![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমানিশাতেই যাচ্ছে জীবন, কাটতেছে দিন-রাত; কোথায়-কখন-কবে শেষ হবে, দেখব সুপ্রভাত।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিঃসন্দেহে তা অশ্লীল, নোংরা এবং গর্হিত কর্ম।” (পবিত্র সূরা বনী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ- ৩২)
আর ৯৭ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (১) ও (২) অনুচ্ছেদে স্পষ্টত উল্লেখ আছে, রাষ্ট্র মদ, জুয়া এবং গণিকাবৃত্তি বিলোপের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অথচ গত ২২ মার্চ ২০১৪ ঈসায়ী তারিখ শনিবার দুপুরে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারক এবিএম খায়রুল হকের সভাপতিত্বে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া পর্যালোচনা শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সামনেই যৌনকর্মীদের পক্ষে যৌনকর্মী ফোরামের সভানেত্রী হিন্দু জয় শিখা বলেছে, “পুরুষ যখন যৌন উত্তেজনায় দিশেহারা হয়ে পড়ে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তখন তারা যৌনকর্মীদের কাছে গিয়ে পবিত্র হয়ে আসে”। নাউযুবিল্লাহ!
হিন্দু জয় শিখা দাবি জানিয়ে আরো বলে, “যৌন পেশাকে সম্মান ও বৈধতা দিয়ে আইন প্রণয়ন করতে হবে। কারণ যৌনকর্মীরা সমাজকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করে। সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করে।” যৌনকর্মীরা আছে বলেই সমাজ আজও পবিত্র আছে! নাউযুবিল্লাহ! [ সূত্র- নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম ও নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২২.৩.২০১৪]
এমন অসামাজিক ও অনৈতিক বিষয়ে বক্তব্য শুনার পরেও কোনো প্রতিবাদ না জানিয়ে চুপ থেকে মৌন সম্মতি জানায়, উপস্থিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারক এটিএম ফজলে কবীর, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, আইন কমিশনের সদস্য এম শাহ আলম, আইন কমিশনের সচিব আশরাফুল ইসলামসহ আরো অনেকেই!
দেশের জনগণের কতটুকু চারিত্রিক অধঃপতন চাইলে, দেশের নেতৃস্থানীয়দের উপস্থিতিতে হিন্দু যৌনকর্মী জয় শিখা এমন হীন বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে এবং তা সরকারের কর্তাব্যক্তিরা কোনো প্রতিবাদ না জানিয়ে মৌন সমর্থন দিতে পারে? কারণ যে সব দেশে যৌন পেশা বৈধ, সেসব দেশেও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কোনো সম্মেলনে এমন জঘন্য বক্তব্য দিতে পারে কিনা সন্দেহ আছে।
আসলে খারাপ কাজ করতে করতে মানুষ যখন খারাপের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন আর তার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার মতো শক্তি থাকে না। আর সমাজ বা রাষ্ট্রে যখন নৈতিকতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরেও অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা না হয়, তখন অপরাধী বুঝে নেয় যে, তার অপরাধের প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রের মৌন সমর্থন রয়েছে। যার ফলে ধীরে ধীরে তাদের অপকর্মের পরিধি বিস্তৃতি লাভ করতে থাকে। তাই মুসলমান হিসেবে সব সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব এই সব অপকর্মের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি প্রদানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৩২
সিকান্দার বলেছেন: গণতান্ত্রিক দেশে যেকোন কিছুই সম্ভব......
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সেকুলার।
২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৩৩
সিকান্দার বলেছেন: কারে কইলেন ভাই?
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ১. সরকার এবং
২. যারা সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতায় যৌনকর্মীরা সমাজকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করার দাবি জানাচ্ছে!! এবং
৩. উভয়ের সমর্থকরা সেকুলার , সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধর্মমুক্ত করতে চায় আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেখছেন কিন্তু ওনারা তো ধর্মকেই মানেন না !
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
তানভীরএফওয়ান বলেছেন: unbelievable !!!