নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহসী কন্ঠ

মুহাম্মাদ শোয়াইব

সম্পাদক, মাসিক আরবি ম্যাগাজিন ‘আলহেরা’

মুহাম্মাদ শোয়াইব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের ধৃষ্টতা

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬



পুলিশ আসলে কার স্বার্থে কাজ করে

মুহাম্মাদ শোয়াইব

আমাদের পুলিশ বাহিনী আর কিছু করতে পারুক আর নাই পারুক এবার বিরোধী দলের অফিসে ভংচুর আর র্শীষ নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করে সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। তাদের সারা জীবনের যোগ্যতা এবার তারা প্রদর্শন করছে। অবশ্য পুলিশ ইতিপূর্বে ও একাধিক বার তাদের যোগ্যতা প্রকাশ করেছে। বিরোধী দলীয় চিফ হুইফকে রাস্তায় ফেলে নিমর্মভাবে পিটিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রকাশ করতে দেখেছি আমরা। আবার দেখেছি বিরোধী দলীয় নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন জেলে আটক রাখার যোগ্যতা। ওলামাদের সম্মেলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সম্মেলন পন্ড করে দেয়া, সাধারণ মুসল্লি ও মাদরাসার ছাত্রদের গ্রেফতার করে হয়রানির শিকার করা, নির্মমভাবে নিপীড়ন করা এই সবই তাদের যোগ্যতার মধ্যে পরে।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির নৃশংস হত্যাকান্ডের এক বছর পূর্ণ হলো গত ১১ মার্চ। কিন্তুএই হত্যাকান্ডের বিচার তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পেটাতে অভ্যস্ত পুলিশ এখনো প্রকৃত খুনীদেরই খুঁজে বের করতে পারেনি। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধরী আলম গুম হলো সেই কবেই, এখনো তার কোনো হদিস খুঁজে বের করতে পারেনি আমাদের পুলিশ। ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন হয়েছে বিশ্বজিৎ নামের এক সাধারণ দর্জি। খুনীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ এখনো তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। তাহলে প্রশ্ন জাগে, পুলিশ আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে ? কার জান-মালের নিরাপত্তা দিচ্ছে ?

সবচেয়ে আর্শ্চযের বিষয় হচ্ছে, একশ্রেণীর মিডিয়া কর্মী বা দালাল শ্রেণীর সাংবাদিক পুলিশের এই হত্যাকে ‘আতœরক্ষা’ বলে বৈধতা দানের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদেরকে মনে রাখতে হবে, পুলিশ কতটা আক্রান্ত হচ্ছে সেটা দেশবাসীর কাছে এখন স্পষ্ট। সুতরাং এসব দালাল চরিত্রের সাংবাদিকদের কথায় জনগণ যে এখন আর বিশ্বাস করে না, সে সত্যটি তারা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল হবে। তাছাড়া তর্কের খাতিরে যদি মেনে ও নিই, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে পুলিশ মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য অথবা নিজের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে গুলি ছুড়ছে , নির্বিচারে আক্রমণ করছে, তারপর ও কিন্তু আমরা দায়মুক্ত হতে পারি না। কারণ আমরা এর আগে ও পুলিশকে নিপীড়কের ভূমিকায় দেখেছি। বিরোধী দলীয় চিফ হুইফ জয়নাল আবেদীন ফারুককে যখন রাস্তায় ফেলে অত্যন্ত নির্মমভাবে পিটিয়েছিল তখন কি পুলিশ আত্রান্ত হয়েছিল? পুলিশ কি তখন জান-মালের হেফাজতের জন্য একটি দলের র্শীষ নেতাকে এভাবে লাঞ্চিত রক্তাক্ত করেছিল ? গত সোমবার এমন কী ঘটেছিল যে, পুলিশকে বি এন পির কার্যালয়ে ঢুকে তান্ডবলীলা চালাতে হবে ? প্রধান বিরোধী দলের দেড় শতাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে মামলা দিতে হবে ?

পুলিশ সেদিন যেভাবে বিরোধী দলের কার্যালয়ে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে সব কিছু তছনছ করেছে, তাদের গুরুত্বপূূর্ণ কাগজপত্রসহ বহু মূল্যবান জিনিস লুট করেছে তার নজির অন্তত কোনো গণতান্ত্রিক দেশে নেই। এই ঘটনা প্রমাণ করছে সরকার তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধী দল দমন করে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। বিরোধী দল দমন করে গণতন্ত্র চর্চার কথা বলা মূলত গণতন্ত্র নিয়ে উপহাস করারই শামিল। কারণ বিরোধী দল ও মতের অনুপস্থিতিতে গণতন্ত্র গণতন্ত্র থাকে না। সেটা বাকশালে পরিনত হতে বাধ্য ।

আমাদের মরে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ আমাদেরকে জুলুম-নির্যাতন, বিরোধী দল দমন, ভিন্নমতের প্রতি চরম অসহনশীল হওয়ার শিক্ষা দেয় না। বরং ১৯৭৭১ সালে এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধেই আমাদের জয় হয়েছিল। সুতরাং সেই জয়কে অক্ষুণœ রাখা আমাদের দায়িত্ব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.