নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভোরের শরীরে এখনও লেগে আছে রাত্রির দগদগে ক্ষত

শ. ম. দীদার

কার্ণিশ ভাঙ্গা জানালার ফাঁক দিয়ে রাতের আকাশের যেটুকু অংশ দেখা যায়, অইটাই আমার পৃথিবী।

শ. ম. দীদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দুলাভাই আমার বস আর আমার লাল, নীল, কর্পোরেট কালার কষ্ট

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৪

যে বয়সে আবেগ, অভিমান, ক্রোধ ঠ্যাঁ ঠ্যাঁ করে, হরমোন সিক্রিয়েশনের তাড়া থাকে, না সে সব কিছুই নেই। শালা বাইন্‌চোত কিছিমের গালিগুলা বমি করতে ইচ্ছে করে। গলা বরাবর এসে আটকে যায়। অভিমানশূণ্য হয়ে গেলাম বুঝি। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে হাজার বছরের অরব অন্ধকার, তীব্র একাকীত্ব আক্রমণ করলে, নিজের দিকেই একটা গালি ছুটে আসে, শালা বাইন্‌চোত। রোঁয়া উঠা শরীরের একটা নেড়িকুত্তা তেড়ে আসে।

আমার চাকরিটা দরকার ছিল; দুটি কারণে। একটি আমার নিজের বেঁচে থাকা অন্যটি খুব গতানুগতিক, প্রেম ও প্রেমিকা টিকিয়ে রাখা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স পাশ করে একটা ফ্যাশন ম্যাগাজিনের সহকারি সম্পাদক হিশেবে শুরু করলাম। সহকারি তো! লোকে বলে, যার নাই কোন গতি, সে হয় সহ-সভাপতি। সহকারিও ঐ একই জিনিস। রাত জেগে কাজ করি। সম্পাদক ও প্রকাশকের ফুট-ফরমায়েশ খাটি, থাকতে খাইতে দেয়। সুন্দর সুন্দর মেয়ে মানুষ দেখি, বিয়ারটা, মদটা দেয়, কিন্তু মাইনেটা শালা দিতে চাই না। প্রথম ছয় মাস এই এরকমই চলছিল। পেট গরম করে তো লাভ নাই, প্রেম যখন চেঁচিয়ে উঠে- অকর্মণ্য বলে, প্রেম বিষয়ে কাহ্‌লিল জিব্রানের অমোঘ বাণী যখন অক্ষরে অক্ষরে ফলে যেতে দেখি, তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি। কী করি। আমার কিছু অতীব ভালো বড় ভাই আছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন-অপু ভাই অন্যজন আনন্দ ভাই। এই যাত্রায় অপু ভাই অবতার হিশেবে উপস্থিত।

দ্বিতীয় অধ্যায়। ফ্যাশন ম্যাগাজিনের সহকারি সম্পাদকের পদ ছেড়ে দিয়ে, একটা বিদঘুঁটে পরীক্ষা শেষে, দেশের সবচে’ বড় আইটি কোম্পানিতে (সিএসএল) মার্কেটিং বিভাগে বিজনেস ম্যানেজার গ্রেড-৯ এই পদে কাজ করতে শুরু করি, বেতন ৭০০০ টাকা। এখানে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো, আমি গিয়েছিলাম চাকরির জন্য, তাঁরা বললেন, চাকরি না, ইন্টার্ন। আমার বস, আমার দুলাভাই। অর্থাৎ আমার ইউনিভার্সিটির এক ব্যাচ সিনিয়র আপুর হাজব্যাণ্ড, সেই সূত্রে। তিনি বললেন, ঝামেলা করো না, শুরু কর, পরে আমি দেখবো। উনাকে আমি আগে থেকে জানতাম। মানুষ হিশেবে যথেষ্ট ভালো, সমঝদার, পড়ুয়া এবং মেধাবীও। আমি শুরু করলাম। ছয় মাস পরে প্রবেশনে গেলে বেতন বাড়বে। বাহ্‌ কী সুখ! কী মজা!

ছয় মাস পর। বললেন। তোমার এটা প্রসেসিং এ আছে। চিন্তা করো না। মনোযোগ দিয়ে কাজ কর। ততদিনে আমি ধরেই নিয়েছি/আসলে স্থির সিধান্তে পৌঁছে গেছি, হ্যাঁ আমি মার্কেটিংয়েই কাজ করবো পেশা হিশেবে। যথাযথ মনোযোগ, কায়িক ও মানষিক শ্রম, ভাই বলেছিলেন, কাজে ডেডিকেশন থাকলে, উপরে উঠার সিঁড়ি খুব কুসুমাস্তীর্ণ হয়, সুতরাং ডেডিকেশন দিয়ে কাজ করতে থাকি, প্রবেশনে গেলে বেতন বাড়বে এই আশায় আট মাস, সাত হাজার টাকায়। ভাইকে বললাম, ভাই। ভাই বললেন, তোমাকে প্রবেশনে দেব না, একেবারে পার্মানেন্ট। কাজ কর। আট মাস পর ১২ হাজার টাকা বেতনে পার্মানেন্ট। আমি প্রথমে একটু গাঁইগুই করলাম, অনেক অনুনয় বিনয়ের সাথে ভাইকে বললাম, একটু বাড়িয়ে দেন। সচরাচর আমি উনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি না। এটা একেবারে মন থেকে, শ্রদ্ধার বশে। মাস শেষে দেখি বেতন পাই, ১০৮০০ টাকা। ছেঁড়ে দেয়া যাবে না চাকরিটা, ভাই রাগ করবেন, আমার প্রেম, আমার ঢাকা শহরে বেঁচে থাকা, সব সব এই চাকরির উপর। যে বয়সে আবেগ, অভিমান, ক্রোধ ঠ্যাঁ ঠ্যাঁ করে, হরমোন সিক্রিয়েশনের তাড়া থাকে, না সেসব কিছুই নেই। শালা বাইন্‌চোত কিছিমের গালিগুলা বমি করতে ইচ্ছে করে। গলা বরাবর এসে আটকে যায়। অভিমানশূণ্য হয়ে গেলাম বুঝি।

তৃতীয় অধ্যায়। বারো মাসের মাথায় চাকরিটা ছেঁড়েই দিলাম, অনেক বুঝালাম ভাইকে, বেতন একটু বাড়িয়ে দেন। এই দুর্মূল্যের বাজারে চলছে না। যে ডেডিকেশন, আগ্রহ, শ্রম দেয়ার স্বতস্ফূর্ততা সব ধীরে ধীরে মিঁইয়ে পড়তে শুরু করল। ভাইকে সরাসরি, অন্যকারো মাধ্যম দিয়ে অনবরত বুঝাতে চেষ্টা করলাম। এর মধ্যে মাস্টার্স দিয়ে দিলাম। চাকরির মধ্যে থেকেই। ভাই আমাকে এই সুযোগটা দিলেন এবং এইসব বিষয় তিনি উদার। ছাত্রজীবনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে যত নেগোসিয়েশন্স থিওরি রপ্ত করেছিলাম, সবই কপচাঁনো কমপ্লিট। মনে হয় পড়াশুনাটা ধান দিয়ে পড়া, চাল দিয়ে না। যখন দেখলাম আমার পরে যারা জয়েন করছে, তাঁরা সবাই , একই গ্রেডে আমার চেয়ে বেশি বেতনে। আমাকে নিয়ে আমার সিনিয়র কলিগদের সাথে নিয়ে কাউন্সেলিং করলেন অনেকবার। এটা উনি আমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই। এরমধ্যে ডেস্টিনির হাত ধরে প্রেম উড়াল দিছে। প্রেমিকার ব্যাকগ্রাউন্ড শুনলে কেউই বিশ্বাস করবেন না, এই মেয়ে ডেস্টিনি করতে পারে না, আর যেই করুক। শান্ত-মারিয়ম থেকে ফ্যাশন ডিজাইনে অনার্স করে, একটা ফ্যাশন হাউজে কাজ করতে করতে হঠাৎ ডেস্টিনি এসে হাজির। আমাকে কয়, চাকরি ছাড়ো, আমার সাথে এসে ডেস্টিনি করো। আমারও একটু ঝামেলা আছে। আমি বদমেজাজি, নেগোসিয়েশনের সময় একরোখা, সবসময় ইউ ম্যাসেজ দিয়ে কথা বলা (কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট এ একটা থিওরি আছে, আলোচনার সময় “আই ম্যাসেজ ও ইউ ম্যাসেজ” এর ক্ষেত্রে আই ম্যাসেজ দিয়ে কথা বলা, অর্থাৎ আমরা এই ভুলটা করেছি, আমরা এই বিষয়ে আলোচনায় বসতে পারি, আমরা এভাবে করি ইত্যাদি, ইউ ম্যাসেজ হচ্ছে, তুমি এমন, তুমি তেমন, তুমি এটা কেন করেছ) কিছুটা চারিত্রিক স্খলন (মাঝে মাঝে মদ খাওয়া, সিগারেট খাওয়া, পর নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া কিছিমের, কিন্তু ঐ এটুকুই, দৃষ্টি দেয়াটাই) আছে। তিনি ভাবলেন, ছেলেটা ছ্যাঁকা খেয়ে, এপোড় ওপোড় হয়ে গেছে। কিন্তু আমি মালডা ঘটনার আকষ্মিকতায় তাজ্জব বনে এমন হয়ে গেলাম যে, আসুক শালা চোখের পানি, কাঁদব না। বল্লেন, তুমি আগের মত কাজ করছ না। মনে মনে বললাম, ভাই আপনি ২২ জনের একটা টিমের বস, সবই বুঝেন, এটা বুঝেন না, যে ছেলেটা ১৮০ কিমি গতিতে কাজ করত, সে হঠাৎ ৭০কিমি গতিতে দৌঁড়ছে কেন? এতে তার নিজেরও ভাল্লাগছে না। ভাইকে বললাম, না ভাই, টাকা দেন কাজে গতি আসবে আগের মত। হলো না। ছেঁড়ে দিলাম। ভাইকে বললাম, ছেঁড়ে দিচ্ছি। ভাইকে বললাম ওয়াইকেকে তে চাকরি হইছে। ভাই বল্ল, ওরা আমাদের পার্টনার। ঠিক আছে। ভালো তো, যাও। দোওয়া থাকল। আসার দিন, সকালে, ভাই আচ্ছা মত ঝাড়ল। মানে বুঝি নাই। আগের দিন তো সবাই মিলে মজা করলাম। আমি চলে যাচ্ছি, এটা নিয়ে সবাই মন খারাপ করল। কিন্তু আজ? মাথার উপর দিয়ে গেল। পুরোদিন অফিস করে, সাড়ে ছয়টায় আমার সিনিয়র কে ল্যাপটপ, আইডি কার্ড, আমার কাজ বুঝিয়ে দিলাম। ভয়ে, লজ্জায়, কিছুটা অভিমানে ভাইয়ের সাথে দেখা না করেই চলে এলাম। চলে আসার দ্বিতীয় দিন পর আমার বড় আপু, অপু ভাই এবং আরো কেউ কেউ ফেবুতে আমার বিরুদ্ধে মাল্টিকালার অভিযোগ উপস্থাপন করল, যার জবাব আমি দিয়েছিলাম চলে আসার দিনই, ফেবুতে, ফোনে, সামনা-সামনি। যাইহোক, কোন এক অজ্ঞাত কারণে আমার ওয়াকেকের চাকরিটা হয়নি, আমার প্রথম লাল রঙের কষ্ট।

এরপর অনেকদিন ধরে আমার শালা কোন চাকরি হয় না। আমি তো অবাক। এত বড় জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা, তবু চাকরি হয় না। মানে কী। একদিন আমার মত পলাতক পুরনো কলিগের সাথে দেখা। জিজ্ঞাসা করলে বললাম, না হচ্ছে কিছুই। বল্ল, সিএসএল’ র রেফারেন্স বাদ দাও। আমি বললাম, না, ভাই আমার সাথে একাজটা অন্তত করবে না। তাছাড়া আমি এমন কিছু তো করিনি উনার সাথে।

গত সপ্তাহে একটা ভাইভা দিলাম। নানা প্রশ্ন, সঠিক উত্তর। একপর্যায়ে বললেন, সবই ঠিক আছে আপনার, তবে আপনার আগের বসের সাথে একটু কথা বলে নিই। আমি ফুল কনফিডেন্স নিয়ে বললাম, আমি তো ভেবেছি আপনারা আগেই খোঁজ-খবর নিয়ে, কথা বলে তারপর আমাকে ডেকেছেন, তো ঠিক আছে। কিন্তু আমার সামনে বলবেন? বল্ল, হ্যাঁ। কেন, আপনি কী কোন আকাম করে এসেছেন না কী? আমি ঘটনার আকষ্মিকতায় পুরাই, ঠাস্কিত। নীল কষ্টে জর্জরিত। কয় কী! বললেন, ঠিক আছে আপনি চুপ করে থাকেন, আমরা সবাই মিলে শুনব, লাউডস্পিকারে কথা হবে। আপনি যে সাথে আছেন এটা ও যেন না বুঝে। বুঝলাম, এরা পূর্বপরিচিত, পরে জানলাম বন্ধু। লাউডস্পিকারে কথা শুরু হলঃ

ঃ আচ্ছা অমুক, তোমার কাছে অমুক দীদার নামে যে ছেলেটা কাজ করত, ছেলেটা কেমন?

ভাই ওপার থেকেঃ কেন, ছেলেদের খোঁজ নেয় তো, বিয়ে দেবার জন্য, ওরে কী তোমার মেয়ে বিয়ে দিবা না কী?

- না, অরে আমার এখানে একটা চাকরি দেব।

- কীসের?

- লেখালেখির

- চাকরিটা কী দিয়া দিছ?

- না।

- ও তো ভালো না। পুরাই ইরেস্পন্সিবল। আমার এখান থেকে আকাম করে চলে গেছে।

হঠাৎ লাউডস্পিকার অফ। ঠিক আছে, আমি রাত্রে কথা বলব এবিষয়ে।

আমার তখন খুব বলতে ইচ্ছে করছিল, ভাই, আমি আপনার সাথে একবছরে, আপনাকে জানিয়ে চাকরি ছেঁড়েছি, চলে আসার দিন না বলে চলে এসেছি, এটা ছাড়া আর কোন আকাম করেছিলাম। আকাম কী এটাই যে, সদা-সর্বদা আপনার বাধ্যগত ছিলাম, বেতনের জন্য দ্বিমত পোষণ না করে, বাড়াবাড়ি না করে কাজ করেছি। কোন কাজটা ইরেস্পন্সিবিলিটিতে পড়ে বলবেন কী? শেষের দিকে আমার কাজের গতি কমে যাওয়ার মানে তো আপনাকে বলেই এসেছিলাম।

কিন্তু না, আমার, কিছুই বলা হয়নি। একটা কর্পোরেট কালারের কষ্ট নিয়ে অভিমানশূন্য হয়ে চলে আসি।

ভাইভা অলারা আমাকে বলেছিল এক সপ্তাহ পর বেতন নিয়ে কথা বলার জন্য ডাকবে। ডাকেনি।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩

মিঠেল রোদ বলেছেন: কষ্ট লাগল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮

শ. ম. দীদার বলেছেন: প্রিয় মিঠেল রোদ, এরকই হল। সহানুভূতির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮

সবুজ সাথী বলেছেন: কটঠিন একখান কাহিনি ভাই। ধৈর্য ধরা ছাড়া উপায় দেখতেছিনা। শুভকামনা রইল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২

শ. ম. দীদার বলেছেন: ভাই, কঠিন ধৈর্য নিয়া আছি, আর আছে সামুরাই এবং তার আপনার। ঝামেলা রে ভাই। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২

সবুজ সাথী বলেছেন: এরকম ভাবে চরম বজ্জাতই বলতে পারে। আমি অনেক ঘটনা জানি যেখানে সুস্পষ্ট কারন থাকা সত্তেও অনেকে ভালভাবে রেফারেন্স করেছে। যাই হোক, রিযিকের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ দিলে কেউ ঠেকাতে পারবে না এই বিশ্বাস রাইখেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬

শ. ম. দীদার বলেছেন: এই আশাটাই শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখছে। অপেক্ষায় আছি। ভালো কিছু একটা হবে।
অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেবার জন্য।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: শুভকামনা......নিশ্চই ভাল কিছু অপেক্ষা করছে

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩২

শ. ম. দীদার বলেছেন: শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি ভালো কিছু হবে।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোনশেদ শুভ্র বলেছেন: All The boss alws follow a british theori.
"1-BOSS IS ALRIGHT.
2-IF ANY CONFUSION FOLLOW D FIRST RULE"
I hv a mind to sandfuck ds kinds of bosses.
sympathy for u.

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৪

শ. ম. দীদার বলেছেন: ভাই, চমৎকার লিখেছেন। ভালো লাগলো। সহানুভূতির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রায়হান০০৭ বলেছেন: সমবেদনা রইল :(

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০

শ. ম. দীদার বলেছেন: ধন্যবাদ। অবাক হয়ে গেছি, যাকে আমি এতোটা শ্রদ্ধা করি সে এরকম করল এটা ভেবে।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২

েমঘবালকিস বলেছেন: ভয় পাইয়ে দিলেন। কিছুদিন পর আমাকেও ঢুকতে হবে এই জীবনে, যদিও আমার গার্ল ফ্রেন্ড নাই। তাই হয়তো পিছুটান ও কম থাকবে কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব আমার কাদেই চাপবে। সম বেদনা রইল।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৩

শ. ম. দীদার বলেছেন: ডরের কিছুই নাই, যে চাকরিটা ছেড়ে দেবেন তার অভিজ্ঞতা দেখানোর আগে বসের বিষয়টা মাথায় রাখলে হল। আর কর্পোরেট চাকরি করবেন, মোটা বেতন নেবেন, সংসার ও চাইবেন, এটা একটু কঠিন। তবে ম্যানেজ করে চললেই হল।
সমবেদনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০০

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। :(

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৪

শ. ম. দীদার বলেছেন: ভাই, অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:১১

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

দূর এইসব চাকরি - বাকরি বাদ দিয়া ব্যাবসা শুরু করেন !

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

শ. ম. দীদার বলেছেন: হ, ভাই, আর কিছুদিন পরে হয়ত ব্যাবসাই শুরু করতে হবে। তখন চাকরি নিমু না, দিমু।
ধন্যবাদ রইল।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২৫

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: খারাপ লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে।অনেক মেধাই এভাবে হারিয়ে যায় শুধু সঠিক মূল্যায়ন না পাওয়ার কারনে।

শুভকামনা রইলো,নিরাশ হবেন না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭

শ. ম. দীদার বলেছেন: চেয়ারম্যান সাহেব আমার ব্লগে আসলেন। আমার আর কী লাগে। ভাই ধন্য হলাম। কিন্তু সালিশটা তো করে দিলেন না, বস।
যাইহোক, শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ। আর একখান কথা, আপনার লিখা কিন্তু আমার খুব ভালা পাই।

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

বডটজসৃ বলেছেন: ebar ashlam baba deedar. shei boro apu .. IR-34_ Rubana. tui to dekhchi purai Sabana-reh!! jonmo thekei jolchi.. bhai.. tui to shat dhowa na... 7000 bar dhowa tetuler pobitro bichi. IR er she bor bhai Hasnaine Aftab Opu, tomare to dekhi jahanname thele diyechi..r amar jamai to tomare shara jiboner jonno pongu kore diyeche.. bou to mone hoy polaise.. hall e jare bhangaiya fan porjonto kinsos... tini-o charen nai.. tor to jibonta purai daalre.. kissu thaklo na.. tension nish na.. shabarnader jibone razzak ashe..

etto koshter kotha bole nijeke ki proman korte chacchish? tui koto bhalo, niriho.. uhu aha!! tore niye shobai cholona kore, ahare!!
ami shoho oi je boro bhaider kotha bolli.. certificate dewar jonno amra tin jon e kafi..


dedaar.. khub koshto holo... tui jiboner protita shomporker khetrei bertho.. sheta poribar hok, bondhu mohol hok.. kinba pesha. tar cheyeo koshto hocche bhabte je shob kichu chapiye..manush hishebeo tui bertho.

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

শ. ম. দীদার বলেছেন: খুব ভালো লাগলো, যে আমার লিখাটা আপনার এবং আমি নিশ্চিত আমার দুলাভাইয়ের দৃষ্টিবিদ্ধ হয়েছে আর আপনার খুব সম্ভবত ইচিং বিচিইংয়ের কারণে ফুলচন্দন সমৃদ্ধ কিছু মলম ব্যবহারের মন্তব্যের ঘরে ঢেলেছেন। অবশ্য যতদিন আমার দুলাভায়ের সাথে কাজ করেছিলাম, শেষের দুই মাস বাদে বাকিটা সময় এরকম চন্দন মিশ্রিত বানী আমার প্রতি বর্ষণ করতেন। যাইহোক, আপনার অভিযোগ সমূহের বিপরীতে আমার বক্তব্যঃ আমি চলে আসার আগে আমার দুলাভাইকে জানিয়ে বোঝাপড়া করেই এসেছিলাম যদিও ওয়াইকেকে তে চাকরি হওয়ার বিষয়টা জানানোই আমার জন্য কাল হয়ে উঠেছিল। উপরে যা যা লিখেছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বা আমার দুলাভাইয়ের কোন বক্তব্য না পাওয়াতে আমি মর্মাহত, অবশ্য সে অবস্থা আপনার ও আমার দুলাভাইয়ের নাই। যতটা প্রফেশনালিজম দরকার, যতটা ডেডিকেশন, কায়িক ও মনষিক শ্রম দেয়া দরকার তার সবটুকুই আমি সেখানে দিয়েছিলাম, শুধুমাত্র সোর্সের জন্য নয়, আমাকে যে বড় ভাই সেখানে পাঠিয়েছে, আমি যার সাথে কাজ করি তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে আর যার সাথে কাজ করি তার সাথে আমার সম্পর্কটা বসের বাইরেও অন্য কিছু, এ জন্যে। আমি চলে আসার আগে ভাইকে বলেছিলাম, ভাই আমাকে একটু মাইনে টা বাড়িয়ে দেন, তাহলে আমি থাকতে পারি। কত জানেন? মাত্র দুই হাজার টাকা বাড়াতে বলেছিলাম। আপনি হয়ত বলবেন, ২২ জনের প্রধান হলেও তারও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আমি চলে আসার পর আমার পরে যারা জয়েন করেছিল, তাঁদের কে সে একলাফে ৭০০০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০০ থেকে ১৭০০০ হাজার করেছিল। যদি আমার ১৪০০০ টাকা বেতন পাওয়ার যোগ্যতা না থাকে, আমার কাজ যদি ভালো না লাগে, সে আমাকে কেন জানায়নি??? শেষের দুমাস হ্যা আমি কাজ করিনি, কারণ আমার লিখাটাই বলেছি। আপনিই বলেন, এই দুর্মূল্যের বাজারে যে বেতন আমাকে আপনার জামাই দিতেন, তা দিয়ে নিজে চলতে না পারলে বউয়ের কাছে ফ্যান, তোষক, বালিশের টাকাটা তো চাইতে হয় না কী?
আমি নিজের ভালোত্ব এখানে প্রমাণ করতে চাইনি। আমি আমার পাপ এখানে অকপটে স্বীকার করেছি। যাদের সার্টিফিকেটের কথা আপনি বলেছেন, তাঁরা আমাকে সার্টিফিকেট দেয়, এভাবে যে, খারাপ ছেলে দীদার, কিন্তু ভালোবাসি।
আমার পুরোনো কলিগ আমার খোঁজ নিতেন। জানতে চাইতেন, আমার অবস্থা সম্পর্কে। আমি বলতাম না রে ভাই, হচ্ছে না। তিনি বলতেন, সোর্সের আর তোমার দুলাভাইয়ের রেফারেন্স বাদ দাও। আমি বলতাম, না। তিনি আমার সাথে এমন করবেন না। তিনি বলতেন, তারে তুমি এখনও ভালো করে চিন নাই। যখন ওয়াইকেকে হল না, তখনো বুঝিনি। যখন এই সেক্টরে কোথাও চাকরি হচ্ছিল না, তখনো বুঝিনি। যখন প্রিয়ডটকমে স্বপন সাহেবের ভাইভা টেবিলে লাঊড স্পীকারে আমার প্রাণপ্রিয় দুলাভাইয়ের মধুমিশ্রিত বাণী শুনলাম তখন বুঝলুম। আচ্ছা, কেউ চলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার পাপটাই কী মনে রাখতে হয়? ... শেষ পর্যন্ত মানুষ পাপ আর দুঃখের কথা ছাড়া কিছুই মনে রাখে না। একটা চর্বিতচর্বন করতে হয়, আমার পাপ ছিল। চলে আসার দিন উনাকে না বলে এসেছি এটা। তবে, হ্যাঁ, আসার আগের দিন উনাকে জানিয়েছিলাম। উনি শুভ কামনা নিশ্চিত করলেন। কিন্তু আসার দিন সকালে, উনি হঠাৎ কী ভেবে ঝাড়লেন আমাকে, জাহাঙ্গীরনগরের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করলেন। তাও মেনে নিয়ে, আসার দিন সন্ধ্যায় খুব ভয়ে, শুধুমাত্র শ্রদ্ধায় উনার কাছে যেতে চেয়েও কাছে ভিড়তে দেয়নি। অথচ উনাকে আমি এখনও মানুষ হিশেবে যথেষ্ট সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। বস হিশেবে হয়তো না। ভাব্বেন না, ক্যারিয়ার বাঁচাতে তেল ঢালছি। ওরকম ক্যারিয়ার নিউমার্কেটে ১২০ টাকায় তিন পাটি ওয়ালা দেড়টা পাওয়া যায়।
সত্তর বা আশির দশকের বাংলা সিনেমায় ববিতা, শাবানা বা অন্যান্য নায়িকাদের স্ত্রীর পতিভক্তির দৃশ্যে দেখা যায়, বেপথু, কালোবাজারি স্বামীর প্রতি- “ওগো তুমি আত্মসমপর্ণ করো, আমরা তোমাকে ছাড়িয়ে আনব”। না, এখন কলিযুগ। দোষ স্বীকার করা যাবে না। জয় হোক ভক্তির।
আরেকটা কথা, জীবনের সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ ছেলেটা এখন একটা নরওয়েজিয়ান আইএনজিও তে ক্ষেপ মারার কাজ করে যা কামাই করে, তা আপনার জামাই তারে আগামী পাঁচ বছরেও মনে হয় দিত না। যেন, ভাই ফোন না দেয় এদিক টা একটু দেইখেন, আপু। আমার লিখাটার সাথে সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন বা অভিযোগ থাকলে তা লিখেন, আমারে কে ছ্যাকা দিছে, কতটা খারাপ আমি, আমার সিনিয়ররা আমাকে কেন গালি দেয়, তা এখানে নিছক অবান্তর বিষয় আর আপনার প্রশ্ন করতে না পারার দূর্বলতা প্রমাণ করে।

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

ফাহিম ইবনে সারওয়ার বলেছেন: শান্তি শান্তি! এবার আমিও আসলাম।

প্রথমত, লেখক যখন ভালো চাকরি করছেন আইএনজিও তে তখন অতীতের চাকরি বা অভিজ্ঞতা নিয়ে জাবর কাটা অনর্থক। শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হলেই তো হলোরে ভাই। বাকি সবাই সুখে আছে, নরওয়েজিয়ান কোম্পানি নিয়ে আপনিও সুখে আছেন বিশ্বাস করি।

আমিও ৫ মাস চাকরি করে চাকরি ছেড়ে দিছিলাম। প্রিয় ডটকম থেকে। মূলত পরীক্ষার জন্য। মাস্টার্স ফাইনাল ছিলো। আমি কিন্তু বিনা নোটিশে খালি একটা মেইল করে চাকরি ছাড়ছিলাম। প্রিয় ডটকম ও তখন নতুন অফিস গোছানো নিয়ে ঝামেলায় ছিলো। মাস্টার্সের পর কিন্তু স্বপন ভাই আমাকে জয়েন করতে বলেছিলেন আগের চেয়ে বেশি বেতনে। আমিও কিন্তু আপনার মতো ডেডিকেটেড ছিলাম। ঘটনাগুলো এ কারণে বললাম, ডেডিকেটেড কর্মীদের কোন বস হাতছাড়া করেনা। আপনি যখন বস হবেন, আপনিও করবেন না।

আর স্বপন ভাই আপনার বসের বন্ধু না সিনিয়র হবেন। রেফারেন্সে যেহেতু আছে ভাইভা বোর্ড থেকে কল করা যা, ভাইভার আগে পরে কল করাও তা। এটা কোন ঘটনা না। ভাইভা বোর্ডে আপনি যে ছোটবেলায় বাড়ি পালানোর গল্প করে আসছেন সেটা নাকি খুব ইন্টারেস্টিং ছিলো??

আসলে সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। প্রত্যেকটা কাজের পেছনে কিছু কারণ থাকে। যেহেতু প্রিয় ডটকমের ভাইভা বোর্ডের কথা আনলেন তাই আমার অভিজ্ঞতা আমি শেয়ার করলাম। প্রিয় ডটকম মারাত্মক চাপে কাজ করার জায়গা। ৫ মান এই চাপে থেকে আমি কাজ শিখে ফেলছি। আর অনার্স পাশ করা মাস্টার্স চলছে এমন শিক্ষার্থীদের ফুলটাইমে ৮/১০ হাজার টাকাই আসলে দেয়, সাথে শর্ত থাকে পরীক্ষায় সময় ছুটির।

সো হুদাই আর এগুলা নিয়ে লিখে তো লাভ নাই। আপনি অন্যের জামা খুলবেন, অন্যে আপনারটা। মজাটা কিন্তু পাবলিক-ই নেবে!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৫

শ. ম. দীদার বলেছেন: ফাহিম ভাই, এখানে বেতন আর স্বপন সাহেব এবং ভাইভা কোনটাই মুখ্য বিষয় না। আপনি বুঝেও না বোঝার ভান করে, আপনার বড় আপার মত সুকৌশলে যেটা এড়িয়ে গেছেন সেটা হল, যখন আমার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য ফোন দেয়া হল, সেখানে আমার দুলাভাই কী বললেন, সেটাই মুখ্য বিষয়। আর বেতনের বিষয়টা এজন্য উল্লেখ করতে হল, যখন আমার ইরেস্পন্সিবিলিটি নিয়ে কথা উঠল। আর আপনার বড় আপা যে মন্তব্য করলেন যেখানে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করল, অথচ আমার লিখাটাই আমি এটা করিনি, সেটাও মনে হয় আপনার চোখকে খুব যত্নের সাথে ফাঁকি দিয়ে গেছে। আপনি কী বুঝতে পেরেছেন, কতটা দুর্বলতা আর ক্ষোভ এবং যুদ্ধংদেহী হয়ে উনি এভাবে লিখলেন? আপনি জ্ঞানী মানুষ, আপনার বুঝা উচিৎ। আর ভাইভা? সত্যি বলতে ওটা খুব ইনফর্মাল ছিল এবং আমি উপভোগ করেছিলাম।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০৩

আনন্দিত আনন্দ বলেছেন: দিদার, অনেক বড় হ......... কোটি কোটি টাকা কামা...... তখন দেখবি তুইই একমাত্র সত্য। বাকি সব মিথ্যা।

আমাদেরকে মাদারফাকিং পুঁজিবাদী হতে হবে.........
মানুষের রক্ত শুষে খাওয়া পুঁজিবাদী............

তখন দেখবি, পৃথিবীটা রেড ওয়াইনের মত রঙিন লাগবে.........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.