ব্লগার হত্যাঃ নিরাপত্তাহীন জীবন ও অন্যান্য

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

ব্লগ(Blog)- এটি একটি ইংরেজি শব্দ। এর আক্ষরিক কোনো বাংলা অর্থের উৎপত্তি না হওয়ায়, এটি একটি পারিভাষিক শব্দ হিসেবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্লগ হলো লেখালেখির একটি অন্তর্জাল জগৎ। এখানে যেকেউ তার যেকোন মতামত অর্থাৎ, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি প্রভৃতি বিষয় কে লেখার মাধ্যমে স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করতে পারে। ব্লগ ব্যক্তিগত কিংবা কোনো সংবাদ পত্র বা সংগঠন ভিত্তিক হতে পারে। সংবাদ পত্র বা সংগঠন ভিত্তিক ব্লগে লেখার উপর মাপকাঠি কিংবা মানদন্ড থাকতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত ব্লগে তা থাকে না। যারা ব্লগে লেখালেখি করে, তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। ব্লগ পোস্টের বিভিন্ন সাইট থাকলেও, গুগল এর ব্লগপোস্ট সাইট টি সর্বাধিক জনপ্রিয়।
বাংলাদেশে যেসব ব্লগার হত্যা হয়েছে তাঁরা ব্যক্তিগত ব্লগে লিখতেন। ব্লগার রা সাধারণত স্বাধীনচেতা ও মুক্তমনা হয়ে থাকে। আর এধরনের কিছু ব্লগের লেখায় ধর্মীয় নেতিবাচক দিক ফুটে উঠে। কেউ হয়তো ফ্যাশন হিসেবে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে ধর্মবিরোধিমূলক এসব লিখতে পছন্দ করেন। কিংবা কারও যৌক্তিক জগতের কাছে ধর্ম হেরে যায়! কিন্তু ধর্ম যে যুক্তির উর্ধ্বে এই বিষয় টা তাঁরা বুঝতে চায় না। আবেগপ্রবণ এই মানবসমাজে যত সংবেদনশীল বিষয় আছে তার মধ্যে ধর্ম অন্যতম। তাই লেখালেখির মাধ্যমে এই সমাজের উত্তরণ ঘটাতে হলে ধর্ম টা কে সঙ্গে নিয়েই এগুতে হবে। তবে ধর্মান্ধতা পরিহার আবশ্যক! ধর্মান্ধতা দোষের হলেও ধর্মভীরুতা মোটেও দোষের কিছু নয়। মনে রাখতে হবে নাস্তিকতা বাকস্বাধীনতার কোনো শর্ত হতে পারে না।
ধর্ম সংবেদনশীল এই সমাজে ধর্মভীরু সাধারণদের কাছে ধর্মবিরোধিতা, এমনকি ধর্মহীনতাও কখনো প্রশ্রয় কিংবা রেহাই পায় নি, খুব সম্ভবত কখনো পাবে না। যদিও ধর্মহীনতা ব্যক্তিগত অধিকার, তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। আর এ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্র কে। রাষ্ট্র কি তা পেরেছে? নিত্যনৈমিত্তিক ব্লগার হত্যা তো এর উল্টোই বলে!

০ টি +০/-০