![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক
অ্যান্টি নর্টন স্কুল থেকে এসে রাগান্বিত মুডে নোটবুকটাকে ছুড়ে মারে টেবিলের দিকে কিন্তু সেটা টেবিলের কানায় লেগে ফ্লোরে পড়ে এবং আওয়াজ করতে থাকে " দযা করে আমাকে যথা স্থানে রাখুন। দয়া করে আমাকে যথাস্থানে রাখুন। দয়া করে আমাকে,,,,,,।" একই বাক্য বারবার বলতে থাকে। নর্টনের বাবা অ্যান্টি এভাস্ট ড্রয়িং রুমের শোফায় বসে মঙ্গল বনাম শুক্র র প্রীতি ফুটবল ম্যাচ দেখছে । নর্টন শোফায় বসতে বসতে বলে " বাবা তুমি এটা কি নাম রাখছো আমার? আজ সবাই আমাকে স্কুলে " ভাইরাস " বলে ট্রিস করছে। আমরা নাকি ভাইরাসের বংশ।" অ্যান্টি এভাস্ট সাহেব ফ্লোর থেকে নোটবুকটি নিয়ে তা বন্ধ করে। তারপর ছেলের দিকে তাকিয়ে বলে "ওরা জানে ভাইরাস কি?" "এই রোবটিক্স যুগে কেউ বোকা আছে? ডুডুল করে সবাই জেনে গেছে।।আগেরকার কম্পিউটার গুলো তে এক ধরনের প্রোগ্রাম মাঝে মাঝে আক্রমন করে প্রয়োজনীয় তথ্য নষ্ট বা বিকৃত করে ফেলতে। আর ঐ প্রোগ্রামকেই তখনকার মানুষ ভাইরাস বলতো।" বলল নর্টন। " হুমম সত্যি তাই। তোর দাদার-বাবার কম্পিউটারেও একবার ভাইরাস আক্রমন করে। উনি অনেক ভয় পেয়ে যান। ভয় পাওয়ার বড় কারণ হলো কম্পিউটারটি ছিল অফিসের। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। আর এদিকে তিনি কম্পিউটারের কও জানতেন না। পরে তিনি এক কম্পিউটার মেকানিকের কাছে যান। ঐ লোক ভাইরাসমুক্ত করার জন্য ক্যাস্পারস্কি নামক অ্যান্টি ভাইরাস দেয়। এর পর থেকে তিনি নিয়মতি ক্যাস্পারস্কি ব্যবহার করতেন। অ্যান্টি ভাইরাসটির প্রতি এতই কৃতজ্ঞ হয়ে পড়েন যে, পরে তিনি তোর দাদার নামই রাখেন অ্যান্টি ক্যাস্পারস্কি। আর এভাবেই আমাদের পরিবারের সাথে অ্যান্টি শব্দটি যুক্ত হয়ে যায়।” একটা ছোট দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললেন “আর এখন আমরা মাইক্রো রোবটের হাত থেকে বাঁচার জন্য এন্টি রোবট তৈরি করার চেষ্টা করছি। বিজ্ঞান কত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।” খেলা প্রায় শেষের দিকে মঙ্গল ১-০ এগিয়ে আছে।
২
নর্টন বিকেলে রুম থেকে বের হবে এমন সময়ে একটা সাউন্ড বেজে উঠে
"প্লিজ সুইস'স অফ।" নর্টন বিরক্ত হয়ে ব্যঙ্গ করে বলে " পিলললজ অফ।" সাথে সাথে রুমের সব লাইট, এসি অফ হয়ে যায়।সে বাসার বাহিরে দাড়িয়ে আছে এমন সময়ে
--- এই নর্টন? কি খবর? কোথায় যাবি?
--- ও সাইফ। না কোথাও যাবো না। এমনিতে একটু বের হলাম।
--- আমারও কাজ নেই। চল শহরটা ঘুরে আসি।
--- কিন্তু আমি তো ফ্লাইবুট আনি নি। দাঁড়া আমি ফ্লাইবুট নিয়ে আসি।
নতুন আবিষ্কৃত এই বুটে ছোট চাকা লাগানো থাকে আর মজার বিষয় বুটকে নিয়ন্ত্রন করা যায় ফ্লাইবুট নামক অ্যাপ দ্বারা। আর এই বুটের চাকা চলতে যে শক্তির প্রয়োজন তা আসে তিনটি জায়গা থেকে ১.বুটের ওপরের পৃষ্ঠ থেকে সৌরশক্তি ২.বুটের ভিতরে পায়ের ঘর্ষন যে তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তা গ্রহন করে কিছু মাইক্রোচিপ। পরে তা রুপান্তরিত হয় তড়িৎশক্তিতে ৩. আর বুটের নিচে যেখানে চাকা লাগানো হয় সেখান মাইক্রো সাইজের কিছু টার্বাইন লাগানো থাকে যা বায়ুশক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রুপান্তরিত করে। সব গুলো শক্তির পরে ব্যাটারিতে স্থিতি শক্তিরুপে সঞ্চিত হয়। যা থেকে চাকা ঘুরাবার শক্তি পায়। এই বুটের কারণে বর্তমানে রাস্তায় পার্সোনাল গাড়ির সংখ্যা কমে যায় ফলে ঢাকার যানজট এখন নেই বললেই চলে। এই বুটের ডিজাইনেরর জন্য মাইক্রোতড়িৎ বিজ্ঞানী ড়. রিখন নোবল পুরষ্কারের দৌড়ে অনেক এগিয়ে ছিল কিন্তু ড়.টনিক এর এন্টি রোরট বিষয়ক আবিষ্কারের কারণে তা আর পাওয়া হলো না। শহরঘুরে তারা দুইজনই একটা ট্রি-স্টলে চা পান করার জন্য থামে ,সাথেই একটি বুকশেলফ।অনেকে বুকশেলফে বই পড়ছে । গতবছর সরকার শহরের রাস্তার কিছু নিদির্ষ্ট মোড়ে অটোকফিশপ এবং বুক শেলফ বসায়। সাথে টাকা না থাকলেও প্রবলেম নেই কারণ অটোকফিশপ থেকে কফি পান করতে লাগবে ফিগারপ্রিন্ট আর বিল পরিশোধ করতে হবে মাসশেষে। দুইজনেই দুইটা কফি হাতে নিয়ে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কফি শেষে সাইফ প্লাস্টিকের চোঙটা ফেলতে যাবে এমন সময়ে পিছন থেকে বলে উঠে “আমাকে ব্যবহার করুণ।” সে পিছনে ফিরে ডাস্টবিনে চোঙটা ফেলে আবার ব্রেক করবে এমন সময়ে একটা গাড়ি তাকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে । এই দৃশ্য দেখে নর্টন না বলে চিৎকার করে উঠে।কিন্তু তার স্বর যেন কন্ঠনালীতেই আটকে গেছে ।সে সামনে এগিয়ে যাবার চেষ্ঠা করছে কিন্তু তাকে কে যেন পিছন থেকে টেনে ধরে রেখেছে। সে অসহায়ের মতো কান্না শুরু করলো । এমন সময়ে
"জুবায়ের! কি হয়েছে ? এই জুবায়ের?
জুবায়ের চোখ খোলে চোখের পানি মুচতে মুচতে বললো "মা সাইফ একসিডেন্ড করছে? " "তাই বুঝি। সাইফ আমাদের ড্রয়িং রুমে বসে খেলা দেখতেছে । তাড়াতাড়ি উঠ। সারাদিন সাইন্সফিকশন পড়লে এমনই হবে । উল্টাপাল্টা স্বপ্নই দেখবি। " বলে জুবায়েরের আম্মা চলে যায়। জুবায়েরের মাথায় তখনও ফ্লাইবুটের কথা মাথায় ঘুরছে। সে একটা হাই তুলেত তুলতে পাশে রাখা বই "নর্টনের আবিষ্কার " এর দিকে চোখ পড়ে। সে একটা মুচকি হাসি দেয়। সে তাড়াতাড়ি ওয়াশ রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে ট্রিশার্ট হাতে নিয়ে বের হবে এমন সময়ে তার মনে হলো কে যেন বলছে“প্লিজ সুইস'স অফ” জুবায়ের মুচকি একটা হাসি দিয়ে রুমের লাইট,ফ্যান এর সুইস বন্ধ করে বের হয়ে যায়
-------------------------------------------------০-------------------------------------------------------
আমার অন্যগল্পসমূহ::
ব্যঙ্গ-রঙ্গ:: ছোটগল্প:: একচোখা মন্ত্রীর গল্প
ছোটগল্প (সাইকোলজিকল):: আইসক্রীম
গল্প(সাইকোলজিকল) :: টেলিভিশন(১ম পর্ব)
গল্প(সাইকোলজিকল) :: টেলিভিশন(শেষ পর্ব)
ছোটগল্প (সাইকোলজিকল):: চেক
ছোটগল্প:: ফাইজা ও একটি গল্প
গল্প(নৈতিকতা):::উকিল
গল্প:: সময় এবং মৃত্যু
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ভুল ধরিযে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার| মজাদার ছিল| কাটখোট্টা ফিকশন ভাল লাগে না আজকাল| এটা ওমন ছিল না| শেষটাও চমকপ্রদ
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে ,ভালো লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভালই ছিল। কিন্তু ছোট আকৃতির।
শব্দগুলোর উচ্চারণ মনে হয় - নর্টন, অ্যান্টি-অ্যাভাস্ট... এই রকম। ঠিক করে দিন। নাহলে বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।