নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ সোহাগ (A sinner slave of Allah) 2. সভ্যতার অসংগতি তুলে ধরার চেষ্ঠা করি ।\n

স্বপ্নবাজ তরী

প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক

স্বপ্নবাজ তরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ:: আয়নাবাজিঃ জীবনবোধের ইতিকথা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৩

আমাদেরকে কেউ যদি জিজ্ঞাস করে, কেমন আছো? শত দুঃখে থাকলেও ভেকটি মাছের মত দাঁত বের করে নির্ভেজাল মিথ্যা টা বলি, ভালো আছি।এই ভালো থাকার তাগিদে আমরা যে প্রতিনিয়ত যে হাজার মানুষ হাজারো ধরনের অভিনয় করে যাচ্ছি তারই একটা প্রশিক্ষন মাত্র দেখানো হয়েছে আয়নাসাহেবের অায়নাবাজি ছবিতে। আয়না সাহেব একা মানুষ, তার মা নেই, বাবা নেই, ভাই বোনও না। বিয়েও করেন নি। একা একজন মাত্র মানুষ। এমন একজন পিছুটানবিহীন মানুষ কেন?সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য অন্যের হয়ে জেল খাটবে, পুলিশের পিটুনি খাচ্ছে। আরে পাগলা! টাকাই সব না বরং এখানেই জীবনবোধ। নিজেকে ভুলে থাকার চেষ্টা মাত্র। আয়না সাহেব মূলত প্রতিনিয়ত অন্যের চরিত্র নকল করার মাধ্যমে নিজের অতীত, নিঃসঙ্গতা, জীবনযুদ্ধে মা বাবাকে হারানোর কষ্টকে ভুলে থাকতে চেয়েছে। আয়না সাহেবের অট্টহাসি শুধু একটা নিছক অট্টহাসি না,ভালো করে অনুভব করলে আপনি সেখানে একবুক চাপা কান্নার অাওয়াজও শুনতে পাবেন।
ছবির মূল থিমটা ফুটে উঠে মুলত শেষ পর্য়ায়ে কনেস্টেবল বুলু আর আয়নার কথোপকথনে। যেখানে বুলু সাহেব নিজের অতীত ভুলতে আয়নার আয়নাবাজিতে পা দেয়।
আমরা যতটা নিজের দ্বারা প্রভাবিত হই তার চেয়ে বেশি প্রভাবিত হই অন্যের ( বিশেষত বিপরীত লিঙ্গ) দ্বারা। আয়না সাহেবও হৃদির ভালোবাসা দ্বারা প্রভাবিত হয়। নতুন করে বাঁচতে চায়। এতদিন সে অন্যের অনুকর অভিনয় দ্বারা নিজের কষ্টের অতীতকে ভূলতে চেয়েছে আর এখন হৃদির ভালোবাসা।
আপনি ছবিটার কাহিনীকে অন্যভাবেও তুলে ধরতে পারবেন সেটা হলো, অপরাধীরা জেলে না বরং বাহিরেই থাকে। আমার কাছে মনে হয় উপরের থিমটা মুলত খোলস আর ভেতরটা জীবনবোধেরই গল্প। কারণ আয়না বহু অপরাধীর হয়ে জেল খেটেছে এবং বহুটাকাও সেই আয় করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে এমনটা কিন্তু দেখা যায়না। বরং সে তার মাকে হারানোর দুঃখ ভূলতেই প্রতিনিয়ত অভিনয় না বরং বাস্তব জীবনে অন্যের চরিত্রে অভিনয়ে করে যাচ্ছে একটা নেশার মতো।
বহুজ্ঞান দিয়ে দিলাম। এবার অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে কিছু বলি। পুরা গল্পটা কে মুলত চঞ্চল, নাবিলা আর পার্থ বড়ুয়া। এই তিনজনই এগিয়ে নিয়েছে। প্রথমত চঞ্চল আর পার্থ বড়ুয়ার অভিনয়ে আপনি কোন খুঁত পাবেন না। হৃদির চরিত্রটা সাবলীল (তবে পুরান ঢাকার মেয়েরা কি উড়না ছাড়া চলে এই ব্যপারটাই হয়ত বেমানান মনে হতে পারে।) এই ছবির সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো এর সংলাপ। নিখুঁত সংলাপ আপনাকে হাসাবে। মাঝে মাঝে আপনাকে স্তব্দ করে দিবে। গান, দৃশ্যধারণ সবই ভালো হয়েছে।
শেষ করতে চাই একটা সংলাপ দিয়ে
"চারপাশ বদলে যায়
থেমে যায় সময়
মিথ্যা তখন সত্যি হয়
সবার জন্যে সব সত্যি
আর আমার জন্যে অভিনয়"

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মুভি সম্পর্কে আরো কিছু ডিটেইলস থাকলে আরো ভাল হতো।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ভালো লেগেছে রিভিউ

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অল্প কথায়ই দারুণ উপস্থাপন! তবে স্পয়লার এলার্ট দিলে ভাল হত।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫৬

মি. বিকেল বলেছেন: ছোট করে ফেলেছেন, আরো অনেক কিছু লিখা যেত।যাইহোক ভালোলেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.