কবিতা

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৪১

পথ হারিয়েছি পথ


পথ হারিয়েছি পথ, নানা পথের ভীরে
যাওয়া হয়না সে পথে
সেখানে, সারা দিন বাউন্ডুলেভাবে ঘোরাফেরা, ধুলিমাখা শরীর নিয়ে পুকুর-নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া
আম, লিছু, কাঁঠাল, পেয়ারা, নাশপাতি, জামরুল, নেওয়া, আতা, বেল গাছ থেকে ছুরি করে ফল পাড়া।
পথ হারিয়েছি পথ, নানা পথের ভীরে
যাওয়া হয়না সে পথে
যেখানে, দিনের শেষে ব্যাট, বল, স্ট্যাম নিয়ে মাঠে যাওয়া, সন্ধ্যা অবধি খেলাধুলা করা
গোধূলি বেলা পূবাকাশে রক্তিম সূর্যের আভায় ভরে যাওয়া চারদিক, গ্রাম বাড়ি থেকে কুন্ডলীআকারে বের হওয়া সাদা সতেজ ধোয়া উপভোগ করা। সন্ধ্যার পর আবার লুকোচুরি খেলা। রাতে শুক্লপক্ষে জোছনা ধরার খেলা, কৃষ্ণপক্ষে তারা গোনা আর জোনাকি পোকা ধরার খেলা।
পথ হারিয়েছি পথ, নানা পথের ভীরে
যাওয়া হয়না সে পথে
যেখানে, সকালের সূর্য কোথায় পড়েছে তা খোজার বৃথা চেষ্টা। ধানের নাড়ার মাঠে দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, বৌছি খেলা। অনেক আবেগ নিয়ে বন্ধু-বান্ধবীদের পুতুলের সঙ্গে পুতুল বিয়ে খেলা।
পথ হারিয়েছি পথ, নানা পথের ভীরে
যাওয়া হয়না সে পথে
যেখানে ছিল কখনো দ্বিকবিজয়ী মহাবীর হবার ইচ্ছা, আবার কখানো পুলিশ, কখনো চোর , কখানো ডাকাত, কখনো ডাক্তার আরো কত কি হওয়ার ইচ্ছা। লতা-পাতা দিয়ে খেলা ঘর তৈরী করে সারা দিন পরে থাকা।
পথ হারিয়েছি পথ, নানা পথের ভীরে
যাওয়া হয়না সে পথে
যেখানে ছিল, ট্রেনের ঝনঝন শব্দ শুনলে মামা বাড়ির কথা মনে পড়া। মামা বাড়ি যাবার সময় নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করা। আরো ছিল ট্রেনে চড়ে যাবাবরের মত ঘুরে বেড়ানো। মালট্রেনের পিছু, পিছু অচেনা পথে ছোটা। অবশেষে বাড়ি ফেরার সময় পথ হারিয়ে ফেলা।
পথ হারিয়েছি পথ, নানা পথের ভীরে
যাওয়া হয়না সে পথে যে পথে না চললে মনে হত জীবন হয়তো চলবে না।
আর যাওয়া হওয়া সেই পথে
আর কোন দিন যাওয়াও হবে না।
পথ হারিয়েছি পথ, নানা পথের ভীরে
আর কোনদিন যাওয়া হবে না সে পথে।

০ টি +০/-০