নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঝরা পাতা

ঝরা পাতার ঝরা কথা...আসিতেছে শুভ দিন এই হল আগাম বার্ত.............।..।.........................।...................... ......

উড়াল পঙ্খী সজল

একা এক পাখি চলে যায় দিকবিদিক, খুঁজে ফিরে শান্তির আবাসন, নিরাপদ নগরি, বাঁচতে চায় আপন করে ........।আর পুরনো জঞ্জাল এ ভরা শহর টাকেও গড়তে চায় সবার মতো করে ......

উড়াল পঙ্খী সজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টি

২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

‘বৃষ্টি’



বৃষ্টি হচ্ছে । আকাশ কালো মেঘাচ্ছন্ন । বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টিকে আপন করে নিচ্ছে রিতু । দালানের ছাদগুলোতে ছেলেমেয়েরা ভিজছে । কিন্তু রিতু ভিজবে না । বছরখানেক হলো প্রকৃতির বৃষ্টিতে সে ভিজে না । তার জীবন নামক ডায়েরিতে কতগুলো গুরত্তপুরন অধ্যায়ের রচনা এই বৃষ্টির মাঝে । কোন এক বৃষ্টিস্নাত দিনে বাড়ির ছাদে শুভ’র সাথে তার পরিচয় । শুভ তার মনের মানুষ । আত্মার সাতকাহনে কেবল শুভ’র নামই লিখা ।





প্রায়……দুই বছর আগে,



মাকে রাজি করিয়ে ছাদে বৃষ্টিতে ভিজার জন্য রওনা হচ্ছে রিতু । যদিও বৃষ্টি শুরু হয় নি । মেঘের গুড়ুম গুড়ুম ধ্বনি মেঘরাজ্য থকে বৃষ্টির আগমন বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে যে বৃষ্টি আসছে । ছাদে আসতেই থ… , রিতু



‘আকাশ এখন মেঘলা…… যেও নাকো একলা…...............’ গানটা শুনে।

অদ্ভুত ভাবে কে যেন পরিবেশ টাকে আরো হৃদয়স্পর্শী করে তুলেছে গানটার মাধ্যমে । রিতু দেখল কোণায় দাড়িয়ে শুঁটকী টাইপের অজানা একটা ছেলে । বৃষ্টি নামলো অঝোর ধারায়……। দুই জন ছাদের দুই মেরুতে থেকেই নিজেদের মতো করে বৃষ্টিস্নান করে নিল……।



পরবর্তীতে আরো দুইদিন বিকালে ছেলেটার সাথে ছাদে দেখা হয়েছিল রিতু’র । কথা হয় নি একদিনও । ছেলেটিও অবশ্য না দেখার ভান করে থাকে।কেবলি আড়চোখে তাকায় রিতুর দিকে ।





এরপর রিতু একদিন কিছুটা রেগে, এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো……………

- হ্যালো

-জি, আমি ?

-না, গ্রাহাম বেলের পত্নী

-সরি……

-আপনাকেই বলছি।

-জি বলেন

-আপনি থাকেন কই ?

-বাসায়

-আপনে যে কক্সবাজারের শুটকির আড়তে থাকেন না, বাসায় থাকেন বুঝা যায়……।

-মানে ??

-মানে …… কয় তালায় থাকেন ?

-৪র্থ তলায়

-ও নতুন ভাড়াটিয়া……

-জি,

-আমি বাড়িয়ালির মেয়ে………

-হুম

-নাম কি?

-নাম?

-কানে কি কম শুনেন নাকি…… নাকি ন্যাকামি করতাছেন ?

-না…… সরি

-নাম ?

- শুভ

-আমি রিতু ।

-হুম

-একটা কথা……… …

-জি বলেন

-আপনি কিন্তু ভালোই গান করেন……

-হুম

হুম বলেই, এক চিমটি হাসি দিয়ে তাড়াহুড়া করে চলে গেল শুভ । কি অদ্ভুত হাসি । একেবারে প্রান জুড়ানো । এই জন্নই বোধহয় হাসির এত দাম ।





এভাবেই পরিচয় ওদের । তারপরে ছাদে দেখা হলেই কথা হতো । একসাথে ভিজা হতো বৃষ্টিতে ।গান ও শুনা হতো রিতুর । অজানা একটা প্রনয়ে জড়িয়ে গেছে সে ।যদিও সে বলে না বুঝতেও দেয় না । কিন্তু এই না বলা যে, না বলাই থেকে যাবে তা হয়ত ভাবে নি সে ।যা জীবনের একটি সাদা অধ্যায় ।

শুভ হটাত একদিন ছাদে রিতু কে পেয়ে বলে………

-আমরা কাল চলে যাব

-ভালো তো, কোথায়

-গ্রামে…

চাপা কণ্ঠস্বরে শুভ বলে ……

-আর হয়ত কথা হবে না……দেখা হবে না………… বৃষ্টিতে ভিজা হবে না ……আপনার সাথে

-তো

-না এমনেই……আচ্ছা যাই,

-যান… ভালো থাকবেন, ও আর একটা কথা…

-কি?

-আপনার গান মিস করবো

-thank you!



Thank you !! বলেই শুভ চলে গেল । শুভ যেতে না যেতেই রিতুর চোখে অশ্রুবৃষ্টি । আর এভাবেই শেষ । বৃষ্টি তে শুরু বৃষ্টিতেই শেষ । সেদিন ছিল প্রকৃতির আজ মানবপ্রকৃতির , সেদিন প্রকৃতির আকাশটা কালো ছিল আর আজ মনের……সেদিন মেঘের গুড়ুম গুড়ুম ধ্বনি আর আজ মন ভাঙ্গার………।









মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: কিছুটা অপূর্ণ রকম। এ জন্যই ভাল লাগল।

তবে একটু ঠিক করে নিবেন, গানটার লাইন হবে,

"আকাশ এতো মেঘলা, যেও নাকো একলা। "

শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.