![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাফিররা বলে, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশসমূহের প্রকৃতি যাচাই করলে দেখা যাবে যে, চরম দুর্নীতিগ্রস্ত অধিকাংশ দেশ হচ্ছে মুসলমান অধ্যুষিত দেশ। আর বৌদ্ধ, খ্রিস্টান দেশসমূহ হচ্ছে সততার দিক থেকে শ্রেষ্ঠ দেশ। তাহলে অর্থ কী দাঁড়ালো? পবিত্র দ্বীন ইসলাম অসততার শিক্ষা দেয়? বস্তুত ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস। আর নীতি/দুর্নীতি হচ্ছে মানসিকতা। আখিরী যামানার মুসলমানরা কোনোভাবে বিশ্বাসটাকে ধরে রেখেছে; তবে বাতিল শক্তির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের কারণে কার্যক্ষেত্রে অধিকাংশ মুসলমান আচরণের দিক থেকে ত্রুটিযুক্ত কলঙ্ক। এই যে, মানসিকতার অধঃপতন তা কখনই নিজের থেকে হয় না। এটাকে করাতে হয়, যেভাবে বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদেরকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সততার মানসিকতা দেয়া হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে মুসলমানদেরকে পরিকল্পিতভাবেই অসৎ করা হয়েছে। একজন অসচেতন মানুষ প্রশ্ন করতে পারে, এটা কী করে সম্ভব? প্রকৃতপক্ষে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ জ্ঞানের যে বিষয়টি মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন/পরিবর্ধন করতে সক্ষম তা খুব কম মানুষেরই জানা আছে।
বিশ্বাস ও মানসিকতার মধ্যে বিভেদ আনতে পারে যে বিজ্ঞান তা অত্যন্ত গোপনীয় এক বিজ্ঞান, যার নাম হচ্ছে সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ সামাজিক প্রকৌশল বিদ্যা। নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস যাই থাকুক না কেন, সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের মানসিকতাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
একটি মুসলমান দেশে দুর্নীতিবাজ ক্ষমতাশীলের দ্বারা শাসিত হওয়া মানেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রু দ্বারা ওই দেশ নিয়ন্ত্রিত। শত্রুদেশ বা শত্রু জাতি অপর একটি জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য যেভাবে সচেষ্ট থাকে, ঠিক তেমনিভাবে দুর্নীতিবাজ প্রশাসন তাদের নিজের দেশের ক্ষতির জন্য সর্বক্ষণ সচেষ্ট থাকে। চরম নির্যাতনের ওহাবীবাদী রাজতন্ত্র সউদী আরব, স্বৈরশাসন (আইয়ুব/ইয়াহিয়া) কিংবা তথাকথিত গণতন্ত্র/সমাজতন্ত্র, যে কোনো পদ্ধতি মুসলমানগণের জন্য ঠিক আছে, শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার আইন খিলাফত ব্যতীত। দ্বীন ইসলামের শত্রুরা খিলাফত কী তা বুঝে এবং তাই খিলাফতকে বাধা দেয়, আর গ-মূর্খ মুসলমানরা খিলাফত কি তা না বুঝেই গণতন্ত্রের জন্য আত্মহুতি দেয়।
“মুসলমান দেশের নেতৃত্ব হতে হবে চরম দুর্নীতিবাজ। যদি কেউ হঠাৎ করে সৎ হয়ে যায় তবে তার উপদেষ্টাদের হতে হবে অসৎ। আর তার উপদেষ্টারাও যদি সৎ চলে আসে তখন ওই মুসলমান দেশের নেতাকে হত্যা করতে হবে।” এই হচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুদের পরিকল্পনা এবং সনাতন কার্যক্রম।
একটি দেশের সেনাবাহিনী অপর একটি দেশের যত ক্ষতি করতে পারে, তার চেয়ে শতগুণ বেশি ক্ষতি করতে পারে ঘুষখোররা তাদের নিজের দেশের। বিষয়টি তৃতীয় শ্রেণীর বিশ্বের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কিংবা সরকারি কর্মকর্তাদের কখনই বিশ্বাস করানো যাবে না এবং একমাত্র এই কারণেই মুসলমান দেশসমূহের সাধারণ জনগণের জিল্লতিরও কোনোদিন দিন অবসান হবে না।
ঘুষখোররা ঘুষ খেতে খেতে মানুষের পর্যায় থেকে নেমে গিয়ে জানোয়ারের পর্যায় গিয়ে পৌঁছায়। নারায়ণগঞ্জ থানার এএসআই শাহজাহান নিজ কর্মস্থলে রহস্যজনক বিস্ফোরণে আহত হয়ে ৪ দিন পর ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকাল করার পূর্বে জবানবন্দি দিয়ে যান যে, থানার ওসি নূর মোহাম্মদ ও সেকেন্ড অফিসার বিনয় কৃষ্ণ ধর মালখানার মালামাল অন্যায়ভাবে বিক্রয় করতে চাইলে তিনি বাধা প্রদান করেন, পরিণতিতে তার উপর ওই আক্রমণ। মৃত্যুর পূর্বের জবানবন্দিকে যদি সত্য হিসেবে ধরা হয় তবে আফসুস যে, অকৃত্রিম সততাই তার মর্মান্তিক মৃত্যুর কারণ। অতীতে আমরা দেখেছি এবং শুনেছি যে, যারা ঘুষ খায় না এবং উপরে ঘুষ দেয় না তারা অনেক ক্ষেত্রে পদোন্নতি পায় না। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ঘুষখোররা সৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করতে শুরু করেছে। এহেন সাংঘাতিক পরিস্থিতি আমাদের নীতি-নির্ধারকদের মনে কোনো প্রকার চৈতন্যের উদয় করে কী? বাস্তবতা হচ্ছে, ক্ষমতা দখল এবং দখলের পর আজীবন ধরে রাখা ও প্রতিযোগিতামূলক লুটপাটের চেতনায় আবদ্ধ থাকার কারণে কোনো দলই এই ভয়ঙ্কর বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত নয়। এ দেশ যেন জনগণের জন্য স্বাধীন হয়নি, হয়েছে দুশ্চরিত্র আর চরম ঘুষখোরদের জন্য। ঘুষ খেতে খেতে সকল প্রকার লাজ-লজ্জা বিসর্জন দিয়ে এখন ওরা সৎ ব্যক্তিদের হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে। বাঙালি মুসলমানদের ভৌগোলিক স্বাধীনতা হারাতে এর চেয়ে বেশি অবক্ষয়ের প্রয়োজন আছে কী?
ব্যক্তি পর্যায়ে একজন মুসলমান ঘুষখোর মজলুমের বদদোয়ার কথা কখনই অন্তরে স্থান দেয় না। পাবলিক সারভেন্ট (সরকারি কর্মচারী) হিসেবে সে জনগণের যে হক্ব তা তো আদায় করেই না, বরং চরমভাবে কষ্ট দিয়ে ঘুষ দিতে বাধ্য করে। অন্য ধর্মের ঘুষখোরদের সাথে মুসলমান ঘুষখোরদের তফাৎ হচ্ছে, এরা নামায পড়ে, রোযাও রাখে। ওযু করার পর ঘুষ হাতে না নিয়ে বলে, “পকেটে দিয়ে দিন, আমি এইমাত্র ওযু করে এসেছি।” রোযার সময় বলে, “রোযা আছি টাকাটা (ঘুষ) হাতে নিতে পারছি না, ড্রয়ারে রেখে দিন।” এসবই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মশকরা করার শামিল। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে এ এক চরম ধৃষ্টতা, ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ঘুষখোর কর্মকর্তা মনে করে ঘুষের টাকায় সে সন্তানদের ভালো ভালো স্কুল, কলেজে পড়িয়ে সুনাগরিক তৈরি করবে। তার স্ত্রী হারাম খেয়ে এবং হারাম (কাপড়) পরে তার অবর্তমানে তার প্রতি অনুগত থাকবে কোনো হারাম কাজে জড়াবে না। আসলে পরিণতি হচ্ছে, সন্তানরা হয় মদখোর কিংবা গাঁজাখোর, স্ত্রী হয় পর পুরুষে আসক্ত। সন্তানরা যদি লেখাপড়া করে যদিওবা প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে ওই বুড়ো ঘুষখোরের স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে। সন্তানরা তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। মৃত্যুর সাথে সাথে কবরের সাথে সংযোগ হয় জাহান্নামের আপ্যায়ন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে ঘুষ এবং তদপরবর্তী জাহান্নামের কঠিন শান্তি থেকে পানাহ দান করুন।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬
এইচ এম বিশ্বাস বলেছেন: অন্য ধর্মের ঘুষখোরদের সাথে মুসলমান ঘুষখোরদের তফাৎ হচ্ছে, এরা নামায পড়ে, রোযাও রাখে। ওযু করার পর ঘুষ হাতে না নিয়ে বলে, “পকেটে দিয়ে দিন, আমি এইমাত্র ওযু করে এসেছি।” রোযার সময় বলে, “রোযা আছি টাকাটা (ঘুষ) হাতে নিতে পারছি না, ড্রয়ারে রেখে দিন।” এসবই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মশকরা করার শামিল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬
মনে নাই বলেছেন: হাসাইলেন!!!!