![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক
বৃষ্টি এমন একটা জিনিস, যা মানুষের অনুভূতি কে সহজে নাড়া দিতে পারে। বিষণ্ণ মন, একলা মুহূর্ত, কষ্টকর অনুভূতির সময়ে এক পশলা বৃষ্টি, পুরো পরিবেশকে পাল্টে দিতে পারে।
বৃষ্টি যেমন নতুন রেণুতে প্রাণের সঞ্চালন করে তেমনি মানব জীবনে নিয়ে আসে নতুন উদ্দীপনা। একাকী চাদনী আলো আর বৃষ্টি উপভোগ করার অনুভূতি ভাষাতে প্রকাশ করার মত না।
আমাদের ঘর টা ছিল, উপরে টিন আর চারপাশে ছিল ময়দার বেড়ার। তাও আবার টিন গুলো বিভিন্ন জায়গাতে ছিল ফুটা। আমার দাদার আমলের ঘর ছিল এটা। বাবা পিতৃসূত্রে এটার মালিক। আমাদের ঘরের সাথে ছিল বড় এক বড়ুই ( কুল ) গাছ, আর এটার ঢাল পালা গুলি ছিল আমাদের চালের উপর ফলে পাতা পড়ে, টিন দ্রুত মরিচিকা ও নষ্ট হয়ে যায়।
বৃষ্টির দিনে তাই টিনের ফুট দিয়ে পানি ঘরের ভিতর পড়তো।
আমি দেখতাম, আম্মু সারারাত ঘুমাতে পারতোনা , বৃষ্টির জন্য।কারণ টিনের ফুটা দিয়ে যেখানে যেখানে বৃষ্টি পড়তো সেখানে তিনি প্লেট, বাটি, বল ইত্যাদি দিতেন।আবার ঐগুলো পানি পড়তে পড়তে পুরে গেলে , তা পেলে আবার সে সকল জায়গাতে বসাতে হত। সবচেয়ে খারাপ যেটা ছিল তাহলো, আমরা যে জায়গাতে ঘুমাতাম, তার উপরের টিন ফুটা ছিল, ফলে প্রায় রাত আমরা ঘুমাতে পারতাম না। আমাদের ঘর টা ও তত মুজবুত ছিল না, ফলে কালবৈশাখীর আগে আম্মু আমাদের ঘরটার চারপাশে খুটি দিয়ে অনেক ঠেস দিতেন।
এখন আমাদের বাসাটা ভিটিপাকা, টিনও অনেক ভাল বৃষ্টি ভিতরে ঢুকার কোন সম্ভাবনা নাই। তারপরও আমার সেই ছোটবেলার ভয় এখনো কাটেনি। ছোটবেলা যেমন বৃষ্টি আসার আগে মনে মনে প্রার্থনা করতাম বৃষ্টি না আসার জন্য এখনো করি।
পড়ালেখার জন্য অনেক বছর ধরে আমি শহরে থাকি, যখনই বস্তি এলাকার দিকে অথবা রেলস্টেশনের দিকে যাই তখনই ভাবি এরা কিভাবে থাকে ঝড়, বৃষ্টির মধ্যে। আর মনে মনে শুকরিয়া আদায় করি, এই ভেবে আমার ছোটবেলা আরও ভাল ছিল এদের থেকে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪২
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: Welcome to my blog
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৪৯
মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেছেন: আমার মা এমন ছিলেন।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৮
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ভালো লাগলো,,আমার মায়ের মত আর একজনকে পেয়ে
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৩০
নোফায়েল বলেছেন: tanks