| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমেরিকার সাথে টিকফা চুক্তি সম্পাদনে নীতিগত সম্মতি এবং তা মন্ত্রীসভায় গতকাল অনুমোদন দেয়া হয়েছে ( এখানো সময় আছে সরকারকে চুক্তি সম্পাদনে বিরত রাখার)।
>> প্রথম আলো টিকফা চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে লেখেছে, এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অনেক লাভ হবে।
লাভ কি কি হতে পারে তার একটি সামান্য নমুনা দিলামঃ
* এখন আমরা পাইরেটেড ইউন্ডোজ ব্যাবহার করি । একটা উইন্ডোজের সিডি/ ডিভিডি ফুটপাথেও পাওয়া যায় মাত্র ২০-৪০ টাকার মধ্যে। টিকফা চুক্তি সম্পাদন হলে আমরা আর পাইরেটেড সফটওয়ার ব্যাবহার করতে পারব না। আমেরিকান কোন নাগরিক/ অবজারভার/ স্পাই যদি আপনার শহরের কোন মার্কেটের ডিভিডির দোকানে দেখে যে সেখানে ডিসপ্লেতে পাইরেটেড উইন্ডোজ, এডোবি ফটোশপ কিংবা অন্য কোন সিডি আছে এবং ক্রেতারা দেদারছে তা কিনছে তাহলে সে ওই দোকান মার্ক করে রাখবে এবং আমেরিকান দূতাবাস কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে। ফলাফল হবে সরকার আমেরিকান দূতাবাসের অনুরোধে টিকফা চুক্তির ধারার ক্ষমতার বলে ওই দোকান মালিক এবং যেসব ক্রেতা ওই দোকান থেকে পাইরেটেড সফটওয়ার কিনেছে তাদের গ্রেফতার করে আইটি আইনে জেলের ভাত খাওয়াবে।
তখন আমাদের ৭০০০- ১০০০০ টাকা দিয়ে অরিজিনাল উইন্ডোজ কিনতে হবে। অন্য সফটওয়ারের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপারটি ঘটবে।
* আমরা এখন ডিভিডির দোকান থেকে সুপারবিটের ডিভিডি কিনতে পারি পার পিস ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। সুপারবিটের ডিভিডি গুলো পাইরেটেড। অরিজিনাল ডিভিডি ওরা এক কপি ইমপোর্ট করে সেটা থেকে এনকোড করে কপি করে বাজারে ছাড়ে। টিকফা চুক্তি সম্পাদিত হলে আমাদের ওই সুযোগ আর থাকবে না। তখন আমাদের ওয়ারনার ব্রাদার্স, প্যারামাউন্ট, ইউনিভার্সালের অফিসিয়াল ডিভিডি রিলিজ পাওয়ার পর আমাদের আমদানীকারকরা সেগুলো দেশে ইমপোর্ট করার পর আমরা পাব। দাম পড়বে পার পিস মাত্র ৫০০-১০০০ টাকা। ব্লু-রে তে মুভি দেখা স্বপ্ন হয়ে যাবে তখন।
অনেকে বলতে পারেন আমরাতো মুভি ডাউনলোড দেই। ডিভিডি কে কেনে? টিকফা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মেধাসত্ত্ব আইনের ধারায় আমেরিকা সরকারকে চাপ দেবে পাইরেটেড মুভি/ সফটওয়ার / ই-বুক ইত্যাদি ডাউনলোডের সাইট গুলো স্থায়ীভাবে ব্যান করে দেয়ার জন্য। সরকার যেভাবে ইউ-টিউব বন্ধ করেছে ঠিক সেভাবে এসব সাইটও বন্ধ করবে। দরিদ্র ডট কম, দি পাইরেট বে এবং এর সব প্রক্সি, কিক এস টরেন্ট এবং এর সব প্রক্সি থেকে মুভি/ বই/ মিউজিক নামানো বন্ধ হয়ে যাবে। অনেকে প্রক্সির কথা বলতে পারেন। এই চুক্তির ফলে আমেরিকা তাদের মেধাসত্ত্ব রক্ষার জন্য যা যা দরকার তার সবই করবে। বি টি আর সি কে এমন টেকনোলজি সরবরাহ করবে যেখানে যাবতীয় ডাউনলোড সাইট এবং তাদের প্রক্সিও খুব সহজেই ফিল্টারিং করা যাবে। উল্লেখ্য কয়েকবছর আগে এই আইনের ধারায় আমেরিকায় এবং সারা বিশ্বে মুভি ডাউনলোডের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় সাইট ''মেগা আপলোড'' বন্ধ করে দেয়।
* সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হবে দেশের উদীয়মান আইটি খাত। সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার, আইটি বিশেষজ্ঞ, ওয়েব ডেভেলেপার ফার্ম গুলোকে প্রতি বছর সফটওয়ার নবায়ন এবং নতুন সফটওয়ার ইনস্টল করার জন্য লাখ লাখ টাকা বাজেটে রাখতে হবে। যারা ফ্রি-ল্যান্সিংয়ের কাজ করেন তারা গণহারে বেকার হবেন।
* আমেরিকান পেটেন্ট যেগুলো পাইরেটেড ওয়েতে এখন অনেক দেশ মডিফাই করে নিজেদের করে নিয়েছে যার কারণে আমেরিকা সেগুলোর উপর কোন আইনী স্বত্ত্ব খাটাতে পারে না সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে টিফকার মত কোন চুক্তি না থাকার কারণে। যেমনঃ চীন। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে দেশের ফার্মাসিউটিয়াল খাত অর্থাৎ ঔষধ শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। কারণ বেশিরভাগ ঔষুধের ফর্মূলা আমেরিকান বিজ্ঞানীদের। দেশে উতপাদিত ঔষধ বাজারজাত করণে লাভের একটি অংশ কিংবা পেটেন্ট স্বত্ত্বের একটি নির্দিষ্ট ফি প্রতিবছর আমেরিকাকে দিতে হবে। তখন দেখা যাবে প্যারাসিটেমল,সিপ্রোপক্সিন এবং যাবতীয় এন্টিবায়োটিক বর্তমান মূল্যের চেয়ে দ্বিগুন, ক্ষেত্র বিশেষে কয়েক গুণ বেশি দামে কিনতে হবে। দেশের স্বাস্থ খাতের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। ওষুধ কিনতে না পেরে সাধারণ সর্দি-কাশি, জ্বর এসব অনেক মানুষ মরবে, বিশেষ করে দূর্গম এলাকা গুলোতে অবস্থা আরো খারাপ হবে।
*গার্মেন্টস খাতেও এর প্রভাব পড়বে। টেক্সটাইল এবং কাপড় উতপাদন খাতে যেসব ইনভেন্ট আমেরিকান সেসব আগের মত ফ্রিকোয়েন্টলি ব্যবহার করা যাবে না। এখানেও অন্যান্য খাতের মত আমেরিকাকে প্যাটেন্ট স্বত্ত্ব দিতে হবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই।
*মেডিক্যাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বই গুলোর বেশিরভাগেরই লেখক আমেরিকান। বিশেষ করে বিজনেজ ফ্যাকাল্টি এবং সায়েন্সের বই গুলোও বেশির ভাগই আমেরিকান লেখকের। এখন আমরা এই বই গুলো নীলক্ষেত থেকে ফটো কপি এডিশন দিয়ে কাজ চালাই। বিভাগীয় শহর গুলোর বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যালের ছাত্ররাও একই কাজই করে। টিকফা চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ছাত্রদের চড়া দামে বিদেশী বইয়ের অরিজিনাল এডিশন কনতে হবে। কোন দোকানে ফটোকপি ভার্সন পাওয়া গেলে তাকে পাইরেসী আইনে গ্রফতার করবে।
উল্লেখ্য বিগত ২০০৩- ০৪ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় এনে চুক্তিটি অনুমোদন করেনি। পরে আমেরিকা দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সরকারকে চুক্তিটি সাক্ষরে চাপ প্রয়োগ করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় তা সাক্ষর করেনি।
এই আওয়ামী লীগ সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে প্রতিবারই কোন না কোন গণবিরোধী এবং জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী চুক্তি সাক্ষর করেছে । যেমন গঙ্গা পানি বন্টন চুক্তি (যার ফলে উত্তর বঙ্গে পদ্মা এবং অন্যান্য নদী শুকিয়ে মুরুভূমি হওয়ার পথে), পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ( যার ফলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের অখন্ডতা এবং সেখানে বাঙালীদের অস্থিত্ব হুমকির মুখে), ভারতের সাথে ট্রানজিট চুক্তি (যার ফলে ভারতের গাড়ী এবং নৌযান বিনা মাসুলে/ বিনা ফি তে বাংলাদেশের রাস্তা, নদী ব্যবহার করে ভারতে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে), এবং সর্বশেষ এই গোলামীর টিকফা চুক্তি সাক্ষরে মন্ত্রী সভার অনুমোদন প্রদান। এখনো সময় ফুরিয়ে যায় নি। চুক্তি সম্পাদনের আগেই যেভাবেই হোক সরকারকে এই বিরত রাখতে হবে।
>> আরো অনেক অসুবিধা আছে। বলতে গেলে কয়েক পর্ব যাবে। তাই ওদিকে গেলাম না।
>>> প্রথম আলোর এই টিকফা চুক্তির পক্ষে দালালীর পাশাপাশি আজ উপসম্পাদকীয়তে লেখেছে , দেশে নাকি এখন ঘণ ঘণ ''আঞ্চলিক হরতাল'' বেশি হচ্ছে। এটা বন্ধ করা উচিত। ভালো কথা মানলাম। যুক্তি আছে। কথা হচ্ছে প্রথম আলো আসলে সম্পূর্ণ অন্য একটি উদ্দেশ্যে একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে হেয় করার উদ্দেশ্যে এই খবরটিকে মোড়ক হসেবে ব্যাবহার করেছে। এই যৌক্তিক আন্দোলনটি হল পার্বত্য চট্টগ্রামে আগামী ৯,১০, ১১ জুলাই হরতাল ডেকেছে কয়েকটি পার্বত্য বাঙালীদের সংগঠন। বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইন সংশোধন এবং তা বাস্তবায়ন রূখতে এই হরতাল দেয় পার্বত্য বাঙালীদের কয়েকটি সংগঠন। দেশের অন্য অঞ্চলের রাজনীতির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতি এক নয়। সে কারণে পার্বত্য অঞ্চলের এই হরতালকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আঞ্চলিক হরতালের সাথে মিলিয়ে এর গুরুত্ব হ্রাসের অপচেষ্টা খুবই স্পষ্ট।
প্রথম আলোর এই দেশ বিরোধী অবস্থান নতুন নয়। সময় থাকতে এসব রূখতে না পারলে পরবর্তীতে অনেক বেশি ভুগতে হবে দেশের অপামর জনগোষ্ঠীকে। ইংরেজ রা আমাদের সম্পদ ব্যবহার করে আমাদেরই শোষণ করেছিল ২০০ বছর। এখন নতুন সম্রাজ্যবাদীরাও তাই করবে। দেশে সম্রজ্যবাদীদের ভাড়া খাটা প্রথম আলোর মত মীর জাফরের অভাব নেই।
১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
শিরিষ গাছ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবা্দ। জাতীয় জাতীয় স্বার্থে এই চুক্তি সম্পাদন রুখতে হবে।
২|
১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
মদন বলেছেন: ![]()
১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
শিরিষ গাছ বলেছেন: সলেই মন খারাপ করার মত খবর।
৩|
১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
আতা2010 বলেছেন: প্রথম আলোর গালে
জুতা মার তালে তালে!!
১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
শিরিষ গাছ বলেছেন: ধন্যবাদ..। সবার এ ব্যাপারে সচেতনতা জরুরী।
৪|
১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
রিয়াজ৩৬ বলেছেন: দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল কর, করতে হবে!!
পোস্টে +++
৫|
১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০২
"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: কম্পু ছেরে জুতা ধরি প্রথম আলোর গালে মারি
৬|
১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৯
অনুপ দেবনাথ রিঙ্কু বলেছেন: যারা ফ্রি-ল্যান্সিংয়ের কাজ করেন
তারা গণহারে বেকার হবেন । লেখক ভাই আমাকে এই ব্যাপারে এক্টু বুঝাইয়া বলেন ।
আমি ত ওডেস্ক বা ফ্রিল্যান্সারে কাজ করবো না । আগামী বছর থেকে " ফরেক্সে " কাজ শুরু করবো । ফরেক্সেও ত অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করতে হয় । এক্ষেত্রে এখানেও কি কোনো সমস্যা হবে ???????
৭|
১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
নিকষ বলেছেন: সচেতন হইয়া কি হবে। সরকার আম্রিকারে চাটা বন্ধ বন্ধ কইরা দিব, চুক্তি বাতিল হইব? কিছুই হবে না।
ডিফারেন্ট কিছু করা উচিত।
৮|
১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫
আমি কবি নই বলেছেন: ঠেকানো যাবেনা। এই সরকার থাকতে থাকতেই দেশের সব ক্ষতির চূড়ান্ত হয়ে যাবে দেখছি। হায় মুজিব যদি এখন তার মেয়েকে দেখতো, তাকে ত্যাজ্য করত নিশ্চিত, ![]()
৯|
১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
রাজনীতির ভাষা বলেছেন: কেউ অন্যভাবে নিয়েননা। আমারতো মনে হইতাছে, টিকফা বাস্তবায়ন হইলে লাভই হইব। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত নিজস্ব প্রযুক্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব। আমরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে উঠব। মুভি, টুভি দেইখা সময় নষ্ট করা বন্ধ হইব। আমাদের শক্তির উৎস কৃষির প্রতি আমাদের মনোযোগ আকৃষ্ট হবে, ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আর প্রথম আলোরে জুতায়া দেশ থেইকা বাইর করা সহজ হইব।
মতি চোরার 'আলুচোর' (চোর-আলো= আলুচোর) পত্রিকা কি কয়?
১০|
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:২৩
বৈরাম খাঁ বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছু বলার নাই
১১|
১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাতীয় জাতীয় স্বার্থে এই চুক্তি সম্পাদন রুখতে হবে।
রিয়াজ৩৬ বলেছেন: দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল কর, করতে হবে!!
পোস্টে +++
১২|
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার যুক্তিগুলো অনেকটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিটাইপ।
উইন্ডোজ বা অন্যান্য পাইরেটেড সফটওয়্যাররের কথা বললেন অথচ ফ্রি অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো আপনি ব্যাব হার করতে পারেন এমনকি আপনি যদি নিজের দেশে এসব সফটওয়ার বানান সেগুলোরও দাম পাবেন। এখন বাংলাদেশের কোনো ছেলে যদি একটা অপারেটিং সিস্টেম বানায় তখন সে ইচ্ছা করলেই পার কপি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু যখন উইন্ডোজই পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকায় তখন ঐ ছেলেকে বাধ্য হয়ে বিনামূল্যে ওটা বিক্রি করতে হবে। এছাড়া আপনার যুক্তিটি মানুষকে চুরি করার অধিকার দিয়ে দিয়েছে, ভাবতে আশ্চর্য্য লাগে শিক্ষিত হয়ে মানুষ কিভাবে চুরির জন্য সাফাই গায়? যদি বলেন গরীব দেশ তাহলেও হাসি লাগে। কারন যারা ল্যাপটপ কিনতে পারে তারা নিশ্চয়ই একটা উইন্ডোজ কিনতেই পারে। যারা পারে না তারা লিনাক্স শিখুক। আর যদি বলেন লিনাক্স কঠিন লাগে তাহলে একটা কাজ করেন বাজার থেকে একটা টান্ডিস্টার কিনে এনে চালান।
ডিভিডি বানানোর কথা বললেন অথচ বললেন না দেশে আমরা নিজস্ব ব্রান্ড কেনো তৈরী করি না। ভাবতে অবাক লাগে কোনো ইউনিতে এখনও লিথোগ্রাফী মেশিন বা চীপ বানানোর জন্য ক্লিন রূম নাই। রাজনীতিবিদরা এসব বোঝেন না কারন এরা বেশীর ভাগ অশিক্ষিত বাস স্ট্যান্ডে চাদাবাজী করেছেন আর যাদের নামের সাথে খেতাব আছে তাদের ৯৯% টাকা দিয়ে অথবা অসাধু শিক্ষকের সাথে যোগসাজশে পাশ করেছে। আপনার মতো শিক্ষিত লোক যখন দেশীয় ইন্ডাস্ট্রি বা ল্যাবের উন্নয়ন সাধনের কথা না বলে পাইরেটেড বা চোরাই মালের জন্য উদ্বুধ্ধ করেন তখন মনে হয় ক্ষমতার জন্য খালেদা আমেরিকার শিশ্ন চাটে বাংলাদেশের উপর অবরোধ দেবার জন্য তেমনি আপনাদের মতো বাম বা লীগার দালাল গুলোও তাই বলে।
আর যেসব বই বা প্যাটেন্ট এর কথা বললেন সেগুলো অন্যান্য দেশেও ছিলো যখন তারা নিজেরা গবেষনাও শুরু করেনি। এখন তারা নিজেরা যেমন গবেষনা করে দেশকে উন্নয়নের কাতারে এনেছে তেমনি তারা নিজেরাও কিছু করছে। আর বই বা জার্নাল ছাত্ররা কিনবে কেন? কই থিকা পড়ালেখা করছেন? ভার্সিটির প্রতিবছর বরাদ্দই থাকে এসব কেনার জন্য। আই ই ই ই থেকে শুরু করে বিভিন্ন জার্নাল প্রতিষ্ঠান এবং বই এর যোগানের দায়িত্ব ভার্সিটির। বাইরে তাই হয়। আর প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই যেকোনো সফটওয়ার বা পুস্তক বা জার্নালের জন্য এপ্লাই করে সুলভ মূল্যে অনেক কম খরচে এমনকি বিনা পয়সায় ছাত্রদের জন্য ব্যাবস্হা করে যেমন জিলিংক্স ইত্যাদি।
ক্ষমতায় যাবার জন্য আর কি কি ফাও যুক্তি দেবেন আপনারা?
১৩|
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর ফ্রি ল্যান্সিং এ বাংলাদেশে কি কাজ হয় সেটা একটু ঘুরলেই দেখা যায় বেশীর ভাগ ফেসবুক লাইক অথবা গুগল হিট টাইপের ফালতু কাজ।
যদিও বেকার সমস্যা বাড়ছে কিন্তু যখনি কেউ অটোমেটেড সিস্টেম এসবের জন্য বের করে ফেলবে তখনই এরা বেকার হবে।
মৌলিক শিক্ষার যে অভাব সেটা নিয়ে কেউ বলছে না অথচ ইথিক্যালী ইলিগাল কাজটা নিয়ে লেখা লেখি হচ্ছে। লজ্জা নাই কারো!
১৪|
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১
ভারসাম্য বলেছেন: টিকফা চুক্তির ক্ষতিকর দিকগুলো জানিনা সেভাবে। তবে আমেরিকা-ইন্ডিয়ার সাথে সম্পাদিত যেকোন চুক্তিই যে বাংলাদেশের জন্য বাঁশ ছাড়া কিছু হবেনা সেটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হবার দরকার পড়েনা। সাথে চুক্তির পক্ষে প্রথম আলোর অবস্থান দেখে আরো নিশ্চিৎ হওয়া যায় যে বাঁশটি যেন তেন বাঁশ না, একেবারে আইক্কাওয়ালা বাঁশ।
চুক্তির ভেতরে যাই থাক সেটার বাস্তবায়নে যেসব ক্ষতি হতে পারে বলে এই লেখায় লেখা হয়েছে সবই অযৌক্তক আর অগ্রহণযোগ্য।
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার যুক্তিগুলো অনেকটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিটাইপ।
উদীয়মান আইটি খাত পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে না পেরে মোটেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা বরং আরো সমৃদ্ধ হবে। ক্ষতিটা হচ্ছে যখন সরকার ইন্টারনেট আপ্লোড স্পীড কমিয়ে দিচ্ছে, ব্যান্ডউইড্থ কষ্ট কমাচ্ছেনা, নিরবচ্ছিন্ন ও সুষম ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিৎ করতে পারছেনা তখন। অনলাইন পেমেন্ট সিষ্টেম ঠিকমত চালু করছেনা তখন। আয়ের উপর অতিরিক্ত ট্যাক্সের পাঁয়তারা করছে তখন।
টিকফা'র বিপক্ষের পোষ্ট হিসেবে যদিও সাধুবাদই দিতাম তবে কারণ হিসেবে যেগুলো বলা হল সেগুলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মাইনাস।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথম আলোর গালে
জুতা মার তালে তালে!!
টিকফা চুক্তি সই করা
যাবে না যাবে না।।
খুব সহজ করে ক্ষতিটা বুঝোনর জন্য ধন্যবাদ@ লেখক।
এর বাকী সব ইস্যুতেও এইরকম সহজ করে জনতাকে বোঝানো গেলে জাতি উপকৃত হবে।
হে আল্লাহ তুমি এই দেশটাকে রক্ষা কর।
অপশক্তির সকল অপচেষ্টাকে ভন্ডুল করে দাও।
আজ আমরা আমাদের নেতা কর্তৃক শোষিত, বঞ্চিত, তোমার সাহায্য বিনা আমাদের রক্ষা করার কেউ নাই। তোমার অলি আউলিয়ার পূণ্যএই ভূমিকে তুমি সাহায্য কর। তোমার প্রিয় বান্দাদের উসিলায়।