নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহা হতাশ আমি মহা উন্মাদ

অর্থহীন চিন্তাবিদ

অর্থহীন চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনবাদঃ বিজ্ঞান নাকি দর্শন??

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪

দুটি ভিন্ন প্রানীর চেহারা, আচার আচরণ কিংবা অন্য কিছুতে মিল থাকতে পারে। বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যেও মিল থাকতে পারে। এমন কেন হয়? এমন হয় বিবর্তন ধারার মাধ্যমে।
এই যুক্তিটি জোরালো হলেও দোষমুক্ত নয়। বিবর্তনের বিরুদ্ধে যুক্তি তুলে ধরা সহজ। এর অসাড়তা প্রমাণের জন্য তিনটি যুক্তি দেখানো যেতে পারে।
১. প্রাণী জগতের বৈচিত্র ব্যাখ্যা করার জন্য যদি বিবর্তনবাদ, তাহলে সে বিবর্তন ধারা তো অনন্তকাল ধরে চলার কথা। চেনাজানা সব প্রানী বদলে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেছে দেখিনি বা শুনিনি।

২.সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান। যখন যা ইচ্ছে গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে নতুন প্রানী গড়ার জন্য তাকে বিবর্তনের সাহায্য নিতে হবে কেন?

৩. আমরা যদি বিবর্তন কে সত্য বলে মেনে নিই, সংগে সংগে এটাও মেনে নিতে হবে যে বিবর্তন ধারা কে নিয়ন্ত্রন করার জন্য কোন নিয়ন্ত্রক রয়েছে।
প্রশ্নগুলোর উত্তর কোন বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী কেউ দিতে পেরেছে বলে আমার জানা নেই।
ডারউইন তার বই
"On the Origin of species by means of natural selection " বইতে বলেছিলেন, "যে কোন প্রজাতি যখন বংশ বৃদ্ধি করে তখন কোন না কোন প্রভেদ থেকেই যায়
। চামড়ার রং, শক্তি বা স্বভাব চরিত্রে। এর মধ্যে কিছু জিনিস পরিমাণে বেশি হলে তাতে পরিবেশের সংগে খাপ খাওয়াতে সুবিধা হয়। তাহলে প্রাকৃতিক পরিবেশ তাকে বরণ করে নেবে। এভাবেই সব চলতে থাকবে, কোন নিয়ন্ত্রকের প্রয়োজন নেই!"
এই কথার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কি আমি জানিনা। আমার কাছে এরকম মনে হয়, মনে করুন মরুভূমিতে একটি ঘড়ি পাওয়া গেল। খুব সুন্দর।! কোন একসময় এটা লোহা বা অন্যকিছু ছিল। কোটি কোটি বছর পর তা বিবর্ততিত হয়ে আজ ঘড়িতে পরিণত হয়েছে!
পরিশেষে Arnold Lunn এর কথাটা বললামঃ
"ডারউইনবাদ বিজ্ঞান নয়। পুরোপুরিভাবে ধর্মমত। তাতে যুক্তিসংগত সুসংবদ্ধতার দাবি যতই করা হোক না কেন। আর মানুষের রচিত এই ধর্মমতে যুক্তি -প্রমাণের তুলনায় অন্ধ বিশ্বাস ও ভাবাবেগ অধিক প্রবল হয়ে গেছে।"

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: লেখক দেখি শুরুতেই বিতর্কিত বিষয়ের অবতারণা করেছেন। বেশ ভাল লাগল আপনার যুক্তি গুলো। আপনার কাটাছেড়া চলছে চলুক, বিবর্তনের থিউরি গুলো আমার কাছেও কাল্পনিক মনে হয়।

ধন্যবাদ।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৫

অর্থহীন চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
উত্তর পাওয়ার জন্যই পোস্টটি করা।
দেখা যাক!

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চার্লস ডারউনের ইভ্যুলুশন থিওরী থেকে আজকের বিবর্তনবাদের মধ্যে যোজন যোজন ব্যবধান হয়েছে সেটা কি জানেন? আর বিবর্তন আকস্মিক কোন ঘটনা নয় যে আমাদের চোখের সামনেই তা হয়ে যাবে।
আজ বিজ্ঞানের যে অগ্রগতি তাতে ইভ্যুলুশন থিওরী'র অনেক প্রশ্নের উত্তরই দেয়া হচ্ছে। কিছুটা বাকি আছে, ঐটাও পরিস্কার হবে, আসুক সময়, আসুক।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬

অর্থহীন চিন্তাবিদ বলেছেন: বিবর্তন কোটি বা লক্ষ লক্ষ বছর লাগে তা জানি।
আমি ডারউইনীয় বিবর্তনের কথাই বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও ওই প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাইনি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সামু ব্লগের সহজ পাঠ, এই পোস্টটি পড়তে পারেন। মন্তব্যের প্রতি উত্তর সহ অনেক ব্যাপারে আপনার ধারণা ভাল হবে।

হ্যাপি ব্লগিং।

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ১ আর ২ বেশ যুক্তিসঙ্গত লাগলো। হ্যাপি ব্লগিং।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৭

অর্থহীন চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫২

মহা সমন্বয় বলেছেন: বিবর্তনবাদঃ বিজ্ঞান নাকি দর্শন?? :-< এটা কোন কথা হল? এই একবিংশ শতাব্দিতে এসেও এ প্রশ্ন শুনতে হবে?
@ গেম চেঞ্জার এর সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.