নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহসী কন্ঠ

মুহাম্মাদ শোয়াইব

সম্পাদক, মাসিক আরবি ম্যাগাজিন ‘আলহেরা’

মুহাম্মাদ শোয়াইব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা মুমিনের গুণ

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩২

ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা মুমিনের গুণ





ইসলামে এমন কিছু মহত্ গুণ রয়েছে যা অর্জন করলে মানুষ সোনার মানুষে পরিণত হয়ে যায়। সে গুণগুলোর অন্যতম হলো ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা। ইসলামের এই শ্রেষ্ঠ গুণের ফলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে সর্বস্তরের মানুষ খুঁজে পেয়েছিল স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন ও শান্তি-সুখের ঠিকানা। তাদের পরস্পরের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিল সহানুভূতি ও ভালোবাসার মনোভাব। এটি প্রত্যেক মুমিনের অন্যতম অপরিহার্য গুণ।

জীবনের সব ক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি সদাচার ও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে তাকানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করে মহান আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন—‘তোমরা তোমাদের রবের ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে ধাবমান হও যার প্রশস্ততা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মতো। যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য। যারা সচ্ছল-অসচ্ছল উভয় অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সমন্বয়কারী আর মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল। আল্লাহ নেক্কার লোকদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আল ইমরান ৩ : ১৩৩-১৩৪)

ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার গুণটি এমন মহত্ গুণ যার মাধ্যমে মানুষ তার চারপাশকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া সহজ হয়। ক্ষমাশীল ব্যক্তির কথা মানুষ সহজেই বিশ্বাস করে। এই কোরআনি চরিত্রের নমুনা আমরা দেখতে পাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাঝে, সাহাবিদের মাঝে এবং তাবেয়িদের মাঝে। আল্লাহ তায়ালা কোরআন মজিদে ইরশাদ করেন—‘আল্লাহর রহমতে আপনি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছেন। আপনি যদি রূঢ় ও কঠিন-হৃদয় হতেন, তাহলে তারা আপনার চারপাশ থেকে সরে যেত। কাজেই তাদের ক্ষমা করতে থাকুন এবং তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করুন।’

ইসলাম অমুসলিম শত্রুদের প্রতিও সদাচার ও ক্ষমাসুলভ আচরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেছে। মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় হিজরত করার পর যারা মক্কায় নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাদের পরিবার-পরিজন তাদের হিজরতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং বিভিন্নভাবে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করছিল। তখন আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করে মুমিনদের সতর্ক করেন। আয়াত নাজিল হওয়ার পর মুসলমানরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি কঠোরতা আরোপ করতে শুরু করলেন, তখন আল্লাহ তায়ালা আবার আয়াত নাজিল করে বোঝালেন যে, শত্রু হলেই তার সঙ্গে শত্রুতামূলক আচরণ করা যাবে না বরং শত্রুদের সঙ্গেও ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার আচরণ করতে হবে। হ



মুহাম্মাদ শোয়াইব



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.