নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমাইতে গেলে যারা খালি এপাশ ওপাশ কাইত চিত হয় তারাই ব্যাচেলর।

ডাক্তার তো জানেনা যে তুমিই আমার হৃদরোগের কারন!

আমিই সোহেল

জীবনের মানেই খুঁজে পেলাম না।।

আমিই সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রত্যাশিত পাওয়া (দ্বিতীয় পর্ব)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

এবার নিজের কথা বলি। ছোঁয়াচে প্রেমময় পরিবেশে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আমি। আমাদের দরজার অপরপাশের ফ্ল্যাটের শুভ্র ভাইয়ের প্রেমে না পড়ে থাকি কি করে? শুভ্র ভাই তখন এস.এস.সি পরীক্ষার্থী। আমরা একে অপরের মা-বাবাকে খালা-খালু বলে ডাকি। দুই পরিবারের মধ্যে আত্নীয়ের মতো সম্পর্ক। পরিবেশ মোটামুটি ভালোই। কিন্তু শুভ্রভাই ছিলো রগচটা। সে আমাকে পাত্তাই দেয় না। কথায় কথায় সে আমাকে অপদস্থ করতো। একবার বলেছিলাম, ‘আমাকে মাঝেমধ্যে ইংরেজিটা দেখিয়ে দিবে?’ মুখের উপর বলেছিলো, ‘পারবো না। তোর একটুও মন নেই পড়ালেখায়, মনে নেই সেই ক্লাস ফাইভে…।।

ক্লাস ফাইভের বার্ষিক পরীক্ষায় আমি তিন বিষয়ে ফাইল করেছিলাম। অনেক বকা-ঝকা করে প্রধান শিক্ষক সেবারের মতো প্রমোশন দিয়েছিলেন। তারপর আর কখনো এমনটা হয় নাই, কিন্তু কথায় কথায় সেই ক্লাস ফাইভ তুলে আমাকে অপমান করতে ভুলতো না শুভ্র ভাই। কিন্তু ছোঁয়াচে প্রেমের রোগটা যে আমার পুরো শরীরে মিশে গেছে।

এটা হলো আমার প্রেমে না পড়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। প্রথম প্রেমের দুঃসহ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি আর ওই পথে পা বাড়াই নাই। এর মধ্যে আমার বাবা চাকরি ছেড়ে নতুন একটা চাকরিতে গেলেন। সেই সাথে ছোটরা কোয়ার্টার ছেড়ে চলে এলাম। অন্যদিকে শুভ্র ভাইয়ের বাবা ট্রান্সফার হয়ে চলে গেলেন খুলনায়।
কিছুদিন পর শুনলাম শুভ্রভাই পড়াশুনার জন্যে বিদেশে চলে গেছেন এবং সেইসাথে আপদ দূর হয়েছে বলে আমি শুকরিয়া আদায় করলাম।

কিন্তু আপদ তো আর এতো সহজে ছাড়ে না। এখন ‘কেমিস্ট্রিতে’ পড়ছি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ক্লাস ফাইভের ছাত্রীটিকে তো আজো ভুলতে পারছি না। প্রাণপ্রিয় শুভ্র ভাইকেও মুছতে পারছি না মন থেকে। কখনো আমার সাথে ভালো ব্যবহার করতো না, শুধু ছোটরা কোয়ার্টার ছেড়ে চলে আসার সময় কথা প্রসঙ্গে সেই যে বলেছিলো, ‘তোকে খুব মিস করবো রে মুনা’ (আমার ডাক নাম মুনা)। সেই কথাটা এখনো আমার কানে রিমাইন্ডারের মতো বাজতে থাকে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর...।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৩

খেলাঘর বলেছেন:

দেশের মুরগীতে হরমোন বেশী, মুরগীর ডিম ও মাংস কম খাবেন।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

আমিই সোহেল বলেছেন: হেহ হেহ।
কিন্তু মুরগির টপিক আসলো কোথার থেকে?

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১১

খেলাঘর বলেছেন:



হরমোন কম বয়সে প্রেমমুখী করে তোলে, মুরগীতে হরমোন বেশী।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

আমিই সোহেল বলেছেন: বুঝতে পেরেছি :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.