![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক
একটা দেশে কখন বেসরকারি খাত সমূহ তৈরি হয়? যখন সরকার ঐ খাত সমূহ কে নিয়ন্ত্রন বা প্রকল্প সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে অক্ষম হয় তখনই সরকার ঐসকল প্রকল্প বা কাজ বা প্রতিষ্ঠান কে কিছু নিয়ম নীতির মাধ্যমে উদ্দ্যক্তাদের হাতে ছেড়ে দেয়। এক্ষেত্রে উদ্দ্যক্তারাও সরকারের কাছে কিছু সুযোগ সুবিধা দাবি করে। অনেকক্ষেত্র সরকার ঐ সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। এভাবে বেসরকারি খাতে সরকার সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মূল ঊদ্দেশ্য থাকে, সরকার জনগণকে যে সুবিধা দিতে অক্ষম, অন্তত বেসরকারি খাতের উদ্দ্যক্তারা ঐসকল সুবিধা প্রধান করে জনগনের সম্যসা সমাধান বা তাদের কাজ সমূহ কে সহজতর করে। ফলে এতে ত্রিমুখী লাভ হয়। এক. সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ে ২. উদ্দ্যেগ তা সমুহ যেমন লাভ করে তেমনি দেশে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়। ৩. প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঐ উদ্দেশ্য সাধন এবং জন গনের উপকার।
এখন মুল কথায় আসি । সরকার যেভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ল সমূহের বেতন ফি এর উপর ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর ৭শতাংশ যুক্ত করল তার উদ্দেশ্য কি?? সরকার যুক্তি দিচ্ছে, যারা ৩ বা অধিক লাক্ষ টাকা ব্যয় করে পড়া লেখা করতে পারলে, কেন ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে পারবে না।
এখন যদি সরকারকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সেরা মেধাবীদের কে বাচাই করলেন, তারপর আপনারা আপনাদের অক্ষমতা প্রদর্শন করে কিছু সংখ্যক ছেলেমেয়েদের কে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে সুযোগ দিয়ে, বাকী বিপুল সংখ্যক ছেলেমেয়েদেরকে ছেড়ে দেন অনিশ্চিত জীবনে। এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
এখন এই অনিশ্চিত জীবন থেকে বের হবার জন্য যারা নিজেদের শেষ সম্বল, জায়গা জমি বা বাবার পেনশনের টাকা তুলে বা নিজদের প্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরনাপন্ন হয়েছে, এখন সরকার তাদের কাছেও হাতপাতা কতটা যুক্তিসিদ্ধ। যেখানে সরকার এসকল ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার ব্যয়ভার যাতে তাদের ফ্যামিলির উপর বাড়তি চাপ হয়ে না দাড়ায়, তার জন্য তাদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা বা সরকারী ভাবে ভুর্তুকির ব্যবস্থা করবে, উল্টো মরার উপর ঘা মরতেছে।
আর একটি অমুলক ধারনা যে, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু গরীবেরা আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়লোক ছেলে মেয়রা পড়ালেখা করে। যারা সরকারী বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়লের সাথে যুক্ত আছে, তাদের কাছে ব্যপারটা পরিষ্কার। কারণ মেধাবীরা যেমন সবাই গরীর ঘরে জন্ম নেয় না তেমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই ধনীর দুলালও না।
এখন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ কি শুধু বেসরকারি ছাত্রদের একার নাকি আমাদের সবারই কারণ আপনি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তাই বলে আপনার পরবর্তী প্রজন্মও যে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে তার গ্যারান্টি কি? এভাবে আমরা সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই আইনে প্রভাবিত। তাই সব শ্রেণী পেশাজীবরই আন্দোলনে সমর্থন ও যুক্ত হওয়া দরকার। একটা আইন যখন পাশ হয়ে যাবে তখন তা প্রত্যাহার করা অনেক কঠিন। তাই শুরুতে যদি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তা রদ করা না যায় তবে এর খেশারত সবাই কে দিতে। তাই সময় থাকতে সবাই এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে আন্দোরনকে বেগবান করা এখন সময়ের দাবি
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সহমত
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
আর জে নিশা বলেছেন: শিক্ষা অবস্যই মৌলিক অধিকার তবে শিক্ষা নামক সৌখিনতা আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের রমরমা ব্যাবসা !!! ৭’৫% নয় ভ্যাট হওয়া উচিত ১৫% এবং এই ভ্যাট দেবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তথা সৌখিন শিক্ষা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো । ছাত্র ছাত্রিকে ভুল বোঝানোর কারণে তারা এখনো ভ্যাট সম্পর্কে অজ্ঞ । ভ্যাট নিয়ে ছাত্র ছাত্রি চিন্তা করবে কেনো, যেই টাকা সেই ব্যাবসায়ি প্রতিষ্ঠান নেবে তার থেকে তারা ভ্যাট দেবে । আমাদের দেশের লোকজন কবে শিক্ষিত হবে !!! ???
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ঘটনা এটাই ,,, কিন্তু এই ভ্যাট সুকেৌশলে প্রতিষ্ঠান সমুহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই নেবে .. এখানেই ভয় ...
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ভাইয়া। ভ্যাট বসানো একেবারেই ঠিক হয়নি। দ্রুত প্রত্যাহারের দাবী জানাই
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৯
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন:
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৮
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন:
সুন্দর
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট যুক্তকরণের তীব্র বিরোধী। পাশাপাশি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বাড়ানোর পক্ষে। একদল থাকবে ফ্রি থাকবে, ফি দিবে ২০/- আর অন্য দল লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করবে-এটা হতে পারে না।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
হতভাগা রাজু বলেছেন: :v :v
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন:
৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: শতকরা কতজন সরকারী চাকরীজীবি প্রথমসারির পাবলিক ভার্সিটি থেকে পাস করা? বুয়েটের অনেক ইঞ্জিনিয়ার দেখছি সামান্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে জ্ঞান কম। পুরাপুরি নির্ভর করে নিজের অধীন টেকনিশিয়ানের উপর, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা হয়তো অনেক অনেক কম। কিন্তু পাবলিকে গেলেই যে সে পরিপূর্ন শিক্ষা নিয়ে বের হবে এমন কোন বাধা ধরা নিয়ম নাই। পারিবারিক মুল্যবোধ, শিক্ষারও ব্যাপার থাকে।
একটা প্রতিবন্ধী শিশুকেও কিন্তু সমাজ ফেলে দেয়না, আরো যত্ন নেয়। বাবা মা দুস্ট আর অমনোযোগী সন্তানদের প্রতি আরো নজর দেয়। বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর মৌলিক অধিকার মেটানোর জন্য চেস্টা করা সরকারের দ্বায়িত্বের মধ্যেই পরে। সেইটাও যদি আপনি আরো সাধ্যের মধ্যে না এনে আরো দুরুহ করেন সেইটা কি অবিচার হবেনা?
সরকারের উচিত প্রাইভেট পাবলিকের মান বাড়ানোর চেস্টা করা। উন্নত দেশগুলোতে কিন্তু তাই করার চেস্টা করা হয় আগে। পাবলিকের সবাই কি একেবারে মেধা অনুসারে ভর্তি হয়? কর্মচারী কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কিংবা উপজাতি কোটা থাকেনা? এই কোটাগুলি কিন্তু একটা বিশেষ অংশকে টেনে তোলার জন্যই রাখা আছে। যাদের কারনে মেধাতালিকায় উপরে থেকেও অনেকে চান্স পায়না। উর্বর মস্তিস্কের কেউ কেউ বলতে চায় মেধাহীনেরাই প্রাইভেটে পড়ে, তাদের ভর্তুকি পাবার যোগ্যতা নাই। তারা কিন্তু ভর্তুকি চায়নাই, তারা এখনো টাকা দিয়েই পড়তেছে। ওরা চায় বোঝাটা আরো যাতে না বাড়ানো হয়।
কোন দেশে এরকম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থাকাটাই উচিত না। সরকারের উচিত সবার মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আর দেশের জনসংখ্যার তুলনায় আসন কম দেখেই কিন্তু প্রাইভেটের অনুমতি দেয়া হইছিলো। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং এ দেখবেন অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ফ্যাকাল্টির মান বুয়েট ঢাবির চেয়ে অনেক উপরে। আবার পাবলিকের সব ছাত্র কি সুপার ডুপার রেজাল্ট নিয়ে বের হয়? টানাটানি করে পাস করা ছাত্রের সংখ্যাও কিন্তু কম না। তাদের ভর্তুকির টাকা কি সরকার ফেরত নেয়? আবার যারা বাইরে চলে গেলো নিজের স্বার্থে তাদের পেছনে টাকা খরচ করে দেশের লাভটা কি হয়?
অন্য এক জায়গায় কমেন্টটাই চেঞ্জ করে দিলাম ভাই।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সহমত
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৭
মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমি শতদ্রু একটি নদী এর সাথে একমত নই। তবে ভ্যাট বাড়ানোর বিপক্ষে।
৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২২
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: একমত না হলে কেন না তাও বলেন। আবার বাড়ানোর বিপক্ষে আপনার যুক্তিও বইলেন। ব্লগের আলোচনা একটু বিস্তারিত হইলেই ভালো। @ মহান অতন্দ্র
১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
অবিবাহিত ছেলে বলেছেন: আমি মনে করি আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়ানো উচিত । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে ভেঙ্গে বিভাগ ভিত্তিক করা উচিত, সেশন জট কমিয়ে শুন্যের কোঠায় আনা দরকার । আমরা যারা গরীবের বাচ্চা মনে উচ্চ শিক্ষার আশা রাখি আমাদের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নয় । পাবলিকে পড়েই খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় । এতো টাকা খরচ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বিলাসীতা ছাড়া আর কিছুই নয় । কী এমন মৌলিক গবেষনা হয় এইসব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ? মৌলিক গবেষনা যে পাবলিকেও খুব বেশী হয় সেটা বলা যাবেনা । আমি নিশ্চিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কষাইরা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেই ভ্যাটগুলো আদায় করবে । তাই বলি মান সম্পন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আন্য কোন চাতা-মাতা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ভালো ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নতুন বলেছেন: শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার।
সরকারের উচিত শিক্ষা আরো সহজ করে সবাইকে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় তৌরি করা।
শিক্ষার উপরে কর কখনোই ভাল কিছু বয়ে আনতে পারেনা।