![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিব্বির আহমদ ওসমানী: ফেরাউনের এক দাসী ছিল। সে কালেমা পরে গোপনে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষের ঈমান বেশি সময় গোপন থাকে না। দাসীর ঈমান ফাঁস হয়ে যায়। ফেরাউন তাকে দরবারে তলব করে। দাসীর দুইটি কন্যা সন্তান ছিল। একটি দুগ্ধপোষ্য, অপরটি বড়। ফেরাউন তেল সংগ্রহ করায়। কড়াই আনায়। তারপর আগুন জালিয়ে কড়াইয়ে তেল ঢেলে গরম করতে থাকে। তেল ফুটতে শুরু করল। ফেরাউন দরবারে বসিয়ে দাসীকে বলল, এখন তোমার পথ দুটি। মূসার খোদাকে অস্বীকার কর অন্যথায় এই ফুটন্ত তেল বরণ করে নাও। আগে তোমার সন্তান দুটোকে টগবগে তেলে নিক্ষেপ করব, পরে তোমাকেও। মূসার খোদাকে বাদ দিয়ে আমাকে মেনে নাও, আমি তোমার জীবনটা জান্নাতে পরিণত করে দিব। বলো তোমার সিদ্ধান্ত কি?
জবাবে ঈমানদার দাসী বলল, এরা তো আমার দুটি সন্তান মাত্র। যদি আমার আরো সন্তান থাকত, তুমি যদি তাদের সব জনকে ফুটন্ত তেলে নিক্ষেপ করতে তবুও আমি ঈমান থেকে একচুল নড়তাম না। তোমার যা করবার করো, আমি যা করেছি বুঝে শুনেই করেছি। মূসা আমার নবী আর আল্লাহ আমার রব। আমি তোমাকে খোদা মানতে রাজি নই।
ফেরাউন প্রথমে মহিলার বড় সন্তানটিকে তুলে টগবগে তেলের কড়াইয়ে নিক্ষেপ করে। মুহূর্তের মধ্যে শিশুটি ঝলসে যায়। তারপর দুগ্ধপোষ্য শিশুটিকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তেলে নিক্ষেপ করে। এই সন্তানটিও ফুটন্ত তেলে সিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তবুও দাসী তার ঈমান এ অটল থাকেন। এরপর ফেরাউন মহিলাকে তুলে তেলে নিক্ষেপ করে। মহিলা অটুট ঈমান নিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌছে যায়।
মি'রাজের রাতে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বাইতুল মোকাদ্দাসে দুই রাকাত নামায আদায় করে যখন আকাশের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন নিচ থেকে তিনি জান্নাতের ঘ্রাণ অনুভব করেন। তিনি জিবরাইল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করেন, জিবরাইল, আমি জান্নাতের সুঘ্রাণ পাচ্ছি যে! জিবরাইল (আঃ) বললেন, এই ঘ্রাণ ফেরাউনের দাসীর কবর থেকে আসছে। সুবহান আল্লাহ।
[www.facebook.com/shibbirahmedosmani.bd]
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
নিজাম বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে মজবুত ঈমান দান করুন।