নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহসী কন্ঠ

মুহাম্মাদ শোয়াইব

সম্পাদক, মাসিক আরবি ম্যাগাজিন ‘আলহেরা’

মুহাম্মাদ শোয়াইব › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতে ইসলামি

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৮

সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি দল হেফাজতে ইসলামি। নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ সদৃশ এ দলটি সারা বাংলাদেশে খ্যাতী অর্জন করেছে একটি অরাজনৈতিক ধমীর্য় দল হিসেবে। এটি নাস্তিক মুরতাদ, বিজাতীয় ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। জন্মকাল থেকে আজ অবধি ইসলাম ও মুসলমানদের চিরন্তন শত্রু নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে দৃপ্তকন্ঠে প্রতিবাদ করেছে। পত্র-পত্রিকায় তত্ত্ব ও তথ্যনির্ভর প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখে নাস্তিক্যবাদের অসারতা সর্ম্পকে জাতিকে অবহিত করেছে। কিন্তু বাংলাদশের একটি মহল মত প্রকাশের স্বাধীনতার ধুয়া তুলে সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন বিধান ইসলাম ও পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার বিশ্বজয়ী মৌলিক আদর্শের ওপর কালিমা লেপনের সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তথাকথিক গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় নাস্তিক ব্লগার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য এমন কিছু কটূক্তি করেছে যা কোনো অমুসলিম ও করতে পারেনি। এতে এ দেশের শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমান তাদের ধর্ম বিশ্বাসে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছেন। যে কোনো মুমিন মুসলমান এধরণের আঘাতে প্রতিবাদী ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। খুব কম মুসলমান পাওয়া যাবে যারা আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা সহ্য করে নিশ্চুপ থাকে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ৬ এপ্রিল ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে লংর্মাচ আয়োজন করে। সেই লংমার্চে যে পরিমাণ লোক সমাগম হয়েছিল, তা ছিল স্বরণাতীতকালের বৃহত্তম। তৎপরবর্তি দেশের বড় বড় শহরগুলোতে আয়োজিত মহাসমাবেশে যে পরিমাণ জনতার ঢল নেমেছিল, তাতে একটি বিষয় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, নাস্তিক ব্লগারদের এহেন কর্মে তাওহিদি জনতার ধর্মীয় অনূভুতি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার তাওহিদি জনতার প্রাণের দাবির প্রতি সম্মান না দেখিয়ে বরং ক্ষমতা প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। ৬ মে গভীর রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে ঘুমন্ত, জিকিররত মানুষগুলোর ওপর তার হিং¯্র পেটোয়া বাহিনী ও দলীয় কেডার বাহিনীকে হায়েনার মতো লেলিয়ে দেয়। মুহূর্তে শত শত তাজা প্রাণ নিথর হয়ে যায় শাপলা চত্তরে।

সূচনালগ্ন থেকেই এই সংগঠনটিকে জঙ্গিবাদের সাথে মিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে একটি চিহিৃত মহল। তবে এই ধরণের অপবাদ বিচিত্র কিছু নয়। নাস্তিকরা কোথায় ও ইসলামি জাগরণ দেখলেই জঙ্গিবাদের ঘ্রাণ পাবে এটা স্বাভাবিক। ইসলামি কোনো দল বা সংগঠন মহা সত্যের বাণী নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখলেই আফগানিস্তানের তালেবানি রাষ্ট্র দেখতে পায়। সরকারের হালুয়া রুটি খাওয়া কিছু নামধারী আলেম বিভিন্ন ব্যনার ধারী গুটিকয়েক লোক এদের কাতারে শামিল হওয়ার চেষ্টা করে আসছিল অনেক আগে থেকেই। অবশেষে তাদের সেই আশা পূরণ হতে লাগল।

হেফাজতে ইসলাম এ দেশের কাওমি মাদরাসা ভিত্তিক একটি ধর্মীয় সংগঠন। এ দেশের কাওমি মাদরাসার অবস্থান জনগণের কাছে স্পষ্ট। কাওমি মাদরাসাগুলো পরিচালিত হয় মূলত সাধারণ জনগনের অর্থ-সম্পদে। এ সব মাদরাসার সাথে জড়িত আছেন সমাজের উচু নিচু শ্রেণীর অনেক মানুষ। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি কাওমি মাদরাসা কমিটি ভিত্তিক । কমিটির শক্তিশালী ও কঠোর হস্তক্ষেপ তাদের ওপর র্সাবক্ষণিক বিরাজমান। কমিটির সদস্যদের মধ্যে সরকার দলের লোক যেমন থাকে, তেমনি থাকে বিরোধী দলের লোক ও। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের মাদরাসার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ অতিরিক্ত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে থাকে। সুতরাং কাওমি মাদরাসাকে জঙ্গিবাদের অপবাদ দেয়ার অর্থ হলো, এদেশের সরকার ও বিরোধী দলের লোকেরা জামাই আদরে জঙ্গীদের লালন করছে। এই সব অপপ্রচার যে সম্পূণর্ উদ্দেশ্যপ্রণদিত ও হাস্যকর তা জাতির কাছে এখন স্পষ্ট। বরং কাওমি মাদরাসা যে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা, ও মস্তিস্ক প্রসূত যাবতীয় ভ্রান্ত মতবাদের বিপক্ষে সেই অবস্থান তারা বার বার স্পষ্ট করেছে। কাওমি মাদরাসাগুলো যে দেশের আইন-শৃংখলা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে এবং সকল প্রকার নেতিবাচক আন্দোলনের বিরুদ্ধে সোচ্চার সেটাও জাতির কাছে স্পষ্ট। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে জঙ্গীদের উত্থান ঘটে মূলত ১৯৯৮ সালে। এ বছর জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি নামে একটি জঙ্গী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। যার প্রধান ছিলেন শায়খ আব্দুর রহমান। এরপর সিদ্দিকুর ইসলাম ওরফে বাংলাভাই এর জেএমজেবিকসহ সর্বহারা, পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি, জাসদ গণবাহিনী ইত্যাদি নামে বেশ কিছু জঙ্গী সংগঠনের আবির্ভাব হয়। এর কিছুদিন পর যশোরে উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা হামলা হয়। এই হামলায় মারা যায় সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পীসহ মোট ১০ জন, আহত হয় অর্ধশতাধিক। ২০০১ সালে রমনার বটমূূলে আরো একটি বোমা হামলা হয়। ২০০২ সালে পল্টন ময়দানে কমিউনিষ্ট পার্টির জনসভায়, ময়মনসিংহের ৪টি সিনেমা হলে, টঙ্গীর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে বোমা হামলা হয়। একই বছরের ২১আগষ্ট আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শক্তিশালী গ্রেনেড হামল হয়। এরপর ও বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড ও বোমা হামলা হয়। সর্বশেষ ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট একটি জেলা বাদে সারা বাংলাদেশের ৩৬টি জেলায় পাঁচ শতাধিকের ও অধিক জায়গায় একযোগে বোমা হামলা হয়। এভাবে একের পর এক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনবরত বোমা হামলা, গ্রেনেড বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকে। এতে নিহত হয় বহু নিরীহ মানুষ এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সরকারী নানা স্থাপনা। এভাবে বাড়তে থাকে জঙ্গীদের অপতৎপরতা। এক পর্যায়ে বিধ্বংসী ও রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে ওঠে তারা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এর কোনোটির সাথে কি বাংলাদেশের কোনো কাওমি মাদরাসার সম্পৃক্ততা আছে? কোনো কাওমি মাদসারাসার ছাত্র কি এসব অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে ? এ প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই নেতিবাচক। তারপর ও কেন কাওমি মাদরাসাগুলোকে ‘জঙ্গী প্রজনন কেন্দ্র’ বলা হয় ? ইসলামের মধ্যে পাওয়া যায় জঙ্গীবাদের ঘ্রাণ ? সে প্রশ্ন এখন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কাওমি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের ও অধিকার আছে, সরকারের কাছে দাবি-দাওয়া জানানোর। সুতরাং তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে পেশ করার কারণে তারা জঙ্গী বা আফগানী হয়ে যায় না। শাহবাগীরা দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি দখল করে রেখেছে। তারা যদি তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে পুলিশ হেফাজতে মাসের পর মাস রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রাখতে পারে তাহলে হেফাজতে ইসলাম কেন তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে এক রাত সময় পাবে না। তারা কি এদেশের নাগরিক নয়? এদেশের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার কি তাদের নেই? তাদের যদি অধিকার থেকে থাকে, তাহলে সরকারের উচিত ছিল, তাদের দাবীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। কিন্তু আমরা বার বার দেখেছি, সরকার তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবীর প্রতি সম্মান জানানোর পরিবর্তে তাদেরকে বরং বন্দুকের নল দিয়ে শায়েস্তা করার পথ বেছে নিয়েছে। এক দিকে সরকার নাস্তিক-মুরতাদদের মাসের পর মাস রাস্তায় থেকে নাচ গান করার সুযোগ দিচ্ছে, অপরদিকে দেশের আলেম-ওলামাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি নাকচ করে দিয়ে রাতের অন্ধকারে তাদেরকে হত্যা করেছে। তাদের ওপর মাত্রাতিক্ত বলপ্রয়োগ করে তাদেরকে তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবী থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। আমাদেরকে একটি কথা মনে রাখতে হবে, বল প্রয়োগ করে ভেতরে পুঞ্জিভূত কোনো ক্ষোভ দমিয়ে রাখা যায় না। আজ যারা মানুষের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখায় না, ইতিহাস একদিন তাদেরকে বড় নিষ্ঠুরভাবে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। ইতিহাস কাউকে কোনো সময় তিল পরিমাণ ছাড় দেয় না। ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধ করার কারণে যদি ৪২ বছর পর অপরাধীদের বিচার হতে পারে, তাহলে গভীর রাতে মানুষ হত্যার বিচার কেন হবে না?। কেন অপরাধীকে আজ না হয় কাল শাস্তির আওতায় আনা হবে না?। ইতিহাস কোন যুক্তিতে তাদেরকে ক্ষমা করবে ?। যদ্ধাপরাধীদের বিচার সকল অত্যাচারী শাসকদেরকে একটি বার্তা দিয়েছে, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে প্রতি মুহূর্তের সব কিছু রেকর্ড হয়ে হয়ে থাকে। ৪২ বছরের লৌহমানব যদি এক মুহূর্তে নিমিষেই মিশে যেতে পারে, তাহলে ক্ষণিকের শাসকদের কী অবস্থা হতে পারে সেটা পাঠক মাত্রই জানে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকেই সকলের উপদেশ গ্রহণ করা উচিত।

আজ সরকারের দায়িত্বশীল কেউ কেউ হেফাজতে ইসলামকে জঙ্গী সংগঠন বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। এই সব হাইব্রিড নেতাদের মনে রাখতে হবে, জনগণ আর তাদের কথায় বিশ্বাস করে না। তাদের ওপর থেকে আস্থা উঠে গেছে অনেক আগেই। সুতরাং যতই মিথ্যাচার করা হোক না কেন, জাতি সব ষড়যন্ত্রের বিন্দু বিসর্গসহ জানে। এই তথ্য প্রবাহের যুগে জাতিকে অন্ধকারে রাখা সম্ভব নয়। সুতরাং হামলা-মামলা দিয়ে কোনো দেশে কোনো সময় আদর্শিক আন্দোলনকে দমানো যায়নি। এখানে ও যাবে না। এটাই ইতিহাসের তিক্ত সত্য। ইতিহাস তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক ও ইসলামের চূড়ান্ত দুশমন হিসেবে জানে। সময় মতো এর উচিত জবাব দেবে।

জাতি জানে, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রেক্ষাপটে যখনই জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তখনই তার স্বরুপ-প্রকৃতি, উৎপত্তি-ক্রমবিকাশ, ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস ও ধ্বংসাত্মক তৎপরতা সম্পর্কে কাওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ ও মসজিদের ইমাম সাহেবগণ তত্ত্ব ও তথ্যবহুল আলোচনার মাধ্যমে জাতিকে সর্তক করে দিয়েছে। কিন্তু রূঢ় বাস্তবতা হলো, সেই কাওমি মাদরাসাগুলোকেই আজ জঙ্গীবাদের অপবাদ নিয়ে সমাজে বাঁচতে হচ্ছে। যে সংগঠনটি সারা বাংলাদেশের সব বড় শহরগুলোতে মহাসমাবেশ আয়োজন করে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে, সর্বোপরি ঢাকার মতিঝিলে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় লংমার্চ কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়া সফলভাবে সম্পাদন করতে পেরেছে, যারা কোরআনের ইজ্জত রক্ষার্থে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মাঠে নেমেছে, সেই জনপ্রিয় দলটির মহাসচিব, দেশবরেণ্য আলেমে দ্বীন, আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীকে সহিংসতার ও কোরআন পোড়ানোর চরম মিথ্যা ও অত্যন্ত হাস্যকর অভিযোগে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। হেফাজতের অরাজনৈতিক আন্দোলকে জামাতে ইসলামীর সাথে মিলিয়ে ফেলার চুড়ান্ত ষড়যন্ত্র করা হয়। নীল-নকশা আঁকা হয় দলটিকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার। অবশেষে সেই ষড়যন্ত্র ধোপে টেকেনি। সব কিছু আল্লাহর মেহেরবানীতে হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.