নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোনালী প্রান্তর

সোনালী প্রান্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলীগ জামাতের জন্য পোষ্ট…..’

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের মাল্ফুযাতের ৫৩তম পৃষ্ঠার ৮০তম মালফুযে একথা উল্লেখ আছে যে, প্রচলিত তাবলীগের বা অতরীক্বত পন্থীদের, তাছাউফ-এর বা সূফীদের বই পড়া উচিৎ নয়।

বস্তুত তাছাউফ-এর বা সূফীদের কিতাবে তাছাউফ সম্পর্কে যে সূক্ষ্ম বর্ণনা রয়েছে, তা প্রচলিত তাবলীগওয়ালা বা অতরীক্বত পন্থীদের পক্ষে বোঝা সত্যিই খুব দুরূহ ব্যাপার। সেজন্য তাদেরকে ইল্মে তাছাউফ থেকে ফিরিয়ে রাখা কখনই জায়িয হবে না। কারণ প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জরুরত আন্দাজ ইল্মে তাছাউফ শিক্ষা করা ফরজ।

কাজেই “অতরীক্বত পন্থীদের, তাছাউফ-এর বা সূফীদের বই পড়া উচিৎ নয়” একথা বলার অর্থ হলো- পূর্ণ ইসলামী শিক্ষা থেকে মাহ্রুম করা ও অন্তর পরিশুদ্ধ করে ইখলাছ অর্জনে বাধা সৃষ্টি করা, যা সম্পূর্ণই শরীয়ত বিরোধী। কারণ কোন লোক যখন ইল্মে তাছাউফ অর্জন বা ক্বালবী যিকির থেকে বিরত থাকে, তখন শয়তান তার সঙ্গী হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন,

“যে ব্যক্তি আমার যিকির থেকে বিরত থাকে, তার জন্য একটি শয়তান নির্দিষ্ট হয়ে যায়, সে তাকে ওয়াস্ওয়াসা দিয়ে গোমরাহ্ করে দেয়।” (সূরা যুখরূফ ৩৬)

আর হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে,

“শয়তান মানুষের অন্তরে বসে, যখন সে যিকির করে, তখন পালিয়ে যায়। আর যখন যিকির থেকে গাফিল থাকে, তখন ওয়াস্ওয়াসা দেয়।” (বুখারী শরীফ)

কাজেই প্রমাণিত হলো যে, ইল্মে তাছাউফ চর্চা থেকে বিরত রাখার অর্থ হলো- লোকদেরকে শয়তানের সঙ্গী করে দেয়া বা গোমরাহিতে নিপতিত করা। আরো উল্লেখ্য যে, সূফীদের বই পড়া বা ইল্মে তাছাউফ থেকে বিরত রাখার অর্থ হচ্ছে, দ্বীন ইসলামের অর্ধ শিক্ষা ও অর্ধ আমল থেকে বিরত রাখা। অথচ আল্লাহ পাক পরিপূর্ণভাবে দ্বীন ইসলামের মধ্যে দাখিল হতে বলেছেন।

এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে,

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণরূপে দ্বীন ইসলামে দাখিল হও।” (সূরা বাক্বারা ২০৮)

অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেন,

“আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম।” (সূরা মায়িদা ৩)

প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের উপরোক্ত বক্তব্য আল্লাহ পাক-এর বিধানের বিপরীত, যা দ্বীনের মধ্যে তাহ্রীফের শামিল ও কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। তারা কি চায়, এই কথা বলে ইল্মে তাছাউফকে নিশ্চিহ্ন করতে বা ইল্মে তাছাউফ-এর শিক্ষা থেকে সাধারণ লোকদেরকে দূরে রেখে নিজেদের দল ভারী করতে। মূলতঃ এটা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়।

কারণ আল্লাহ পাক পবিত্র কালামে ইরশাদ করেন,

“তারা চায়, আল্লাহ পাক-এর নূরকে ফু দিয়ে নিভিয়ে দিতে। আল্লাহ পাক তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ করবেন, যদিও কাফিরেরা তা পছন্দ করেনা।” (সূরা ছফ ৮)

উপরোক্ত আয়াত শরীফে নূর-এর ব্যাখ্যায় মুহাক্কিক-মুদাক্কিক ও অনুসরণীয় মুফাস্সিরীন-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ বলেন, নূর হচ্ছে-দ্বীন ইসলাম। আর ইসলাম হচ্ছে- ইল্মে ফিক্বাহ্ ও ইল্মে তাছাউফ-এর সমন্বয়। (তাফসীরে মায্হারী, ইবনে কাছীর, রুহুল মায়ানী, রুহুল বয়ান, কবীর, ফত্হুল ক্বাদীর, তাবারী, আবী সউদ ইত্যাদি)

অতএব, ইল্মে তাছাউফ থেকে ফিরিয়ে রাখা অর্ধ দ্বীন থেকে ফিরিয়ে রাখার নামান্তর, যা কুফরীর শামিল। তাই ইল্মে তাছাউফ, যা দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করার মূল ও একমাত্র মাধ্যম, তা কারো পক্ষেই নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়, বরং তা ক্বিয়ামত পর্যন্তই বহাল থাকবে।

সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের লোকদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পুর্ণই শরীয়ত বিরোধী। কাজেই এই কথা বলা তাদের উচিৎ হয়নি, বরং তাদের উচিৎ হবে এই কথা বলা যে, যারা প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের লোক বা অতরীক্বতপন্থী, তারা যেন হক্কানী পীরানে তরীক্বত, আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণের কাছে বাইয়াত হয়ে তাছাউফ শিক্ষা ও কিতাবাদী পাঠের মাধ্যমে ফরজ পরিমাণ ইল্ম অর্জন করে। (দুররুল মুখতার, শামী, তাফসীরে মায্হারী, কবীর, রুহুল মায়ানী, মাকতুবাত শরীফ, ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন, কিমিয়ায়ে সায়াদাত, ফত্হুর রব্বানী, আল বুনিয়ানুল মুশাইয়্যাদ ইত্যাদি)

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

উকিল সাহেব বলেছেন: ইদানিং দেখছি তাবলীগ নিয়ে অনেক গবেষণা মূলক পোস্ট আসছে। মানুষ তাহলে এই জিনিস নিয়ে গবেষণাও করে। ভাল।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনালী প্রান্তর বলেছেন: বাতিল নিয়ে গবেষনা না করলে মানুষ বুজবে কেমনে ?

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

উকিল সাহেব বলেছেন: আপনি কোন পার্টি?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

সোনালী প্রান্তর বলেছেন: আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৬

হেডস্যার বলেছেন:
আপনের এইসব বালছাল গবেষনায় তাব্লীগের কিছু যায় আসে না। যারা করার তারা করবেই।
তাব্লীগে খারাপ কি হইতাছে সে সম্পর্কে কোন গবেষনা থাকলে দিয়েন।

সামনে তাবলীগ জামাতের সবচাইতে বড় আসর ইজতেমা আইতাছে....দেশ বিদেশী লাখ লাখ মুসল্লী জমায়েত হবে।

বাল গবেষনায় এদের থেইকা কয়জন কমাতে পারলেন জানাইয়েন।
আর সম্ভব হইলে এইসব নিয়া কচলাকচলি বাদ দিয়েন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

সোনালী প্রান্তর বলেছেন: শয়তানের অনুসারি বেশি থাকে।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০

এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: তাবলীগীদের হাক্বীক্বত এখানে দেখুন

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৬

উকিল সাহেব বলেছেন: সোনালী প্রান্তর সাহেব আপনি তাবলীগের প্রতি খেপছেন কেন? এত আপনার শেষ কয়েকটা পোস্ট দেখি খালি তাবলীগ নিয়ে। আপনি তাদের প্রতিবাদ না করে, যদি ইসলামের বিরোধিতা করে লেখাগুলার প্রতিবাদ করতেন তবে মনে হয় আপনার সময়টা সার্থক হত। তাবলীগের কারনে যেই পরিমাণ মানুষের জীবন খারাপ থেকে ভাল হয়েছে, তার হিসাব নাই। আর আমার মতে যদি এটা হক না হত তবে সারা বিশ্বে এই কাজ আল্লাহ্‌ ছড়াইতেন না। আমি দেখছি নাসা বিজ্জানীকে, বেল ল্যাবে কাজ করা প্রফেসর কে, হাসিম আমলা, সাইদ আনোয়ার, শুভকে, হার্ভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রকে [যে কিনা আগে খ্রিষ্টান ছিলেন].... তাবলীগ করতে। আপনার কি ধারনা তারা হুদাই না বুঝে এমনি এমনি দাওয়াতের কাজ করছে? আমি শুনেছি উড়ন্ত বিমানে তাবলীগ জামাত আজান দিয়ে নামাজ পড়ছে {যেই ব্যক্তি আজান দিয়ে নামাজ পড়ছে তার মুখ থেকে শোনা}। তারা যে পরিমাণ দাওয়াত দিয়ে ইসলামের উপর সকলকে উঠানোর জন্য চেষ্টা করছেন, সেটায় সাহায্য না করতে পারে, পিছু টান দেওয়া কি উচিত হবে?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

সোনালী প্রান্তর বলেছেন: লাভ কি ?
নামায পড়লেই মুসলমান হয়না ।
ঈমান না থাকলে লাভ কি ?
সারা দুনিয়া হারামে ডুবে আছে কিন্তু এদের কোন প্রতিবাদ নাই ।

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫০

উকিল সাহেব বলেছেন: আপনই আসল পয়েন্ট ধরতে পারেন নাই। ঈমান না থাকলে প্লেনে আজান দিয়ে নামাজ পড়ার মত যোগ্য মুসলমান অনেক কম আছে। আর আপনই কি ভাবে জানলেন যে তাদের ঈমান নাই?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২১

সোনালী প্রান্তর বলেছেন: কাদিয়ানিরাও নামায পড়ে ।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দৃষ্টি

লেখক বলেছেন: নবীজীর বেলাদত শরিফ ১২ই রবিউল আওয়াল উদযাপন
ঈদে মিলাদুন্নবি সা যথা যুগ্য মর্যাদায় উদযাপন ও আনন্দ প্রকাশ
ইমানদার মুমিন গনের জন্য অসংখ্য রহমত ও সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত ।
তার জুতা মোবারকের ছোঁয়ায় আল্লাহর আরশ মহল্লা সম্মানিত
তিনি যে আমাদের জন্য দুনিয়ায় রহমত স্বরূপ প্রেরন হইয়াছেন
তার জন্য আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা সর্ব শ্রেষ্ঠ নেয়ামত । বিখ্যাত
সাহাবা কেরাম গন তাবেয়িন তাবে তাবেয়িন গন এবং অলি আউলিয়া পির মাশায়েখ কামেল আলেম গন দিনটি মর্যাদার সহিত উদযাপন করতেন ।

আমরা রহমত হইতে বঞ্ছিত হইব কেন ?

রিবেশ বন্ধু বলেছেন: ফরজের চাইতেও বেশি বললে ভুল হবেনা

আল্লাহ যার নামের সাথে নাম মিশিয়ে দিয়েছেন এবং যার খাতিরে সৃষ্টি
সমুদয় পয়দা করেছেন , হেদায়েতের ভার দিয়েছেন , শাফায়াতের কাণ্ডারি বানিয়েছেন এবং সদা সর্বদা দরুদ ছালাম ভেজে থাকেন
অসংখ্য ফেরেস্তা গনকে নিয়ে সেই দয়াল নবীজীর প্রতি বেলাদত ও
তাজিম ঈমানের শক্ত আকিদা
ঈদে আজম ঈদে মিলাদুন্নবি সব ঈদের সেরা
তার রহমত আদায় কর পড় দরুদ জানাও ছালাম মদিনা মনোয়ারা ।

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আপনারে প্রথমে একখান কইষা লাথি মারবার চাইছিলাম, তারপর ভাবলাম না থাক আমারইতো মুসলিম ভাই, ইকরামুল মুসলিমীন এর কথা মনে পড়ে গেলো, তাবলীগ থেকে শিখছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.