![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দারুন খবর
পশ্চিমের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো চরম অথসংকটে পড়েছে ।সেটা তারা স্বীকার করুক আর নাই করুক ইতিমধ্যেই তাদের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী প্রচার মাধ্যম শুধু অথসংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ।মিডিয়া কর্তৃপক্ষ অবশ্য অথসংকটের কথাটা স্বীকার করতে চাইছে না । সত্য দামাচাপা দিয়ে রাখতে ও তারা সক্ষম হয়নি । সেটা প্রকাশ হয়ে এখন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ।8 র্মাচ বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় 40 বছর ধরে চালু থাকা ডয়চে ভেলের বাংলা অনুষ্ঠানের সম্প্রচার ।বন্ধ হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশে প্রচার মাধ্যমের ব্যাপকতার ফলে ডয়চে ভেলের প্রয়োজন আর বাকী নেই । কিন্তু বিশেষঞ্জদের দাবি, ডয়চে ভেলে অথসংকটের কারণেই বন্ধ হয়েছে ।কর্তৃপক্ষ সেটা স্বীকার করতে চাচ্ছে না । শুধু ডয়চে ভেলে নয় পাশ্চাত্যের অন্যান্য প্রচার প্রতিষ্ঠান যেমন বিবিসি, ভিওএ এবং ডয়চে ভেলের মতো প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের কাযক্রম দিন দিন সংকোচিত হয়ে আসছে । এর প্রধান কারণ না হলে ও অন্যতম কারণ যে অথনৈতিক দৈন্য সে কথা এখন আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই ।
আন্তরজাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় । বিবিসি ওয়াল্ড সার্ভিসের সেবার পেছনে ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র দফতর প্রতি বছর 27 কোটি পাউন্ড খরচ করত । এই বিপুল পরিমাণ অথ আগামী 2014 সাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে । তখন থেকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের জোগান দিতে হবে মূলত বিবির বাজেট থেকে । অর্থাৎ ব্রিটেনে প্রতি বছর যারা টেলিভিশন দেখার লাইসেস্ন ফি দেন, সেই টাকার একটি অংশ থেকে । অর্থায়নের এই ব্যবস্থার ভবিষ্যত কী তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে বিশিষ্ট জনের মাঝে । এই ব্যবস্থা কত দিন টিকবে তা নিয়ে অনেকে শঙ্কিত । এই জন্য টোরি পার্টির ঘনিষ্ঠ রক্ষণশীল গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সিবিটাস’ প্রস্তাব দিয়েছে যে, বৈদেশিক সাহায্যের বাজেট থেকে ওয়াল্ড সার্ভিসের অর্থায়নের ব্যবস্থা করা হোক । বাংলাদেশে অবশ্য এই সাহায্যের অথ দিয়ে কয়েক বছর ধরে বিবিসির বাংলাদেশ সংলাপ নামে রেডিও টেলিভিশনের জন্য অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে । সিভিটাসের মতে বিদেশে গণতান্ত্রিক মর্তাদশ প্রচারের জন্য এবং গণতন্ত্র আরো প্রভাবশালী করার জন্য প্রথাগত সাহায্যের পরিবর্তে এই ‘সফট ডিপ্লোম্যাসি’ আরো বেশি অথবহ হবে ।
দেশে দেশে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বিকাশের কারণে বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে বিষয়টি এমন নয় ।এটা তারা স্বীকার না করলে ও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের কথা এ কথার সত্যতা পাওয়া যায় ।বৈশ্বিক সংবাদ মাধ্যমগুলো আর্ন্তজাতিক সংবাদ প্রদানের ক্ষমতা দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে ।এই অভাব পূরণের জন্য অনেকে সাহয্যের হাত বাড়িয়েছে ।
©somewhere in net ltd.