![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোকা একটা মানুষ, যে যা বলে তাই বিশ্বাস করি... সবার কথাই সত্যি মনে হয়.. বিপদেও পড়ি..আবারো ভুল করি..
২০১৩ সাল... ভার্সিটি লাইফের ১ম এসাইনমেন্ট... টপিক ছিল যেকোন একটা সমবায় সমতির উপর রিপোর্ট করতে হবে...
১০ জন মিলে গ্রুপ ফর্ম করলাম। সরেজমিনে সার্ভে করে তথ্য নেয়ার জন্য পুরান ঢাকার বংশাল-নয়াবাজার-রায়সাহেব বাজারের বিভিন্ন সমবায় সমিতির অফিসে ধরনা দিতে লাগলাম। ঘুরতে ঘুরতে জুতার তলা ক্ষয় হতে হতে পায়ের তলা যখন রাস্তায় ঘষা লাগে লাগে অবস্থা তখন নয়াবাজারের একটা সমবায় সমিতি থেকে তথ্য পাবার আশ্বাস পেলাম। ভার্সিটি থেকে পারমিশন লেটার নিয়ে পরদিন আমরা সবাই হাজির হলাম সেই অফিসে।
এম.ডি.-র সাক্ষাৎকার নিলাম,
সমিতির ইতিহাস জানলাম,
মেমোরান্ডাম দেখলাম,
কার কী কাজ জানলাম,
বর্তমান প্রতিকূলতা/সমস্যাগুলো শুনলাম...
ভয়েস রেকর্ড করলাম,
খাতায় নোট নিলাম...
এবং অবশেষে সংগৃহীত সব তথ্য উপাত্ত ১০ জনে মিলে ৫ দিন ধরে ধুতেই থাকো ধু... মানে টাইপ করতেই থাকলাম ... যথাসময়ে রিপোর্ট জমা করলাম অন্য সব গ্রুপের মতোই...
...
আমরা চরম এক্সাইটেড ছিলাম রিপোর্টটা নিয়ে, কারন লাইফের প্রথম ফিল্ডওয়ার্ক বলে কথা...
যখন ৪০% এর মার্কস হাতে পেলাম আমরা দেখলাম আমরা পেয়েছি ৭/১০
পাশের এক গ্রুপই অনলাইন প্রসপেক্টাস কপি-পেস্ট করে পেয়েছিল ৯.৫/১০
......
শকড হয়েছিলাম, সত্যিই... আর সেদিনই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম...
ভার্সিটি লাইফে আর কোনো এসাইনমেন্ট/রিপোর্ট নিজে টাইপ করবো না ...শুধু অনলাইন থেকে Ctrl+C আর Ctrl+V হবে...
এবং এমনভাবেই কপি-পেস্ট করবো যেটা দেখলে যেই সোর্স থেকে ইনফো কালেক্ট করেছি সেই অথরও যেন বুঝতে না পারে...
এবং করেছিও তাই এবং আলহামদুলিল্লাহ্ এই গত পাঁচ বছরে ইন্টার্নশিপ রিপোর্টসহ কোন রিপোর্ট-এসাইনমেন্টের মার্কস নিয়েই আর আফসোস করা লাগেনি...
এই থেকে আমার পাওয়া লেসন ছিলো যেখানে এফোর্ট দিলে তা মূল্যায়ন করার মতো মানুষ নাই, সেখানে এফোর্ট না দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ...
মুক্তা খুব দুর্লভ বস্তু, সেটা উলুবনে না ফেলাই শ্রেয়
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
শিশির পোকা বলেছেন: বর্তমানে একতা বিদেশি ফার্মেই কর্মরত আছি এবং বেশ ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ. কারণ নিজেকে কখনো গুটিয়ে রাখিনি, লার্নিং সবসময় চালিয়ে গিয়েছি, এখনো চলছে। শুধুমাত্র যেখানে এফোর্ট দিয়ে লাভ নেই, সেখানে দেয়া কমিয়ে দিয়েছি এই যা।
আর অনলাইনে নকল ধরার মতো অত সময় আর ইচ্ছা যদি আমাদের ভার্সিটির শিক্ষকদের থাকতো, তাহলে আজ আর এই হতাশার লিখা লেখা লাগতো না। প্রকৃত শিক্ষকের আসলে এসব অনলাইন সাইট লাগেও না, তারা রিপোর্ট হাতে নিলেই বুঝে ফেলে যে সেটা ওভারকোয়ালিফাইড হয়ে গেছে :প
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৪
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আমার ক্লাসমেটদের মধ্যে যারা এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন ফাকি দিয়ে গণিত, সাধারণজ্ঞান চর্চা করে সময়টাকে কাজে লাগিয়েছে তারাই এখন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা। ভার্সিটির শিক্ষকতা বা বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্লান না থাকলে এগুলি নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
শিশির পোকা বলেছেন: সেটাই করেছি। যেখানে এফোর্ট দিয়ে লাভ নেই, সেখানে দেয়া কমিয়ে দিয়েছি । ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো।
লেখা পড়া মন দিয়ে করেন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮
শিশির পোকা বলেছেন: জি। সেটাই করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১
কলাবাগান১ বলেছেন: ধরাটা খাবেন যখন কোন বিদেশী ফার্মে চাকরীতে ঢুকবেন....
যারা কপি পেস্ট করেছে, তাদের কপির সোর্স টা কপি করে স্যারের দরজার নীচ দিয়ে কাগজে লিখে জানিয়ে দিলেই হত...
অনলাইনে শয়ে শয়ে নকল ধরার ওয়েব সাইট.. জাস্ট একটা ক্লিক করলেই দেখা যায় কোন ওয়েবসাইট (ইভেন ক্লাউড) থেকে কপি করা
Plagiarism software