মায়া

১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০০

(উৎসর্গ : শারমিন নামের একজন আপুকে; যিনি হারমানাতে জানেন রক্তসম্পর্ককে!)


এখানে—
না বলে রোজ দ্বিধাগ্রস্ত প্রভাত আসতে পারে
দিনভর উড়তে পারে উচ্ছৃঙ্খল রঙিন খাম
গোমড়া মুখে কাচের জানালায় সন্ধ্যে নামতে পারে
উল্টে উল্টে ভেঙচি কাটতে পারে যত ডাকনাম!

শতভাগ মানবিক নিকোটিন ও অ্যালকোহল এখানে—
যে সঙ্গীত সুরে কভু কম্পনও না আসে দু'টি নয়নে,
সে নয়নকূল আজ প্লাবিত হতে পারে সে সঙ্গীত শুনে।

আমি কোনো বৃষ্টিধারা দেখিনি, যা এভাবে ভেজাতে পারে;
আমি কোনো অগ্নিতাপ পায়নি, যা এভাবে পোড়াতে পারে;
আমি কোনো যন্ত্রণাবোধ করিনি, যা এভাবে কাঁদাতে পারে;
আমি—
দেখেছি, নিদ্রাভঙ্গের পর একটি সূর্য আজ ভোরে;
ভেবেছি, পৃথিবীটা এভাবে ক্লান্তিহীন কেনো ঘোরে!

অতঃপর একটি নৈপথ্য কারণ— নেই কায়া, নেই ছায়া
প্রেমময় এ পৃথিবীতে সবচেয়ে হৃদয় বিদারক শব্দ— মায়া!

২ টি +১/-০