![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
...
কুরআন মুহাম্মদ (সা) লিখেছেন, এই রকম একটা ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে ব্লগের কিছু লেখায়। আমি নিজে খুব নিশ্চিত কথাটা ভুল। কারণ, কুরআন নিজে পড়েছি। হাদীস পড়েছি। হাদীসে মুহাম্মদ (সা) এর কথা আর কুরআনের আয়াতগুলোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। নজরুলের কবিতার কিছু লাইন নিয়ে তাকে প্রবল ইসলাম বিদ্বেষী প্রমান করা যাবে, আবার কিছু লাইন নিয়ে তাকে ইসলামের কান্ডারী প্রমান করা যাবে। তিনি আসলে কি ছিলেন, সেটা বুঝার জন্য তাঁর সব কবিতা, সব লেখা পড়তে হবে, সমসাময়িক কালে তাঁকে নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে সেগুলো জানতে হবে। কুরআন আর হাদীসের ব্যাপারটাও ওরকম। হাওয়ায় হাওয়ায় প্রমান হয়ে যাচ্ছে এখানে!
সে যাক গে, একটা ব্যাপারেই আমি দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই, যারা কুরআন বা হাদীসকে পুরাপুরি বানানো বলতে চান, তাদের কল্পনা শক্তি বেশ ভালো। কারণ তাতে করে পুরা ইসলামকেই একটা গ্র্যান্ড কন্সপায়রেসি হিসেবে প্রমান করা যায়। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কন্সপায়রেসি! এমনই শক্ত কন্সপায়রেসি, ক্রুসেডের সময়ের কিছু প্রবল মুসলিম বিদ্বেষী খ্রীষ্টান ছাড়া আর কেউ টের পায় নি! যুগে যুগে এই কন্সপায়রেসীর আফিম খাইয়ে পাগল বানিয়ে ছেড়েছে কোটি কোটি মানুষ। এখনও নাকি পৃথিবীতে মাতালের সংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন। ড্যাম!
নতুন কিছু না লিখে, আমার বেশ আগের লেখা একটা লেখা থেকে কিছু কপি পেস্ট করছি, আগ্রহীদের মনের খোরাক জোগাবে আশা করছি। তর্ক করতে ইচ্ছা করছে না, তাই তর্কে নাও জড়াতে পারি।
"কুরআন মুহাম্মদ (সা) এর লেখা নয়, সেটার পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমান হলো, মুহাম্মদ (সা) এর ধীর পরিবর্তন এবং সমসাময়িক কুরআনের আয়াত। যে কেউ কুরআন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে বুঝবে কুরআনের মূল দর্শন একটুও বদলায় নি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
অথচ, একজন লেখকের পরিবর্তন ঘটে তাঁর লেখার সাথে সাথে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের ২৩ বছরের ব্যবধানে তাঁর দু'টো কবিতা নিলে একই ধারা, একই বাচনভঙ্গি, একই দৃষ্টভঙ্গি, একই দর্শন পাওয়া যাবে না। এটা অসম্ভব। স্রেফ অসম্ভব। ২৩ বছরে মানুষের জীবন দর্শনে বদল আসবেই। পরিস্থিতির সাথে সাথে লেনিন সহ সব সমাজবিদদের হাইপোথিসিসই পাল্টে গিয়েছে। পরিবর্তিত হয়েছে। মার্জিত হয়েছে। অথচ কুরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই দর্শন পাবেন, একই বাচনভঙ্গি পাবেন।
মানুষ মুহাম্মদ (সা) এর মনস্তত্তও দেখার মত। প্রথম দিকে মুহাম্মদ (সা) এবং খাদীজা (রা) এর কথাবার্তা শুনে বুঝা যায়, তিনি শঙ্কিত ছিলেন, বিভ্রান্ত ছিলেন, অনিশ্চিত ছিলেন, যেটা ওরকম একটা ঘটনার বিপরীতে চরম মানবিক প্রতিক্রিয়া। আলম নাশরাহ এর মত অনেক সূরায় আল্লাহ প্রথম দিকে তাঁকে শান্তনা দেন, স্থির হওয়ার জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করার উপদেশ দেন। আস্তে আস্তে মুহাম্মদ (সা) এর পরিপক্কতা আসে। শেষের দিকের হাদীসগুলো পরে বুঝা যায় তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত, আত্মবিশ্বাসী। মক্কার একজন সাধারন মানুষ তিনি পুরো আরবের তার বিরুদ্ধে চলে যাওয়াকেও সামলে নিয়েছেন, রোমান সাম্রাজ্যের সামনেও দাঁড়িয়েছেন। বদলে দিয়েছেন ইতিহাসের পাতা।
এই মেটামরফসিসের অবশ্যম্ভাবী প্রতিক্রিয়া পড়ার কথা ছিল তাঁর লেখনীতে। শুধু এতটুকুই প্রমান করে কুরআন তাঁর লেখা নয়। পুরো ২৩ বছর ধরে লেখা কুরআনের বক্তব্য খুবই গোছানো। যেটা একই সময়ে লেখা একজনের মাথা থেকে না আসলে হবে না। কিন্তু কুরআন পুরোটা এক বসায় লেখা হয় নি। তর্কের খাতিরে ধরে থাকলেও, আমাদের নির্ণয় করতে হবে কোন সময়ে। ২৩ বছরের আগে না পরে? যদি বলেন আগে, তাহলে দেখুন, কোন নতুন আয়াত আসলেই তিনি সমাবেশে সেটা বলতেন। চারজন নির্দিষ্ট লেখক লিখে রাখতেন মুহাম্মদ (সা) এর নির্দেশে সংরক্ষনের জন্য, বাকিরা লিখতেন নিজেদের সংগ্রহের জন্য। এখন আগে লিখে রাখলে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এক একটা আয়াত বের করলে... এই কাজটা করার জন্য অতি প্রাকৃতিক শক্তি দরকার, কারণ মানুষ জানবে না ভবিষ্যতে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। আর পুরোটা একবারে ২৩ বছরের শেষে লেখা অসম্ভব, কারণ পুরো ঘটনা খুবই ওয়েল ডকুমেন্টেড। তাছাড়া কুরআন পুরোটা আসার পরে বছর না ঘুরতেই মুহাম্মদ (সা) মারা গিয়েছেন। একজন মানুষের যতটুকু সময় দরকার, ততটুকু তিনি পান নি।"
(লেখাটা লিখেছিলাম মুহাম্মদ তাঁর নবী হয়ে ওঠা নামের একটা লেখায়, 'ক্রিটিক্যাল লাইভস: মুহাম্মদ' বইটা পড়ার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এত কথাগুলো এক পোস্টের আওতায় বলা যায় না ঠিক। বইটার অনুবাদ পেতে ইচ্ছা করছে, কারণ মুহাম্মদ (সা) এর জীবন সম্পর্কে আমরা জাতিগত ভাবে আসলেই কম জানি। এই কম জানার উপরে লোকে যাই বলে তাই ঠিক মনে হতে পারে। পাঠক কি মনে করেন এ ব্যাপারে?)
২| ০২ রা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৩০
মাহিরাহি বলেছেন: শপথবাক্য পাঠ করা হয়, আমি শপথ করিতেছি যে.....। কিন্তু শপথ পঠিত হ্য়। যেমন আমাদের প্রেসিডেন্ড পাঠ করেন রাষ্ট্র যেভাবে পাঠ করায়।কুরআনে তাই ঘটেছে।
৩| ০২ রা জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:০৮
আরিফ জেবতিক বলেছেন: কোরআন আল্লাহ লিখলেন, না আরবের কোন লেখক ভদ্রলোক লিখলেন সেটা নিয়ে গবেষনা না করে,কোরআনকে তার জায়গায় ছেড়ে দেয়া হোক।
ব্যাপারটা যখন বিশ্বাস অবিশ্বাসের জায়গায় দাড়িয়ে,তখন সেটা নিয়ে তর্ক করা অবান্তর।
কেউ বলবে কোরআনের মতো একটা আয়াত লিখে দেখান তো,কেউ বলবে গীতার মতো একটা ছত্র লিখতে পারবে কোন মানুষ..এটা আসলেই অপ্রয়োজনীয় তর্ক।
কোরআনের যে সব ভালো কাজ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে,সেগুলো জীবনে প্রতিষ্ঠিত করলে সমাজের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।ধর্ম সবসময়ই মানুষের কল্যানেই প্রচলন করা হয়েছে,সেটা যে ধর্মই হোক না কেন।আর ধর্ম নিয়ে ব্যবসা সব যুগেই চলেছে এবং এটাও থামাবার কোন উপায় এখন পর্যন্ত দেখি না।
৪| ০২ রা জুন, ২০০৭ দুপুর ১২:৩২
মদন বলেছেন: "" কোরআনের যে সব ভালো কাজ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে,সেগুলো জীবনে প্রতিষ্ঠিত করলে সমাজের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।ধর্ম সবসময়ই মানুষের কল্যানেই প্রচলন করা হয়েছে,সেটা যে ধর্মই হোক না কেন।আর ধর্ম নিয়ে ব্যবসা সব যুগেই চলেছে এবং এটাও থামাবার কোন উপায় এখন পর্যন্ত দেখি না। ""
এইটাই হইল হক কথা।
৫| ০২ রা জুন, ২০০৭ দুপুর ২:১৮
আশরাফ রহমান বলেছেন: মুহাম্মদ (সা এর মতো একজন উম্মী নবীর পক্ষে কুরআনের মত একটি উচুমানের সাহিত্য যে লেখা সম্ভব নয় তা বিশ্বের বড় বড় ইসলাম বিদ্বেষীরা স্বীকার করেছেন। কুরআনের চ্যালেঞ্জের মুখে আরবের বহুজ্ঞানীগুণী মানতে বাধ্য হয়েছে যে, কুরআন মানব রচিত কোন গ্রন্থ নয়। কুরআনে যে ব্যাকরণ ব্যবহার করা হয়েছে তা থেকেই আরবী ব্যাকরণ তৈরী করা হয়েছে বলে আমরা জানি। সুতরাং যখন আরবী ভাষায় কুরআনের মত উচ্চতর ব্যাকরণ ছিল না তখন মুহাম্মদ সা: এর মত একজন নিরক্ষর ব্যক্তি কিভাবে কুরআন রচনা করতে পারেন?
সন্ধ্যাবাতি, বরাবরের মতই যুক্তি ও তথ্য দিয়ে লিখেছেন। তবে এব্যাপারে আরো বিস্তারিত লেখা আশাকরি।
৬| ০২ রা জুন, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৪
নুর3ডিইডি বলেছেন: "কোরআনের যে সব ভালো কাজ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে,সেগুলো জীবনে প্রতিষ্ঠিত করলে সমাজের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।ধর্ম সবসময়ই মানুষের কল্যানেই প্রচলন করা হয়েছে,সেটা যে ধর্মই হোক না কেন।আর ধর্ম নিয়ে ব্যবসা সব যুগেই চলেছে এবং এটাও থামাবার কোন উপায় এখন পর্যন্ত দেখি না।"
আমি বিশ্বাস করি। এবং এটা সত্য। কুরআনের কোথাও ভালো কাজ ছাড়া, মন্দ কাজের তাগিদ দেওয়া হয় নাই।
সুতারাং কুরআনকে পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা উচিৎ। এবং এর ফলে শুধু মুসলমান নয়, সকল ধর্মের মানুষের কল্যান হবে।
ধন্যবাদ সন্ধ্যাবাতি খুব সুন্দর লিখেছেন । আরো লিখুন।
৭| ০২ রা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০১
চোর বলেছেন: সহমত@জে.আ. ভাই।
৮| ০২ রা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
বন্ধনহীন বলেছেন: জেবতিক আরিফ, আপনি বস!!!
আপনার মতো constructive mind এর মানুষ খুব কম আছে।
৯| ০২ রা জুন, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
ত্রিভুজ বলেছেন: ধন্যবাদ সন্ধ্যাবাতি!... যাই হোক, আমার পরের পর্ব মনে হয় আসার সময় হয়েছে.... সময় পাচ্ছি না.. ওটার কন্টিনিউশনটা তুমি করলে আরো ভালো হতো....
ওদের যুক্তিগুলো এতই হাস্যকর যে... এনিওয়ে... কিপ ইট আপ! ৫
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০০৭ সকাল ১০:৫৮
ডেসপ্যারাডো বলেছেন: যার জানার দরকার সে জানবো। ঐ বই দিয়া কটকটি খাইতে ইচ্ছা করতাছে।