নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মো. শিমুল রহমান, একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করছি। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ডিজিটাল মার্কেটিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে কাজ করে চলছি।

শিমুল মামুন

খুবই অতি সাধারণ একজন মানুষ।

শিমুল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর পর আপনার স্মার্টফোনের কি হবে?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৮


একদিন নিশ্চয়ই আসবে, যখন জীবন থেমে যাবে। হয়তো কোনো ব্যস্ত দুপুরে, কিংবা ভোরের নিঃশব্দে, হঠাৎ করে জীবনের শেষ সময় এসে উপস্থিত হবে। তখন আপনার ঘর, কাপড়, চায়ের কাপ—সব কিছুই থাকবে। আর সেই সঙ্গে থাকবে আপনার স্মার্টফোন। কিন্তু আপনি থাকবেন না। আপনার ফোনটি হয়ে উঠবে এক নিঃশব্দ স্মৃতির আলমারি, যেখানে থাকবে আপনার প্রিয়জনের স্বরবিহীন বার্তা, শেষ দেখা কিছু ছবি—যা আপনি হয়তো শেষবার দেখেছিলেন কোনও স্পষ্ট অনুভূতি বা আলোর মধ্যে। থাকবেন কিছু অসমাপ্ত খসড়া, হয়তো কেউ কখনও পড়বে না। থাকবেন সেই হোয়াটসঅ্যাপের ম্যাসেজ—“পরে লিখছি”—যেটা আর কখনো লেখা হবে না।

আপনার মা কিংবা স্ত্রী একদিন তুলে দেখবে সেই ফোনের ড্যাশবোর্ডে থাকা কিছু ছবি। হয়তো দেখবে সেই হাসির ছবি—যেখানে আপনি হাসছেন, বা মনে পড়বে সেই মুহূর্তের স্পর্শ, যখন আপনি নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে বলেছিলেন, “তুমি আমার দুনিয়া।”

তার ভিতর থাকতে পারে সেই সব মনের কথাগুলো, যা হয়তো বলা হয়নি, লেখা হয়নি—“আমি আসলে খুব একা।” বা “তোমার জন্য এই কিছুই করতে পারিনি।”

একদিন আপনার সন্তান বড় হয়ে আপনার ফোন খুলে দেখবে কিছু ভিডিও—যেখানে আপনি তাকে কোলে নিয়ে বলছেন, “বাবা, তুমি আমার দুনিয়া।” তখন সে বুঝবে—একটা ফোন আসলে শুধুই ডিভাইস নয়, এটা ছিল এক জীবনের দলিল, এক অনুভূতির অমূল্য রেকর্ড।

আল্লাহর দরবারে আমাদের অনুরোধ:

“আমরা জানি, মৃত্যু অমূল্য সত্য। আল্লাহ বলেন,
“প্রতিটি প্রাণীকেই মরতে হবে।” (আনকেবূর, ৮৫:১৭)

এই সত্যটি আমাদের মনে রাখতে হবে এবং প্রতিনিয়ত প্রস্তুতি নিতে হবে।

অতএব, কেনো আমাদের উচিত এই তিনটি বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করা?

১. স্মার্টফোনে সংরক্ষিত তথ্যের সচেতনতা:
আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি, প্রেম, আবেগ, অনুভূতি—সবই এই ডিভাইসে। কিন্তু এই তথ্যগুলো যেন মৃত্যু পরবর্তী সময়ে লজ্জাজনক বা অপপ্রয়োগের কারণ না হয়, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আল্লাহ বলেন,

“অথচ তোমরা যা লুকিয়ে রাখো বা প্রকাশ করো, আল্লাহ তা জানেন।” (আল-কুরআন, আল-আনফাল, ৮:১৭)

২. সদুপায়ে সংরক্ষণ ও আল্লাহর জন্য সওয়াবের জন্য ব্যবহার:
আমাদের উচিত স্মার্টফোনে এমন কিছু সংরক্ষণ করা, যা মৃত্যুর পরে আমাদের জন্য সওয়াবের কারণ হতে পারে। যেমন, দোয়া, কোরআন তেলাওয়াতের ভিডিও, দান বা সদকায়ের রেকর্ড। কারণ, হাদিসে এসেছে:

“কোনো ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে সদকায়ে জারিয়া করে গেলে, মৃত্যুর পরে সেটার সওয়াব তার জন্য অবিরাম চলতে থাকে।” (সহিহ মুসলিম)

৩. প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও সচেতনতা:
অন্যদিকে, এমন কিছু থাকা উচিত নয় যা প্রকাশ হলে লজ্জা বা অপমানের কারণ হতে পারে। আল্লাহ বলছেন,

“অবশ্যই, আল্লাহ পাপাচার বা অপবিত্রতা থেকে বিরত থাকতে আদেশ করেছেন।” (আল-কুরআন, আন-নূর, ২৪:৩০-৩১)

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এই ডিজিটাল দুনিয়ায় সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। মৃত্যুর পর আমাদের জন্য প্রার্থনা ও দোয়া করার ক্ষমতা থাকুক, সৎকাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি। আমাদের উচিত, স্মার্টফোনকে শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং আত্মার জন্য কল্যাণকর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা।

আসুন, আমরা নিজেদের ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করি। যেন মৃত্যুর পর আমাদের জীবনটুকু হয়ে ওঠে এক কল্যাণের পথ, যেখানে আমাদের স্মৃতি হয়ে থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালো কাজ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎ পথে পরিচালিত করুন, আমিন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আল্লাহ সম্প্রতি জানায়েছেন, স্মর্টফোন কফিনে দিয়ে দিতে হবে; ফোন সাক্ষী হিসেবে গণ্য হয়ে। আপনার মৃত্যুর সময় ফোন পকেটে রাখবেন, সম্ভব হলে ভিডিও করবেন।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫

নতুন বলেছেন: ২. সদুপায়ে সংরক্ষণ ও আল্লাহর জন্য সওয়াবের জন্য ব্যবহার:
আমাদের উচিত স্মার্টফোনে এমন কিছু সংরক্ষণ করা, যা মৃত্যুর পরে আমাদের জন্য সওয়াবের কারণ হতে পারে। যেমন, দোয়া, কোরআন তেলাওয়াতের ভিডিও, দান বা সদকায়ের রেকর্ড। কারণ, হাদিসে এসেছে:

“কোনো ব্যক্তি মৃত্যুর পূর্বে সদকায়ে জারিয়া করে গেলে, মৃত্যুর পরে সেটার সওয়াব তার জন্য অবিরাম চলতে থাকে।” (সহিহ মুসলিম)


বাহ মোবাইলে দোয়া, তেলাওয়াতের ভিডিও, দান, সদকার রেকর্ড থাকলে সোয়াব হবে? ভালো ভাবনা। :D

আসলেই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ধর্মও আপগ্রেড হচ্ছে।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:০১

বাজ ৩ বলেছেন: আপনার কথা গুলো মন আলোকিত করে করে ফেলেছে?আপনাকে মৃত্যুর বিষয়ে একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি বলে মনে করি?
আমি শেখার জন্য কিছু প্রশ্ন করছি—
১।মৃৃত্যুর সময় যখন সাতার কেটে গিিট খুলে দেয়,(কুরআনে আছে) তখন তখন উক্ত মুনাফিকের কি কষ্ট হয়?
২।মুনাফিকের ও যদি গিট খুলে দেওয়া হয়,তাহলে তারও তো কাশফ হল ফাকাশাফনা মানে অদৃশ্য জগত খুলে যাওয়া,তাহলে মুমিন এবং মুনাফিকের মধ্য পার্থক্য কিভাবে হবে,উভয়ের ই যদি মুকাশিফা হয়।

৩।আমার মতে কাফের মুনাফিকের আত্মা খুলবেনা,তারা অন্ধকারেই থাকবে,যেই ফেরেশতারা মুমিনকে আপ্যায়নের জন্য আসবে,মুনাফিকের জন্য তারা আসবনা, তাদের জন্য অন্য পেরেশতা আসবে।মালাকুল মওতের সাথী হয়ে।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:০৫

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: খুবই সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন, শুভকামনা। আরো এমন পোস্ট চাই আপনার কলম থেকে

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আমার ফোনটির কি হবে তা নিয়ে আগে কখনো ভাবি নাই!

আপনার পোস্ট পড়ার পরে ভাবিত হলাম।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যুর পর আমি আর কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে চাই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.