নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী

স্বপ্নেরা খুঁজে পাক বাস্তবের ঠিকানা

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানী ও কিছু প্রশ্ন

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৫৪

বলা হয়ে থাকে, ঈব্রাহিম তার স্বপ্নের মাধ্যমে তার প্রিয়বস্তু কোরবানী করার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। তাই তিনি তার একমাত্র পুত্র ঈসমাইল কে কোরবানী করার জন্য মনপুত হয়েছিলেন। কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে ঈসমাইল তার অধিক প্রিয় নাহয়ে তার স্বীয় প্রাণ কেন নয়..

কোরবানী করার সময় যখন ইব্রাহিম ঈসমাইলের গলায় ছুড়ি চালালেন তখন দেখা গেলো তার পুত্রের বদলে একটা দুম্বা কুরবানী হলো। কিন্তু কোথা থেকে দুম্বাটা আসলো তা কারোই বোধগম্য নয় এমনকি ইব্রাহিম নিজেও জানেন না। কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্স টু নো, সে সময় যদি ঈসমাইল কুরবানী হয়ে যেতো তবে তারা কি ঈসমাইলের মাংস ভক্ষন করতো...? যদি না করে তাহলে দুম্বার মাংস ভক্ষন করা কি উচিত ছিল..? স্বপ্নে কি এমন কোন ইঙ্গিত ছিল যে, যা তুমি ত্যাগ করবা তা তুমি পরিপূর্ণ ত্যাগ না করে ভোগও করতে পারবা..? তাহলে তা ত্যাগ কিভাবে হয় এটাও আমার বোধগম্য নয়।।

অধিকাংশ নবীরাই ইব্রাহিমের বংশধর। ইব্রাহিম তার সময়েই ছেলেদের খৎনা করার নিয়ম চালু করেছিলেন । অন্যান্য নবীরাও এই নিয়ম পালন করে গেছেন। ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানরা এখনও এই নিয়ম পালন করেন। সেই একই ব্যক্তির অন্য প্রথা কুবাবানী শুধুমাত্র মুসলমানরাই পালন করছে কিন্তু ইহুদি ও খ্রিষ্টানেরা ত্যাগ করেছেন। তারা কেন এই প্রথা ত্যাগ করলেন ইহা যেমন বোধগম্য নয় তেমনি ইব্রাহিমের আগমনের ২৫০০ বছর পর কেন সে প্রথা চালু করা হলো তাও বোধগম্য নয়...

কৃষিকাজের জন্য বলদ গরু, গরুর গোবর ইত্যাদি অত্যন্ত উপযোগী। ভারতীয় উপমহাদেশের জমি কৃষি কাজের জন্য অত্যন্ত উর্বরভূমি। অপর দিকে আরবের মরুভূমির মাঝে কৃষিকাজ হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে সে দেশের গাভী গরুগুলো দুধের জন্যকাজে লাগলেও বলদ গরুগুলো তারা ত্যাগের জন্য হোক কিংবা ভোগের জন্য হোক কোরবানী দিতে পারেন। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য তা কতটা কার্যকরি..? তাহলে এ প্রথাকে কি আরব সংস্কৃতির অংশ বলে মনে করাটা কি যুক্তিযুক্ত নয়..?

কোরবানীর পশুর অধিকাংশ মাংস ভক্ষনের মাধ্যমে কোরবানীদাতা তা কিভাবে ত্যাগ করলেন আমার জানানেই। কিছু পরিমাণ মাংস দানের মাধ্যমে তার কিছুটা স্বার্থত্যাগ হলেও কুরবানীর পশুর সম্পূর্ণটাই হয় আত্নত্যাগ। আবার অনেকে হারাম টাকায় কুরবানী দিলে তা ধর্মমতে গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে হারাম টাকার বলিদান হয়া পশুটির অপরাধ কি..? এরা কি ইব্রাহিমের স্বপ্ন কতৃক পাওয়া প্রভুভক্তির নির্মম শিকার নয়..?

ইব্রাহিমের প্রিয় পুত্র কুরবানীর জন্য রাজী হয়েছিলেন স্বেচ্ছায় কিন্তু কুরবানীকৃত পশুগুলোকে জবাই করার পদ্ধতিতে কতটুকু ত্যাগের মহিমা রয়েছে আর কতটুকু হিংস্রতা রয়েছে তাও আজ প্রশ্নবিদ্ধ...

সবশেষে ধরা যাক, অন্যকোন গ্রহ থেকে অন্য কোন বর্বর জাতি এসে পৃথিবীতে অবস্থান করলো এবং তারা তাদের প্রভু ভক্তির জন্য মানুষকে কুরবানী দেয়া শুরু করলো। এক্ষেত্রে ঐ জাতির ছুরির নিচে থাকাকালন সময়ে মানুষ কি এটাই বলবে না যে, অন্ধবিশ্বাস দূর হোক....?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৪

Blogger Zubair বলেছেন: আপনি হয়ত অনেকের মত ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু , আপনার উত্তর নিম্নেঃ


কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে ঈসমাইল তার অধিক প্রিয় নাহয়ে তার স্বীয় প্রাণ কেন নয়...

উঃ এমন অনেক লোক আছে, বরং অধিকাংশই এরকম যে তাদেরকে ও তাদেরকে সন্তানকে যদি গুন্ডারা বেঁধে বলে, যেকোনো একজনকে মরতেই হবে, এখন বলো কে মরবে?
তাহলে নিশ্চিত পিতা বলবে, আমি তো পৃথিবীতে অনেকদিন ছিলাম, অনেক কিছুই দেখেছি এবং পেয়েছি, তাই আমাকেই মারো ।

ইব্রাহীম আঃ শেষবয়সে আল্লাহর কাছে চেয়ে একটি পুত্র পেয়েছিলেন, সেটা প্রিয় হওয়ারই কথা ।

***

কিন্তু কোথা থেকে দুম্বাটা আসলো তা কারোই বোধগম্য নয় এমনকি ইব্রাহিম নিজেও জানেন না।

উঃ কে বলেছে আপনাকে এ কথা? জিবরাইল আঃ দুম্বা নিয়ে আসছিলেন, আল্লাহু আকবার বলতে বলতে, ইব্রাহীম ও ইসমাঈল আঃ এর উত্তরও দিয়েছিলেন, যেটার ভিত্তিতে তাকবীরে তাশরীক ।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২১

Blogger Zubair বলেছেন: স্বপ্নে কি এমন কোন ইঙ্গিত ছিল যে, যা তুমি ত্যাগ করবা তা তুমি পরিপূর্ণ ত্যাগ না করে ভোগও করতে পারবা..? তাহলে তা ত্যাগ কিভাবে হয় এটাও আমার বোধগম্য নয়।।

উঃ কোন ইতিহাসে আছে যে ইবরাহীম সেই দুম্বার গোশত খেয়েছিল? আগের যুগে কোরবানীর গোশত খাওয়া যেতনা বরং মুহাম্মদ সঃ এর উম্মতের বিশেষত্য এটি ।
***
তারা কেন এই প্রথা ত্যাগ করলেন ইহা যেমন বোধগম্য নয়
উঃ এটা ইহুদী খ্রিস্টানদেরই জিজ্ঞাসা করেনগে
*
তেমনি ইব্রাহিমের আগমনের ২৫০০ বছর পর কেন সে প্রথা চালু করা হলো তাও বোধগম্য নয়...
উঃ ইব্রাহীম আঃ এর পরে এবং মুহাম্মদ সঃ এর পূর্বে সেই প্রথা ছিলনা, এমন কোথায় লেখা আছে? কোন ইতিহাসে পড়েছেন?

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৬

Blogger Zubair বলেছেন: কৃষিকাজের জন্য বলদ গরু, গরুর গোবর ইত্যাদি অত্যন্ত উপযোগী। ভারতীয় উপমহাদেশের জমি কৃষি কাজের জন্য অত্যন্ত উর্বরভূমি। অপর দিকে আরবের মরুভূমির মাঝে কৃষিকাজ হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে সে দেশের গাভী গরুগুলো দুধের জন্যকাজে লাগলেও বলদ গরুগুলো তারা ত্যাগের জন্য হোক কিংবা ভোগের জন্য হোক কোরবানী দিতে পারেন। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য তা কতটা কার্যকরি..? তাহলে এ প্রথাকে কি আরব সংস্কৃতির অংশ বলে মনে করাটা কি যুক্তিযুক্ত নয়..?

উঃ এখন কি আর জোয়াল লাঙ্গলের জামানা আছে রে বলদ? এখন ট্রাক্টরের যুগ
আর আরবরা গাভী কুরবানী দিতনা এমনটি কোথায় পেলেন?
আর আপনি আরব প্রথা মনে করলেই বা বাঙ্গালীদের করতে অসুবিধা কোথায়, কত আমেরিকান ইউরোপিয়ান প্রথা তো আমাদের দেশে আছে, সেটা নিয়ে তো আপনার মাথাব্যথা নেই ।

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩১

Blogger Zubair বলেছেন: এক্ষেত্রে হারাম টাকার বলিদান হয়া পশুটির অপরাধ কি..?

উঃ কোনো অপরাধ নেই, অপরাধ হারামখোর ব্যক্তির । আর হারাম টাকায় দিলে তো আর গোস্ত পঁচে যায় না, খাওয়া হয়েই যায়


**
কুরবানীকৃত পশুগুলোকে জবাই করার পদ্ধতিতে কতটুকু ত্যাগের মহিমা রয়েছে আর কতটুকু হিংস্রতা রয়েছে তাও আজ প্রশ্নবিদ্ধ

উঃ আপনি বুঝি গরুর আর খাসীর গোশত খান না? বাজারের কসাইরাও তো একাজ করে, চুপ থাকেন কেন? হয়ত কাবাব খেতে খেতেই এই ব্লগটি লিখেছেন !!

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৪

শ্মশান বাসী বলেছেন: জনাব মন্তব্যকারী, মানলাম গরু জোয়ালের বিকল্প ট্রাক্টর, গরুর খাঁটি দুধের বিকল্প কি পাওডার দুধ নাকি ছাগী দুধ??

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩

বিবেক বিবাগী বলেছেন: ১। ইবরাহীম (আ) সরাসরি ইসমাঈল (আ) কে কুরবানী করার আদেশ পেয়েছিলেন। "প্রিয় জিনিস", এসব হলো মিথ। কুরআনে স্পষ্ট বলা আছে যে আল্লাহ্‌ সরাসরি-ই এই আদেশ দিয়েছিলেন।

২। ইবরাহীম (আ) ছুরি চালানোর জন্য চোখ বেঁধে নেন। এজন্যই ইসমাঈল (আ) এর গলায় ছুরি চালানোর সময় দেখেন নি যে দুম্বা কুরবানী হয়ে গিয়েছিলো। আর সেখানে প্রথমত সেটা আত্মত্যাগই ছিল, সেখান থেকে মাংস খাবার ব্যাপার ছিল না। এখনও কুরবানী সম্পূর্ণ আল্লাহ্‌র ওয়াস্তেই করা হয়। আর কুরবানী করার পর, সেই কুরবানীর তিনভাগের এক ভাগ আল্লাহ্‌ কুরবানী দাতাকে নেবার অধিকার দিয়েছেন, আর বাকি তিন ভাগের দুই ভাগ আত্মীয় স্বজন ও গরীবদের বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাই কুরবানী তিন ভাগের দুই ভাগ ত্যাগ করা হয়, আর তিন ভাগের এক ভাগ নিজে পাওয়া হয়।

৩। ইহুদী খ্রিস্টানরা একসময় আল্লাহ্‌র ধর্মেরই অনুসারী ছিলেন। কিন্তু একটা সময় নিজেদের ধর্ম থেকে তারা দূরে সরে যায়। এজন্যই ইসলাম নতুন করে আল্লাহ্‌র ধর্ম নিয়ে আসে। তাই ইহুদী খ্রিস্টানরা কি ত্যাগ করেছেন, আর মুসলিমরা কি করছে, এটা দিয়ে কিছু জাস্টিফাই করার কিছু নেই।

৪। এটা একটা লেইম যুক্তি যে ভারতে গবাদি পশুর অনেক ব্যবহার আছে, তাই এরকম গরু কুরবানী দেওয়া ঠিক নয়। ওরকম যুগে যে কোন গৃহস্থ ফ্যামিলিতে যদি তিন চারটা গরু থাকে, সেখানে গাভী থাকে, প্রতি বছরই বাছুর হয়, আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। এরকম ফ্যামিলির জন্য বছরে একটা গরু কুরবানী করা এমন কোন বড় ব্যাপার না। উল্লেখ্য যে, সবার উপর কুরবানী ওয়াজিব না, একমাত্র সামর্থ্যবানের উপরই। আর আরব অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গরু ছাগলের পাল রাখাল চরে বেড়াতো, কুরবানীর কারণে এখন ভারতবর্ষেও গরু ছাগল কুরবানী জন্য পালন করার একটা ট্রেন্ড গড়ে উঠেছে। হিন্দু ধর্মে ব্রাক্ষ্মণরা কোথাও গেলেই নাকি গরু হত্যা করে তাকে খাওয়াতো, এজন্য ব্রাক্ষ্মণরা মানা করেছিলেন গরু হত্যা না করতে, হিন্দু ধর্মে কিন্তু খাওয়ার জন্য গরু হত্যায় বেসিক কোন মানা নেই। যার একটাই হালের গরু আছে, যা দিয়ে হাল চাষ করে, প্রয়োজনীয় পশু, তা তো আর কুরবানী করার নিয়ম নেই। উদ্বৃত থাকলে তখনই কেবল কুরবানী করা যায়।

৫। এখানে সেই বেসিক প্রশ্ন, আমরা কি খাদ্য হিসেবে কোন প্রাণীকে খেতে পারি? দেখুন, এখানে ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাপার আসবে। একজন মুসলিম বিশ্বাস করে, তাকে আল্লাহ্‌ অন্য পশুকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার অধিকার দিয়েছেন। কারণ মানুষ সবচেয়ে সেরা মেধার অধিকারী এক উন্নততম সৃষ্টি। গরুদের মানবিক বোধ বলে কিছু নেই, আছে কেবল এনিমেল ইন্সটিংকট। এরা বাঁচে, খাদ্য গ্রহণ করে, বংশবৃদ্ধি করে, মরে যায়। তাই, তাদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করায় আমি মানুষ হিসেবে কোন বাধা অনুভব করি না। আর জবাই-এর ক্ষেত্রে গলা কাটার রক্ত বের হয়ে যায়, এবং সেটার মাংস খাওয়ার জন্য বেশি উপযোগী হয়। বিদেশে রক্ত মাংসেই থেকে যায়, এজন্য "রেড মিট" বলা হয়, আর সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী।

৬। আর কেউ কুরবানী করে যদি অধিকাংশ মাংস নিজে খেয়ে নেয় কোন বিশেষ কারণ ছাড়া, সেটার তো কোন মানে নেই। ইসলামে বলাই আছে, কুরবানীর পশুর মাংস রক্ত কিছুই আল্লাহ্‌র কাছে পৌছায় না, পৌছায় "আল্লাহ্‌র ভয়"। এখানে গরুর আত্মত্যাগ আপনার চোখে পড়ছে, কিন্তু একটা মানুষ কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে গরু কিনে সেই গরুর তিন ভাগের দুই ভাগ বিলিয়ে দিচ্ছে, এটা যদি মানুষের ত্যাগ বলে মনে না হয়, আমার কিছুই বলার নেই।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০২

সেয়ানা ০১ বলেছেন: ছাগলের মাথায় কত প্রশ্ন !!!

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

শ্মশান বাসী বলেছেন: খাওয়ার জন্যই যদিপশু হত্যা করা হয়,তবে বলি বা কোরবানির নামে নিরীহ দেবদেবী আল্লাহকে কুলসিত করা কেন?

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩০

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: আপনার ধারণা ভুল, আমি ইসলাম বিদ্বেষী নই।

প্রিয় বস্তুর ধারণা গ্রহণযোগ্য।
জিব্রাইলের ক্ষেত্রে, অদৃশ্যমান কেউ দুম্বা নিয়ে এসেছে এতে আমি বিশ্বাসী নই। এই ধারণা গ্রহণ করতে পারলাম না।।

১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৬

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: প্রথমত, তাহলে কি দুম্বাকে হত্যা করার পর তা ফেলে দেয়া হয়েছিল..? যদি না খাওয়া হয় তাহলে এখন কেন কোরবানীর পশুর মাংস খাওয়া হচ্ছে..

২য়, আমার জানামতে সে সময়ে মুসলিম জাতি ছিল না। আর কুরবানী মুসলিমদের উৎসব। এক্ষেত্রে মুহম্মদ (স) ইসলামের প্রবর্তন করেন। কুরবানী প্রথা প্রবর্তন করেন। রেফারেন্স - আরজ আলী মাতুব্বর রচনা সমগ্র-১ (পৃষ্ঠা ১০৩)

১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: তখন এগুলোর ব্যবহার ছিল না বলা বাহুল্য।
ইউরোপিয়ান সংস্কৃতি আছে। আমি তা মেনে নিয়েছি। আর আপনার মন্তব্য অনুযায়ী কুরবানী আরব সংস্কৃতি তা আপনিও স্বীকার করেছেন।

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: প্রথমত তা ঐ ব্যক্তির দোষ। গ্রহণযোগ্য

২য় ক্ষেত্রে, আপনি আমার প্রশ্ন বুঝতে ভুল করেছেন। আমি বোঝাতে চেয়েছি ইব্রাহিম পুত্র স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছিল কিন্তু কুরবানীর পশুকে জোরজবস্তি করে জবাই করা হয়। এখন ত্যাগ তো অনেক ভাবেই করা যায়। পশুর মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ দানও তো করা যেতো। আর কসাইখানার সেটা ত্যাগের জন্য জবাই করা হয়না সেটা ভোগের জন্যই করা হয়।

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: ছাগলের মাথায় কত প্রশ্ন সেটা গাধা কখনো বুঝবে না।।

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ছোট একটা প্রশ্ন। আপনার সমস্যা কি শুধু গরু কোরবানি নিয়ে? নাকি সব পশু হত্যা নিয়ে যেকোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে?

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: পবিত্র কুরআনে কথা অনুযায়ী,,,, তাহলে কি আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাত হয়েছিল..? নাকি স্বপ্নেই আদেশ দিয়েছিলেন..? যদি স্বপ্নে দিয়ে থাকেন তা কি রুপক হতে পারে না..?

তখন কুারবানীটা আত্নত্যাগই ছিল কিন্তু এখন মাংস খাবার প্রথা কেন হলো..?

আমি কুরবানীর বিপক্ষে নই। কুরবানী বা জবাই দিতেই পারে। সেটা যেকোন স্থানেই। আমি বলতে চেয়েছি কুরবানীর সংস্কৃতি টা কি আরবদের থেকেই আবির্ভাব হয়েছে..? আর যদি তাদের থেকেই আবির্ভাব হয় তাহলে তার কারণ হিসেবে প্রদর্শন করেছি তাদের অনুপযোগী কৃষি ব্যবস্থাকে।

খাদ্য হিসেবে যা কিছু নিরাপদ ও হজমযোগ্য তার যেকোন কিছুই গ্রহণের ক্ষেত্রে আমার আপত্তি নেই।।

সবশেষে কুরবানীদাতা তিন ভাগের এক ভাগ গ্রহণ করেন।
যে ব্যক্তির কুরবানী দেয়ার সামর্থ্য আছে তার নিশ্চই বছরের অন্যসময় মাংস কিনে খাবার সামর্থ্য আছে। যেহুতু কুরবানী ত্যাগের দৃষ্টান্ত তাহলে কুরবানীর মাংসের সম্পূর্ণটাই কেন বিলিয়ে দেয়া হবে না....?

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: আমার কোরবানীতে পশু জবাই নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কিংবা কোন পশু জবাইতেই সমস্যা নেই। যা কিছু খাওয়া উপকারী এবং যযা হজমযোগ্য সবকিছুই খাওয়া যেতে পারে।

আমার জানার ইচ্ছা এটা কতটুকু ত্যাগের জন্য কতটুকু ভোগের। জন্য। আর ইব্রাহিমের ইতিহাস কতটুকু সত্য।

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আসলে ইব্রাহিম (আ) এর দোহায় দিয়ে আমরা যে কোরবানী করে আসছি সেটাকি এই কোরবানী এটা আমারো প্রশ্ন? েপবিত্র কোরআনে যেটা পাওয়া যায় সেটা পড়লে বোঝা যায় এটা কেবল হাজ্বীদের জন্য কোরবানী। চলুন কোরআনের আয়াতটা একটু দেখে নেয়:
সূরা বাকারা ২:১৯৬ আয়াত
وَأَتِمُّواْ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلاَ تَحْلِقُواْ رُؤُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضاً أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

অর্থঃ আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন।

কোরআনের এই আয়াত অনুযায়ী স্পষ্ট পানির মত পরিস্কার এই কোরবানী কেবল হাজ্বীদের জন্য। কোরআনে এই আয়াত অনুযায়ী এই দিনে হাজ্বীরা কোরবানী দিবে এটাই সাভাবিক। কিন্তু আমরা তাহলে কেন হাজ্বীদের সঙ্গে পৃথিবী জুড়ে কোরবানী দিচ্ছি? কোথাও বলা নাই এটা সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য।

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: তথ্যটি পরিষ্কার করার জন্য নিরন্তর ধন্যবাদ :)

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: @সেলিম জাহাঙ্গীর, ভাই আপনি একটা আয়াতের কথা উল্লেখ করে বলে দিলেন কেবল হাজ্বীদের জন্য কোরবানী। কোরবানী সম্পর্কে পুরা জেনে তারপর কথা বলুন। যাদের উপর যাকাত ফরজ তাদের উপর তাদের জন্য কোরবানি প্রযোজ্য। ভাল করে যেনে মন্তব্য করুন।

২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: মোঃ মাহমুদুর রহমান, আপনি আমার কথা না বুঝে কথা বলছেন। আমি বলেছি আমরা যে কোরবানী করছি সেটাতো আরবের হ্জ্বীদের সাথে করছি, কি ঠিকতো? আর সেই হাজ্বীদের কোরবানী সম্পর্কে কোরআনে যা বলেছে সেটাতে সারা পৃথিবীর মানুষের কথা উল্লেখ নেই। পারলে আয়াতটি আরেকবার পড়ুন। মোঃ মাহমুদুর রহমান আর যদি আপনি মনে করেন যে এই কোরবানী ইব্রাহীম (আ) এর সেই কোরবানী তবে বলবো এই হাজ্জ্বের সময় ইব্রাহীস (আ) তাঁর ছেলেকে কোরবানী করেন নাই ইতিহাস তা বলেনা। কিন্তু আমরা পৃথিবীর মানুষ ঠিক হাজ্বীদের সঙ্গে হাজ্জ্বর সময় কোরবানী করছি কেন? কোরআনে এই কোরবানীর বিষয় হাজ্বীদের বর্ণনা দিয়েছে কিন্তু সেই আয়াতে আমাদের বর্ননা নেই তবুও আমরা কেন সেই আয়াতের আদলে হাজ্বীদের সঙ্গে কোরবানী করছি একটু বলবেন কি মোঃ মাহমুদুর রহমান?

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: @সেলিম জাহাঙ্গীর, ভাই আপনাকে শুধু এটুকু বলব আপনি কোন আলেমের সাথে এই ব্যাপারে ভালভাবে জেনে নিয়েন।

২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

বিবেক বিবাগী বলেছেন: আগে যেমন সামুতে কমেন্টে রিপ্লাই করে করে কথা বলা যেত, এখন হয়তো পারা যায় না। এজন্য কাকে কি বলা হচ্ছে, ঠিক বুঝিয়ে বলা কঠিন হয়ে পড়ে।

এমনি বলি আর কি, আমরা প্রতিদিনকার খাবারের জন্য যে মুরগী, গরু, জবাই করি খাওয়ার জন্য, সেটাও আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে করা হয়। মাছের ক্ষেত্রে কুরবানী করার নিয়ম নেই, আগের উম্মতদের উপর একসময় ছিল, কিন্তু একটা সময় থেকে মৃত মাছকেও হালাল করা হয়। আর ঈদুল আযহার সময় যে কুরবানী করা হয়, সেটা শুধু নিজে খাওয়ার জন্য করা নয়, এই কুরবানী করা হয় অন্যদের খাওয়ানোর জন্য। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, পুরোটাই কেন দান করে দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে বলা যায়, একটা মানুষ পুরো একটা গরু কুরবানী দিবে, আর ওখান থেকে একটুও খাবে না, এই ব্যাপারটা আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন নি। এজন্য তিন ভাগের এক ভাগ কুরবানী দাতার জন্য রেখেছেন। কিন্তু তিন ভাগের দুই ভাগ বিলিয়ে দেবার জন্যেই।

আর কে যেনো আউট অব কনটেক্সট কুরআনের একটা আয়াত তুলে অদ্ভূত কথা বলছেন। ওনার প্রতি অনুরোধ রইলো কুরআন হাদিস ভালো মত পড়ার জন্য। আউট অব কনটেক্সট কুরআনের আয়াত তুলে দিলে অনেক ভুল কথা বোঝানো সম্ভব। কুরআন হাদিস দ্বারা ঈদুল আযহায় কুরবানীর ব্যাপারটা খুবই ইস্টাবলিশ্‌ড, আপনার কথা ধরলে তো বলে দিতে হবে, ঈদুল আযহা বলেই কিছু নেই। না জেনে অদ্ভূত অদ্ভূত কথা না বলার অনুরোধ রইলো।

২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বিবেক বিবাগী, আপনি যে মাংস ভাগের নিয়োম বলেছেন সেটা কোরআন সমর্থন করেকি? চলুন দেখি কোরআন কি বলে।
সূরা আন-আম ৬:১৩৬ আয়াত
وَجَعَلُواْ لِلّهِ مِمِّا ذَرَأَ مِنَ الْحَرْثِ وَالأَنْعَامِ نَصِيبًا فَقَالُواْ هَـذَا لِلّهِ بِزَعْمِهِمْ وَهَـذَا لِشُرَكَآئِنَا فَمَا كَانَ لِشُرَكَآئِهِمْ فَلاَ يَصِلُ إِلَى اللّهِ وَمَا كَانَ لِلّهِ فَهُوَ يَصِلُ إِلَى شُرَكَآئِهِمْ سَاء مَا يَحْكُمُونَ

অর্থঃ আল্লাহ যেসব শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো থেকে তারা এক অংশ আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে অতঃপর নিজ ধারণা অনুসারে বলে এটা আল্লাহর এবং এটা আমাদের অংশীদারদের। অতঃপর যে অংশ তাদের অংশীদারদের, তা তো আল্লাহর দিকে পৌঁছে না এবং যা আল্লাহর তা তাদের উপাস্যদের দিকে পৌছে যায়। তাদের বিচার কতই না মন্দ।

সূরা হজ্জ ২২:৩৭ আয়াত
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ

অর্থঃ এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।

২৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বোকার দল, বেশী যুক্তি না খুইজা আল্লাহর দরবারে সেজদা দিয়া শোকর আদায় কর যে, আল্লাহ তোগোরে গরু না বানা্য়া মানুষ বানাইছে। মানুষ হওয়ার জন্য কি কেউ সিজদা দিয়ে দোয়া করছিলি। না করলে এটাতো আল্লাহর অনুগ্রহরে বোকা। নয়তো তগোরেও কুরবানি দিয়া গোসত খাওয়া হতো। বেশী যুক্তি খোজে শয়তানে, মানুষে না।

২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮

সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: আল্যায় আমাগোরে বানায় নাই রে হারামজাদা খুরশীদ। আল্যায় আমাগোরে বানায় নাই। আমরা বান্দর থেইক্যা আইছি। বুচ্ছস ? পৃথিবীর সব ধার্মিক মানুষই বোকা। যারা যুক্তি খোঁজে তারা বোকা হয় নারে মূর্খ। যারা যুক্তি খোঁজে না তারাই বোকা হয়। এইজন্যই পৃথিবীর সব ধার্মিক মানুষ বোকা। যদি যুক্তি খুঁজত তাহলে তারা ধার্মিক থাকত না, নাস্তিক হয়ে যেত। শুধু মুসলমানদের নয় সব ধর্মের সব ধার্মিকদেরকে যদি তাদের ধর্মগ্রন্থের পৃষ্ঠা ছিড়ে খাওয়াইতে পারতাম, তাহলে মনের জ্বালা মিটত। বাংলাদেশে ধার্মিকদের আরেক নাম হল ছাগু এবং ওদের শুধু একটা কথাই বলা যায়, ''খা ছাগু খা, ধর্মগ্রন্থ গিলে খা। ছাগল তো সব খায়। কাজেই কাগজ খেতেও ছাগলদের অর্থাৎ ছাগুদের আপত্তি হওয়া উচিত না''। এত রাগ আমার ধর্মের উপর এবং ধার্মিকদের উপর। আমি নাস্তিক পরে, সবার আগে আমি একজন ধর্মবিদ্বেষী। আমি গর্বিত যে আমি ধর্মবিদ্বেষী। ধর্ম যেহেতু কুসংস্কার সেহেতু ধর্মবিদ্বেষী হবার মানে হল কুসংস্কার বিদ্বেষী হওয়া। ঠিক আচে ? দেশের সবগুলো উপাসনালয় যদি ভেঙে সেখানে যদি লাইব্রেরী স্থাপন করা হত, তাহলে বেশী ভাল হত। যত বেশী মানুষ বই পড়বে তত বেশী অমানবিক কাজ ( কুরবানী বা বলি ) থেকে দূরে থাকবে।

২৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

সৌরভ০৮ বলেছেন: সমস্ত কাজের পিছনে যদি যুক্তি থাকতো তাহলে প্রেম, ভালোবাসা, রাগ, অভিমান এগুলো তৈরি হতোনা। আর ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা না করলেই বলা যায়, ধর্ম কুসংস্কার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.