নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্বেলে দাও সন্ধ্যাবাতি

জীবন গঠনে নিজেস্ব প্রতিক্রিয়ার দায় বেশি, ঘটে যাওয়া ঘটনার ভূমিকা সামান্য।

সন্ধ্যাবাতি

...

সন্ধ্যাবাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

'অদ্ভূত' বোরখা নিয়ে কিছু কথা--৩

২৩ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:০৫

অস্ট্রেলিয়ায় আমার 'মুখ/হাত ছাড়া আর সব ঢাকা' যেই পোশাক 'ঢিলা ঢালা' আর শালীনতার মানদন্ডে ভালভাবেই উতরে যায়, সেই পোশাক পড়ে জিয়া বিমানবন্দরে নেমে খুব খারাপ লাগছিল।



এতগুলো চোখের মাছের মত ড্যাব ড্যাবা দৃষ্টি দেখে খুব খারাপ লাগছিল, নিজেকে ভীষণ খোলামেলা মনে হচ্ছিল, ইচ্ছা হচ্ছিল কোথাও গিয়ে সত্যি 'বাংলাদেশী' বোরখা পড়ে আসি। আমি যত জন প্রবাসী 'হিজাবীর' সাথে কথা বলেছি, সবারই দেশে প্রথমবার ফিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা এমনটা হয়েছে। সেই শেষ, এরপর থেকে সারাদিন বাসার ভিতর থাকব নিশ্চিত হওয়ার আগে পোশাক আশাকের ব্যপারে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতাম।



সে জন্যই বললাম, সংস্কৃতির সাথে সাথে হিজাবের একটু অদল বদল হয়ই। কিন্তু তাই বলে নূন্যতম সীমারেখাটুকু বদলায় না। অর্থ্যাত্ মুখ আর হাত ছাড়া সব ঢাকা।





এখন কথা হচ্ছে, কেউ যদি নিজেস্ব সমাজ, পরিবারের কনটেক্সটে 'পর্দা' করা শিখে নিজের জমকালো পোশাকের উপরে সাদামাটা কাপড়ের বোরখা পরে, হাতে পায়ে মোজা পরে, মুখ ঢেকে, তিন প্রস্থ কাপড় পরে, তাকে 'অদ্ভূত' বলার অধিকার আমাদের আছে তো?



কোথায় যেন এক ইউরোপীয়ানের কথা পড়ছিলাম। তিনি ভারতীয়দের শাড়ি পরা দেখে সেটাকে 'অদ্ভূত' বলেছেন। তিন গজ লম্বা কাপড়, তার নিচে আবার পেটিকোট আর ব্লাউজ নামের 'বাহুল্য'--এই ছিল ভদ্রমহিলার যুক্তি। স্বাভাবিক ভাবেই, আমার বেশ অফেন্ডেড লেগেছিল সেটা পড়ে--যত যাই হোক, অনেক গুলো মানুষের সংস্কৃতির অংশ কিছুকে নিয়ে কটাক্ষ করার অধিকার কি আছে? আমাদের বেড়ে ওঠা থেকে যত ভিন্ন ধর্মীই হোক? সেই সময়ে মনে হয়েছিল তিনি সংকীর্ণমনা, উদারতার সাথে দেখতে পাচ্ছেন না। 'কাপড়ের উপর কাপড়', বোরখার ব্যপারেও কেউ অমন কথা বললেও আমার একই ভাব ফিরে আসে।



আমি মুখ ঢেকে বোরখা পরি নি কখনও। কিন্তু আমার পরিচয় আছে মুখ ঢেকে, হাতে পায়ে মোজা পরে 'পর্দা' করা মেয়েদের সাথে। নিজেস্ব অধিকার সচেতন, খুব ভাল মানুষ মেয়েরা সব। মানুষগুলোকে আমার এক মুহূর্তের জন্যও অদ্ভূত মনে হয় নি। তাই, অমন মন্তব্য খারাপ লেগেছে সত্যি। একটু খেয়াল রাখা দরকার বোধ হয়, 'সহনশীলতা/উদারতা/মুক্তমনের' সংজ্ঞা যেন ক্ষেত্র বিশেষে বদলে না যায়!



(শেষ!)

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৩

মদন বলেছেন: সুন্দর :)

২| ২৩ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৮

দিনআনবোই বলেছেন: ঠিক। কোনো সংস্কৃতিই খারাপ না, একেকটা একেক রকম। আমাদের উচিত সব সংস্কৃতিকেই সন্মান করা।

৩| ২৩ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৪০

আবু সালেহ বলেছেন: পর্দাশীলতা/শালীনতা বজায় রাখা সবচেয়ে বড় ব্যাপার....

এবার সেটা কে কিভাবে করবে তা হচ্ছে তার ব্যাপার....আপনি বোরকা পরিধান করুন কিংবা না করুন...শুধু বোরকা পরেই শালীনতা রক্ষা করা যায় তা নয়....বোরকা না পরেও অনেকে দিব্যি পর্দাশীল/শালীন থাকছেন এবং বেশ ভালো ভাবেই পর্দাশীল থাকছেন....তবে পরা ভালো...

অনেকের মাঝে একটা ধারনা কাজ করে বোরকা পরা মেয়েরা শয়তান...এখানে বোরকার কি দোষ...? যারা খারাপ তারা বোরকাকে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে...তাই বলে কি সব বোরকা পরাই মেয়ে কিংবা মহিলারাই কি খারাপ?

৪| ২৪ শে জুন, ২০০৭ রাত ১২:৫২

ফারহান দাউদ বলেছেন: সীমা ছাড়ানো। মহিলারা কে কি পরবে সেটা নিয়ে তাদেরই মাথা ঘামাতে দেয়া হচ্ছেনা কেন? কে বোরখা পরবে,কে হাতমোজা পরবে,কে মাথা খোলা রাখবে আর কে রাখবে না,সেটা নিয়ে দুনিয়া তোলপাড় না করলে হয়না? বোরখা পরা যাদের পছন্দ না তারা বোরখা পরা মেয়েদের দিকে তাকাবেন না,আর যাদের বোরখা ছাড়া মেয়ে দেখলে চোখ জ্বলে তারা মেয়েদের দিকে না তাকাইলেই পারেন রে ভাই,নিজের চোখের ঠিক নাই দোষ হইলো মেয়েদের,না? তার চেয়ে নিজে কি পরছেন সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোটাই মনে হয় ছেলেদের জন্য ভালো,ইহকাল পরকাল ২টারই লাভ হবে।

৫| ২৫ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ২:০৫

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ধন্যবাদ মদন, দিনআনবোই, আবু সালেহ।

আহ, একজন পুরুষের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেয়ে বেশ লাগলো :) @ ফারহান দাউদ।

৬| ২৫ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ২:২০

ওয়ালী বলেছেন: অনেকেই মন্তব্য করেছে আপনিও মন্তব্য করেছেন। আপনার লেখা প্রতিবারের মতো এবারেরটাও অসাধারণ। কিন্তু ইচ্ছে করলে আমিও মন্তব্য করতে পারতাম, ঠিক কিনা বলুন? সমালোচনার ট্যাকনিকটা শাওন আর তেলার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা প্রয়োজন ছিলো। ; )

আর ভার্চুয়ালী তৈলাক্ত প্রানীকে যতটুকু চিনি তাতে তার সর্ম্পকে আমার বিবেচনা হচ্ছে, অযথা অন্যের বাড়া ভাতে ছাই দেয়ার মানুষ সে না। তার অর্থ দাড়াচ্ছে তার চটে যাওয়ার পর্যাপ্ত কারন আছে।

ভুল বুঝবেন না। এই মন্তব্যটা না করলেও চলতো আমার।

৭| ২৭ শে জুন, ২০০৭ ভোর ৬:৩৯

ফজলে এলাহি বলেছেন: নারীর সকল সৌন্দর্যকে আল্লাহ্ তাআলা তার মুখমণ্ডলে একীভূত করেছেন। তাই একজন নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার জন্য তার মুখমণ্ডলটা দেখাই যথেষ্ট হয় ।

৮| ২৭ শে জুন, ২০০৭ সকাল ৭:৪২

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: কোনভাবেই একমত না @ফজলে এলাহী ... কারণ তাহলে শুধু মুখমন্ডল ঢাকলেই হতো, তাইনা?

সন্ধ্যাবাতি, আপনি হয়ত বোরখার প্রেসারে পড়েননি, তাই বুঝবেননা একজন মানুষ কোন দৃষ্টিকোণ থেকে একে অদ্ভুত পোষাক বলে।
যেমন, আপনার উদাহরণেই বলি, অস্ট্রেলিয়ায় আপনি বোরখা পরেননা, কিন্তু পর্দা করে চলেছেন ঠিকমতো, রাইট? এবং সেটাই তো যথেষ্ট, তাইনা?
বাংলাদেশেও অধিকাংশ মেয়েই পর্দার ন্যুনতম ব্যাপারগুলো মেনে চলে, শালীনভাবে সারা শরীর ঢেকে চলে, এমনকি মাঝে মাঝে আমার মনে হয়েছে এরা অতিরিক্ত সচেতন। বাতাসে একটু ওড়না দুলে উঠলেই অদ্ভুত রিফ্লেক্সে তাদের হাত ওড়নার নড়ে ওঠা অংশের দিকে চলে যায়।
এখন, এই মেয়েদেরকে যখন শুধু বোরখা নামক একটা বাড়তি আলখেল্লা পরেনা (যদিও সালোয়ার-কামিজ-ওড়না দিয়ে তারা পর্দা পুরোপুরিই করছে) বলে 'বাঁকা চোখের তাকানি' সহ্য করতে হয়, অনেক গোয়াঁড় মুরব্বীদের কথা শুনতে হয়, 'বেপর্দা' অপবাদ শুনতে হয়, আর তার পাশেই আরেকটি মেয়ে ঐ আলখেল্লা পরার কারণেই মিটিমিটি হেসে ভাবে আহ আমি তো ইসলামকে উদ্ধার করলাম, তখন বোরখা ছাড়াও পর্দা করা মেয়েটার গায়ে লাগবেই।
কারণ সে বুঝতে পারেনা সারা শরীর যথেষ্ট ঢেকে রাখার পরেও কেন তাকে এক্সট্রা একটা আলখেল্লা না পরার কারণে শীতল দৃষ্টি সহ্য করতে হবে। বোরখার সাথে তো ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, কোথাও কি বলা আছে কত লেয়ার পোষাক পরতে হবে?

এজন্যই অনেক মেয়েরই বোরখা দেখেই খারাপ লাগতে পারে, অদ্ভুত মনে হতে পারে। আসলেই এটা অনেক মেয়ের মনে ট্রমা তৈরী করছে, অনেকের ক্ষেত্রে অবজ্ঞা তৈরী করছে।

এটা এজন্য হয়না যে যারা বোরখা পরেন তাদের কটাক্ষ করে অদ্ভুত মনে হয়, বরং এটা এজন্যই যে, এই বোরখা নিয়ে সমাজ বিশেষকরে পুরুষ শ্রেনী বাড়াবাড়ি করে এটার মর্যাদাকে নষ্ট করে ফেলে।

৯| ২৭ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:২১

ঝরা পাতা বলেছেন: একমত@জ্বি.বা.

১০| ২৭ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৮

সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: জ্বিনের বাদশা,

কুরআনের যেই আয়াতে পর্দার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেটার ইন্টারপ্রিটেশন অনেকে করেন 'একটা আলাদা আবরন' যা মাথা থেকে পা ঢেকে রাখে। বোরখা সেই উদ্দেশ্য সাধন করে। আরবী ব্যকরণ সম্পর্কে আমার ধারণা নেই, তাই আমি এই ব্যপারে মন্তব্য করব না। আমার নিজের বুঝ, বিভিন্ন স্কলারের মতামত পড়ে আমার যা মনে হয়েছে আমি তাই লিখেছি। কিন্তু কেউ যদি আরবি ব্যকরণ পড়ে ওরকম সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তো আপনার এই কথাটা ইনভ্যালিড হয়ে যায় তাই না--'বোরখার নির্দেশ কুরআনে নেই'।

ইসলামে ডিফারেন্স অফ অপিনিয়নের স্কোপ অনেক। আমি যদি আমার মত ধারার জন্য শ্রদ্ধা চাই, তাহলে ভিন্ন ইন্টারপ্রিটেশনের জন্যও আমার শ্রদ্ধা থাকতে হবে।

আমি জানি কেউ কেউ মনে করেন রাসুল (সা) মুখ ঢাকার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু আমি যত তুলনামূলক হাদীসের আলোচনা পড়েছি, আমার কাছে সেরকম মনে হয় নি। কারও কাছে যদি মনে হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার সিদ্ধান্তের ব্যপারে আমার শ্রদ্ধা থাকবে।

তবে 'আরেকটি মেয়ে ঐ আলখেল্লা পরার কারণেই মিটিমিটি হেসে ভাবে আহ আমি তো ইসলামকে উদ্ধার করলাম', কিংবা 'বেপর্দা' ব্র্যান্ডিং, এগুলো ইন এসেন্স তো অনৈসলামিক। ওগুলোকে ডিফেন্ড করার প্রশ্নই আসে না।

কিন্তু যেই পুরুষেরা মনে করে শুধু সালওয়ার কামিজ ওড়নায় পর্দা হয় না, ওদের কনটেক্সটাও দেখবেন। ওরা এক ধরণের খুবই সাদা মাটা জোব্বা টাইপের পাঞ্জাবি পরে, যা দেখে প্যান্ট শার্ট পরা ছেলেরা হয়তো ভাবে 'অদ্ভূত' তাই না? তবে সাদা মাটা জোব্বা টাইপের পাঞ্জাবি পরা "পুরুষেরা" যতটা জোরের সাথে নারীর বোরখা পরার প্রয়োজনীয়তা এম্ফেসাইজ করবেন, ততটা জোরের সাথে হয়তো পুরুষের প্যান্ট শার্ট পরার বিরোধিতা করবেন না। এটাই হল পার্থক্য।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটাই এরকম যে পুরুষরা মেয়েদের পোশাক আশাক, চালচলন (খুবই অনৈসলামিক পন্থায়) সমালোচনা করে, কিন্তু মেয়েরা পুরুষদেরটা করে না। সেজন্য পুরুষদের কনটেক্সটে একই ব্যপার হলেও আমাদের চোখে সেটা ধরা পরে না।

যেই মেয়েটা "বাতাসে একটু ওড়না দুলে উঠলেই অদ্ভুত রিফ্লেক্সে তাদের হাত ওড়নার নড়ে ওঠা অংশের দিকে চলে যায়", যে এতটা সরল যে 'বাকা চোখের চাহনি বা বেপর্দা অপবাদ' শুনেও বুঝতে পারে না কি হচ্ছে, তার থেকে 'অদ্ভূত' শুনলে সেটা আন্ডারস্ট্যান্ডেবল হবে। কিন্তু অনেক বুঝদার কারও থেকে আন্ডারস্ট্যান্ডেবল হয় না। কেন হয় না, সেটা আমি শাড়ির কনটেক্সট থেকে বুঝিয়েছি। অনেক দেখা, অনেক শোনার পরে, অনেক দিকে নিজেকে উপরে উঠানোর পরে, শুধু এই দিকে সংকীর্ণমনতার পরিচয় দিলে সেটা গ্রহনযোগ্য হয় না। আমার তিন সিরিজের এই পোস্টের মূল বক্তব্য সেটাই ছিল।

১১| ২৭ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৪:৪৬

মদন বলেছেন: কোরআন-হাদিসে কোথাও বোরখা পরতে বলা হয়নি বলা হয়েছে পর্দা করার জন্য। আর ইসলামে মেয়েদের জন্য উল্লেখিত পর্দা করতে গেলে একটি বড় চাদর বা এই জাতীয় কাপড় মেনটেইন করে চলাফেরা করা বেশ কষ্টকর। কিন্তু সেদিকের বিবেচনায় বোরখা অনেক সেফ এবং কমফোর্টেবল।
এটা পরে যেমন চলাচল করা সহজ তেমনি পর্দা করা যায় ১০০ ভাগ।

কারো যদি বোরকায় আপত্তি থাকে তাইলে সে বড় চাদর বা এই জাতীয় কিছু দিয়ে পর্দা করতে পারে।

(আমার জানায় ভুল থাকলে আল্লাহ মাফ করুন)

১২| ২৮ শে জুন, ২০০৭ দুপুর ২:৫৫

অনাহুত আগন্তুক বলেছেন: মুখমন্ডল দেখে আকৃষ্ট যদি হত, তাহলে বুড়ো হলে যখন চোখ মুখ সব কুঁচকে যাবে তখন আকর্ষণের কি হবে? একটা মানুষের চিন্তাভাবনা হচ্ছে সবচেয়ে ভাইটাল জিনিস, সেটার জন্য হিজাব বা কোনকিছুই ম্যাটার করে না!

১৩| ২৮ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:০২

অনাহুত আগন্তুক বলেছেন: বোরকা নিয়ে আমার সবচেয়ে বাজে experience হয়েছিল পহেলা বৈশাখে। রাস্তায় অনেক ভীড় ছিল আমি অন্যমনষ্ক হয়ে হাঁটছিলাম, তারপর হঠাৎ একটা বোরকা পড়া মেয়ের সাথে প্রায় ধাক্কা লাগলো.. মানে ধাক্কা লাগতে যাচ্ছিল.. আমি হঠাৎ একটা ভয়ংকর চিৎকার শুনে বুঝলাম যে ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে! আমি কনফিউসড হয়ে ধাক্কা ঠেকানোর জন্য সামনে হাত বাড়ালাম - রিফ্লেক্স একশন (পুরো ব্যাপারটা ০.৫ সেকেন্ডের মধ্যে হয়েছিল), চিৎকার আরো জোরে হল বলে আমি ডান দিকে মোমেন্টাম দিয়ে কোনমতে সরে গেলাম.. মেয়েটার দিকে তাকিয়ে স্যরি বলতে গিয়ে দেখলাম খুব ঘৃণা নিয়ে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর বলছে 'কি 'ডামাডামাডুম'!'

আমি ভাবলাম, আহারে! ছেলেদের কে এরা কোন শ্রেণীর চিড়িয়া ভাবে..

(এমনি বললাম, কোন উদ্দেশ্য নাই, কোন মহৎ বাণী নাই, কোন তত্ত্বকথা নাই)

১৪| ২৮ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:০৮

মদন বলেছেন: সুন্দর চেহারা আপনার রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় :)
মদ না পেলে আপনি মদ খাবেন না, নেশাও হবে না।
চিন্তার জন্য দেখা প্রয়োজন। না দেখে তো কিছু চিন্তা হয়না।

এসংক্রান্ত একজন মনীষীর বানী দেবার লোভ সামলাতে পারছি না।

"দৃষ্টি নিয়ন্ত্রন ছাড়া পাপ নিয়ন্ত্রন অসম্ভব"
- হযরত ঈমাম গাযযালী

১৫| ২৮ শে জুন, ২০০৭ বিকাল ৩:১১

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: 'আলাদা আবরনের' ব্যাপারটা জানতামনা। জানানোর জন্য ধন্যবাদ, দুয়েকটা রিফারেন্স থাকলে দিয়েন, পড়ার ইন্টারেস্ট আছে।

হুমম, সেরকম বুঝদার মানুষের কথা বললে ঠিক আছে, কারও পোষাককে 'অদ্ভুত' বললে যে তার লাগে সেটাও খেয়াল করা উচিত।

তবে বোরখার দিকে বেশী মনোযোগ দেয়ায়,
১. প্রচুর মেয়ে আসলেই সামাজিক প্রেসারে পড়ছে ... যেটা পর্দার চেয়ে বোরখাকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ করে ফেলে ... যেটা ইরানে হচ্ছে
২. ইসলামের যে ক্ষতিটা হচ্ছে তা হলো কোয়ালিটির চেয়ে শেইপ নির্ভ হয়ে উঠছে ... বোরখা পরে বা দাড়ি-টুপি রেখে দিনে পাঁচবার জায়নামাজে মাথাঠুকেই মানুষ ভেবে বসতে পারে আমি তো বেহেস্তে যাব
তখন অন্যান্য ন্যায় অন্যায়ের ব্যাপারে অত সিরিয়াস মানুষ হবেনা, যেটা কিনা ইবাদতের মূল লক্ষ্য

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৩

মনিটর বলেছেন: আপনার লেখা প্রতিবারের মতো এবারেরটাও অসাধারণ। স হ ম ত $ ওয়ালি

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০০৭ রাত ১১:২৯

আহরিমান বলেছেন: পর্দার ব্যাপারে রাষ্ট্রের ভূমিকা কি হওয়া উচিত? রাষ্ট্র কি পর্দা বাধ্যতামূলক করবে? সে ক্ষেত্রে যারা পর্দা করতে চান না তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে কি ভাবে সম্মান দেখানো হবে? আর যদি বাধ্যতামূলক না করা হয় তা হলে সেই রাষ্ট্র কি প্রকৃত ইসলামী রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারবে? এই প্রসংগে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আইন কানুনে ধর্মের কতটুকু প্রভাব থাকা উচিত? সবার জন্য একই আইন নাকি ধর্মভেদে বিভিন্ন?

১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৫১

নাজনীন১ বলেছেন: এই পোস্টগুলো সত্যিই অসাধারণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.