পরিবেশনের দরকার নেই।
আপনি যখন দেশপ্রেমীক হবেন তখন দেশের জন্য কাজ করবেন।
শেখ হাসিনা যেহেতু ভারতপ্রেমী তাই তিনি ভারতের সার্থে কাজ করেন।
জনগন যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সন্মান করে তাই সেই চেতনা বিক্রি করেছেন ।
কোন দেশপ্রেমিক নিজের দেশকে ভারতের বাজারে পরিনত কবেনা।
জামাতশিবির যারা তাদের পাকিচেতনা নিয়ে পড়ে আছে। তারা নর্দমার কীট। সেটা কখনোই আলোচনার বিয়ষ না।
বরং তাদের আলৌচনা এনে আয়ামীলীগ চেতনা বিক্রি করে দেশের সম্পদলূট করেছে। যারা বিরোধীতা করেছে জাসি ট্যাগ দিয়েছে।
এই আকামের জন্যই জনগন ক্ষিপ্ত ছিলো।
আপনিও বলেছেন শেখ হাসিনার সরে যাওয়া দরকার। আয়ামীলীগ কি পরিমান ক্ষতি করেছে সেটা আপনিও জানেন। তবুও হয়তো জামাতশিবিরের আস্ফালন দেখে হুদাই আয়ামীঅপকর্মকে সর্মর্থন করেন।
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২২
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আপনার এই লিখা শুধু অতীত বা বর্তমানের বাস্তবতার প্রমাণ নয়, ভবিষ্যত BAL-এর পুনর্বাসনের রোডম্যাপ। সত্যি বলতে সারাবিশ্বই এই তত্ত্বের উপর রাজ করছে। আমরা শুধু আশা নামক আঁটিটা চুষে চলেছি
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
১৯৯৩ সালে আপনি ইউক্রেনে পিএইচডি শেষ করেছিলেন?
আপনার মুল্যবান গবেষণাগুলো আমাদের জাতিকে ইউক্রেনের মতো উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে।