![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফুটপাত
আজকে কিছু সময় কাটবে পল্টন-গুলিস্থানে। পল্টন মোড়ে ফুটপাতে পুরনো বইয়ের দোকানে অনেক ভালো বই পাওয়া যায়। সেটার সংখ্যা আবার খুব বেশি না। পাঁচ ছয় বছর ধরে এখান থেকে মাঝে মাঝে বই ম্যাগাজিন কিনি। পুরনো ডায়েরি, কলম, নানা রকম ফাইল তবে নতুনের মতোই দেখতে। এসবও কিনি। সেখান থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট হয়ে স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে সোজাসুজি গুলিস্থান। মসজিদ মার্কেটের সামনের ফুটপাতে অনেক সুন্দর সুন্দর সুপিচ পাওয়া যায়। প্রতিবারই একটা না একটা কিনি। এই যেমন ছুরি, হারিকেন, নেইল কাটার, চাবির রিং ইত্যাদি ইত্যাদি। অসম্ভব সুন্দর ডিজাইনের। বেশিরভাগই সাজিয়ে রাখার জন্য। সেখান থেকে একটু সামনে আসলেই অর্থাৎ মসজিদের পশ্চিম গেইটের ফুটপাতে পাঞ্জাবী, পাঞ্জাবীর কাপড়, বিছানার চাদর, শার্ট আর পুরনো কোর্ট ব্লেজার এসব পাওয়া যায়। মেয়েদের শুধু আন্ডার গার্মেন্টস অর্থাৎ ব্রা, প্যান্টি পাওয়া যায়। সবসময়ই উল্টে পাল্টে দেখি। কেনা হয়না কখনো। দোকানদার বারবার জিজ্ঞেস করে 'মামা সাইজ কতো, কোন কালার, সুতি না লিনেন না ইলাস্টিক দিমু' আরো আরো। আমি বলি 'মামা, এরম করো ক্যা, দেখতে দাও।'
রাস্তা পার হয়ে আসলে স্টেডিয়াম ঘেঁষা রাস্তায় যাই। পুরনো ইলেকট্রিক মালামাল এবং এক্সসরিস পাওয়া যায়। সাথে নতুনও পাওয়া যায়। মোবাইল ও ছোটো খাটো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সবচেয়ে লেটেস্ট কপি এখানে পাওয়া যায়। খুব কমই কিনি এখান থেকে। এখানকার ফুটপাত ব্যবসায়ীরা ধান্দার আশ্রয় বেশি নেয়। সে ভয়ে কেনা হয় না। স্টেডিয়ামের গেইটে আগের মতই এখনো ব্লু ফিল্ম এর ক্যাসেটের দোকান আছে। উপর দিয়ে তামিল আর বাংলা ছবির ডিস্ক থাকে। নিচে রাখা হয় বাংলা আর পাকিস্তানী গরম মশলা আর ইংলিশ পর্নো। ইশারা দিলেই বের করে দেয়।
সামনে এসে গুলিস্থান রাজ হোটেলে আসি। এ হোটেলের খাবার অনেক প্রিয় আমার। বিশেষ করে খাসির কলিজা ভুনা। বাড়ি থেকে সকালবেলা যখন সদরঘাট আসি তখন হেঁটে হেঁটে গুলিস্থান আসি। এই হোটেলে কলিজা ভুনা দিয়ে নাস্তা সেরে তারপর বাসে উঠি। আজকেও তাই করবো। নাস্তা সেরে গোলাপ শাহ্ মাজারে কিছুক্ষণ দাঁড়াই। এখানকার কর্মকান্ড আমাকে ভাবায় সবসময়ই। দাঁড়িয়ে-বসে দেখতে থাকি। অনেক সময় দুপুরের তবারক ভাগে পাওয়া যায়।
প্রতিবারই মাজার থেকে গুলিস্থান পার্কে যাওয়া হয়। আজ আর যাবো না। মোড় থেকেই বাসে উঠবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সুন্দর লেখা!