নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুমাইতে গেলে যারা খালি এপাশ ওপাশ কাইত চিত হয় তারাই ব্যাচেলর।

ডাক্তার তো জানেনা যে তুমিই আমার হৃদরোগের কারন!

আমিই সোহেল

জীবনের মানেই খুঁজে পেলাম না।।

আমিই সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার নীল প্রদীপ

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

ছোটবেলায় স্কুল,স্যার এর বাসা- এই ছিলো আমার লাইফ। ক্লাস নাইনে এক স্যারের বাসায় আমরা অনেক ছেলে-মেয়ে পড়তাম একসাথে। আমাদের সাথে শুভ্র নামের একটা ছেলে পড়তো। খুব ভালো ছাত্র ছিলো সে। কারো সাথে কথা বলতো না,খুব চুপ-চাপ আর লাজুক টাইপের ছিলো। আমি আম্মুর সাথে যেতাম,কারো সাথে কথা বলতাম না তেমন। প্রতিদিন স্কুল বাস থেকে নেমে বুয়ার সাথে চলে আসতাম বাসায়।
একদিন আমার বান্ধুবি পিউলি বল্লো,'মুনা দেখো,শুভ্র প্রতিদিন এখানে এসে দাড়িয়ে থাকে,তুমি চলে গেলে সেও চলে যায়।'
আমি চলে গেলে সে যায় এটা তোমাকে কে বল্লো?
পিউলি বল্লো,'আমি জানি।'
একদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছে,বাস থেকে নামতে দেখি শুভ্র এক কোনায় দাড়িয়ে আছে। জানি না কেমন যেনো লাগলো। পরীক্ষা শেষ,স্কুল বন্ধ। স্যারের বাসায়ও আর যাওয়া হয় না। কোন ফাঁকে এসে গেলো ভ্যালেন্টাইনস ডে। জানি না,জানার প্রয়োজন ও মনে করি নাই কখনো। হঠাত পিউলি এসে হাজির। আমাকে শুধু ত্রিশ মিনিটের জন্য ওর বাসায় নিতে চায়,যা কখনোই সম্ভব না। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে সে কিভাবে যেনো আম্মুর থেকে আধা ঘণ্টার অনুমতি নিয়ে নিলো। জীবনে এই প্রথম কোনো ফ্রেন্ডের সাথে বের হলাম। এই এক্সাইটমেন্টটুকু শেষ না হতেই সে নেমে পড়লো একটা নিরিবিলি জায়গায়। বল্লো,‘শুভ্র দাড়িয়ে আছে। কি একটা কথা নাকি তোমাকে বলতে চায়,এখানে দাড়াও।’ আমার পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো আমি পড়ে যাচ্ছি।
শুভ্র এগিয়ে এলো,হাতে দুইটা লাল গোলাপ নিয়ে। একটু কাছে এসে আস্তে করে বল্লো,‘যদি কিছু মনে না করো তবে এগুলো তোমার জন্যে।’ আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই ফুলগুলো পিউলির হাতে দিয়ে চলে গেলো।
হঠাৎ ঘুরে দাঁড়ালো সে। এই প্রথম দেখলাম ওকে। একটা মানুষ কি করে এতো সুন্দর হয়!
এই প্রথম দৃঢ় কণ্ঠে বল্লো- ‘আমাকে তো কেউ ভালবাসে না। তাই তোমার চোখে আমার জন্যে শুধু একটু ভালবাসা দেখতে চাই।’ বলেই যেনো অদৃশ্য হয়ে গেলো।
ফুলগুলো পিউলির কাছে রেখে আমি বাসায় চলে আসলাম। আর কখনো দেখা হয় নাই ওর সাথে। এস.এস.সি. এর রেসাল্টের দিন জানলাম,সেদিন ফেরার পথে শুভ্রের লাল রক্ত ভিজিয়ে দিয়েছে রাস্তার কালো পীচ। কথাটা জানার পর আমি এই পৃথিবীতে ছিলাম কিনা জানি না। মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সব আলো শেষ হয়ে গেছে।
এখন ভার্সিটিতে পড়ি। কতো মানুষ কতো কথা বলে। কারো কথা শুনি না,কারো দিকে তাকাই ও না,যদি কেউ শুভ্রের ভালবাসা দেখে ফেলে। শুধু রাতের আকাশের উজ্জ্বল চাঁদের পাশে দুইটি তারার মাঝে শুভ্রকে খুঁজি। আর চোখে টল-মল করে শুভ্রের জন্য সমুদ্রগভীর ভালবাসা।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.