![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পদ সীমিত, কিন্তু কল্পনা অসীম। সুযোগ মেলেনা সবখানে। পথে পথে আর প্রতি পদে পদে মানুষেক সদুপদেশ দিই, একটু হকার গিরি এই আর কি। মাঝে মাঝে হকারি করার কিছু সুবিধা পাই, গ্রহণ করি, দেরি করি না।।তাই নিজেকে একজন শিক্ষিত হকার হিসেবে প্রতিষ্ঠার আশায়।
এটা সত্যিই বেদনা দায়ক একটা বিষয় যে, যারা আমাদেরকে দেশকে, জাতিকে কিছু দিতে চাই তাদেরকে আমরা কতটা অবমূল্যায়ন করছি। মাস শেষে বাজার খরচ চালাতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়, বাসা ভাড়া, সন্তানদের ভরণ পোষণ, চিকিৎসা ইত্যাদি তো বাদই দিলাম। যারা বলে ঢাবির শিক্ষকরা নানা রকম উপায়ে উপার্জন করে তারা ভালোভাবে দেখাতে পারবে না সেই উপার্জনের উৎস গুলো কী?
হ্যা মানছি , Specific কিছু শিক্ষক উপার্জন করে বিভিন্ন পার্ট টাইম ক্লাস নিয়ে, পার্ট টাইম ক্লাস নিতে গিয়ে তাদের একবার দৌড়াতে হয় নিজের লালিত স্বপ্নের ঢাবিতে যাকে ভালবাসে অন্তর থেকে, কিছু দিতে চাই জাতির বিবেক তৈরী করতে। আর একবার দৌড়াতে হয় ধানমণ্ডি, উত্তরা, বসুন্ধরার দিকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও।যান্ত্রিক এই নগরের রাস্তায় তাদেরকে রক্তকে ঘামে পরিণত হচ্ছে। প্রেস্টিজ রক্ষা করতে হয়তো কারো একটা গাড়ি আছে তাও তেল কেনার টাকা থাকে না। আর যার গাড়ি নেই, সে হয়তো ঢাবিতে আসছে ঢাবির গাড়িতে, যে গাড়ির টাইম ফিক্সড থাকে। কিন্তু যখন অন্য কোথাও ক্লাস নিতে হচ্ছে তখন তাকে আমার আপনার মতো লোকাল, সিটিং এই চড়তে হয়। কিন্তু ঢাবির একটি বৃহৎ শিক্ষক গোষ্টি সেই পার্ট টাইম ক্লাসটুকু নিয়ে যে উপার্জন করবে তাও পারছে না। কেন? কারন তার ডিপার্টমেন্ট তো জাতি গড়তে জানে, নীতি নৈতিকতার জ্ঞান দিতে পারে কিন্তু চাকরির বাজারে ধোপে টেকে না।
ভাইরে ঐ পেটের দায়েই আমার শিক্ষকদের আজ এই অবস্থা।
আর ঐ যে আপনি তাকে এলিট শ্রেণীর তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন। বলছেন ঢাবির শিক্ষক, সেতো বিশাল সম্মান। আরে ভাই সম্মান ধুয়ে কি খাবার জোটে?
বাস্তব সত্য এই যে, প্রাইভেট ভার্সিটিতে এখন ঢাবির কিছু সিনিয়র শিক্ষকরা আর কচিৎ ডিপার্টমেন্টের টিচাররা ছাড়া ক্লাস নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। কারন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকেই এখন ভুরি ভুরি শিক্ষকের জন্ম হচ্ছে।
অনেকে বলেন, ঢাবির শিক্ষকেরা খাতা দেখে, পরীক্ষার হলে গার্ড
দিয়ে, বিভিন্ন সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে উপার্জন। কোন খোঁজ নিয়ে দেখেছেন সেই উপার্জনটা কতো। আমার মতো University Coaching Center চাঁপাবাজ শিক্ষকেরা ৪ মাস ক্লাস নিয়ে আর নোট, শীট বিক্রি করেই তার থেকে বেশি টাকা ইনকাম করে। আমার প্রশ্ন হলো জাতির বিবেক তৈরীর কারিগরদেরকে কেন পেটের দায়ে এদিক ওদিক ঘুরতে হবে? কেউ আমাকে একটু ব্যাখ্যা করে বলে যাবেন।
হ্যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কচিৎ শিক্ষকদের ভিতরে একটা দিকে নোংরামি আছে যেটা সত্যিই কষ্ট দায়ক। সেটি হলো শিক্ষকদের দলীয় লবিং, তেলবাজি, চামবাজি, দলবাজি। ঢাবির শিক্ষকদের নিয়োগে দেখা যাচ্ছে অসচ্ছতা, প্রথম শ্রেণীতে ১২ তম, ১৫ তম রা এখন শিক্ষক হয়, কেন না তারা জন্মগতভাবেই টাকা পয়সাওয়ালা বা কোন মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন। যাদের কাছে ঢাবির শিক্ষকতা পেশাটা তাদের সম্মানকে আরও বাড়িয়ে দেয় এবং এটাকে তারা ব্যবহার করে সম্মানের শো পিচ হিসেবে । বিদেশে বিভিন্ন ডিগ্রি নিতে সুবিধা পাচ্ছে কতিপয় কিছু তেলবাজ শিক্ষকেরা যাদের নামে বিভিন্ন কেলেঙ্কারীর ঘটনা হর হামেশায় ঘটতে থাকে। মেয়ের মতো ছাত্রীকে যারা কুপ্রস্তাব দিতে দ্বিধাবোধ করে না। অনেক মেয়ে লোক লজ্জার ভয়ে তা বলতেও পারে না। ক্লাসে তারা আর কী পড়াবেন? যার কারনেই আজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের কাছে আজ কমন প্রশ্ন। ঢাবির শিক্ষক অথচ তিনি ক্লাস নেন যেন প্রাইমারীর, হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের। ভাবতেই ঘৃণাবোধ হয় এই অসভ্য দলীয়পনায়।
কিন্তু প্রথম শ্রেণীতে প্রথম, দ্বিতীয় হয়েও শিক্ষক হতে পারছে না কারন তাদের নেই টাকা পয়সা। নেই মন্থ্রীর ফোন, নেই দলীয় লেজুড়বৃত্তি । না নিলেই নয় এই জন্য এখনও লোক দেখানোর জন্যে নেওয়া হচ্ছে ।কিন্তু শিক্ষক হওয়ার পরে তারা কিন্তু ডিগ্রি নিতে ছুটি পাচ্ছে না। কেন ? কারন তারা দলীয় লেজুড় বৃত্তিতে নেই।সততাকে টিকিয়ে রাখতে তারা না পারছে ওকূল ধরতে না পারছে একূল ধরতে। সত্যতা যাচাই করতে সৎ শিক্ষকদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন, নিজের বিভাগেও খোঁজ নিতে পারেন।
আমার সহজ কিছু প্রশ্ন,
জাতির বিবেক তৈরীর কারিগরদের কেন শ্রেণীকক্ষে বসে টাকার কথা ভাবতে হবে, কেন টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে ল্যবিএইডে যেয়ে টাকা দিতে না পারায় ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। এক শ্রেণীর ভণ্ড লোকে রা আমাদের যা বোঝাচ্ছে, আমরা তাই বুঝছি, শুনছি। আমরা বুঝতে চাই না, শুনতে চাই না। চাইলেই এর সমাধান করা যায়। কারন ঢাবি আজও ঢাবি
শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য কী আজ তারা অসভ্যের মতো লাঠি নিয়ে আন্দোলন করবে???
নিজের বিবেকের কাছে কেন প্রশ্ন করছি না?
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
শিক্ষিত হকার বলেছেন: জাতির বিবেক তৈরীর কারিগরদের কেন শ্রেণীকক্ষে বসে টাকার কথা ভাবতে হবে, কেন টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে ল্যবিএইডে যেয়ে টাকা দিতে না পারায় ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
কেন প্রাইভেটে খেপ মেরে
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
শিক্ষিত হকার বলেছেন: কেন প্রাইভেটে খেপ মেরে
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: জাতির বিবেক তৈরীর কারিগরদের কেন শ্রেণীকক্ষে বসে টাকার কথা ভাবতে হবে, কেন টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে ল্যবিএইডে যেয়ে টাকা দিতে না পারায় ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে