![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচনী প্রার্থী দের ভাষণ শুনিয়া বুঝিলাম তাহা অতি সুখাদ্য,উপাদেয় এবং উপকারি বৈকি | তাহাদিগের বাক্যলংকার ও সমাসবদ্ধ শব্দের সুনিপুণ ব্যবহার শুনিলে মনে হয় তাহারা এক একজন ব্যাকরণবিদ । মাঝে মধ্যে তাদের কাছে প্রাইভেট পড়িতেও মন চায়।কিন্তু তারা তাদের ভিক্ষাবৃত্তির মতো লাভজনক পেশা ছাড়িয়া কি প্রাইভেট পড়াইবেন???
ভিক্ষাবৃত্তি বলছি কারণ, নির্বাচন প্রার্থীদের এখন নিশ্বাস ফেলার সময় নেই, তারা এখন জনগণের মন কিন্তে ব্য।স্ত ।মানুষের দরজায় গিয়ে বত্রিশটা দন্ত বিকশিত করা ক্লোজ আপ হাসি দিয়ে বলবেন যে "ভাই ভোটটা আমাকেই দিয়েন।"
অথবা নেগেটিভলি পাবলিক নুনুভুতিতে আঘাত করিয়া বলিয়া থাকেন “ আজ আমি ভোট চাইতে আসিনি । আপনাদের দোয়া আমার কাম্য । ”
আকাশ কুসুম অসংখ্য প্রতিশ্রুতির কবিতা আবৃত্তি শুনে জনগণ তাহাকে খুশিমনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করিবেন।আর জয়ী হওয়ার পর তিনি সব প্রতিশ্রুতি ভুলে যাবেন -এটাই কাম্য ।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার অন্যতম আরেকটি নীতি হল,যত বেশি টাকা ঢালা হবে জয়ী হওয়ার সম্ভবনা ততোই বেশি .তাছাড়া, টাকাটা তো আর বিফলে যাবে না, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা জয়ী হওয়ার পর আত্মসাত করা তেমন কোন কঠিন ব্যাপার নয় ।
এজন্যই, শত বার সমাকলন ব্যবকলন করেও নির্বাচনের পর নির্বাচিত প্রতিনিধির সম্পদ বৃদ্ধির হার নির্ণয় করা দুরহ।গণিতশাস্ত্র এর কোন সমাধান না দিতে পারলেও সমস্যার সুচনালগ্ন থেকে দুদক এবং নির্বাচন কমিশন পরস্পর কে এই বলে দোষারোপ করে আসছে যে,' এটি আমাদের এখতিয়ার এর বাইরে....'
কোনটি যে কার এখতিয়ারে সেটি খুঁজে বের করার জন্যও মনে হয় আজকাল তদন্ত কমিটি তৈরি করা হবে !!!!
©somewhere in net ltd.