![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমের (রাঃ) এর বর্ণনা, একবার আমার আম্মা কিছু একটা দেবেন বলে আমাকে কাছে ডাকলেন। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আমাদের বাড়িতে বসা ছিলেন। তিনি আমার আম্মাকে বললেন, তুমি কি সত্যিই তাকে কিছু দেবে? আম্মা বললেন, হ...্যা! তাকে খেজুর দেয়ার ইচ্ছা ছিল। নবীজী বললেন, যদি তুমি তাকে কিছু না দিতে তবে তোমার এ কথাটি মিথ্যা বলে গণ্য হত। -সুনানে আবু দাউদ হাদীস ৪৯৯১ (৪৯৫২)
আমরা প্রায়ই কান্না থামানোর জন্য, শিশুকে ভোলানোর জন্য বা তার কাছ থেকে কোনো কাজ আদায় করার জন্য মিথ্যা বলে থাকি, যা পরোক্ষভাবে শিশুকে মিথ্যা বলতে উৎসাহিত করে। যেমন আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের বলে থাকি যে, ‘বাবু! এসো তোমাকে একটা জিনিস দেখাচ্ছি। অথবা তুমি এই কাজটা করলে বা এই পড়াটা মুখস্থ করলে তোমাকে বেড়াতে নিয়ে যাব।’’ এতে সে যখন বিশ্বাস করে খুশিমনে দৌড়ে আসে বা পড়াটা মুখস্থ করে পুরস্কার চায় তখন আমরা যেভাবে এড়িয়ে যাই, তা আমরা নিজেরা কিছু মনে না করলেও এবং অন্যান্য কাজের ঝামেলায় তা ভুলে গেলেও বাচ্চারা কিন্তু তা এত সহজে ভুলে যায় না। এতে শিশুর মনে দু ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। এক. মায়ের প্রতি বিশ্বাসহীনতা সৃষ্টি হয়। দুই. মিথ্যা ও প্রতারণা তার কাছে একেবারেই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। ফলে খেলার সাথী ও অন্যদের সাথে সে মিথ্যা বলতে দ্বিধা করে না।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসে হাতে-কলমে যে শিক্ষা দিয়েছেন আমরা মায়েরা যদি এটা মেনে চলি তবে আমাদের সন্তানদেরকে মিথ্যা ও প্রতারণার দূরতম সংস্পর্শ থেকেও বাঁচিয়ে রাখতে পারব।
©somewhere in net ltd.