![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কথা ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসার সাফল্যের দীর্ঘ ৭ বছর পর চলচ্চিত্রে
ফিরলেন পরিচালক এস এ হক অলীক ।
কেন এত দেরী ? উনার মত পরিচালক যে আমাদের ছবির জন্য ভীষণ দরকার।
পরিচালক সাহেব কে ধন্যবাদ জানাই কাম ব্যাক করার জন্য।
শাকিব-পরিমনির জুটির প্রথম ছবি এই ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ ।
পরিচালক বরাবরের মতই নির্মাণ করলেন একটি রোমান্টিক ঘরানার ছবি।
যেখানে শাকিব খান নিজের নাম ভুমিকায় অভিনয় করেন যিনি কিনা একজন অভিনেতা হওয়া স্বত্বেও
প্রেমে পরেন এক অচেনা মেয়ে ‘নোলকের’ (পরিমনির) সাথে।
বরাবরের মত আমি এখানেও মুভি টার গল্প বলছিনা বাকিটুকু জানতে হলে আপনাকে প্রেক্ষাগৃহে যেতে হবে।
এই পৃথিবীতে আমি একমাত্র শাহরুখ খানের অন্ধ ভক্ত, আর কারোরি না। কিন্তু তাই বলে,
আমার কোন হেট লিস্ট নেই। যে কোন অভিনেতা হেট করব।
এই কথা বলার কারন হচ্ছে, আমি শাকিব হেটার দের বলছি, দয়া করে আপনারা ছবিটি দেখুন, এবং
নিজেরাই বলুন যে শাকিব প্রশংসার দাবিদার কিনা?
আমি বলব, শাকিব তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিনয় করেছে এই ছবিতে। বাকিটা আপনারা মিলিয়ে নিবেন । অপরদিকে পরিমনির কিছু কথা বলি,
পূর্ণিমার পরে আমরা একটি সুশ্রী অভিনেত্রী পেলাম, যাকে শুধু দেখতেই নয়, তার কথা শুনতেও ভালো লাগে। কিছু দর্শকদের উদ্দেশে বলি, আপনারা যারা বলছেন যে পরিমনি অভিনয় পারেনা, তারা তাকে একটু সময় দিন। পরি তো এখনো বাচ্চা মানুশ, আস্তে আস্তে অভিনয়টা সে ঠিক ই শিখে যাবে।
এই ছবিতে চম্পার একটি চমৎকার ভূমিকা ছিলো, যেখানে দর্শকদের সব সময় হাসিয়েছেন তিনি।
সোহেল রানা, সাদেক বাচ্চু ও আফজাল শরীফের ও ভালো ভুমিকা ছিলো।
ছবির পজিটিভ দিক; এস এ হক অলীকের নির্মাণ শৈলী , চমৎকার লোকেশন, অসাধারন গান।
শাকিব খানের অভিনয়। গল্পে কিছুটা নতুনত্তের স্বাদ।
ছবির নেগেটিভ দিক; অতিরিক্ত গান, যেটা দর্শকদের কাছে বিরক্তিকর লেগেছে।
অতিরিক্ত চড় থাপরের দৃশ্য । মাঝে মাঝে কিছু অসংগত দৃশ্য । এবং শেষের দৃশ্য।
সব মিলিয়ে বলব আরো ভালো হতে পারত আরো ভালোবাসবো তোমায়।
তারপরেও বর্তমান বাংলা ছবির প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট ভালো ছবি এটি।
আশা করছি এখন থেকে সকল শ্রেণীর মানুষ শাকিব খানের ছবি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে যাবে।
প্রেক্ষাগৃহে যান, বাংলা চলচ্চিত্রকে বাঁচান ।
একদিন আমরাই গোটা বিশ্বে নাম করব ...................................................।।
©somewhere in net ltd.