নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসাময় হয়ে যাক এই পৃথিবী।

সীমাহীন ভালবাসা

আমি অতি সাধারন একটা ছেলে,,নাম নাম তৌহিদ আকন্দ সাহেদ,,নিজের সস্পর্কে বলার মত কিছুই নেই তবে এতটুকু বলতে পারি শত ভাগ ভালো মানুষ না তেমন শত ভাগ খারাপ ও না,,আমার কথা বার্তা শত ভাগ সঠিক হবার সম্ভাবনা ও কম,,তবে চেষ্টা করি মন্দের বেড়াজালে ভালো কে টেনে বের করতে,,,আমি ব্লগে তেমন একটিব না বুঝি ও কম, , তবে আমার ফেসবুক আইডির নাম Tas DE Sun,ফেবু বা ব্লগ এ সব সখ করে ঘাটাঘাটি করি,,

সীমাহীন ভালবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অপ্রকাশিত ভালোবাসা।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৩

চত্বরের বট গাছটা য়েন অন্যরকম রুপ ধারন করে,এখানে বসে না এবং ছাত্র ছাত্রী কলেজে আছে কি না সন্দেহ।মোটামুটি বড় জায়গায় সিরামিক বসিয়ে বসার স্থান বানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সাথে একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ ও আছে ঠিক এমন করেই বাধানো।যখন কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে তখন এখানে বসার একটা ভীর লেগে যায়,,।কলেজ বন্ধ কি খোলা সব সময় ক্যাম্পাস থাকে তরুণতরুণী তে মুখরিত ।আজ তেমন একটা ভীর নেই রফিক চোখে ব্লাক গ্লাস দিয়ে বসে আছে। ছেলেটা অনেক চঞ্চল স্বভাবের,যেখানেই যায় সেখানে একটা না একটা সমস্যা বাধায়।তার সামনে তাকিয়ে দেখে মেয়েটি আসছে হেটে হেটে,,।ইদানীং তাকে দেখলে কেমন যেন এক অনুভূতি জাগ্রহ হয় আর সব কথা হারিয়ে যায়,,।দেখতে সুন্দরী না ,কারন আজ পর্যন্ত কোন ছেলে তাকে দেখে শিষ দেয়নি কিংবা তাকে প্রপোজ করেছে এমন কোন ঘটনা ও ঘটেনি,অবশ্য তেমন সাহস ও কারো নেই।তার চুলগুলি বেশ লম্বা আজ মনে হয় ছেড়ে এসেছে মনে মনে কাব্যিক ভাবে বিবরণ দিতে চেষ্টা করে ও ব্যার্থ কারন সবাই যদি কবি হয় তবে পড়বে কে,,যদি ও ইচ্ছে জাগে একটা প্রেম করি এবং সুন্দর কবিতা লিখি,কবিতায় মনের ভাব প্রকাশ হয় যা পছন্দের কাউকে দৃষ্টি কিছুটা আকর্ষণ করা যেতে পারে, তবে লাভ নেই কারন জোর করে যেমন ভালোবাসা হয় না তেমন প্রেম হয় না,হয়না তেমনই কবিতা ও।কবিতা লিখতে গেলে নিজে মিস্ত্রি হতে হয়,স্তরে স্তরে শব্দগুলি সাজিয়ে অর্থবোধ করে তুলতে হয়,আজকাল কবিতা যে সব চোখে পড়ে তা দেখে মনে হয় বিরক্তিকর কোন পত্রিকার বিনোদন পাতার প্রতিবেদন, ,। শায়লা এসে পাশে বসল,বসার ভঙ্গী টা আজ অন্যরকম, আগে এসেই হাজার টা কথা বলত আজ মুখ দেখে মনে হচ্ছে আমাবস্যা লেগে আছে,,।রফিক বুঝতে পারে কিছু একটা গন্ডগোল কিন্তুু জিজ্ঞেস করে না কারন সে জানে শায়লা তাকে কোন কিছু না বলে এমনিতেই থাকতে পারে না,অনেক দিনের বন্ধুত্ব যদিও শায়লার ভাব ভঙ্গি ইদানীং সন্দেহজনক। শায়লা নীরবতা ভেঙ্গে বলল রফিক তোমার সাথে হয়তো আমার আর দেখা হবে না,,।আর কলেজে আসলে ও পরীক্ষা দিতে আসব সে ক্ষেত্রে ও দেখা করার ইচ্ছে এবং সম্ভবাবনা কম,,।রফিক একটু মুচকি হেসে বলে কেনো বিয়ে হচ্ছে নাকি তবে তো ভালোই অনেক দিন ধরে কাছের কোন ফ্রেন্ড এর বিয়ে খাই না,,।শায়লা কিছুটা চমকে যায় এবং বলে হা সত্যিই কিন্তুু ......... থেমে যায় শায়লা।রফিক শায়লার দিকে তাকিয়ে বলে শায়লা কাল রাতে একটা কবিতা লিখেছি, হঠাং করে মাথায় আসল তাই লিখে ফেললাম,।শায়লা হেসে বলে বল কি তুমি আবার কবিতা লিখতে পার!! রফিক বলে তাহলে শোন

((কচু পপাতায় শিশির জমে বন্ধু তোমার নামে,
শিশির গুলি রোদে শুকায় বেদনার খামে,।
ভালোবাসার শিশির গুলি খামেই হয় শূন্য
এই পৃথিবীর নিয়ম গুলি লাগে তাই বন্য,।
সকাল যখন বেলায় গড়ায় দুপুর চলে আসে,
ঘাসফড়িং অবজ্ঞা করে মিটমিটিয়ে হাসে,
নিষ্ঠুর সব নিয়ম গুলি হয়না কবু শেষ
তাই তো আমার ইচ্ছে জাগে হতে নিরুদ্দেশ ।))

রফিক থেমে যায়,,শায়লা বলে চমৎকার তো, তোমার এত প্রতিভা আগে তো জানতাম না,এত দিন তো ভেবেছি তোমার ভিতরে কোন অনুভূতি নেই,যাই হোক আমার এখন যেতে হবে। কথা গুলি বলার সময় কণ্ঠ ভারি হয়ে আসে।রফিক বলে কি যেন বলতে চেয়েছ শেষ করলে না।শয়লা কিছু বলে না,উঠে দাড়ায় এবং বলে আমার বিয়ে ব্যাপার টা সিরিয়াসলি তুমি নিয়েছ কি না বুঝতে পারছি না,আর আমার জন্য দোয়া কর, ।রফিক বলে তো দাওয়াত কি পাব না আজিব তো!শায়লা হাটা শুরু করে,রফিক উঠে দাড়ায় তখন শায়লা নিষেদ করে পিছনে না আসতে,,, ।এইবার নিজেই ধাধার মধ্যে পড়ে গেল কি করা উচিত।রফিক দাড়িয়ে আছে এবং চোখ থেকে চশমা টা খুলল যা ভিজে গেছে, যদি এটা না থাকত তো আজ হয়তো কোন নারীর কাছে সে পরাজিত হত,জীবনে কোনদিন প্রেম করবে না সে চিন্তা করে পণ করেছিল কিন্তুু শায়লার মধুর ব্যবহার তাকে গলিয়ে দিত কিন্তুু কখনো সে প্রকাশ করেনি,আজ যেমন শায়লা নিষেদ করেছে পিছনে হাটতে তেমন শত শত নিষেদ করেছে রফিক তার সব ব্যাপারে নাক না গলাতে হয়তো কষ্ট পেয়েছে কিন্তুু কখনো বলেনি। এর পর শায়লা আর কলেজে আসেনি,।রফিক আগের মত নেই,বন্ধুরা যেখানে আনন্দ করে আড্ডা মারে সেখানে রফিক আনমনে হয়ে বসে থাকে,সবাই বুঝতে পারে কিন্তুু ভয়ে কেউ কিছু বলে না কারন তার রাগের পরিমান টা অনেক বেশি,,।তা ছাড়া শায়লার বিয়ে হয়ে গেছে,।আস্তে আস্তে ঠিক হবে।মাঝখানে একদিন শায়লার সাথে দেখা হয় ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষায় কিন্তুু কাছে যাবার চেষ্টা করে ও সম্ভব হয়নি কারন শায়লা ইচ্ছে করেই দূরে সরে যায়,,। রফিক সে দিন খুব কষ্ট পায় যা তাকে ভুলার স্মৃতি হিসেবে রেখে দেয়। আসলে যে দিন শায়লা বিয়ের কথা বলেছিল এর আগের দিনই এক বন্ধুর মাধ্যমে রফিক জানতে পারে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,,।তার অপ্রকাশিত ভালোবাসা আর কোন দিন প্রকাশ পাবে না,,যখন শায়লা রফিকের মুখে কবিতা শোনে তখন শায়লা ও বুঝতে পেরেছিল রফিক অনেক দেড়ি করে ফেলেছে।আসলে সময় এবং ভাগ্য সব সময় কিছু একটা করে যায় সব সময় সবার সাথে।আজ যে ভালোবাসা গুরুত্বহীন কাল তা হারাবার জন্য হতে পারে সারাজীবনের চোখের পানি।
_____________
ফেসবুক আইডি Tas de sun

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.