নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারী মেডিকেল কলেজঃট্যাক্সের টাকায় ডাকাত তৈরির কারখানার ইতিবৃত্ত্

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

বাংলাদেশে ২৯টা সরকারী মেডিকেল কলেজ রয়েছে (ডেন্টাল সহ)। প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ৩৬০০ ছেলেমেয়ে সরকারী মেডিকেলে পড়ালেখার সুযোগ পায়। এসকল ছেলেমেয়ের যাবতীয় পড়ালেখার ব্যয়ভার বহন করে সরকার তথা এদেশের অাপামর সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায়। এই ট্যাক্সের টাকায় পড়ালেখা করে, এই সকল ছেলেমেয়ে যখন চেম্বার নিয়ে রোগী দেখে তখন তারা ভুলে যায় যে তাদের লেখাপড়ার খরচ তাদের বাবা মা নহে এদেশের সাধারণ জনগন বহন করেছিল। গড়ে প্রত্যেক ডাক্তারের ভিজিট ৫০০ টাকার কম হবে না। এই ক্ষেত্রে কি ভিজিট কিছুটা কম করা কি তাদের উচিত নহে।??। (যারা বেসরকারি মেডিকেল থেকে পড়ালেখা করেছে তাদের কথা ভিন্ন। কারণ তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করে ডাক্তার হয়েছে। ) কিন্তু সরকারী মেডিকেলের ছাত্ররা কেন উচ্চ ভিজিট চাহিবে। তাদের কি একটুও বিবেকের লজ্জা থাকা উচিত নহে??
এখন আসি সরকারী হসফিটাল গুলোতে কর্মরত ডাক্তারদের ব্যপারে। এরা যদি সঠিকভাবে সরকারী হসফিটাল গুলো তে দায়িত্ব পালন করতো তবে এদেশের মধ্যমবিত্ত আর নিম্নবিত্ত মানুষ গুলোর কোটি কোটি টাকা বেসরকারি হসফিটাল গুলো হাতিয়ে নিতে পারতো না।
একই ডাক্তার, একই যন্ত্রপাতি, শুধু হসফিটাল ভিন্ন বলে ৫০০০ টাকার অপারশন বেসরকারি হসপিটালে করতে হয় ৩০০০০ - ৪০০০০ হাজার টাকায়।
এই বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বেসরকারি হসপিটালের কর্তৃপক্ষ। শুধু মাত্র ডাক্তারদের দায়িত্বহীনতার জন্য।
এইবিপুল পরিমান টাকা যদি মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সেভিং হত তবে বাংলাদেশের দারিদ্রতার হার আরো অনেক কমে যেত।

অনেক সময় দেখা যায়, কয়েকজন ডাক্তার মিলে হসপিটাল একটা হসপিটাল প্রতিষ্ঠান করে বসে। এতে দেখা যায় গুনগত নার্সারিং, যন্ত্রপাতি, শয্যা, ও ডাক্তারদের অভাবে, একজন রোগী সঠিক চিকিৎসা পায় না। আবার অনেক সময়ে রোগের তুলনায় অতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে থাকে। শুধুমাত্র হসপিটাল কর্তৃপক্ষ কে খুশি করার জন্য। যা একেবারেই অন্যায়। এসকল ডাক্তারকে কি সেবক বলা যায়???
এছাড়াও শুধুমাত্র ফার্মাসি কোম্পানি কে খুশি করতে যেরোগের জন্য ২টা ঔষুধ যথেষ্ট সেখানে ডজন খানেক ঔষুধ, যা অনেক সময় রোগীর জন্য ক্ষতিকর।
যেমানুষ গুলোর ট্যাক্সের টাকায় ডাক্তার হলেন, ডাক্তার হয়ে আবার তাদের রক্তপানি করা টাকা চুসে অাট্টালিকা তৈরি করতেছে।
এটাই কি তবে ডাক্তারদের নীতি হয়ে থাকবে।?????

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: মন্তব্যের মধ্যে অপাসঙ্গিক লিকং শেয়ার করবেন না।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

বটপাকুড় বলেছেন: ভাই আপনার কি ধারনা আছে, একটা মেডিকেল এর ছেলেকে এস্তাব্লিশড হতে কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়। অন্য যেকোন বিষয়ে যেখানে অর্ধেক পরিমাণ পরিশ্রম করে সফল হওয়া যায়। আমাদের দেশে খুব সাধারণ সমস্যা হলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়া আমাদের স্বভাব। যার কারণে জুনিয়র ডাক্তাররা কি রকম মানবেতর জীবন যাপন করে, আপনার ধারনা নেই।

আপনি দেখেন সিনিয়র ডাক্তারদের, যাদের ঐ লেভেলে আসতে কত পরীক্ষা আর ত্যাগ স্বীকার করতে হয়ছে, সেটা আপনার ধারনার বাইরে

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: মানলাম , অনেক পরিশ্রম করতে হয় , কিন্তু সরকারী হসপিটাল গুলো তে দায়িত্ব পালন না করে বেসরকারী হসপিটাল গুলোতে সময় দেয়া কোন নীতিতে পড়ে???

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

দি রিফর্মার বলেছেন: চিকিৎসা পেশাও একটি পেশা। এই পেশার উৎপত্তি হয়েছিল মানব কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু যখন এটি একটি পেশায় পরিণত হল তখন থেকে দিন দিন এর মানবিক দিক গুলিও লোপ পেতে থাকল। সুতরাং আমরা যারা ডাক্তারের কাছে যাব তারা যেন এখন থেকে এই কথা মনে করি যে, বাজারে মাংস কেনার সময় যেমন ভাবি এক কেজি মাংসের মধ্যে কতটুকু হাড় পাব, মহিষের মাংস দিয়ে দিল কিনা, এক কেজিতে ৮০০গ্রাম বুঝে পেলাম ইত্যাদি, তেমনি রোগের কারণে কতটাকার টেষ্ট করাতে হবে, টেষ্ট রেজাল্ট ভূয়া কিনা, কত টাকার ওষুধ কিনতে হবে, ওষুধ আবার ভূয়া কোম্পাণীর তৈরী কিনা ইত্যাদি। সুতারাং যেহেতেু এটি একটি লাভ ক্ষতির পরিমাপক একটি পেশায় পরিণত হয়েছ সুতরাং প্রয়োজনে দরদাম ফুরিয়ে নিয়ে চিকিৎসার ব্যব্স্থা করা যেতে পারে। অথবা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর শপথ করা যেতে পারে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: হুমম , দেশে যদি ডাক্তারা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতো তবে দারিদ্রসীমা অনেক কমতো

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

বটপাকুড় বলেছেন: সরকারী হাসপাতালগুলোতে পারিশ্রমিক নিতান্তই অপ্রতুল। আর অনারারি এর বিষয় তো অনেকেই জানেন না। সবার ই ভালো খেতে ইচ্ছে করে, সবারই পরিবার আছে তাই না। তবে হ্যাঁ, অনেকেই আছেন নিলজ্জের মতো গরীব এর উপর জুলুম করেন সেটাকে কখনওই সমর্থন করি না

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

ফাহাদ মুরতাযা বলেছেন:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাট দিতেই হবে বলে জানিয়েছেন সজিব ওয়াজেদ জয়। উনি বলেছেন, "দেশের ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়া লেখা করে সরকার তাদের জন্য কোন ধরেন ভর্তুকি দিবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিলে এটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেয়ার হোল্ডারদের পকেটে চলে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হবে না।"
উনি তো দেখি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারণাই রাখেন না, অথবা না জেনে-শুনে সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন। সঠিক তথ্য হচ্ছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার কোন ভর্তুকি দেয় না। বরং শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর যে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে- তার পূর্ন নাম 'Value-Added Tax' বা 'মূল্য সংযোজন কর'। ২০টাকা কেজি আলু কিনে তা ১১০টাকা কেজি সয়াবিন তেলে ভেজে ফার্স্টফুডের দোকানে যখন সেই পটেটো চিপস ১২০০টাকা কেজি দরে বিক্রী করা হয় তখন এই সযোজিত মূল্যের ওপর ভ্যাট ধার্য করা হয়। শিক্ষা কী পটেটো চিপসের মত পন্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ফার্স্টফুডের দোকান? এখানে মিথ্যা ভর্তুকির দোহাই দিয়ে উনি কেমন করে ভ্যাট বসানোকে বাধ্যতামূলক করে দিচ্ছেন?
উনি না আমাদের তরুন প্রজন্মকে নিয়ে 'ইয়ং বাংলা' গড়েছেন? এই তার আসল চেহারা? যেহেতু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সরকারী ভর্তুকী দেয়া হয় না, তাই তার লাভের ভাগ তো কখনোই শিক্ষার্থীদের পকেটে আসার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু উনার আরোপ করা এই ভ্যাটের টাকা তো আমাদের মত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পকেট থেকেই দিতে হবে। উনি আমাদের লাভ না দেখলেও লোকসানটা ঠিকই বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। ৮৩টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৫টিই মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তদের উচ্চ শিক্ষার বিকল্প প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী প্রাইভেট ট্যুশনি করে বা খণ্ডকালীন চাকরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ জোগাড় করে। তাদের ওপর বছরে আরো ৩০/৪০ হাজার টাকার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে উনি কেমন কাজ করলেন?
উনি কী তাহলে আমাদের পকেট কাটা জবরদস্তি ভ্যাটের টাকা দিয়ে উনার 'ইয়ং বাংলা' চালাবেন? সেইক্ষেত্রে উনার ইয়ং বাংলায় বাংলাদেশের ৯৫% তরুণের কোন অংশদারিত্ব থাকবে না।
-ড. সাকিল আল মামুন।
১. সরকার কোনদিনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা এর শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দেবে না জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর এটা ভোরের কাগজের লিঙ্ক।
এতো গেল ‘রাজপুত্রের’ কথা, আর চেতনাবাদী মিডিয়া, তার অবস্থান কি?
শাহবাগে চিল্লাচিল্লি আর বিরিয়ানি খাওয়া টেলিকাস্ট করতে লাইন লেগে যায় চেতনা মাখা সকল মিডিয়ার! আর আজকে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনরে " জন-দূর্ভোগ" হিসেবে দেখাচ্ছে। মনে হয় যেন জীবনে , রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে দাবী আদায় এই প্রথম দেখছে।
আজ দেশের ছাত্র সমাজের এই ভ্যাট বাতিলের জোয়ার কে কেন তারা টেলিকাস্ট করছে না?
দেখাচ্ছে " সড়ক অবরোধের কারনে যানজটে নগরবাসীর অবস্থা নাকাল " জাতীয় রিপোর্ট ।
কোথায় আজ মুন্নি সাহা?
কোথায় আজ রুপার সরাসরি সম্প্রচার?
কোথায় আজ নবনিতার টকশো?কোথায় ?
জাফর নামক ষাঁড় টা কই? তাঁর বিবেক কি বলে???
এই দেশের রন্ধে রন্ধে দালালে দালালে ভরে গেছে আর সব দালালের বড় দালাল হচ্ছে এই সাংবাদিক আর মিডিয়া । যাদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়া মানেই আন্দোলন আর লক্ষ লক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠি পেটা খাওয়ার নাম হচ্ছে সন্ত্রাসী দমন।
থু থু থু
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ‘চেতনাবাদীদের’ কমেন্ট ........



চটি পিয়াল ও তাঁর অনুসারীদের কমেন্ট-

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: আমি একজন ভ্যাটবিরোধী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.