![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
র্বতমান বশ্বিে মুসলমানরা অবস্থ্া খুবই নাজুক একটি সময় পার করছ।ে সমগ্র বশ্বিে নমুসলমানরা আজ ভয়ানক এক সংকটরে জালে জড়য়িে পড়ছ।ে কোথায়ও তাদরে আশ্রয় নয়োর জায়গা নইে। সব কয়টি মুসলমি রাষ্ট্ররে ওপর একরে পর এক বপিদরে ঘনঘটা বস্তিার লাভ করছ।ে সমগ্র বশ্বিে মুসলমানরোই সবচয়েে বশেি অপদস্ততা ও অসহায়ত্বরে শকিার। অপর
দকিে কফরে মুশরকি ও নাস্তকিরা সারা বশ্বিে দাপয়িে বড়োচ্ছ।ে মুসলমানদরে ওপর তারা বভিন্নিভাবে ক্ষমতা ও আধপিত্য বস্তিার করে রখেছে।ে অথচ কোরআনে কারমিরে একাধকি জায়গায় মুমনিদরে সাহায্য সহযোগতি ও বজিয়রে স্পষ্ট ঘোষণা রয়ছে।ে যমেন সূরা রুমরে ৪৭নং আয়াতে আছ,ে ‘মুমনিদরে সাহায্য করা আমার দায়ত্বি’। সূরা হাজরে ৩৮ নং আয়াতে আছ,ে ‘আল্লাহ মুমনিদরে রক্ষা করনে’। সূরা আনফালরে ১৯ নং আয়াতে আছ,ে ‘আল্লাহ মুমনিদরে সঙ্গে আছনে’। সূরা নসিার ১৪১ নং আয়াতে আছ,ে ‘আল্লাহ কখনই মুমনিদরে বরিুদ্ধে কাফরিদরে জন্য কোন পথ রাখবনে না’। সূরা মুনাফকিূনরে ৮ নং আয়াতে আছ,ে ‘শক্তি তো আল্লাহর আর তার রাসুল ও মুমনিদরে’। এ সব আয়াত দ্বারা এ কথাই প্রমানতি হয় য,ে আল্লাহ তায়ালা মুমনিদরেকে গায়বেীভাবে সাহায্য করবনে।। অথচ আমরা দখেি র্বতমানে সমগ্র বশ্বিে মুসলমানরাই সবচয়েে বশেি অপদস্ততা ও লাঞ্চনার শকিার। মুসলমানদরে অসহায়ত্বকে পুজি করে কাফরে মুশরকি ও নাস্তকিরা একে একে মুসলমি রাষ্ট্রগুলো দখল করছ।ে তাদরে নগ্ন আগ্রাসনরে শকিার হয়ে আফগানস্তিান হারয়িছেে আপন স্বকীতা, আর ইরাক হারয়িছেে তলে সম্পদরে মূল্যবান ভান্ডার। এসব দশেরে শক্ষিাÑসংস্কৃতি জম্মিি হয়ে আছে ইহুদÑিখৃস্টানদরে হাত।ে ইহুদÑিখৃস্টানদরে ইসলাম বদ্বিষে এতটাই চরমে পৌঁছছেে য,ে তারা মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লামরে ব্যাঙ্গ চত্রি প্রকাশ কর,েচলচত্রি নর্মিাণ করে রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরে পবত্রি চরত্রিকে কালমিা লপ্তি করার মত ধৃষ্টতা দখোচ্ছ।ে প্রতনিয়িত মুসলমি জনপদ কোন না কোন মজলুম মুসলমানরে রক্তে রক্তাক্ত হচ্ছ।ে এই তো কছিুদনি আগে ময়িানমাররে রাখাইন প্রদশেে মাজলুম রোহঙ্গিা মুসলমানরে কান্নায় পৃথবিীর আকাশÑবাতাশ ভারী হয়ে উঠছে।েবৌদ্ধদরে নর্মিম নর্যিাতনরে শকিার এসব অসহায় মুসলমানরো প্রতবিশেী দশেে ও আশ্রয় পায় ন।ি সে ভয়াবহ দাঙ্গায় বৌদ্ধদরে পশৈাচকি নর্যিাতনে সন্তান হারা হয়ছেে অসংখ্য মা, স্বামী হারা হয়ছেে অসংখ্য স্ত্রী, ভাই হারা হয়ছেে অসংখ্য বোন। হত্যা করা হয়ছেে কত নষ্পিাপ শশিুক।ে আর র্ধষণ করা হয়ছে অসংখ্য মা বোনক।ে মোট কথা দশেটরি মুসলমানদরে ওপর কয়োমতরে বভিীষকিা আপততি হয়ছে।ে কন্তিু মজলুম মুসলমানরে আহাজারী শোনার মতো কোনো মানবাধকিার সংস্থাকে তাদরে পাশে পাওয়া যায় ন।ি রোহঙ্গিাদরে দোষ বলতে একটাই ছলি, তা হলো তারা মুসলমান। শুধু মুসলমান হওয়ার অপরাধইে এই নরিপরাধ নরিস্ত্র মুসলমানরা নর্মিম নর্যিাতনÑ নপিীড়ন ও গণহত্যার শকিার হয়ছে।ে প্রশাসনকিভাবে তাদরে ওপর পরচিালনা করা হয়ছেে র্মমান্তকি নর্মিূল অভযিান। সুতরাং এ প্রশ্ন আসা স্বাভাবকি য,ে কনে মুসলমানরা মাজলুম হচ্ছ?ে কনে তারা লাঞ্চনাÑগঞ্জনার শকিার ? তাহলে কি তারা মুমনি নয় ? তারা কি কোরআনে কারমিরে কৃত ওয়াদার আওতাভুক্ত নয় ?
আমরা যদি কোরআনে কারমি গভীরভাবে অধ্যয়ন করি তাহলে এ প্রশ্নরে উত্তর পয়েে যাই। কোরআনে কারমিে আল্লাহ তায়ালা প্রকৃত মুমনিদরে বশে কছিু গুণ ও বশৈষ্টি উল্লখে করছেনে। যমেন সূরা আনফালরে ২ নং আয়াতে আছ,ে ‘মুমনি তো তারাই যাদরে অন্তর কম্পতি হয় যখন আল্লাহর নাম নয়ো হয়, আর যখন তাদরে সামনে তার আয়াত পাঠ করা হয় তখন তাদরে ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা স্বীয় প্রতপিালকরে ওপরই ভরসা কর।ে যারা নামাজ প্রতষ্ঠিা করে এবং আমি তাদরেকে যা দয়িছেি তা থকেে ব্যয় কর,ে তারাই হলো প্রকৃত ঈমানদার’। সূরা মুমনিূনরে ১ নং আয়াতে আছ,ে ‘মুমনিগণ কাময়িাব হয়ে গছে,ে যারা নজিদেরে নামাজে বনিম’। সূরা তাওবার ৭১ নং আয়াতে আছ,ে ‘ঈমানদার নর নারী একে অপররে বন্ধু তারা সৎ কাজরে আদশে দয়ে এবং অসৎ কাজ থকেে বরিত রাখ,ে নামাজ কায়মে কর,ে জাকাত দয়ে এবং আল্লাহ ও তার রাসুলরে আনুগত্য কর,ে তাদরে ওপর আল্লাহ কৃপা করবনে’। সূরা হুজুরাতরে ১০ নং আয়াতে আছ,ে মুমনিগণ তো পর¯পর ভাইÑভাই, অতএব তোমরা তোমাদরে দুই ভাইয়রে মাঝে মীমাংসা করে দাও। সূরা হুজুরাতরে ১৫ নং আয়াতে আছ,ে ‘তারাই ঈমানদার যারা আল্লাহ ও তার রাসুলরে প্রতি ঈমান আনার পর সন্দহে পোষণ করে না এবং তাদরে জীবন ও সম্পদ দয়িে আল্লাহর পথে জহিাদ করে তারাই সত্যনষ্ঠি’। সূরা নূররে ৫১ নং আয়াতে আছ,ে ‘ঈমানদাররে উক্তি তো এই য,ে যখন তাদরে মাঝে ফয়সালা করে দয়োর জন্য আল্লাহও তার রাসুলরে দকিে আহবান করা হয়, তখন তারা বলে আমরা শুনছেি এবং আদশে মনেে নয়িছে,ি আর তারাই সফলকাম’। এই আয়াতগুলোকে সামনে রখেে আমরা যদি চন্তিা করি এবং সমগ্র বশ্বিরে মুসলমানদরে অবস্থা র্পযবক্ষেণ করি তাহলে দখেতে পাই, প্রকৃত মুমনিরে যে সব গুণ ও বশৈষ্টি কোরআনে কারমিে উল্লখে করা হয়ছে,ে তার কঞ্চিতি পরমিাণ ও আমাদরে মাঝে নইে। আমরা নামাজ পড়ি অথচ নামাজে আমাদরে মনোযোগ নইে। অন্তরে অল্লাহর জকিরি নইে। আমাদরে সমাজে প্রকাশ্যে অন্যায় অসৎকাজ হচ্ছ,ে আমরা তার প্রতবিাধ করছি না। সৎ কাজে আদশে অসৎ কাজে নষিধে একদম ছড়েে দয়িছে।ি সুতরাং আমরা কোরআনরে পরভিাষায় মুমনি কনিা সটোই বড় প্রশ্ন।
ঈমান র্অথ যদি হয় কালমিা পাঠ করা এবং ইসলামরে অল্প কছিু বধিান মনেে চলা, তাহলে তো আমরা সবাই মুমনি। কন্তিু মুমনি র্অথ যদি হয় কোরআনে র্বণতি বশিষে গুণাবলী ও বশৈষ্টিসমূহ র্অজন করা তাহলে সে র্অথে আমরা কতটুকু ঈমানদার হতে পরেছেি সটোই এখন চন্তিার বষিয়। তবে এখানে এই প্রশ্ন আসা স্বাভাবকি য,ে মুসলমানদরে যত দোষই থাকুক তারা তো মুসলমান , ইহুদী খৃস্টানদরে চয়েে তো ভালো। তারপর ও তারা ইহুদÑিখৃস্টানদরে হাতে নর্যিাততি হচ্ছে কনে ? ইহুদÑিখৃস্টানরা বজিয়ী, আর মুসলমানরা পরাজতি কনে ? এ প্রশ্নরে উত্তর আরো সহজ। ইহুদÑিখৃস্টানরা সৃষ্টরি বষিয়ে আল্লাহ তায়ালার অনুসৃত রীতÑিনীতি থকেে শক্ষিা গ্রহণ করছে এবং সে অনুযায়ী কাজ করছ।ে অপর দকিে মুসলমানরা তা সর্ম্পূণ ভুলে গছে।ে ইহুদÑিখৃস্টানরাদরে পুরো জাতি বজিয়রে জন্য ঘাম ঝরাচ্ছে আর মুসলমানরো অলসঘুমে বভিোর।ইহুদÑিখৃস্টানরা শক্ষিাÑদীক্ষায় নয়িোজতি আর মুসলমানরা র্মখতার গ্লানি বহন করে বড়োচ্ছ।ে ইহুদÑিখৃস্টানরা যখোনে আগামী কালরে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রখেছেে সখোনে মুসলমানরা আজকরে করণীয় র্সম্পকে উদাসীন। জয়Ñপরাজয় ও উন্নতÑিঅধোগতরি ক্ষত্রেে আল্লাহর বধিান কারো প্রতি অবচিার করে না। কোনো জাতরি পক্ষপাতত্বি ও করে না।এটা ইসলামরেই শক্ষিা। কন্তিু মুসলমানরা কনে জানি এই শক্ষিাটা গ্রহণ করতে বা বুুঝতে নারাজ। উহুদরে যুদ্ধে মুসলমানদরে একটি ভুল চন্তিার খসোরত দতিে হয়ছেে সত্তর জন বীর মুজাহদিরে জীবন দানরে মাধ্যম।ে তাদরে মধ্যে ছলিনে রাসুল সাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লামে পতিৃব্য হযরত হামজা (রাঃ) ,হযরত আনাস বনি নজর (রাঃ), হযরত মুসআব বনি উমায়রে (রাঃ) সা’দ ইবনুর রবী (রাঃ) এর মতো র্শীষস্থনীয় মুজাহদিগণ। তারা স্বয়ং রাসুল সাল্লালহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরে নতেৃত্বে যুদ্ধ করছেনে। কন্তিু এই সৌভাগ্যরে কারণে তাদরে বজিয় আসনে।ি বা এই অজুহাতওে বর্পিজয় বন্ধ থাকনেি য,ে তাদরে প্রতপিক্ষ ছলি কফরে ও মুশরকি। বুঝা গলে পরাজয়রে পথ অবলম্বন করলে মুসলমান হলে ও পরাজতি হবইে। আর বজিয়রে পথে হাটলে ইহুদÑিখৃস্টান হয়ে ও বজিয়ী হতে পার।ে ইসলামরে এই গুরুত্বর্পূণ শক্ষিাটুকু মুসলমানরো যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদরে জন্য কল্যান হব।ে উহুদরে যুদ্ধে মুসলমানরো পরাজয়রে পথ অবলম্বন করার করণইে পরাজতি হয়ছে।ে আল কোরআন বলছ,ে ‘এটা তাদরে হাতরে কামাই’। আল্লাহ তায়ালা বলনে, ‘কি ব্যাপার! যখন তোমাদরে ওপর একটি বপিদ আসলো তখন তোমরা বললে এটা কোথা থকেে এল? অথচ তোমরা তো দ্বগিুণ বপিদে পড়ছলি।ে অতএব বলে দাও এ বপিদ তোমাদরে ওপর এসছেে তোমাদরেই পক্ষ থকে।ে নশ্চিয় আল্লাহ র্সব বষিয়ে ক্ষমতাবান’। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৬৫,]
মুসলমানদরে সরলতাকে পূঁজি করে ইহুদÑিখৃস্টান চক্র মুসলমানদরে বরিুদ্ধে র্সবগ্রাসী ষড়যন্ত্রে লপ্তি। সুতরাং সরলতা নয়, র্পূণ র্সতক থাকতে হব।ে আল কোরআন মুসলমানদরেকে সরলতার পরচিয় দয়োর পাশাপাশি র্সতক থাকতে , অশ্রু বর্সিজন দয়োর সাথে সাথে শত্রু মোকাবলোয় শক্তি সঞ্চয় ও প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা ও বলছে।ে ‘হে মুমনিগণ সর্তকতা অবলম্বন কর, এরপর পৃথক পৃথক সন্যৈদলে কংিবা সমবতেভাবে বরেয়িে পড়’। [সূরা নসিা আয়াত নং ৭১,]। কোরআনে কারমিে আরো ইরশাদ হয়ছে,ে ‘কাফরেরা চায় য,ে তোমরা অস্ত্রসস্ত্র আসবাবপত্র সম্বন্ধে অর্সতক হও, তাহলে তারা তোমাদরে ওপর একযোগে ঝাপয়িে পড়তে পার’ে। অন্য আয়াতে আছ,ে ‘তোমরা তাদরে প্রতরিোধরে জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্বÑবাহনিী তরৈী রাখব,ে এর দ্বারা সন্ত্রস্ত্র করবে আল্লাহর শত্রƒকে এবং তোমাদরে শত্রƒক’ে।[সূরা আনফাল, আয়াত নং ৬০,]
©somewhere in net ltd.