![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“মুক্তি যুদ্ধে আত্মসমর্পন ভারতীয় বাহিনীর কাছে! বাংলাদেশের কাছেই কেন নয়??”
(বিঃদ্রঃ খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি লেখা। জানার জন্য পড়তে পারেন। আজ সারা রাত জেগে লেখাটা তৈরি করলাম। )
লেখক-মোঃ সানোয়ার হোসেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের বীর বাঙ্গালী জাতীর কাছে আমরা নতুন প্রজন্ম ঋণী হয়ে থাকব হাজার বছর। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা আমরা নতুন প্রজন্ম ভোগ করব হাজার বছর ধরে।
১৯৭১সালের ২৫শে মার্চের কালো রাত্রীর কথা আমরা সবাই জানি। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধগুলো ছিল পরিকল্পনাহীন ও অপ্রস্তুত। ২৬মে মার্চ সারা দেশে প্রতিরোধ শুরু হয় এবং এপ্রিলের শুরুতেই প্রবাসী সরকার গঠিত হয়। কিন্তু অস্ত্রপ্রাপতি ও প্রশিক্ষণ - এই দুই কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই পরিকল্পিত রূপ পেতে পেতে জুন মাস পার হয়ে যায়। ১১ জুলাই বাংলাদেশের সামরিক কমান্ড তৈরি করা হয়। যুদ্ধের কমান্ডো বাহিনী তৈরি করা হয় পূর্বপাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় কমান্ড বাহিনী। আর এই কমান্ড বাহিনীয় মূল যুদ্ধের পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ ও সম্মুখ যুদ্ধের নেত্রীত্ত দিয়েছিল শেষ পর্যন্ত।
দেখে নেয়া যাক যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমান্ড বাহিনীর পদবী ও কার কী দ্বায়ীত্ব ছিলো ১৯৭১ এ যুদ্ধ পরিচালনার জন্য_
০১। এম এ জী ওসমানী (কমান্ড ইন চিফ-বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক)
০২। লেফট্যানেন্ট কর্ণেল আবদুর রব (চিফ অফ আর্মি স্টাফ )
০৩। গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার (ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ ও চিফ অফ এয়ার ফোর্স)
০৪। মেজর জিয়াউর রহমান (সেকেন্ড ইন কমান্ড, ১ নং সেক্টর কমান্ডের দ্বায়ীত্ব পালন করেন জুন-জুলাই পর্যন্ত)
০৫। মেজর রফিকুল ইসলাম (২ নং সেক্টর কমান্ডার জুন-ডিসেম্বর পর্যন্ত)
০৬। মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর),মেজর এ.টি.এম. হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) দুজনই পালাক্রমে ৩ নং সেক্টরের দ্বায়ীত্বে ছিলেন।
০৭। মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর), মেজর এ.এন.এম. নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) ৪ নং সেক্টর কমান্ডার।
০৮। মেজর সি.আর. দত্ত ৫নং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল মীর শওকত আলী দ্বায়ীত্ব পালন করেন।
০৯। ৬নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার এম.কে. বাশার।
১০। ৭নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী নুরুজ্জামান। এভাবে ৮ নমগ সেক্টরে মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও মেজর এম.এ. মনজুর। ৯ নং সেক্টরে মেজর এম.এ. জলিল ও মেজর জয়নুল আবেদীন। ১০নং সেক্টর কোনো আঞ্চলিক সীমানা নেই। নৌবাহিনীর কমান্ডো দ্বারা গঠিত। শত্রুপক্ষের নৌযান ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হত।
১১। এই ১১ নং সেক্টরে আবারো মেজর জিয়াউর রহমান জুলাই থেকে ডিসেম্বারের ২২ তারিখ পর্যন্ত দ্বায়ীত্ব পালন করেন। অর্থাৎ কমান্ডো বাহিনীর সবার চেয়ে মেজর জিয়াউর রহমান একটু বেশিই দ্বায়ীত্ব পালন করেছিলেন।
এছাড়াও টাঙ্গাইল সেক্টর সমগ্র টাঙ্গাইল জেলা ছাড়াও ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার অংশ কাদের সিদ্দিকী। আকাশপথ বাংলাদেশের সমগ্র আকাশসীমা গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকার দ্বায়ীত্ব পালন করেন। সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করার জন্যে তিনটি ব্রিগেড (১১ ব্যাটালিয়ন) তৈরি করা হয়। এছাড়াও প্রায় ১,০০০ মুক্তিযোদ্ধাকে গেরিলা প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের ভেতরে নিয়মিত বিভিন্ন অপারেশনে পাঠানো হতো। আগস্ট মাস থেকে শুরু হয় ইতিহাসিক হামলা, ইতিহাসে এ হামলা অপারেশন জ্যাকপট নামে পরিচিত। অর্থাৎ সাধারণ মুক্তিবাহিনীকে এই কমান্ডো বাহিনীই অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের নেত্রীত্তেই যুদ্ধে পাঠানো হতো। কোন সাধারণ মানুষ একা কখনোই যুদ্ধ করেনি। ২৬শে মার্চ থেকে শুরু করে ৩ ডিসেম্বার পর্যন্ত বাংলাদেশের এই কমান্ডো বাহিনীয় নিরলস পরিশ্রম ও আত্বত্যাগের মধ্যদিয়ে টানা ৮মাস কারো সাহায্য ছাড়াই যুদ্ধ পরিচালনা করল। যখন ১ডিসেম্বার পাকিস্তান সরকার জাতীসংঘে অভিযোগ করে যে ভারতীয় বাহিনী আক্রমন করেছে তখনই ভারতীয় সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষনা দেয়। আর ৩ ডিসেম্বার থেকে ভারতীয় বাহিনী আনুষ্ঠানিক হামলা করতে থাকে। ১৬ই ডিসেম্বার গিয়ে নিয়াজী বাহিনী ভারতের মিত্র বাহিনীর সিফ অরোরার কাছে আত্মসমর্পন করে।
এতক্ষণ এই সব ইতিহাস বলার একটাই উদ্দেশ্য সেটা হলো এম এ জী ওসমানীর নেত্রীত্তে প্রায় ৯ মাস যুদ্ধ করার পর কেন মাত্র ১৩ দিনের হামলার কারণে ভারতীয় বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনি আত্মসমর্পন করল? সেখানে কি বাংলাদেশী কোন কমান্ডার বা ওসমানী নিজে ছিলেন না?? এখনো ভারত –পাকিস্তানিরা ৭১ কে পাক-ভারত যুদ্ধই বলে, মূলত কাগজ কলেমে তো তাই বলে। আমরা বাংলাদেশীরা শুধু শুধু চুল্লাচিল্লি করি আর কি…
নিচের ছবিতে যা- (পাকিস্তানী ইস্টার্ন কমান্ড সেনাবাহিনীর কমান্ডার, লে জেনারেল এ.এ.কে নিয়াজি, ভারত ও বাংলাদেশ বাহিনীর চীফ, অফিসার পূর্ব থিয়েটার, লে জেনারেল জগজিৎ সিং অররার সামনে আত্মসমর্পনের নির্দশনপত্রে স্বাক্ষর করছেন, ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১)
২| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৫৭
তপ্ত সীসা বলেছেন: সারেন্ডারের এগ্রিমেন্টটা পড়ছেন তো ভায়া? ভারত আর বাংলাদেশের যৌথ কমান্ড এর কথা বলা আছে। আর সিনিয়র হিসেবে আরোরা সাহেব সাইন করছেন, সমস্যা কই? দেশ কি স্বাধীন হয়নাই? ইতিহাসের রেপ কইরোনা
৩| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ২:৫৭
প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: " অর্থাৎ কমান্ডো বাহিনীর সবার চেয়ে মেজর জিয়াউর রহমান একটু বেশিই দ্বায়ীত্ব পালন করেছিলেন।" কমান্ডো বাহিনী কি বুঝেন ??????? আর কমান্ডো বাহিনী পরিচালনা করতে কমান্ডো হতে হয় , জিয়া কমান্ডো ছিল না , সাধারন ক্যাটাগরির অফিসার ছিল , সে ছিল পদাতিক ইউনিটের । যাই হোক না জেনে ভুয়া খবর ছড়াবেন নাহ ।
সাধারণ মুক্তিবাহিনীকে এই কমান্ডো বাহিনীই অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের নেত্রীত্তেই যুদ্ধে পাঠানো হতো। প্রথমত জিয়ার কমান্ডে কোন কমান্ডো বাহিনী ছিল না, আর প্রশিক্ষন দেয়া হত ভারতিয় সেনাবাহিনির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে , তাই জিয়ার নেতৃতে প্রশিক্ষন এটা ভুয়া খবর ।
টানা ৮মাস কারো সাহায্য ছাড়াই যুদ্ধ পরিচালনা করল এটা অসিকার করার উপায় নেই যে ভারত এবং রাশিয়ার সামরিক সহায়তা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ সম্ভব ছিল না , তাই "টানা ৮মাস কারো সাহায্য ছাড়াই যুদ্ধ পরিচালনা করল " এইসব ভুয়া খবর কই থেকে পান ?????????
"ডিসেম্বারের ২২ তারিখ পর্যন্ত দ্বায়ীত্ব পালন করেন। অর্থাৎ কমান্ডো বাহিনীর সবার চেয়ে মেজর জিয়াউর রহমান একটু বেশিই দ্বায়ীত্ব পালন করেছিলেন।" প এই ভুয়া খবর কই থেকে উদয় হইল ?????? সব কমান্ডারই যতদিন প্রয়োজন দায়িতব পালন করেছেন অনেকে জানুয়ারি পর্যন্ত , তাই জিয়া বেশি কাজ করছে এটা ভাই রাজনৈতিক মাথের খবর , ব্লগে ল্যদান কেন ???? জিয়ার চামচামি টা ভালই করছেন ভায়া ।
এবার আসি আসল কোথায় বাংলাদেশ ২৬শে মার্চ ১৯৭১ থেকেই স্বাধীন , আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি "বাংলাদেশ " হিসেবে পাকিস্তান সেনাভিনিকে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে হটিয়ে আমাদের দেশ মুক্ত করার জন্য , এই জন্য রুপক অর্থে স্বাধীনতা যুদ্ধ হলেও আসলে ছিল মুক্তিযুদ্ধ , এই জন্য যুদ্ধ হয়েছে ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বের এর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে আর ভারত সহায়তা করেছে ।
৩রা ডিসেম্বের পাকিস্তান আগে ভারতে আক্রমন করে যুদ্ধটাকে পকিস্তান বনাম ভারত বানানোর জন্য , কারণ বাংলাদেশ ২৬শে মার্চ স্বাধীন হলেও পাকিস্তান সেটা স্বীকার করে নাই , তারা মুক্তিযুদ্ধকে আঞ্চলিক বিদ্রোহ বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল । কিন্তু ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া শুরু করে , এটা আগে টের পেয়ে পাকিস্তান উদ্দেশ্য মুল্ক ভাবে ৩রা ডিসেম্বর ভারত আক্রমন করলে ভারত সরাসরি যুদ্ধে জড়ায় , তখন যুদ্ধ রুপ নেয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত , কিন্তু এক পক্ষে থাকে বাংলাদেশ এবং ভারত এবং অপরপক্ষে থাকে পাকিস্তান । যুদ্ধে বাংলাদেশ ভারত মিত্রবাহিনী হিসেবে একসাথে যুদ্ধ করে ।
১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ঢাকায় বাংলাদেশ এর কাছে আতসমর্পন করে , বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় সরকারের স্মমিলিত নির্দেশে বাংলাদেশ ভারত মিত্রবাহিনী আতসমর্পন অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। তাই পাকিস্তান আত্নসমর্পন করে বাংলাদেশের কাছে , আপনার দাবি করা " ভারতীয় বাহিনীর কাছে" নয় , জিয়ার চামচামি করেন ভাল কথা , কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ভুয়া কথা ছড়াবেন নাহ ।
আত্নসমর্পন অনুষ্ঠানে লে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা বাংলাদেশ ভারত মিত্র বাহিনী এর পক্ষে আবং নিয়াজি পাকিস্তান বাহিনির পক্ষে সই করেন । এটা আনুষ্ঠানিকতা । লে.কর্নেল এম এ জি ওসমানী ছিলে সশস্ত্রবাহিনির সর্বাধিনায়ক , তাই উনি সেনাবাহিনী প্রটোকল অনুযায়ী সমপদমর্যাদার কোন অফিসার না থাকলে সরাসরি কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেন না , আত্নসমর্পন অনুষ্ঠানে কোন বাহিনির প্রধান থাকেন না , প্রধানদের পক্ষে অধঃতন কর্মকর্তা থাকেন । এই জন্য আত্নসমর্পন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভারত মিত্রবাহিনির পক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার এবং ভারত থেকে লে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আর পাকিস্তান থেকে নিয়াজি , ভাল করে লক্ষ্য করুন কোন দেশেরই সেনাপ্রধান ছিলেন না , তারা প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন
আর গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার থেকে সামরিক র্য্যঙ্কিং এবং সিনিয়রিটি এর দিক থেকে এগিয়ে থাকায় মিত্রবাহিনীর পক্ষে সাক্ষর করেন লে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ,এটাও সামরিক প্রটোকল , মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনিতে লে.কর্নেল এম এ জি ওসমানী নিচে এবং লে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা'র র্যঙ্কিং উপরে কেউ ছিল না
পরিশেষে একটা কথাই বলি ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আত্নসমর্পন করে বাংলাদেশের কাছে , আর সামরিক প্রটোকল এর কারণে শুধু সই করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন লে জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ।
অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী , না জেনে কথা বলবেন না ।
"এখনো ভারত –পাকিস্তানিরা ৭১ কে পাক-ভারত যুদ্ধই বলে, মূলত কাগজ কলেমে তো তাই বলে।" কিছু মাদারচদ ভারতিয় আবং পাকিস্তানিরা এসব বলে , এইটা অদের জন্মগত সমস্যা , কিন্তু কাগজে কলমে এবং বাস্তবতায় যুদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এর মধ্যে , শেষ দিকে ত্রিমুখি যুদ্ধ শুরু হলে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেয় ।
৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:০৭
তপ্ত সীসা বলেছেন: উপরে এক ছুপা ছাগু কাম হাম্বা কমেন্ট দিছে। যার নাম ছাম্বা পুঙ্গায়ভাস। ওর মুখ কেউ পাকি জারজ ওয়ামীর পশ্চাদদেশে ঢুকাইয়া দ্যাও।
৫| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:১৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন:
Instrument of Surrender
The PAKISTAN Eastern Command agree to surrender all PAKISTAN Armed Forces in BANGLA DESH to Lieutenant-General JAGJIT SINGH AURORA, General Officer Commanding in Chief of Indian and BANGLA DESH forces in the Eastern Theater. This surrender includes all PAKISTAN land, air and naval forces as also all para-military forces and civil armed forces. These forces will lay down their arms and surrender at the places where they are currently located to the nearest regular troops under the command of Lieutenant-General JAGJIT SINGH AURORA.
The PAKISTAN Eastern Command shall come under the orders of Lieutenant-General JAGJIT SINGH AURORA as soon as the instrument has been signed. Disobedience of orders will be regarded as a breach of the surrender terms and will be dealt with in accordance with the accepted laws and usages of war. The decision of Lieutenant-General JAGJIT SINGH AURORA will be final, should any doubt arise as to the meaning of interpretation of the surrender terms.
Lieutenant JAGJIT SINGH AURORA gives a solemn assurance that personnel who surrender shall be treated with dignity and respect that soldiers are entitled to in accordance with provisions of the GENEVA Convention and guarantees the safety and well-being of all PAKISTAN military and para-military forces who surrender. Protection will be provided to foreign nationals, ethnic minorities and personnel of WEST PAKISTANI origin by the forces under the command of Lieutenant-General JAGJIT SINGH AURORA.
(JAGJIT SINGH AURORA)
Lieutenant-General
General Officer Commanding in Chief
India and BANGLA DESH Forces in the
Eastern Theatre
16 December 1971
(AMIR ABDULLAH KHAN NIAZI)
Lieutenant-General
Martial Law Administrator Zone B and
Commander Eastern Command
(Pakistan)
16 December 1971
পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিলটা ভালো মত পড়ে দেখুন। সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানিরা। সেখানে কোথাও ভারতের কাছে আত্মসমর্পণের কথা নেই। বাংলাদেশের পক্ষে এই অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করেন মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (এয়ার ভাইস মার্শাল) একে খন্দকার। আরো উপস্থিত ছিলেন ২ নং সেক্টর (ঢাকা) কমান্ডার এ টি এম হায়দার ।
এবার আসা যাক সরাসরি বাংলাদেশি মুক্তি বাহিনীর কাছে কেন আত্মসমর্পণ করেনি সেই প্রসঙ্গে। যুদ্ধ বন্দীদের জেনেভা কনভেনশান অনুযায়ী নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। তখন সেই সময়ে বাংলাদেশ জেনেভা কনভেনশানে সাক্ষর করে নি। পাকিস্তানিরা যদি বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করত, এবং মুক্তিবাহিনী যদি প্রতিশোধমূলক হত্যা চালাত তাহলে আন্তর্জাতিক আইন বা জেনেভা কনভেনশন তাদের রক্ষা করতে পারবে না । অপর পক্ষে ভারত জেনেভা কনভেনশানে সাক্ষর করা দেশ। তাই নিরাপত্তার খাতিরে পাকিস্তানিদের দাবি ছিল ভারতের জেনারেলদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
৬| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:১৭
তপ্ত সীসা বলেছেন: ব্লগে এক ছুপা ছাগু কাম হাম্বার উদয় হইছে। যার নাম ছাম্বা পুঙ্গায়ভাস (প্রভাষ নহে)। ওর মুখ কেউ ওর পাকি জারজ সত ভাই ওয়ামীর পশ্চাদদেশে ঢুকাইয়া দ্যাও।
৭| ২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
মো: সানোয়ার হোসেন বলেছেন: এখানে একটা কথা না বললেই নয় যে আমি তথ্যগুলো গুগলে সার্চ দিয়ে উকিপিডিয়া থেকে ও আনিস সিদ্দকির ১৯৭২ এ প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের দলিল বই থেকে সংগ্রহ করেছি। অনেকেই বলেছেন যৌথবাহিনীর কথা, অথচ এই যৌথবাহিনী গঠিত হয় ৩শরা ডিসেম্বার১৯৭১ এ ভারত জাতিসঙ্ঘে প্রস্তাবনা পাশ করার মধ্যদিয়ে, উইকিপিডিয়া দেখে নিতে পারেন। দীর্ঘ ৮ মাস যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন ওসমানীর নেত্রীত্বে সেক্টর কমান্ডাররা, তারা বিভিন্ন ট্রেনিং প্রদান করে অপারেশন চালাতেন। দেখেনেইন উইকিপিডিয়া। গুগলে সার্চদিলেই পেয়ে যাবেন আশা করি। ধন্যবাদ সবাইকে সাথে থাকার জন্য।
৮| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ভাই ক্ষেমা দিয়েন, ভুল জায়গায় কমেন্ট করে ফেলছি। গুগলি আর উইকিপিডিয়ান ইতিহাসবিদদের ভুই পাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: কমন রাজাকারীয় প্রশ্ন........আরেকটা বাদ পড়ল যে শেখ স্বাধীনতা চায় নাই গোলাম আযম চেয়েছিল।