নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্টধর্ম ইসলাম কেন পরিবতর্ন যোগ্য নহেঃ দেখুন সংবিধানের আলোকে

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৭

যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন তাদের জন্য। দেখুন কিভাবে সংবিধান নিজেই রাষ্টধর্ম ইসলাম পরিবতর্ন রুদ্ধ করে দিছে।
♦সকল ধর্ম প্রান মুসলমান এবং সকল ধর্মের ধার্মিককের জন্য সংবিধানঃ
সংবিধানের (২) ধারা ক। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।

♦যারা ধর্ম নিরপেক্ষতার বুলি ছাড়ছেন তাদের জন্য সংবিধানঃ

১২ধারা । ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে।

♦যারা সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছেন তাদের জন্য সংবিধানঃ-- জানুন কিভাবে সংবিধানের পরিবতর্ন করতে হয়ঃ

১৪২ ধারা । এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও-
(ক) সংসদের আইন-দ্বারা এই সংবিধানের কোন বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধিত হইতে পারিবেঃ তবে শর্ত থাকে যে,
(অ) অনুরুপ সংশোধনীর জন্য আনীত কোন বিলের সম্পূর্ন শিরনামায় এই সংবিধানের কোন বিধান সংশোধন করা হইবে বলিয়া স্পষ্টরুপে উল্লেখ না থাকিলে বিলটি বিবেচনার জন্য গ্রহণ
করা যাইবে না;
(আ) সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত না হইলে অনুরুপ কোন বিলে সম্মতিদানের জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে না;
(খ) উপরি-উক্ত উপায়ে কোন বিল গৃহীত হইবার পর সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট তাহা উপস্থাপিত হইলে উপস্থাপনের
সাত দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিবেন, এবং তিনি তাহা করিতে অসমর্থ হইলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

♦কেন রাষ্টধর্ম ইসলাম পরিবতর্ন যোগ্য নহে জানুনঃ

৭ ধারা খ।সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে (উপরের অনুচ্ছেদের কথা বলছি )যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলী সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ
এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমুহের বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোন পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।

"রাষ্টধর্ম ইসলাম " এটা প্রথম বিভাগ প্রজাতন্ত্র (অনুচ্ছেদ নং ০১-০৭) এর অন্তর্ভুক্ত।
অতএব কাভজাব বন্ধ করে, নিজের কাজে মন দিন।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০১

পাখির চোখে বিশ্ব দেখি বলেছেন: রাষ্ট্র ভাষা এবং রাষ্ট্র ধর্ম ............
সংবিধানের প্রথম ভাগের ৩ নম্বর ধারা বলা হয়েছে-
”৩৷ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা৷ ”
এবং ৬ নম্বর ধারা নাগরিকত্ব। সেখানের স্পষ্ট বলা আছে,
“(২) বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।] ”
অথচ এদেশে সবাই বাঙালী নয় এবং সবার ভাষাও বাংলা নয়। এদেশে আছে একাধিক উপজাতী এবং তাদের ভাষাও আলাদা। একটা রাষ্ট্রের বৃহত্তর জনগোষ্ঠার ভাষা ও জাতীয়তা অনুসারে ঐদেশের জাতীয়তা ও ভাষা নির্ধারন হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই জাতি হিসাবে বাঙালী ও ভাষা বাংলা করা হয়েছে।
তেমনি বৃহত্তর জনগোষ্ঠার স্বার্থে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়েছে।
সংবিধান অনুসারে -
“ ১[ ২ক। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন] ”
এখানে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানকে বাদ দেওয়া হয় নাই; তাদেরও সম্মান করা হয়েছে। অথচ এই বিষয়টা নিয়ে অনেকের দুশ্চিন্তা রয়েছে; না জানি অন্যান্য ধর্ম পালন বাধাগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে মুসলিম নামধারি কিছু মুনাফিক-ও আছে।
রাষ্ট্রে সমস্যার শেষ নেই, কিন্তু তাদের সব সমস্যা ইসলাম নিয়ে। লেজকাটা শৃগাল ও শয়তানের মত, আমি মরছি তোদেরও মারব।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: আমি ভাষা আর ধর্ম কে একভাবে ঘুলাতে চাই না। তবে আপনার কথাতে যুক্তি আছে।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

হোয়াইট লায়ন বলেছেন:
৭ ধারা খ।সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে (উপরের অনুচ্ছেদের কথা বলছি )যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলী সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ
এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমুহের বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোন পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হইবে।


এই ১৪২ নং অনুচ্ছেদ কি যখন 'রাষ্ট্র ধর্ম হবে ইসলাম' অংশটুকু সংবিধান সংশধনের মাধ্যমে ঢুকানো হয় তখন বলবত ছিল না? সেটা কিন্তু তখনও বলবত ছিল এবং তারপরেও আপনার কথামত তা অপরিবর্তনীয় প্রথম অনুচ্ছেদেই ঢোকানো হয়েছিল। তাহলে সে সংশোধনটাই তো অসাংবিধানিক ছিল এবং তাই তা এমনিতেই বাতিল বলে গণ্য হবার কথা আইন কিংবা সংবিধানের দৃষ্টিতে। তাই না?

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সাংবিধানিক নিয়মে তা সম্ভব না। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমরা মানুষ। কোন গোষ্ঠী কিংবা দল যদি সেচ্ছায় স্বপ্রনোদিত হয়ে পরিবতর্নের জন্য উঠে পড়ে লাগে তবে সবই পরিবতর্ন যোগ্য। আমি শুু সাংবিধানিক নিয়মটাই তুলে ধরেছি।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

হোয়াইট লায়ন বলেছেন: জ্বী, আমিও কেবল আপনার বলা সাংবিধানিক ধারাটা দিয়েই কেন সেই সময়ে ঢুকানো এই অংশটুকু অসাংবিধানিক ছিল তাই তুলে ধরলাম। যেটা অসাংবিধানিকভাবে ঢুকানো হয়েছিল তা এমনিতেই আদালত বাদ দিতে বাধ্য। আশা করি, এর বাইরে আপনাকে বোঝানোর মত আর কিছু নেই। বুঝেছেনও কি বলতে চেয়েছি।

এটা গোষ্ঠী দলের হাতে নেই। সংবিধানের চুড়ান্ত এবং সবাই মানতে বাধ্য এমন ব্যাখ্যা দিতে পারে সুপ্রীম কোর্ট, কোন সরকার কিংবা সংসদীয় কমিটি নয়। এটা তাই আদালতের হাতেই থাকুক।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ঐ সময়ে এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চেয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত এটা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ চায়। সাধারণ নলেজে চিন্তা করুন " গনতন্ত্র" জিনিসটা কী? সংসদ নেতা কিংবা প্রধানমন্ত্রী কিভাবে হয়? সবই কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার মতেই। তবে কেন রাষ্ট্রধর্ম ধর্মনিরপেক্ষ হবে সংখ্যালঘু আর ভিত্তিহীন কিছু যুক্তির কারণে?

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

হোয়াইট লায়ন বলেছেন: সংবিধানের ভিত্তিতে আপনার দাবী যে অযৌক্তিক তা হয়তো বোঝাতে পেরেছি আপনার উল্লেখিত ধারা দিয়েই।

আপনি কি জানেন কত সালে এবং কোন সরকার রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম কথাটা ঢুকিয়ে দেয়?

ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয় এবং এটা একটি নীতি যার মাধ্যমে সকল ধর্মের মানুষ সমান এবং প্রভাবমুক্ত স্বাধীনতা পায় নিজ ধরর পালনের। দেশ ভাগের সময় ধর্মের ভিত্তিতে বহুদুরের দুটি অংশকে একসাথে বেধে দেয়া হয়। পরবর্তীতে জাতিসত্ত্বা এবং সংস্কৃতিগত পার্থক্য প্রকট হলে সেই রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়। আমরা আলাদা হয়ে যাই। এখন আবার সেই একই জিনিসকে টেনে আনা কোন যুক্তিতে ঠিক হবে সেটাই বলেন। গনতন্ত্রের ভিত্তি কিন্তু কোনভাবেই ধর্ম নয়। রাষ্ট্রের সাথে ধর্ম জুড়ে না দিলে কোন নাগরিকের কি ক্ষতি হবে এটা একটু বলবেন কি?

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: "১৯৮৮ সালে তখনকার স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ৷
সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়৷ " এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমি দিই না কিন্তু আপনার জন্যই দিলাম।
আপনি বলছেন " রাষ্ট্রের সাথে ধর্ম জুড়ে না দিলে কোন নাগরিকের কি ক্ষতি হবে এটা একটু বলবেন কি? " এখন আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি " রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম " থাকলে নাগরিক কিংবা রাষ্ট্রের কি ক্ষতি হবে তা কি একটু বলবেন?
আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, পৃথিবীতে প্রথম কি রাষ্ট্রের জম্ম হয়েছে নাকি ধর্মের? মানুষ রাষ্ট্র তৈরি করেছে আর ধর্ম মানুষকে পরিচালিত করে কিংবা মানুষ ধর্মীয় রীতি নীতির মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে। যেহেতু মানুষ রাষ্ট্র তৈরি করে সেহেতু মানুষ রাষ্ট্রের মধ্যেও তার ধর্মীয় রীতি নীতির প্রতিফলন দেখতে চায়। আর তাই রাষ্ট্রের ধর্মীয় পরিচয়ের প্রয়োজন।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

মোঃ আলামিন বলেছেন: লীগ সবি বোঝে কিন্তু তাল গাছ টা তাদের ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগের রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

বিজন রয় বলেছেন: সুসংবাদ।

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সবার জন্যই সুসংবাদ।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২২

আকদেনিজ বলেছেন: লেখাটা খুবই ভাল লাগল।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগের রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনগণের জয় আবারও হল।
আপনার লেখার প্রাসঙ্গিক আমার একটি লেখা----http://www.somewhereinblog.net/blog/akdeniz/30120779 পড়ে দেখার আহ্বান রইল।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৪

আকদেনিজ বলেছেন: ্লিংক দেয়ার আবারো চেষ্টা ----http://www.somewhereinblog.net/blog/akdeniz/30120779

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সুন্দর লেখা। আমি আগেই পড়েছি লেখাটি।

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রামানিক ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.