![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
...
অনার্সের অরিয়েন্টেশনের দিন দূর থেকে নিকোলের সাথে মেয়েটাকে দেখে আমি একটু চমকে গিয়েছিলাম। আমার চেয়ে বেশ লম্বা। ৫'৯ এর মত হবে উচ্চতা। আরও লম্বা লাগছে পা থেকে মাথা পর্যন্ত কালো কুচকুচে বোরখা পরে আছে তাই। দুই চোখ ছাড়া আর কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। চোখের যতটুকু শুধু দেখার জন্য দরকার, ঠিক ততটুকুই খোলা। ভুরু দুইটাও ঢাকা। শুধু বুঝা যাচ্ছে, বেশ ফর্সা মেয়েটা। একটু চমকে গিয়েছিলাম, কারণ আমাদের পুরা ফ্যাকাল্টিতে অনার্সের মুসলিম স্টুডেন্ট এতদিন দুই জন ছিল, কিন্তু আমি একাই হিজাবী/ব্যক্তিগত পর্যায়ে সিরিয়াস প্র্যাকটিসিং ছিলাম। প্রেজেন্টেশন করার সময় পুরা হলের সামনে একা হিজাবী দাঁড়াতে একটু সাহস সঞ্চয় করতে হতো! ফর্মাল পোশাক কি পরব, সেই চিন্তায় তটস্থ থাকতাম। এখন আরেকজন দলে জুটলো, তাও একেবারে কালো বোরখা আর চোখ ছাড়া সব ঢাকা! ধারণা করলাম, আরব টারব হবে হয়তো। মুখ খুলতেই আরব উচ্চারণে কিছু শোনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখনই দ্বিতীয় চমক পেলাম। 'হাই, আই অ্যাম ফেইথ, ফেইথ মরিস*, হাউ ডু য়ু ডু', হাত বাড়িয়ে দিলো মেয়েটা। ফেইথ মরিস নামটা আরব দূরে থাক, মুসলিমই শোনাচ্ছে না, আর উচ্চারণ আরবদের ধারে কাছে নেই, পুরাপুরি সফিস্টিকেটেড, প্রফেশনাল ইংরেজি!
আমাদের ফ্যাকাল্টি এক হলেও ডিপার্টমেন্ট আলাদা, সেই সুবাদে খুব নিয়মিত দেখা হয় না, কিন্তু আস্তে আস্তে অনেক কথাই হলো। ও কনভার্টেড মুসলিম। সতের বছর বয়সে মুসলিম হয়েছে নিজে পড়াশোনা করে। ও অন্য ইউনিভার্সিটিতে পড়েছে আন্ডারগ্র্যাডের গত তিন বছর। আমাদের ইউনিভার্সিটির ডিগ্রী থাকার প্রেস্টিজ বেশি, তাই এখানে অনার্স করতে চেয়েছে। জানলাম, দুই বছর আগে বিয়ে করেছে। আমার খুব মজা লাগল। আমি বেশ কয়েকজন হিজাবীকে দেখলাম বিয়ের পর রেজাল্ট বাড়াবাড়ি রকমের ভালো করা শুরু করেছে। অথচ, ঢাকায় ফেলে আসা স্কুলের বান্ধবীরা যারা এখন ঢাবি, বুয়েট আর মেডিকেলে পড়ছে, ওরা পড়াশোনা শেষ করার আগে বিয়ে করবে না। পড়াশোনার পাঠ চুকাতে হবে সেই ভয়ে! হিজাবী মেয়েদের জামাইরা কি বেশি ভালো হয়? (প্লীজ কেউ আহত হবেন না, আমি জানি এটা অ্যাবসুলুউট সত্যি না!)
অনার্সের প্রথম প্রেজেন্টেশনের দিন ফেইথ যখন বিশাল বড় লেকচার থিয়েটারের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তখন হঠাৎ করেই সব কথা বন্ধ হয়ে গেল। হল ভর্তি বিজ্ঞানীরা নড়ে চড়ে বসলেন। উচ্চারন বুঝা যাবে তো? ফেইথ কথা শুরু করতেই সবাই হতভম্ব। দারুন প্রেজেন্ট করলো, প্রশ্নোত্তর পর্বের উত্তরগুলোও দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল। আমার কেমন অদ্ভূত একটা ভালো লাগা হচ্ছিল।
অনার্সের ফাইনাল প্রেজেন্টেশনটাও যথারীতি ফাটাফাটি। এক অডিটরিয়াম ভর্তি ডাক্তার, ইউনিভার্সিটি প্রফেসার, অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির বিজ্ঞানীর সামনে শুধু চোখগুলো ছাড়া আর সব ঢাকা এই মেয়েটার আত্মবিশ্বাস আর সাবলীলতা রীতিমত ঈর্ষনীয়।
প্রেজেন্টেশনের পরে কথা হচ্ছিল ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে। জানলাম ও সিডনী ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট গ্র্যাড মেডিসিনে চান্স পেয়েছে!!!! এতগুলো আশ্চর্যবোধক চিহ্নের কারণ হচ্ছে, সিডনী ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনতম এবং মহা ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা। সিডনী ইউনির মেডিসিন ভীষণ রকমের প্রেস্টিজাস, চান্স পাওয়াটাও তাই খুবই কঠিন। সাবকন্টিনেন্টের মানুষজন গাল ফুলিয়ে বলে মুসলিম, হিন্দু আর বাদামী চামড়ার কেউই নাকি চান্স পায় না, হিজাবী মুসলিম তো দূরের কথা (নিকাবী তো অকল্পনীয়)! শুনেছি, বিবাহিতদেরও নাকি নিতে চায় না, ক্যারিয়ার ফোকাস কমে যাবে তাই।
আর এই মেয়ে, সবগুলো প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়ে তিন ধাপের সিলেকশন স্টেইজ পার হয়ে, সামনা সামনি মৌখিক পরীক্ষাতেও উতরে গেল! আমার অদ্ভূত ভালো লাগা হলো।
মেইকআপ আর আমি তেল আর জল, এক সাথে মিশ খাই না। এ যুগের মেয়ে হয়েও কাজল ছাড়া আর কিছু দিতে জানি না, সেটাও খুব মাঝে মাঝে। কিন্তু পোশাক আশাক ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য খুব দরকার, সেটা সব সময় বিশ্বাস করতাম। বোরখা পড়ব, কিন্তু ফুল তোলা নাকি মেটে আর ফর্মাল রঙের, এসব সিদ্ধান্ত নেই পরিস্থিতি বুঝে। এই মেয়েটাকে দেখে মনে হয়, হয়তো ব্যক্তিত্বে ঘাটতি আছে বলেই পোশাক আশাক দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করাটা এত দরকারি মনে হয়! বুঝি, নিকাব পরতে অনেকটুকু সাহসের দরকার হয়। অতটুকু সাহস আমার নেই। আমার ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের পরে একজন বুড়ো প্রফেসর মন্তব্য করেছিলেন, 'তোমার প্রেজেন্টেশন দারুণ হয়েছে। স্লাইড, স্টাইল সুন্দর। আর তোমার হাসিটা চমৎকার, সবাইকে মাতিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট।' সেদিনই ফেইথের প্রেজেন্টেশন দেখে মনে হলো, মেয়েটাকে কেউ কখনও শেষের লাইনটা বলবে না। ওর সুন্দর প্রেজেন্টেশনের সেকেন্ডারী কৃতিত্ব কখনও সুন্দর হাসির হবে না। সব সময় ওর আসল মেধা, ব্যক্তিত্ব আর একেবারে ভিতরের সত্ত্বাটাই মানুষের শ্রদ্ধা কুড়াবে!
*নামটা বদলে দিয়েছি।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: এটা তো মনে হচ্ছে দর্শক হিসেবে আপনার সেলফ এস্টিমের সমস্যা কৌশিক দা
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪
পারভেজ বলেছেন: ব্যতিক্রমী নজরকাড়া ঘটনাটা পোস্টে আনার জন্য ধন্যবাদ।
++
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫
ব্যাপারনা বলেছেন: সব সময় ওর আসল মেধা, ব্যক্তিত্ব আর একেবারে ভিতরের সত্ত্বাটাই মানুষের শ্রদ্ধা কুড়াবে!
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়লাম। খূব ভালো লাগলো।
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৬
হোসাইন১৯৫০ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট !
খুব খাঁটি কথা লিখেছেন !
সাধুবাদ জানাই !
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭
মিসকল বলেছেন: ভাল লাগল।
আর ইদানিং বোরখা নিয়ে মেয়েরা অনেক বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে আছে। জঙ্গি, পতিতা ইত্যাদি এর অনেক অপব্যবহার করছে।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়লাম। খূব্ ভালো লাগল। বুঝলাম, না, নিকাব প্রিতবন্ধক নয়।
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫১
আমি আমার বলেছেন: চমৎকার ও সুন্দর লেখা;ধন্যবাদ সন্ধ্যাবাতি+
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫২
'লেনিন' বলেছেন: নিকাবের আধুনিক সংস্করণ হিসেবে টেলিকনফারেন্স ব্যবহার করা যেতে পারে। মেয়েরা ঘরে থাকবেনা থাকবে মাটির নীচে অন্তপুরে।
আর উপরে বর্ণিত নার্সটির মতো সশরীরে উপস্থিত হবার বদলে টেলিকনফারেন্সিং করবে। চোখও দেখা যাবার দরকার নেই। অভতার বা থ্রিডি কোনো মডেল আপনাকে রিপ্রেজেন্ট করবে। পর্দা বা নেকাবের প্রাযুক্তিক নবায়ন হিসেবে আমার মনে হয় এটা সবার পছন্দ হবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৬
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: উপরে বর্নিত নার্সটি কে? আমি কিন্তু একজন বিজ্ঞানী (এখানে অনার্সের রিসার্চ বৈজ্ঞানিক জার্নাল আর্টিকেলে পাবলিশড করা যায়, ফার্সট অথার হিসেবে, তাই বিজ্ঞানী) আর ভবিষ্যত ডাক্তারের কথা বলেছি।
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৩
সোহান বাশার বলেছেন: একটা ভাল লেখা পড়লাম অনেকদিন পর, ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০১
দন্ডিত বলেছেন: বুঝলাম নেকাব কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নাই। একজন সৃজনশীল মানুষের যদি পোশাক আশাক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাহলে তার সৃজনশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। ব্যাক্তিগত রুচি/ঐতিহ্য ইত্যাদি সামাজিক প্রবনতা পোশাক নির্বাচনে গুরুত্ব পায়। এখানে মেধার কোন সম্পর্ক নেই বলেই আমি মনে করি। তাই কি পোশাক পরে সফল হওয়া যাবে সেই চিন্তা করাটাও হাস্যকর, এবং সফল মানুষের পোশাক কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নাই এই লাইনে চিন্তা করাটাও অপ্রাসঙ্গিক। সত্যিকার জ্ঞান সামাজিক প্রবণতার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। তাই সত্যিকার জ্ঞান অর্জনে কোন নির্দিষ্ট পোশাক সাহায্য বা প্রতিবন্ধকতা কোনটাই সৃষ্টি করার কথা না।
আরো কিছু বলার আছে। আপনার বা তোমার উত্তর পাবার পর বলব।
জাতিগত অন্ধত্বের শিকার হয়ে বিল্ট ইন মাইনাস দিলাম।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: শেষের লাইনটা বুঝলাম না। তার আগের লাইন নিয়ে কিছুর বলার নেই। আর আপনি বাকি যা বলেছেন, তার সাথে মোটামোটি একমত। জ্ঞান প্রভাবিত হয় না সামাজিক প্রবনতা দিয়ে, কিন্তু মানুষের রিয়েকশন আর জ্ঞানের গ্রহনযোগ্যতা প্রভাবিত হয়।
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০১
মুখ ও মুখোশ বলেছেন: খুব ভাল লাগল। শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮
এস এইচ খান বলেছেন: এক কথায় চমৎকার। শুধু নামের মুসলিম আমরা কাজের মুসলিম নই। ফেইথ মরিস কোন হীনমন্যতায় না ভোগা এক মুসলিম, তাও আবার কনভার্টেড।
১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬
বৃত্তবন্দী বলেছেন: লেখাটার মানে বুঝলাম না...
আপনি কি বলতে চেয়েছেন যে বোরখা পড়ার কারণে মেয়েটার শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি হয়েছে?
নাকি বোরখা তার উন্নতির অন্তরায় হয়ে ওঠেনি?
নাকি তার মেধাকে বোরখা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় নি?
নাকি অস্ট্রেলিয়া খুব রেসিস্ট কান্ট্রি, যেখানে বোরখা ঢাকা নারী চিড়িয়াখানার জন্তুর মত বিবেচিত হয়?
এ্যন এক্সেপশন ইজ নট এন এক্সাম্পল এটা আমি যেমন জানি, আপনিও জানেন।
একজন নারীর সফলতার কাহিনী হিসেবে ঘটনাটা আমি ১০০ ভাগ এ্যপ্রিসিয়েট করি।
কিন্তু সাথে হিজাব,নেকাব দিয়ে যেই ধর্মীয় ফ্লেভার আনার চেষ্টা করলেন সেটাকে এ্যপ্রিসিয়েট করি না, কারণ আপনার ঘটনার মেয়েটার মেধা আছে। সেটা সে প্রমাণ করতে পেরেছে। এটার সাথে আপনি তার ধর্ম পরিবর্তন, ধর্মীয় ড্রেস পরার কোনো যোগসুত্র দেখাতে পারেন নাই।
আমার ধারণা, মেয়েটা যদি ক্যাথলিক নান দের ড্রেস পড়ে এত কিছু এ্যচিভ করতো সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু সেটা লিখতেন না। এবং মেয়েটার ধর্ম পালনের ব্যাপারে কিছু মাত্র আলোকপাত করতেন না।
আপনি যেটা করেছেন সেটা একান্তই ইসলামিক ব্রাদার/সিস্টারহুডের কারণে করেছেন। এর বাইরে নারীর সাফল্য হিসেবে আপনি এটাকে কোনই এম্ফ্যাসিস দেননি।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪০
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: প্রথমটা বলতে চাই নি। দ্বিতীয় আর তৃতীয়টা বলতে চেয়েছি।
চতুর্থটা আপনার ভাষায় বলতাম না কখনই। এই লেখার প্রথম দিকেই বলেছি ওকে দেখে আমি নিজে কেন চমকে উঠেছি। কারণ, হিজাবই যেখানে রেয়ার, নিকাব সেখানে আরও বেশি। আর মানুষ যা দেখতে অভ্যস্ত না, তার প্রতি গ্রহনযোগ্যতা কম থাকে।
"কিন্তু সাথে হিজাব,নেকাব দিয়ে যেই ধর্মীয় ফ্লেভার আনার চেষ্টা করলেন সেটাকে এ্যপ্রিসিয়েট করি না" -- ধর্মীয় ফ্লেভার "আনার" চেষ্টা কথাটা বুঝলাম না ভাই। নিকাব জিনিসটাই তো ধর্মীয় কারণে পড়ছে একটা মেয়ে। এটার মধ্যে 'ফ্লেভার আনার' কি আলাদা চেষ্টা দরকার আছে?
"এটার সাথে আপনি তার ধর্ম পরিবর্তন, ধর্মীয় ড্রেস পরার কোনো যোগসুত্র দেখাতে পারেন নাই।" -- মেয়েটার মেধা আছে বলেই এসবের সাহস আছে, এটাই কি যোগসূত্র না?
একজন নারীর সফলতার কাহিনী হিসেবে ঘটনাটা আমি ১০০ ভাগ এ্যপ্রিসিয়েট করি।--- আমি ফেমিনিস্ট না। একটা শিখ ছেলে মাথায় পাগড়ী পড়ে যখন খুব একসেপশনাল কিছু অর্জন করে, তখনও সেটা আমাকে মুগ্ধ করে। আমি সেটাকে স্রেফ একটা ছেলের সফলতার কাহিনী হিসেবে দেখি না। খুব আলাদা কিছু করতে গেলে, অনেকটুকু এনার্জি খরচ হয়, যা মেধার প্রকাশে ভাগ বসায় অনেক সময়ই।
শেষ প্যারার পুরাটাই আপনার স্পেকুলেশন, আমার বলার কিছু নেই
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আরেকটা কথা: হ্যা, ইসলামিক সিস্টারহুড এখানে বড় একটা কারণ। আমি বাংলাদেশে স্কুলে খুব টের পেতাম হিন্দু স্যাররা মেধাবী হিন্দু স্টুডেন্টদের আলাদা রকমের স্নেহ করতেন। এটাতে আমি দোষের কিছু দেখি না (তাঁরা কেউ ডিসক্রিমিনেশন করতেন না, কিন্তু নিজের হিন্দু স্টুডেন্টদের কৃতিত্বে আলাদা গৌরব বোধ করতেন)। যে নিজে সংখ্যালঘু, সে একই ধরণের অন্য সংখ্যালঘুকে দেখে আলাদা আত্মিক সম্পর্ক টের পাবে, সেটাই কি স্বাভাবিক না? এখানে যখন বাঙালীরা (শুধু বাংলাদেশিরা না, ভারতীয় বাঙালীদেরও আপন লাগে!) ভালো রেজাল্ট করে, তখনও যে আলাদা ভালো লাগা হয়, সেটাও কি অনুচিত?
১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৭
সিরাজ বলেছেন: চমৎকার
১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২০
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: নেকাব কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। তবে কেউ কেউ নেকাবের আড়ালে লুকানোর সুযোগ পেয়ে যায়। নিষিদ্ধ এলাকাতেও নেকাব পরা দেখা যায়। ইসলামে নেকাবের কোন নির্দেশ নাই। তবে নিষেধও নাই মুখের উপর ঐ আবরন না পরলেও চলে।
পর্দার বিশেষত্ব হলো এটা মনের একাগ্রতা তৈরী করে অপর পক্ষে যারা বিভিন্ন সাজে নিজেকে সাজাতে চাই তাদের মনোযোগ বিভিন্ন দিকে বিভাজিত হয়। +++
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: তবে কেউ কেউ নেকাবের আড়ালে লুকানোর সুযোগ পেয়ে যায়--- এক মত। কিন্তু তাদের জন্য নিকাবীদের ভুগতে দেখলে খুব খারাপ লাগে। আরও খারাপ লাগে, যখন দেখি, মুখ খোলা তথাকথিত 'উদারমনা' হিজাবী মেয়েরা টিভির ইন্টারভিউয়ে বলছে, নিকাব পড়ার কোন দরকারই নেই! নিকাবীদের পাশে দাঁড়ায় একদল মানবতাবাদী বামপন্থী/নাস্তিকেরা, মুসলিমরা না!
১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২২
দন্ডিত বলেছেন: যদি মানুষের রিএকশান আর গ্রহনযোগ্যতা প্রভাবিত হয় তাইলে সেইটা যাদের প্রভাবিত হইতেছে তাগো প্রবলেম। যারা সৃজনশীল হইয়া পার্টিকুলার পোশাক সংস্কৃতি বাইছা নিছে তাদের তো এইটা ভাবার দরকার নাই যে তাগো এলেমের গ্রহনযোগ্যতা কেমন হইবো?
জ্ঞান প্রমোশনের জিনিস না বলেই আমি মনে করি। কি জ্ঞান অর্জিত হচ্ছে সেটাই আসল কথা। এই জন্যেই ব্যক্তি নিউটন আর বিজ্ঞানী নিউটন আমার কাছে আলাদা।
কিন্তু তোমার পোস্টের টোন কিন্তু এই ব্যক্তি বনাম অবজেকটিভ জ্ঞানের মাঝখানে সেতু বাধতেছে। যারা গ্রহন কর্তাছে না তাগো অন্ধত্ব কিন্তু যারা পার্টিকুলার প্রবনতা "সত্তেও" সফল হইছে এইরকম এক্সিওম ফর্মুলেট কর্তাছে তাদের অর্বাচীনতা জাস্টিফায়েড করে না।
সিদ্ধান্ত তুমি নেও নাই পোস্টে, সিদ্ধান্ত নিয়া বেকুব হওনের মত গবেট তুমি না, সেইটা আমি জানি। তাই দর্শকের আসনে বইসা হাততালি মারন ভালো তড়িকা। ইটস ইওর এপ্রোচ দ্যাট রিডিউসেস ইওর ভারনারেবিলিটি। যদি অনেস্টলি হাততালি বাজাও দ্যান ইটস আ গুড প্র্যাকটিস।
শার্লক হোমস ড: জেমস মরিয়ার্টি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিল "আমার অপছন্দের ব্যাক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা"
বাট অপছন্দ ইজ আ রুড ওয়ার্ড। তাই ভাবি তুমি প্রোপাগান্ডার উদ্দেশ্যে লেখো না। ইউর সোকলড দর্শক এপ্রোচ ইজ অনেস্ট।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: "জ্ঞান প্রমোশনের জিনিস না বলেই আমি মনে করি। কি জ্ঞান অর্জিত হচ্ছে সেটাই আসল কথা। এই জন্যেই ব্যক্তি নিউটন আর বিজ্ঞানী নিউটন আমার কাছে আলাদা।"-- এটা আলাদা করা যায় লং রানে। মেয়েটার ইন্টারভিউ নিতে যদি একটু অন্যরকম কেউ পড়তো, তাহলে হয়তো তার মেডিসিনে পড়া হতো না। কারণ মেডিসিনের ইন্টারভিউ খুব সাবজেক্টিভ, এটাকে বলে 'পারসোনালিটি টেস্ট', এটা নিয়ে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কোন সাফাই গায় না কখনই।
সে যাই হোক, নিকাব নিয়ে দুই দিন পর পর পৃথিবীতে আগুন লাগে, আমারও এক সময় ধারণা ছিল, নিকাব পড়লে বোধ হয় ইন্টারেকশনে সমস্যা হয়, ইত্যাদি। এই মেয়েটাকে দেখা খুব দরকার ছিল!
১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
Shes Thikana বলেছেন: হোসাইন১৯৫০ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ! খুব খাঁটি কথা লিখেছেন ! সাধুবাদ জানাই !
সোহান বাশার বলেছেন: একটা ভাল লেখা পড়লাম অনেকদিন পর, ধন্যবাদ আপনাকে।
যারা জন্তু তারা সবকিছূতেই জন্তু জন্তু ভাবতে থাকে।
আর যারা নাস্তিক তারা যত ভালই লেখেন না কেন, তারা তাদের কুযুক্তি দিবেই।।।
১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৪
Shes Thikana বলেছেন: হোসাইন১৯৫০ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ! খুব খাঁটি কথা লিখেছেন ! সাধুবাদ জানাই !
সোহান বাশার বলেছেন: একটা ভাল লেখা পড়লাম অনেকদিন পর, ধন্যবাদ আপনাকে।
যারা জন্তু তারা সবকিছূতেই জন্তু জন্তু ভাবতে থাকে।
আর যারা নাস্তিক তারা যত ভালই লেখেন না কেন, তারা তাদের কুযুক্তি দিবেই।।।
২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫
জাহিদ পারভেজ বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগলো। এসময়ে এ ব্লগে এমন একটা লেখার খুবই দরকার ছিল।
ধন্যবাদ এমন একটা বাস্তব অথচ গল্পের মত ঘটনা সকলের সাথে সেয়ার করার জন্য।
২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। খুব খারাপ লাগে যখন এর অপব্যাবহার করা হয় আর তার জন্য মানুষের কটু কথা আর বাঁকা দৃষ্টির বানে পড়তে হয়....
২২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
পথে-প্রান্তরে বলেছেন: এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম । চমৎকার সাবলীল লেখা ।
২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
বড় বিলাই বলেছেন: ভালো লাগল।+
২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৭
দন্ডিত বলেছেন: শেষ লাইনের মানে বুঝো নাই এইটা তুমি কইলেই বিশ্বাস করুম না। না বুঝলে আরেকবার ভানো। বুইঝা যাবা।
২৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৭
অক্টোপাস বলেছেন: অসাধারন লাগলো। চমৎকার বর্ণনা, ধন্যবাদ!
২৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৯
ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনি যতই ভাল উদাহরন দেন না কেন নেকাবধারিনীকে আমার মানবেতর লাগে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫০
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: মানবেতর মানে কি?
২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৩
'লেনিন' বলেছেন: লেখক বলেছেন: উপরে বর্নিত নার্সটি কে?
"নার্সের ফাইনাল প্রেজেন্টেশনটাও যথারীতি ফাটাফাটি।"
______________________
আমার কোট করা অংশটুকু নিজের পোস্ট থেকে খুঁজে নিন। আর আপনি বিজ্ঞানী না নিকাব পড়া থিসিস প্রেজেন্টার সেই মহিলাটি তা কিন্তু আমার মন্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়। আমার মন্তব্যটির কোনো উত্তরই আশার করেছিলাম। 'নার্স' কথাটি অনার্সের অপভ্রংশ বা টাইপো হলে ঐ অংশটি ওভারলুক করে মূল মন্তব্য দেখুন।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৬
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ধন্যবাদ, এটা অনার্সেরই অপভ্রংশ। ঠিক করে নিচ্ছি।
এবার আপনার মন্তব্যের জবাব দেই। এক বছরের সাইন্টিফিক রিসার্চে আমাকে দুইটা সেমিনারে প্রেজেন্ট করতে হয়েছে, একটা প্যানেল মিটিঙে বসতে হয়েছে সামনা সামনা। কথাগুলো আমি মানুষ থেকেই বের হচ্ছে কি না, তাৎক্ষনিক জবাব দেয়ার ক্ষমতা কি রকম, এগুলো দেখাই উদ্দেশ্য ছিল। এগুলো ত্রিমাত্রিক কোন প্রতিচ্ছবি দিয়ে বা টেলিকনফারেন্স করে করা সম্ভব না।
আর কিছু কিছু পেশায় টেলিকনফারেন্স সম্ভব না, যেমন ডাক্তার। ওহ, সার্জেন্টদের তো আবার মুখ ঢেকেই অপারেশন করতে হয়, ছেলে হোক, মেয়ে হোক
আপনার মূল প্রস্তাবনা বুঝতে পারি নি। অতএব মেয়েরা নিকাব পড়তে চাইলে ওদের বাইরে বের হওয়া উচিত না, পাতালপুরী হয়ে থাকা উচিত, এটাই?
২৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৭
শেষ আশা বলেছেন: এই মেয়েটাকে দেখে মনে হয়, হয়তো ব্যক্তিত্বে ঘাটতি আছে বলেই পোশাক আশাক দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করাটা এত দরকারি মনে হয়! বুঝি, নিকাব পরতে অনেকটুকু সাহসের দরকার হয়।
ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনি যতই ভাল উদাহরন দেন না কেন নেকাবধারিনীকে আমার মানবেতর লাগে।
অন্য ধর্মের ধর্মীয় বিষয়ে নাক না গলানো ভালই.... ত্রিশোনকু যে অমুসলিম তা তার নিকেই বুঝা যায়।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আপনার নিকটাকেও কে যেন হিন্দু হিন্দু বলছিল
২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৯
মো: মোফাচ্ছির হোসেন বলেছেন: নিকাব = প্রতিবন্ধক
উত্তর: কখনই নয়।
৩০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
দন্ডিত বলেছেন: তোমার উত্তর দেখে ম্যাট্রিক্স মুভির নিওকে মনে পরল।
গুড জব
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৪
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: হা হা হা।
আমি কিন্তু ব্যক্তি আর অবজেক্টিভ জ্ঞানকে পুরাপুরি আলাদা করতে পারি না। আমি হন্যে হয়ে খুঁজছি এমন একজন সুপারভাইজার, যিনি মানুষ হিসেবে অসম্ভব রকমের সৎ, বিজ্ঞানকে বিক্রি করতে চান না, যাঁর 'ইনসাইট' খুব তীক্ষ্ণ, গোছানো। জ্ঞানের চেয়ে এই সব গুণ আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। অহংকারী, জ্ঞানপাপীদের থেকে অনেক জ্ঞান নেয়ার চেয়ে একটা দৃঢ় চরিত্রের মানুষের থেকে অল্প জ্ঞান নেয়াটা আমার কাছে অনেক দামী অভিজ্ঞতা মনে হয়। জ্ঞান ভেসে যেতে পারে, কিন্তু একটা ব্যক্তি আরেকটা ব্যক্তির সংস্পর্শে যেই আদান প্রদান হয়, সেটা এক জীবন স্থায়ী।
এই পারসোনালিটি আর দৃঢ় চরিত্র আমার লেখার ফোকাস। জ্ঞান না।
৩১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৬
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: পুরো টাই মেয়েটার কৃতিত্ব।বোরকা পরেও পেরেছে,না পরলেও পারত।
বোরকার কোন কৃতিত্ব নেই।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৯
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ঠিক। 'পরেও পেরেছে', এটাকে হাইলাইট করার পিছনে উদ্দেশ্য ছিল। পশ্চিমা মিডিয়াতে নিকাবকে প্রতিবন্ধক ডেকে এই নিয়ে অনেক হই চই হচ্ছে কিছুদিন পর পরই। সেটাকে রিফিউট করা।
৩২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৬
বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: ভাল লাগ্ল
৩৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০১
মুহাম্মদ আমিন বলেছেন: ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখার জন্য ।
৩৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৬
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: না পরলেও পারত।
এটা এড়িয়ে গেলেন কেন???
আপনি যে মেয়ের কথা বলেছেন,সে ব্যতিক্রম।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৮
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: কি বিপদ, এড়িয়ে যাওয়ার কি আছে? আমাদের ইউনি থেকে মেডিকেল সাইন্সে অর্নাস করেছে ২০ জন, তার মধ্যে বাকি ১৯ জনই তো নিকাব না পরেই 'পারছে'। সেটা হাইলাইট করে বলার কি আছে?
৩৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৭
মন যাযাবর বলেছেন: এক পোস্টটা দেখে প্রায় দশ বছর আগের একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়ে গেল। বেলজিয়াম প্রবাসী আমার এক বন্ধু তার স্ত্রীর জন্য একটা স্লিভলেস ফ্রক টাইপের একটা পোষাক কিনছে। পোষাকটা শুধু স্লিভলেস ছিল না আরো দু'ধাপ বেশী আধুনিক ছিল। ওই পোশাক যে পরবে তার শরীরের কোমর থেকে উপরের দিকের দুই তৃতীয়াংশ অনাবৃত থাকবে। আমি বললাম, "আধুনিক হলে পুরাটা হ।" ও ইঙ্গিতটা ধরতে পেরে তড়িৎ জবাব দিল "কি জিনিস [?] বিয়ে করলাম পাবলিক যদি নাই জানল তো মজা কোথায়?!" বিজ্ঞাপনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে পণ্যের গুনাগুন সর্বোচ্চ সম্ভব জনসমক্ষে প্রকাশ করা। যাহোক, যার যেমন পছন্দ। যুক্তিটাও তার তেমন হয়।
পোস্টটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৮
'লেনিন' বলেছেন: লেখকের মন্তব্য থেকে কোট "আপনার মূল প্রস্তাবনা বুঝতে পারি নি। অতএব মেয়েরা নিকাব পড়তে চাইলে ওদের বাইরে বের হওয়া উচিত না, পাতালপুরী হয়ে থাকা উচিত, এটাই?"
এটুকুই কেনো হবে। নিকাব বা হিজাব একটা মেয়েকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় টিজ থেকে রক্ষা করবেই গ্যারান্টি দেয়না। আর সশরীরে উপস্থিত থাকা মেয়েটি শারীরিক লাঞ্ছনা, ধর্ষণ ইত্যাদির শিকার হবার থাকে। অথচ যদি টেলিকনফারেন্স করা হয় তবে তা থেকে মুক্ত এবং অধরা থেকে যাচ্ছে। এই যেমন ধরুন ব্লগে ভার্চুয়াল নিক, ছবি ইত্যাদি কেউ নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করছে। তারই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পূর্ণ সুবিধা নিয়ে হিজাব/নিকাবকে আপগ্রেড করা যেতে পারে। মানে বেগানা পরপুরুষে দেখবেইনা। ত্রিমাত্রিক কোনো প্রোজেকশন এক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতেই পারে।
"কথাগুলো আমি মানুষ থেকেই বের হচ্ছে কি না, তাৎক্ষনিক জবাব দেয়ার ক্ষমতা কি রকম, এগুলো দেখাই উদ্দেশ্য ছিল। এগুলো ত্রিমাত্রিক কোন প্রতিচ্ছবি দিয়ে বা টেলিকনফারেন্স করে করা সম্ভব না।"
তবে তো মুখ দিয়েই কথা বলছে কিনা সেটাও কেউ দেখার ইচ্ছা করতে পারে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৭
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: "তবে তো মুখ দিয়েই কথা বলছে কিনা সেটাও কেউ দেখার ইচ্ছা করতে পারে"-- হুম, মেয়েটা নিজে লিখল কিনা সেটা দেখার জন্য তার ঘরে ২৪ ঘন্টা সিসি ক্যামেরাও সেট আপ করা যায়। মুখ না দেখলে যেহেতু বুঝা যাবে না কথা কোথা থেকে আসছে, তাই একজামিনারদের খাতার দিকে তাকানো চলবে না, তখন যদি রেকর্ড করা কথা ছেড়ে দেয়! আর মুখ খোলা থাকলেই যে কোথাও লুকানো রেকর্ডার থেকে ভেসে আসা কথার সাথে ঠোঁট মিলাবে না, তার কোন গ্যারান্টি আছে? তাহলে রেকর্ডার পারবে এমন কোন জামা কাপড়ের ব্যাপারেও মনে হয় নিষেধাজ্ঞা দরকার তাই না?
৩৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
মুহাম্মদ আমিন বলেছেন: ভাল লাগল, আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট-এর জন্য ।
৩৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন:
টিভির ইন্টারভিউয়ে যারা বলছে, নিকাব পড়ার কোন দরকারই নেই, তারা ঠিকই বলছে। ইসলামে নেকাবের কোন নির্দেশ নাই।
পর্দা বিষয়ে ইসলামে যে নির্দেশ আছে তাতে মুখের উপর আবরন বা নিকাব পরার কথা বলা হয়নি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে পর্দা সমর্থন করি তবে মুখের উপর আবরন বা নিকাব ছাড়া বাকীটুকু। নিকাব বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৩
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: কিছু কিছু জায়গায় হিজাবও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। দাড়িও। আর শিখদের মাথার পাগড়ীর জন্য নিউ ওয়ার্কে কত শিখ ড্রাইভার গণধোলাই খেল।
৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১২
আমি আমার বলেছেন: পাপী ০০৭ বলেছেন: পুরো টাই মেয়েটার কৃতিত্ব।বোরকা পরেও পেরেছে,না পরলেও পারত।
বোরকার কোন কৃতিত্ব নেই।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৯
লেখক বলেছেন: ঠিক। 'পরেও পেরেছে', এটাকে হাইলাইট করার পিছনে উদ্দেশ্য ছিল। পশ্চিমা মিডিয়াতে নিকাবকে প্রতিবন্ধক ডেকে এই নিয়ে অনেক হই চই হচ্ছে কিছুদিন পর পরই। সেটাকে রিফিউট করা।
উদারমনারা যদি বুক পিঠ খোলা রেখে চলতে ভালবাসে/ সে যদি নিকাবে চলতে ভালবাসে ; স্বাধীনতা।
সমস্যা নিকাবে নয় সমস্যা আমাদের মাথাওমনে
৪০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৭
ম্যাকানিক বলেছেন: ব্যাতিক্রমি সময়ে ব্যাতিক্রমি লেখা সেজন্য প্লাস।
আজকাল অবস্থা এমন হয়েছে যে নেকাব এর পক্ষ নিয়ে কথা বলাটাও একটা সাহসের ব্যাপার।
৪১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৮
বৃত্তবন্দী বলেছেন: ফেমিনিস্ট বলে কথা না। আমি এখানে নারী প্রসঙ্গ তুলেছি আপনার পোস্টের প্রেক্ষিতেই।
আর আপনি বললেন যে একজন শিখ ছেলে যখন এক্সেপশনাল কিছু করে তখন সেটাও আপনাকে মুগ্ধ করে।
কিন্তু আপনি সেটা লেখেন না। কারণ সে টুপি পান্জাবী বা মুখে দাঁড়ি বা কপালে নামাজের দাগ সহ এটা অর্জন করে নি।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: সেটাকে আমাকে মুগ্ধ করে, কিন্তু ভালো লাগাটা এখানে একটু বেশি ছিল। আমি নিজে হিজাব পরি, হিজাবী হিসেবে অনেক গালি খেয়েছি। ভালো লাগাটা কি মুগ্ধতার চেয়ে একটু বেশি কিছু হওয়া অস্বাভাবিক? জিজ্ঞাসা করেছি আপনাকে, বাঙালী কেউ খুব ভালো করলে আপনি আলাদা রকমের খুশি হন না? যদি না হন, তাহলে কিছু বলার নেই। আমি হই, কারণ, বাঙালীদের সাথে আমার শেয়ারড আইডেন্টিটি আছে। নিকাবী মেয়েটার সাথেও তাই। তাই বলে পাগড়ী পড়া শিখ একটা ছেলের পারসোনালিটি আর সাহসিকতায় আমি মুগ্ধ হই না, তাও না , কিন্তু ওর সাথে আমার কোন শেয়ারড আইডেনটিটি নেই। আশা করি এই সূক্ষ্ম পার্থক্যটা আপনি বুঝতে পারছেন।
৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩১
মন মানে না বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে ।
অনেকে বলতে সাহস করে না কিন্তু আমি ভাই এক্ষেত্রে কট্টর !!!!!!
আসলে বোরকা বা হিজাব পড়া টা ব্যক্তিগত ঈমাণের স্টেজের উপর নির্ভর করে .........
ভাল লাগল ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আসলে বোরকা বা হিজাব পড়া টা ব্যক্তিগত ঈমাণের স্টেজের উপর নির্ভর করে ........-- একমত।
৪৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫
সরল মানুষ বলেছেন: boss, daron ekta post.anek valo laglo....
৪৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৫
আমি এবং আঁধার বলেছেন: হিজাব বা নিকাবের মাঝেও আমি নারীস্বাধীনতাই দেখি যখন তা ঐ নারী স্বেচ্ছায় বেছে নেয়। প্রশ্ন হলো তা শতকরা কত ভাগ ক্ষেত্রে? আমি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতে পারি, বেশিরভাগক্ষেত্রেই তা ধর্মের অলংঘনীয় বিধান হিসেবে প্রথমে পালন করা হয়, পরে কেউ কেউ তা জাস্টিফাই করার জন্য বিভিন্ন যুক্তি বেছে নেয়। জানিনা আপনার বা ঐ পাশ্চাত্য নারীর ক্ষেত্রে কোনটি ঘটেছে। যদি শুরু থেকেই তা বিধান হিসেবে পালন করে আসা হয়, তাহলে আমি তা সমর্থন করিনা। এক্ষেত্রে যুক্তিকে আনা হয় বিধানকে যথাযথ করতে, এই একটি কারণেই তা ত্রুটিপূর্ণ। বিস্তারিত করলে মহাকাব্য হয়ে যাবে।
আপনার প্রেজেন্টেশনের হাসির জন্য লজ্জিত মনে হলো। একজন ছেলে যখন কোনো প্রেজেন্টেশন করে তখন তার উপস্থাপনার সৌন্দর্যের কি কোনো মূল্যই দেওয়া হয়না?
সব সময় ওর আসল মেধা, ব্যক্তিত্ব আর একেবারে ভিতরের সত্ত্বাটাই মানুষের শ্রদ্ধা কুড়াবে!
আমার মতে কোনো মানুষের ভেতরের দিক দ্যাখানোর জন্য যদি তাকে কালো পর্দার মাঝে সদা আবদ্ধ থাকতে হয়, তবে সেই ভেতরের দিক না দ্যাখাই ভালো। নিজেকে যখন কেউ সহজ-সাবলীল ভাবে আরেকজনের সামনে উপস্থাপন করতে পারছেনা, তার আবেগ, চেহারার ইম্প্রেশন থাকছে সদালুক্কায়িত, তখন সে অবশ্যই দ্বিধাগ্রস্থ। সে দ্বিধাগ্রস্থ তার শরীর নিয়ে, সে দ্বিধাগ্রস্থ তার নারীত্ব তথা মনুষত্ব নিয়ে, সে দ্বিধাগ্রস্থ তার সমাজ নিয়ে, সে দ্বিধাগ্রস্থ তার চেনাগণ্ডীর বাইরের পুরুষদের নিয়ে। কি করে সে অন্তর্জগতে বিকশিত হতে পারে এরকম চিন্তা-ভাবনা নিয়ে?
অনেক কথা বলে ফেললাম। আঘাত দিলে নিজগুণে ক্ষমা দেবেন। ধন্যবাদ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: "বেশিরভাগক্ষেত্রেই তা ধর্মের অলংঘনীয় বিধান হিসেবে প্রথমে পালন করা হয়, পরে কেউ কেউ তা জাস্টিফাই করার জন্য বিভিন্ন যুক্তি বেছে নেয়।"-- আমি প্রথমে অন্য কারণগুলো জেনেছি, তারপরে জেনেছি, যত কারণ থাকুক না থাকুক, এটা ধর্মীয় অলংঘনীয় বিধানই। তাই কারণগুলো অনুপস্থিত হয়ে গেলেও ধর্মীয় বিধানটা ঠিক থাকে। এবং এখন হিজাব পরি কেন কেউ জিজ্ঞাসা করলে অন্য কোন কারণ বলি না, সোজা সাপ্টা বলে দেই, এটা আমার ধর্মীয় বিধান। কেন বলছেন এটা নারী স্বাধীনতা না? স্বাধীন নারী একটা আদর্শের অনুসারী হতে পারে না? বাবা মা সত্য কথা বলে একটা ছোট শিশু সত্য বলা শিখল। সত্য কেন বলতে হবে, সেই কারণটা না জেনে সত্য বললে কি সেই সত্য কথার কোন মূল্যই নেই? সেই গুণ কি বেগুণ হয়ে যায়?
যদি কাউকে ধর্মীয় বিধান বলে জোর করে পরানো হয়, সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার এবং আমি সেটার তীব্র বিরোধিতা করি। কিন্তু ধর্মীয় অলংঘনীয় বিধানকে স্বেচ্ছায় শিশুকাল থেকে মেনে নিলে অসুবিধা কোথায়?
আমার মতে.... এরকম চিন্তাভাবনা নিয়ে-------- এই অংশটুকুর রিফিউটেশন আমার পুরা পোস্টে। এটাই আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা, কেউ কালো পর্দায় শরীর ঢেকেছে বলে বোধ হয় সে বিব্রত, সাবলীল না, আড়ষ্ট, কিন্তু ফেইথের মধ্যে আমি তার পুরাপুরি বিপরীত চিত্র দেখেছি। সুতরাং কালো পর্দাটাই আড়ষ্টতার কারণ না, বা আড়ষ্টতার কারণে কালো পর্দা দিয়ে মানুষ শরীর ঢাকে না।
৪৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
অরণ্যচারী বলেছেন: হিজাব নিকাব ইত্যাদি বস্তু মধ্যপ্রাচ্য আফগানিস্তান থেকে আমদানি করে কেউ যদি নিজের গায়ে চড়িয়ে সুখ পায় তাইলে আর কিই বা বলার আছে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৩
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন:
হিজাবের উৎপত্তিস্থল আফগানিস্থান আর মধ্যপ্রাচ্য??!! জ্ঞানী লোক
আফগানিরা নিকাব পরে না, 'বুরকা' অন্যরকম।
৪৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ব্যতিক্রমী পোষ্ট।
ভালো লেগেছে।
৪৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২১
আমি এবং আঁধার বলেছেন: ৪৪ নম্বরে আপনার বিস্তারিত আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।
স্বাধীন নারী একটা আদর্শের অনুসারী হতে পারে না? বাবা মা সত্য কথা বলে একটা ছোট শিশু সত্য বলা শিখল। সত্য কেন বলতে হবে, সেই কারণটা না জেনে সত্য বললে কি সেই সত্য কথার কোন মূল্যই নেই? সেই গুণ কি বেগুণ হয়ে যায়?
আপনি এখানে প্রিডিফাইন্ড ভাবেই ধরে নিচ্ছেন আদর্শটা ভালো, বিধানে যা আছে তা সন্দেহাতীতভাবে সত্য বা সঠিক, যদি উল্টোটা হয়?[নেহায়েত তর্কের খাতিরেই ধরুন।] যেমন ধরুন ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা বিবাহবিচ্ছেদে বিশ্বাস করেনা, একইভাবে প্রিডিফাইন্ড আইডিয়ার কারণে তাদেরও অনেক ভালো ভালো যুক্তিই আছে। আগে বিধান পরে যুক্তির সমস্যাটি কি তাই ভয়াবহ নয়? আপনি মুসলিম আদর্শে বিশ্বাসী তাই ভালো মনে হচ্ছে আপনার হিজাব প্রথাকে, অন্য কোনো আদর্শে থাকলে কি তাই মনে হতো? অর্থাৎ বিধান এখানে স্বাধীন যুক্তির পথে ব্যাপক বাঁধা সৃষ্টি করছে তাইনা?
যদি কাউকে ধর্মীয় বিধান বলে জোর করে পরানো হয়, সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার এবং আমি সেটার তীব্র বিরোধিতা করি। কিন্তু ধর্মীয় অলংঘনীয় বিধানকে স্বেচ্ছায় শিশুকাল থেকে মেনে নিলে অসুবিধা কোথায়?
অসুবিধা যে কোথায় তাতো উপরেই দেখতে পাচ্ছেন।
আমার মতে.... এরকম চিন্তাভাবনা নিয়ে-------- এই অংশটুকুর রিফিউটেশন আমার পুরা পোস্টে।.............এটাই আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা............সুতরাং কালো পর্দাটাই আড়ষ্টতার কারণ না, বা আড়ষ্টতার কারণে কালো পর্দা দিয়ে মানুষ শরীর ঢাকে না।
সম্পূর্ণ যুক্তির খাতিরে বলছি, ধর্ম নিয়ে ক্যাচালের জন্য নয়; হিজাব বা নিকাবের বিধানের কারণ, ধর্মীয় প্রত্যাদেশগুলোর বিবেচনা করলে কিন্তু আমার কথাগুলোরই সত্যতা প্রমাণিত হবে। যে বিধান নারীকে ভোগের সামগ্রী(!) হিসেবে না দ্যাখানোর জন্য একপেশে [নারীবহুল সমাজে কি পুরুষের হিজাবের নিয়ম আছে?], তা কি করে নারীকে মুক্ত করে? যে পোশাক অসংখ্য কাজের জন্য প্রতিবন্ধক, এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে [কলকারখানার কাজের সময়] তা কি করে চেতনার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে?
"একমাত্র নিজেকে মুক্ত করেই মানুষ অন্যকে মুক্ত করতে পারে।" উপলদ্ধির পরিণতি যদি হয় আবরণীতে বেষ্টন তবে তার অন্তর্গত মাত্রা কি করে তাকে ছাড়াতে পারে??
আপনি পুরো পোস্টের কথা বলেছেন, এ অধম তাতে প্রশ্নগুলোর জবাব পায়নি। আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটি সংক্ষেপে জানালে খুব খুশি হবো।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:০৫
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ১. মানুষের যুক্তি, ভালো মন্দের মাপ কাঠি সারা জীবনই আরও পরিনত হতে থাকে। ছোটবেলা মানুষকে ভালো মন্দ চিনিয়ে দিতে হয়। ছোটরা আগুন ধরলে যে হাত পুড়ে, তা বুঝে না। তাই বলে ওদের আগুনে হাত পুড়িয়ে শিক্ষা নেয়ার জন্য ছেড়ে দিলে চলবে? বাবা মা যা বলে তার সবকিছু ঠিক না, সেটা বড় হলে বুঝা যায়। তাহলে কি বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা দরকার কিছু শেখানোর আগে? ক্যাথলিক বাবা মা ক্যাথলিক শিক্ষা তো দিবেই । সমস্যা হয় যখন 'চাপিয়ে' দেয়া হয়। এছাড়া আমি কোন সমস্যা দেখি না!
২.
৩. 'যে পোশাক অসংখ্য কাজের জন্য প্রতিবন্ধক, এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে [কলকারখানার কাজের সময়] তা কি করে চেতনার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে?'
--- বুঝলাম না। হিজাব নিকাব মৃত্যু ঘটাতে পারে?! এরকম কোন খবর এসেছে নাকি?
"যে বিধান নারীকে ভোগের সামগ্রী(!) হিসেবে না দ্যাখানোর জন্য একপেশে [নারীবহুল সমাজে কি পুরুষের হিজাবের নিয়ম আছে?], তা কি করে নারীকে মুক্ত করে?"--- নারীবহুল সমাজ লাগবে না, সাধারন সমাজেই পুরুষের হিজাবের নিয়ম আছে। সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াত খুলে দেখুন, ওখানে নারীদেরকে বলা হয়েছে পুরুষদের থেকে দৃষ্টি এবং নিজেদের গোপনাঙ্গ সম্বরন করতে! (এর আগের আয়াতে পুরুষদের বলা হয়েছে নারীদের থেকে... )। কুরআন খুললেই উদাহরণ পাবেন কুরআন বলে, পুরুষদেরও মাঝে মাঝে ভোগের সামগ্রী হতে হয়। সূরা ইউসুফ পড়ে দেখেন, ইউসুফ (আ) কে হতে হয়েছিল!
রাসুল (সা) সারা জীবনে খুব অল্প সংখ্যক বার শরীরের উপরের অংশ উম্মোচন করেছিলেন মানুষের সামনে। আবু হুরায়রা (রা) মাথায় চাদর টেনে রাখতেন সব সময়। আরবে ছেলেরা যেভাবে জোব্বা পরে, সেটার সাথে মেয়েদের বোরখার পার্থক্য খুব কম।
এই ঢাকাঢাকির ব্যাপারটা শুধু নারীদের জন্য না, পুরুষদের জন্যও। সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজে পুরুষেরা নারীদের উম্মোচন করতে চান ভীষণ ভাবে। টানাটানিটা ক্রমাগত চলছে। তাই নারীদের ধর্মীয় পোশাকের প্রতি পুরুষদের এত রাগ ।
পুরুষদের ফর্মাল পোশাক উপরের বোতাম বন্ধ শার্ট, আর নারীদের? । প্লান্জিং ইজ গুড।
পুরুষদের ফর্মাল পোশাক ফুল হাতা শার্ট, কিন্তু নারীদের?
পশ্চিমে, পুরুষেরা যদি ফর্মাল কোন পরিস্থিতিতে ফুল প্যান্ট পরে না যায়, তাহলে সেটা অগ্রহনযোগ্য, কিন্তু নারীদের শর্ট স্কার্ট--ভীষণ ভাবে গ্রহনযোগ্য!
এগুলো কি নারীদের পুরুষদের চেয়ে বেশি মুক্ত করছে?
পর্ণ আর্টিস্টরা তাহলে সবচেয়ে বেশি মুক্ত!
৪৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০০
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ভাল লাগল। তবে পশ্চিমে এখন নেকাব পড়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। মেয়েটি বর্ন সিটিজেন বলে তার জন্য ততটা কঠিন হয় নি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:০৬
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: এটা বর্ন সিটিজেনের ব্যাপার না আপু, মেয়েটার পার্সোনালিটিই অন্য রকম।
৪৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩১
লড়াকু বলেছেন: বাসে যখনই বসি কোথা থেকে যেন নিকাব পরা এক মহিলা এসে বিশেষ কিছু রোগ আরোগ্যের উপায়সহ একটা কাগজ ধরিয়ে দেয়।
৫০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৫
ইসানুর বলেছেন: ব্যতিক্রমী পোষ্ট।
ভালো লেগেছে।
৫১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৩
জানজাবিদ বলেছেন: মাসে কি একটা করেই পোস্ট দেবেন?
মানুষ যা সত্যিকার ভাবে বিশ্বাস করে তার জন্য সে বহুদূর যেতে পারে। আমাদের বিশ্বাসের গ্রন্থিগুলো দূর্বল বলেই হয়ত আমাদের মাঝে এত সংকোচ, এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:০৭
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ঠিক
৫২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৬
মন যাযাবর বলেছেন: বিতর্ক আমার ভাল লাগে যতক্ষণ সেটা জানার জন্য হয়। কোন প্রতিযোগিতা ছাড়া বিতর্কটাকে গেম হিসাবে নিলে বিরক্ত লাগে। ব্যবহারিক জীবনে বিতর্ক হোক জানার জন্য - জেতার জন্য নয়। এতে প্রায়ই মূল বিষয় থেকে সরে আসে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:১৫
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন:
৫৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৪১
আয়েশা তায়েবা বলেছেন:
কনভার্টেডদের কেন জানি একটু বাড়াবাড়ি রকম ধর্মীয় আচরন করতে দেখা যায়। আশা করি মেয়েটি বহুবিবাহে বিশ্বাসী নয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:১৯
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: মমমম
বহুবিবাহের কথা অর্থ্যাৎ ছেলেদের চারটা পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহনের অনুমতি কোরানে আছে। এটাতে বিশ্বাস করা জরুরি, কিন্তু ব্যক্তিগত পছন্দ অন্যরকম থাকতেই পারে। মাগুর মাছ হালাল বলেই যে সবাইকে খেতেই হবে এবং খুব পছন্দ করেই খেতে হবে, সে রকম কোন কথা নেই, ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম
৫৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৫
রিয়াজ উল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পোস্ট এবং কমেন্টের জবাবগুলোর জন্য। তবে এটা ঠিক স্রোতের বিপরীতে চলতে গেলে সাহস লাগে বৈকি।
৫৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৬
আমি এবং আঁধার বলেছেন: আমাদের আলোচনা সম্পূর্ণ দুদিকে চলে গেছে। এখন বিষয়টা শুধু অর্থহীন ক্যাচালেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যেহেতু দুজনের যুক্তির কাঠামো সম্পূর্ণ ভিন্ন, কাজেই আর আলোচনা না চালানোই ভালো। কেউ যদি হিজাবকে ভালো মনে করে তো ভালো, না মনে করলে নাই। আমার মনে করা বা না করাতে কিইবা আসে যায়। সময় পাল্টাবে, পাল্টাবে মূল্যবোধ; ভবিষ্যতই দেখবে কোনটি টিকে থাকে প্রকৃত নৈতিকতা হিসেবে।
ভালো থাকবেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ধন্যবাদ এবং দু:খিত, পরে বুঝেছি টোনটা অন্যরকম হয়ে গিয়েছে।
৫৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৭
পুরাতন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো
৫৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫০
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: ফেইস কভার করিনা ...... বাট যারা হিজাব টা আরো বেশি আপগ্রেটেড করে মানে , সেটাকে তাক্বওয়ার অংশ বলেই মনে হয়। হয়তো এটা ফার্য না...... কিন্তু এটা কোন দিন কোন ভাবেই প্রতিবন্ধক ও না !!!! নেকাব ব্যাবহারকারি অসংখ্য চরম ব্যাক্তিত্ব দেখেছি...
তাদের মেধা তো মাথায় , মুখে না , এটাই হলো ব্যাপার।
কেউ পারলে পারবে ,পড়বে, তাতে বিরোধিতার কিছু নেই ! আজকে মাস্ক পরে বসে আছে পুরা বিশ্ব ...... তাতে কি থমকে গেছে জগতসংসার ?
আর শোনো,
হিজাবী মেয়েদের জামাইরা কি বেশি ভালো হয়?
প্রশ্নবোধক ক্যান আবার ? সত্যি বলছোতো ?? (আশান্বিত ইমোশন) :-D
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: সত্যি বলছি!!!
৫৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪৩
রংধনুর সাত রঙ বলেছেন: সব সময় ওর আসল মেধা, ব্যক্তিত্ব আর একেবারে ভিতরের সত্ত্বাটাই মানুষের শ্রদ্ধা কুড়াবে!
খুব ভাল লাগল। ব্যাতিক্রম এই পোস্টটার জন্য ধন্যবাদ।
৫৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৩
তারিক রিদওয়ান বলেছেন: ফেইথ মরিস এর সাহস এবং আত্মবিশ্বাস দেখে সত্যিই খুব অনুপ্রাণিত হলাম আপু। আমাদের মুসলিমদের উচিত সঠিক স্থানে নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সাথে তুলে ধরতে, কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়েই ব্যর্থ হই।
এক্ষেত্রে ফেইথ মরিস এর মত কিছু মানুষই আমাদের সাহস দেয়, আমাদের হৃদয়ের আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়।
দোয়া রইল ফেইথ মরিসের জন্য। আল্লাহ তার সকলে কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক, আমিন।
এবং সর্বশেষ....... আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য....... ভবিষ্যতে আরো এ ধরনের লেখা প্রত্যাশা করি।
৬০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৬
বন্ধু-কথন বলেছেন: সুন্দর আর সাবলীল লেখা।
২ টা রিকুয়েস্ট করবো, একটা আরেক্টার বিপরীতঃ
১। এই লিখাটা ইংরেজিতে পোষ্ট করতে পারবেন প্লিজ। আমার ইউনির মুস্লিম স্টুডেন্টদের লিংক টা শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
২। http://www.harunyahya.com/kids/the_books.html এইখান থেকে কিডসদের জন্য কিছু কি বাংলায় অনুবাদ করতে পারবেন? আল্লাহ আপনাকে প্রাঞ্জল লেখনী শক্তি দিয়েছেয়েন। ভালো কিছু করে যেতে পারলে ম্রিত্তুর পরও সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হোন।
[আমি অভ্রতে 'রি' কার কিভাবে দেয়, তা এখনও রপ্ত করিনি, দুঃখিত]
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: 'আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হোন', এই দোআটায় আমিন। আমার সময়ের অভাব এবং আনুসঙ্গিক আরও কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যে কারণে অনুরোধগুলো এই মুহূর্তে রাখতে পারছি না... দু:খিত।
৬১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৯
সামী মিয়াদাদ বলেছেন: অনেকদিন পর লেখা পড়লাম। যথারীতি ভাল্লাগলো।
ভাল লাগা সম্পূর্ন ব্যক্তিগত। এ নিয়ে কোন মতোপার্থক্য নেই। আসলে মেধা কোন কিছু দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না। আপনি সন্ধ্যাবাতি না হয়ে যদি ভোরের বাতিও হতেন তবুও আমি এই লেখা পড়তাম।
যাই হোক লেখার মূল ভাব ভাল্লাগছে। এইখানেই লেখাটার সাফল্য।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: ধন্যবাদ সামী মিয়াদাদ
৬২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সুন্দরম বলেছেন: পোস্টে +
আমার পোস্টটি একটু দেখবেন
৬৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১১
নূরুল্লাহ তারীফ বলেছেন: আপনার লেখাটি অত্যন্ত ভাল লেগেছে। আর সবচেয়ে ভাল লেগেছে ৪৪নং মন্তব্যের জবাবের এই অংশটি- "এখন হিজাব পরি কেন কেউ জিজ্ঞাসা করলে অন্য কোন কারণ বলি না, সোজা সাপ্টা বলে দেই, এটা আমার ধর্মীয় বিধান।"
"আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথের দিশা দেন।"[বাকার ২১৩]
৬৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
প্রতীক্ষা বলেছেন: +++++++++++
লিখাটা অনেক দিন আগেই পড়েছি, সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি।
আপনার এই লিখার প্রতিটা কথার অর্থ আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি।
এরকম অনেক কথা আমার মনেও প্রতিনিয়ত আসে।
কিন্তু ভাষার প্রকাশটুকু আমি ঠিক মত করতে পারি না। তাই দেখা যায় এগুলো সব মনেই থেকে যায়, কারও সাথে শেয়ার করতে পারি না।
আপনি এমন একটা ঘটনা তুলে ধরলেন..অনেকের জন্যই তা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
আর এত সুন্দর করে তুলে ধরলেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
৬৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৩
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: আল্লাহ হেদায়াত করুক
+++পোষ্ট
৬৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আবার পড়ে গেলাম। ভাল লাগল।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৩
কৌশিক বলেছেন: বোরখা দেখলেই নিজেকে জন্তু জন্তু মনে হয়....