![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৎকালীন বিডিআরের মহাপরিচালক বিডিআর হত্যাকান্ডে নিহত শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিনের বক্তব্যের মাঝেই রহস্য খোঁজার চেষ্টা করতেছি।
রাকিন বলেন, ঘটনার দুই দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেননি কেন। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি সেনাবাহিনী পাঠাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ রাজি হননি। একই প্রশ্ন তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমতি না দেয়ায় অ্যাকশনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া সম্ভব হয়নি।
এই জন্যই মনে হয় ১/১১ মূল হোতা মইন ইউ আহমেদের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস পাইতেছেনা হাসিনা। মইন ইউ আহমেদ আবার হাটে হাড়িঁ ভেঙে দেয়।
*********************************************
পূর্ণ সাক্ষাৎকারঃ
পিলখনায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির হত্যকাণ্ডে নিহত তত্কালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া পিলখানায় এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। রাকিন আহমেদ বলেছেন, যারা পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ অফিসার খুন করতে সহযোগিতা করেছে, তারাই খুনিদের পালিয়ে যাওয়ারও সুযোগ করে দিয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে আমার দেশ-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারে রাকিন আহমেদ বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতেন; তাই তিনি সেদিন পিলখানা যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করেন। প্রধানমন্ত্রী খুনিদের সঙ্গে সমঝোতা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিদ্রোহ দমনে সেনাবাহিনী না পাঠানোর কারণ হিসেবে শেখ হাসিনা ও তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদকে একে অপরকে দায়ী করেছেন।
নেপথ্য নায়কদের আড়াল করায় বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার সুষ্ঠু হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, খুনিদের প্রতি তত্কালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও তার প্রতি খুনিদের এত দরদ কেন ছিল?
২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যকাণ্ডের সময় ভাগ্যক্রমে স্কুলে থাকায় বেঁচে যায় সাবেক মহাপরিচালকের ছেলে রাকিন আহমেদ। একই সময় রাকিনের বোনও স্কুলে ছিল। দুই ভাই-বোন এখন লন্ডনে পড়াশোনা করছেন। রাকিন এখানে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন এবং হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নও উত্থাপন করেন।
২৫ ফেব্রুয়ারির পিলখানা হত্যকাণ্ডের বিষয়ে তার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে ওই ঘটনায় বাবা-মাকে হারানো রাকিন আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তার দুই চোখ বেয়ে অঝর ধারায় পানি ঝরছিল।
ক্ষুব্ধ রাকিন আহমেদ বলেন, ‘কার স্বার্থে পরের দিন বিকালে সেনাবাহিনীকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল? কারা মাইকিং করে জনগণকে সরে যেতে বলেছিল?’ তিনি নিজেই আবার এ প্রশ্নের উত্তর দেন। তার মন্তব্য, ‘আমি মনে করি, খুনিদের পালানোর সুযোগ দিতেই সেনাবাহিনীকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয় এবং মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে বলা হয়।
এরপর রাকিন আবারও প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনারাই বলুন, একটি মিলিটারি ফোর্সের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হয়নি কেন?’ এ প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন রাকিন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আব্বু (মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ) এবং কর্নেল গুলজার টেলিফোন করে সেনাপ্রধান ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যে, যারা গণ্ডগোল করছে, তারা ডিজঅর্গানাইজড (অসংগঠিত)। মাত্র এক প্লাটুন সেনা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন।’ কিন্তু সেনাবাহিনীকে কেন উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হলো না—এ প্রশ্ন রাখেন রাকিন আহমেদ।
এ বিষয়ে সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে তিনি কোনো প্রশ্ন করেছিলেন কি না—জানতে চাওয়া হলে রাকিন আহমেদ অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘ঘটনার দুই দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সেনাবাহিনীকে অনুমতি দেননি কেন। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি সেনাবাহিনী পাঠাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ রাজি হননি। একই প্রশ্ন তত্কালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে করা হলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমতি না দেয়ায় অ্যাকশনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া সম্ভব হয়নি।’
রাকিন পাাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন আপনারাই বলুন, আসলে কী ঘটেছিল। প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান দুজন দু’রকম বলছেন। রাকিনকে প্রশ্ন করার আগে তিনি নিজেই পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরে কয়েকজন ডিএডিকে ডেকে এনে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করলেন। ওই বৈঠকে সেনাপ্রধানও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান তখন কেন আমার বাবাকে বৈঠকে ডাকলেন না। মহপরিচালক ছাড়া কিসের বৈঠক করলেন তারা? তখন কি তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমার বাবা বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল কোথায়? প্রধানমন্ত্রী কোনো রকমের সমঝোতা বৈঠক করলে তো সেখানে মহাপরিচালককে উপস্থিত থাকতে হবে।
মহাপরিচালক ও অন্যান্য অফিসারদের ছাড়াই খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ। কিন্তু সেটা করলেন না কেন—এ প্রশ্ন রেখে রাকিন আহমেদ বলেন, এখানেই বোঝা যায়, হত্যাকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করা হয়েছে।
রাকিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি জানতেন। তা না হলে তিনি আগের দিন প্রোগ্রাম ক্যানসেল (বাতিল) করলেন কেন?’ রাকিন বলেন, বিষয়টি ডিজিএফআই অবশ্যই জানত। সেটা প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি প্রোগ্রাম ক্যানসেল করেন এবং আসেননি। এ বিষয়টি বিডিআর মহাপরিচালক শাকিল আহমেদকে জানানো হলো না কেন?’
রাকিন বলেন, কর্নেল গুলজার আহমেদসহ কয়েকজন সেনা অফিসারকে ঘটনার মাত্র তিন দিন আগে এখানে ফোর্সড ট্রান্সফার (বাধ্যতামূলক বদলি) করা হলো কেন?
রাকিন প্রশ্ন করেন, যেখানে পিলখনার ভেতরে এত বড় ঘটনা ঘটছে, সেনাবাহিনীকে যেতে দেয়া হলো না, সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকজন মহিলা সংসদ সদস্যদের নিয়ে কীভাবে রাতে অন্ধকারের মধ্যে নিরাপদে ভেতরে ঢুকলেন। তখন কি আমার বাবার খোঁজ নিয়েছিলেন? তখন কি তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মহাপরিচালক ও অন্য অফিসাররা কোথায়? তিনি বলেন, খুনিদের প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও তার প্রতি খুনিদের কেন এত দরদ ছিল?
রাকিন আহমেদ বলেন, এসব প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়েছে এবং সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে। ঘটনার নেপথ্যে যারা ছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত এ বিচার তারা মেনে নেবে না বলেও উল্লেখ করেন রাকিন। তিনি বলেন আরও অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব প্রশ্নের উত্তর ছাড়া কখনোই বলা যাবে না, তদন্ত এবং বিচার হয়েছে।
রাকিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক প্রটেকশন ছাড়া এত বড় হত্যকাণ্ড ঘটতে পারে না। রাজনৈতিক প্রটেকশন না থাকলে হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হতো না। তার বাবা একজন সত্ অফিসার ছিলেন উল্লেখ করে রাকিন আহমেদ বলেন, বিডিআরের অনেক দুর্নীতি বাবার দৃঢ়তার কারণে দূর করতে পেরেছিলেন।’
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৩
শিরোনাম বলেছেন: ইশারায় কাফি হায়....
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই চক্র বুহ্য ওপেন সিক্রেট!!!!!!
তবে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। আজ যারা হিরোইজম দেখাচ্ছে ইতিহাসে অনেকেই খল নায়কে পরিণত হয়ে মানুষের ঘৃণা আর অনন্ত অপমান বয়ৈ বেড়াবে।
আল্লাহ শহীদদের জান্নাত নসীব করুন।
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৭
শিরোনাম বলেছেন: সেটাই। একদিন না একদিন এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার পাবে।
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫০
জানপরী বলেছেন: বাংলাদেশের সেনাবাহিনী শক্তিশালী হোক তা অনেকে চায় না । তাই সেনাবাহিনীর চৌকস সেনা অফিসারদের নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে বলে অনেকে মনে করে
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৪
শিরোনাম বলেছেন: দুঃখজনক। এরাই আবার দেশপ্রমিক সাজে। বড় বড় কথা বলে।
আফসোস।
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৬
নায়করাজ বলেছেন: একটু গুগল করেন। অনেক কিছু জানবেন। আর এই লেখাটা পড়তে পারেন।
Click This Link
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭
শিরোনাম বলেছেন: ধন্যবাদ লিংকের জন্য। কিন্তু লিংকে গিয়া আমার প্রশ্নের উত্তর পাই নাই। আপনি দিবেন কি?
৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: কেমনে করবে?এটা তো জনগনের কাছ থেকে সহানুভুতি পাওয়ার জন্য একটা প্রোপাগান্ডা ছিল।দারুণ মজার ছিল জিনিসটা।
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
শিরোনাম বলেছেন: দুঃখজনক। হাসিনাও নাটক করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪১
২০১৩ বলেছেন: সেনা অফিসার রা তার বাপেরে খুন করার পর থেকে সেনাবাহিনী তার জানি দুশমন । এটা আপনাকে মান্তেই হবে, আপনার বাপেরে কোন গোষ্ঠি মারলে আপনি মনে তাই হবেন নাকি?