নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য, সুন্দর ও শান্তির জন্য,,,,,,,,

সেতুর বন্ধন

সম্পাদক, মাসিক ব্রাহ্মনবাড়িয়া ফিচার, সাংগঠনিক সম্পাদক কসবা প্রেসক্লাব, গীতিকার, কসবার গান

সেতুর বন্ধন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল সংসার

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১১

ডিজিটাল সংসার (অন্য প্রেমের গল্প) ১

লোকমান হোসেন পলা

প্রেমের কালচার, তা আবার ডিজিটাল। এটা আবার কোন আতলামী। আতলামী, পাগলামী, ছাগলামী যাই হোক, আসলে এটাই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত কালচার আমাদের ডিজিটাল প্রেমিকযুগলের জীবনে। প্রেমের সনাতন কালচারের জায়গা দখলে নিয়েছে ডিজিটাল কালচার। প্রেমের আকর্ষণ তালিকার র্শীর্ষে থাকা চিঠি চালাচালি এখন নেই, তবে আছে ডিজিটাল নোট মোবাইল অপশনের ম্যাসেজ চিরকুট, তাতেই প্রেমিকযুগলের দিলখুশ। পড়ার টেবিলে বইয়ের পাতার সম্ভারে লুকানো নীল-সবুজ রঙ্গিন খামের ভিতরে গোলাপের পাপড়ি মেশানো রোমান্টিক চিঠির এলোমেলো কথোপকথন এখন ধূসরতায় পরিপূর্ণ। এখন মোবাইলে পরকীয়ার বাহারি প্যাকেজ প্রেম প্রেম খেলায় মত্ত ডিজিটাল প্রেমিকযুগল। যার যত নেটওয়ার্ক সিম, তার তত প্রেম আর প্রেমিক পার্টনার। আমাদের দেশের মোবাইল অপারেটরদের চোখ ধাঁধানো, মন মাতানো নানাবিধ প্যাকেজের মতোই এখনকার প্রেম কালচারেও প্রেমিকযুগল তাদের ই”ছামাফিক রেজিস্ট্রেশন করছেন নিত্যনতুন প্যাকেজের প্রেমিক পার্টনার। কারো রয়েছে ডে পার্টনার, কারো নাইট পার্টনার, কারো অফপিক, কারো হয়তো বা এফ এন এফ পার্টনারÑকত রকমের পার্টনার থাকা চাই! আর প্রেম কোনো ব্যাকারণ মেনে চলছে না, মানে হলো আপন বৌ অথবা আপন স্বামী ছেড়ে চলছে, পরকীয়া প্রেম, জয়তু পরকীয়া।
একটা প্রশ্ন, একটি ছেলে ও মেয়ে যখনই প্রেমে পড়ে, তখন এ সম্পর্কের নাম কি? এটা কি নব্য প্রেম, ধারাবাহিক প্রেম, শর্ট স্টাইল প্রেম, মেগা স্টাইল প্রেম, না সংস্কার প্রেম, নাকি মোবাইল প্রেম। তবে এই প্রেম যে প্রেমই হোক তাতে কার কি। যার লাভ তার বৃহস্পতি তূঙ্গে, মোবাইল অপারেটরদের রিচার্জ কার্ড বিক্রি বেড়ে যাওয়া। প্রেমের আকষর্ণের আরেকটা উপাদান চমৎকার সব রোমান্টিক কার্ড এখন আর দেয়া-নেয়া নেই, কেবল মোবাইল অপারেটরদের রিচার্জ কার্ড কেনার ধুম। কেউ কেউ ফ্ল্যাক্মি লোড, আই টপ আপ, ইজি লোড পাঠিয়ে দেন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার মোবাইল নম্বরে। ডিজিটআল যুগে উপহারের ধারণ বদলে গেছে। প্রেমিক যুগলদের এই উপহার তাদের হৃদয়ে প্রবেশের আগেই শেষ। কামালোর লোডে অতুলের সাথে, অতুলের লোডে র“বেলের সাথে, আরো কার কার লোডে, কার সাথে কথা বলে মিস সাকিলা!
আর ডিজিটাল বচন-" মোবাইল কিনলে নোকিয়া প্রেম করলে পরকীয়া।" সত্যিই মোবাইল সেটের জনপ্রিয়তার শীর্ষে নোকিয়া হ্যান্ডসেট তেমনি শীর্ষে পরকীয়া প্রেম। পরকীয়া প্রেমের সিকিউরিটি শতকরা ১০০ ভাগ। পক্ষান্তরে, ডেটিং প্রেম, ফুসকা প্রেম, নৌকা প্রেম, ফাস্টফুট প্রেম, কোচিং প্রেম, ক্লাসমেট প্রেম,.........প্রেম বড়ই জটিল, বড়ই কঠিন। নোকিয়ার অপশনগুলো সরল পরকীয়ায় নাই গরল।
"মেড ইন চায়না, টোকাইলে পায় না"। পরকীয়া ডিজিটাল প্রেম কালচারের মূল উপাদান কিনা এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাই না। তবে এটাই সত্যি চীন মোবাইল সেটের বাজার দখল নিতে চাইছে আর বাংলাদেশ পরকীয়ায়। এবার ডিজিটাল প্রেম কালচারের একটা সংসারের গল্প বলি ঃ
বেশ কিছু দিন ধরে রবির ফেইজবুক মেসেঞ্জারে মিতা নামে একটি আইডি থেকে মেসেজ আসছে, কেমন আছো বন্ধু? রবি অপরিচিত কারও মেসেজ গ্রহণ করে না। কিন্ত মিতা কয়েকবার একই মেসেজ দিচ্ছে, রবি মিতার প্রোফাইল খোঁজে তেমন কোনো তথ্য পেলনা যা দিয়ে মিতাকে সে চিনতে পারে, মিতা প্রোফাইলে কোনো ছবি নেই শুধু লেখা আছে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর খোঁজে, এবাউট অপশনেও তেমন কোন তথ্য নেই বন্ধুদের তালিকাও ব্লক করা। তিনটি ছবি আছে, একটি পাখি, আর আমেরিকার রাজধানী শহরের দু’টো ছবি, পোস্ট আছে কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত ও শায়নের গাওয়া হারিয়ে যাওয়া বন্ধু খোঁজে গানটি, রবি ভাবছে মিতা মানে ছেলে না মেয়ে, এমন সময় মিতার আরেকটি মেসেজ এলো

- বন্ধু কি খবর বল?
- রবি এবার প্রতি উত্তর দিল
- কে আপনি?
- তোমার বন্ধু, আপনি বলছো কেন?
- আমি তো আপনাকে চিনতে পারছিনা?
- বললাম তো বন্ধু
- কোন বন্ধু, পরিচয় দিন
- আগে আপনি বাদ দিয়ে তুমি বলো।
- আমি ভাল করে না জেনেশুনে তুমি বলি না,
- বাহ্ কি ভদ্র লোক!
- পরিচয় দিন দয়া করে।
- দিলামতো বন্ধু।
- সে না হয় বুঝলাম। কিন্তু কোথায় থেকে বলছেন।
- তুমি বলে জানতে চাও?
- ঠিক আছে সোনা বন্ধু কে তুমি বল?
- এইবার ঠিক আছে আসলেই আমি তোমার সোনা বন্ধু মানে ভাল বন্ধু তাই না কি?
- তবে এইবার দয়া করে বল বন্ধু তোমার পরিচয়?
আমি অনেক আগে অনেক দূরে চলে গেছি বন্ধু, আমাকে তোমার মনে নেই, আমারও তোমাকে তেমন মনে ছিল না, ফেইজ বুকের কল্যাণে তোমাকে খোঁজে পাওয়া।
- ধন্যবাদ, বন্ধু আমাকে খোঁজে নেওয়ার জন্য।
তবে বলো তোমার আসল পরিচয়।
বন্ধু ১৯৯০ সালে আমি তোমাদেরকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে এসেছি, এইবার ভাবতো কে আমি?
ভেবে পাচ্ছি না গো,
হে আমি গো, মানে মেয়ে তোমাদের মধ্যে আমি সবচেয়ে দুখিনী ছিলাম। তবে সবাই আমাকে সুন্দরী বলে ক্ষেপাতে তখন মনে পড়েছে কে আমি?
- আমাদের স্কুলবন্ধু তুমি
- হে মিতা নামে তো আমাদের কোনো বন্ধু ছিলনা,
- একদম ঠিক ধরেছো তুমি, আসলে আমি আমার আসল নাম( চলমান)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি পড়ে সামনে পড়ার আগ্রহ বেড়ে গেল। সাথে আছি পরের পর্বে। ভাল থাকুন লেখক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.