![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিনিয়ত সৎ থাকার চেষ্টার যুদ্ধে লিপ্ত একসৈনিক
এমপিও শিক্ষক শব্দটা একই সাথে কলঙ্ক এবং বৈষম্যের অপর নাম। রাষ্ট্রীয় শোষণের পাশাপাশি কমিটি নামক রাক্ষস শিক্ষকদের ঘাড়ে বসিয়ে শিক্ষকদের রক্ত শোষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সর্ববৃহৎ শিক্ষক জনগোষ্ঠী যারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাকে এগিয়ে নিযে যাচ্ছে। তাদেরকে দিনের পর দিন এমপিও নামক শব্দের মাধ্যমে ছাপিয়ে দিয়েছে অভাব, বঞ্চনা। কেড়ে নিয়েছে এমপিও শিক্ষকদের উৎসব করার অধিকার, মানসম্মত বাসস্থানের অধিকার, চিকিৎসার অধিকার। বেতনের পরিবর্তন অনুদান নামক শব্দের মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছে সামাজিক মর্যাদা। একজন সচিব শুধু বাবুর্চি ও নিরাপত্তা প্রহরী বাবদ ৩২,০০০ টাকা ভাতা পান (একজন বাবুর্চি ১৬, ০০০ + একজন নিরাপত্তা প্রহরী ১৬,০০০)। অথচ, এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুলের/মাদ্রাসা একজন সহকারী শিক্ষকের বেতন ১২,৫০০ টাকা (বি.এড ডিগ্রি না থাকলে)। উৎসব ভাতা পায় ২৫পার্সেন্ট =৩১২৫/- টাকা। এমপিওভুক্ত স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকের চেয়ে সচিবের সার্ভেন্টের মর্যাদা বেশি? একজন সচিব মাসিক টেলিফোন বিল বাবদ মাসিক ২৮০০ টাকা নগদায়ন ছাড়াও মোবাইল বা সেলফোন বিল বাবদ ১,৫০০ টাকা প্রাপ্ত হন। আর সেখানে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার একজন শিক্ষক মাসিক বাসা ভাড়া বাবদ মাত্র ১ হাজার টাকা প্রাপ্ত হন। এই রাষ্ট্রের শিক্ষক নয়, সার্ভেন্ট দরকার, দরকার ভালো মানের বাবুচি যাতে কর্তা ব্যক্তিরা সুস্বাদু খাবার খেতে পারে। তাই শিক্ষকতার পেশার চেয়ে এদেশে তৃতীয় শ্রেণীর চাকুরি সামাজিকভাবে অধিক জনপ্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় অনুদান এবং কলেজকর্তৃক আয় থেকে যেখানে শিক্ষকরা তুলনামূলক ভালো থাকার কথা সেখানে কলেজের আয় কমিটি নামক রাক্ষসরা খেয়ে বসে থাকে, বঞ্চিত করে শিক্ষকদের। এসব দেখার কথা যেসকল কর্তা ব্যক্তিদের তারাও দিনশেষে হাত মেলায় কমিটির সাথে। সরকারের উচিত কলেজের আয়ে সরাসরি ভাগ বসানো এবং সেই আয় থেকেই শিক্ষকদের অন্যান্য ভাতার ব্যবস্থা করা।
বৈষম্য নিপাত যাক, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: ঘটনা সত্য। বিগত ফ্যাসিস্ট এই কাজনকরে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩১
অধীতি বলেছেন: খবরে দেখলাম এমপিও শিক্ষকদের ৮ হাজার কোটি টাকা লোপাট। মরার উপর খাঁড়ার ঘা।